সম্পাদকীয়
দেশে এখন ইরি-বোরো ধান চাষের মৌসুম চলছে। এ সময় কৃষকের ধান চাষের সঙ্গে সম্পর্কিত কোনো কিছুর সংকট হলে তার প্রভাব ধানের ফলনের ওপর পড়বে। যদি ধানের ফলন কম হয়,তাহলে এর প্রভাব দেশের কৃষি ও খাদ্য অর্থনীতির ওপর পড়বে। তাই এ সময় কৃষকদের জন্য, বিশেষ করে সেচের ব্যবস্থা, সার ও কীটনাশকের জোগান যথাযথভাবে থাকা দরকার। যখন এর কোনো একটার সংকট দেখা দেবে, তখনই ধান চাষে সমস্যার আশঙ্কা এড়িয়ে যাওয়া যায় না।
কৃষকের সেচসংকট নিয়ে আজকের পত্রিকায় ১৯ মার্চ ‘দুই বছরেও চালু হয়নি সেচ, বঞ্চিত শত কৃষক’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার সদর ইউনিয়নের পুরোনো ধলেশ্বরী নদীর উত্তর পারে একটি সোলার প্যানেল সেচপাম্প স্থাপন করে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি)। কিন্তু দুই বছরেও চালু হয়নি সেচপাম্পটি। তাই স্থানীয় কৃষকদের কোনো কাজেও আসছে না এটি। কৃষকদের অভিযোগ, বিএডিসির কর্মকর্তাদের উদাসীনতায় সরকারি প্রকল্পের সেচসুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তাঁরা। অপরদিকে বিএডিসির পক্ষ থেকে পাল্টা অভিযোগ, কৃষকদের কোন্দলের কারণে সেচপাম্পটি চালু করা সম্ভব হচ্ছে না।
মূলত দুই বছর আগে কম মূল্যে সেচ দেওয়ার জন্য বিএডিসির উদ্যোগে সোলার সেচপাম্পটি স্থাপন করা হয়েছিল। পাম্পটি পরিচালনা এবং সেচের কাজ সুষ্ঠুভাবে তদারকি করার জন্য স্থানীয় কৃষকদের সমন্বয়ে সমিতি গঠন করা হয়। আর স্কিম ম্যানেজার ও কেয়ারটেকার পদে দুজনকে দায়িত্ব দেওয়া হয় পাম্পটি পরিচালনার জন্য। পাম্প চালু হলে এলাকার প্রায় ৭০ বিঘা জমিতে সেচ দেওয়া সম্ভব হতো। ফলে শতাধিক কৃষক প্রত্যক্ষভাবে উপকৃত হতেন।
চলতি বোরো মৌসুমের সময় দুই পক্ষের রশি-টানাটানিতে ঝুলে আছে সেচ প্রকল্পটি। এতে প্রত্যক্ষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন প্রকৃত কৃষকেরাই। যাঁদের জন্য এই সেচব্যবস্থা, মূলত তাঁরাই এ থেকে কোনো উপকার পাচ্ছেন না। এর ফাঁকে সরকারি তথা জনগণের করের টাকা গচ্চা যাচ্ছে। কারণ কৃষকেরা বিদ্যুৎ ও ডিজেলচালিত শ্যালো মেশিন দিয়ে বোরো চাষ করতে বাধ্য হয়েছেন। এতে কৃষকের ধান চাষ করতে গিয়ে অতিরিক্ত টাকা খরচ করতে হচ্ছে। সেচপাম্পটি চালু থাকলে কৃষকেরা প্রতি বিঘা জমিতে এক হাজার টাকায় সেচের সুবিধা পেতেন। পাম্পটি চালু থাকলে এক ফসলি জমিতে দুই ফসল এবং দুই ফসলি জমিতে তিন ফসল করাসহ ব্যাপকভাবে রবিশস্য আবাদ করা সম্ভব হতো।
সরকার বিএডিসির তত্ত্বাবধানে কৃষকদের উপকার করার জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রকল্প গ্রহণ করে। কিন্তু স্থানীয় প্রশাসনের সঠিকভাবে তদারকি না করার কারণে কৃষকেরা অনেক ক্ষেত্রে সরকারি সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়ে থাকেন।
সোলার পাম্পটি চালু করার জন্য কৃষকদের দ্বন্দ্ব মিটিয়ে এবং বিএডিসির কর্মকর্তাদের গাফিলতির বিষয়টি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা এখন জরুরি হয়ে পড়েছে। একটি ভালো উদ্যোগ স্রেফ অবহেলায় ভেস্তে যাবে—এ কোনো কাজের কথা নয়।
দেশে এখন ইরি-বোরো ধান চাষের মৌসুম চলছে। এ সময় কৃষকের ধান চাষের সঙ্গে সম্পর্কিত কোনো কিছুর সংকট হলে তার প্রভাব ধানের ফলনের ওপর পড়বে। যদি ধানের ফলন কম হয়,তাহলে এর প্রভাব দেশের কৃষি ও খাদ্য অর্থনীতির ওপর পড়বে। তাই এ সময় কৃষকদের জন্য, বিশেষ করে সেচের ব্যবস্থা, সার ও কীটনাশকের জোগান যথাযথভাবে থাকা দরকার। যখন এর কোনো একটার সংকট দেখা দেবে, তখনই ধান চাষে সমস্যার আশঙ্কা এড়িয়ে যাওয়া যায় না।
কৃষকের সেচসংকট নিয়ে আজকের পত্রিকায় ১৯ মার্চ ‘দুই বছরেও চালু হয়নি সেচ, বঞ্চিত শত কৃষক’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার সদর ইউনিয়নের পুরোনো ধলেশ্বরী নদীর উত্তর পারে একটি সোলার প্যানেল সেচপাম্প স্থাপন করে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি)। কিন্তু দুই বছরেও চালু হয়নি সেচপাম্পটি। তাই স্থানীয় কৃষকদের কোনো কাজেও আসছে না এটি। কৃষকদের অভিযোগ, বিএডিসির কর্মকর্তাদের উদাসীনতায় সরকারি প্রকল্পের সেচসুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তাঁরা। অপরদিকে বিএডিসির পক্ষ থেকে পাল্টা অভিযোগ, কৃষকদের কোন্দলের কারণে সেচপাম্পটি চালু করা সম্ভব হচ্ছে না।
মূলত দুই বছর আগে কম মূল্যে সেচ দেওয়ার জন্য বিএডিসির উদ্যোগে সোলার সেচপাম্পটি স্থাপন করা হয়েছিল। পাম্পটি পরিচালনা এবং সেচের কাজ সুষ্ঠুভাবে তদারকি করার জন্য স্থানীয় কৃষকদের সমন্বয়ে সমিতি গঠন করা হয়। আর স্কিম ম্যানেজার ও কেয়ারটেকার পদে দুজনকে দায়িত্ব দেওয়া হয় পাম্পটি পরিচালনার জন্য। পাম্প চালু হলে এলাকার প্রায় ৭০ বিঘা জমিতে সেচ দেওয়া সম্ভব হতো। ফলে শতাধিক কৃষক প্রত্যক্ষভাবে উপকৃত হতেন।
চলতি বোরো মৌসুমের সময় দুই পক্ষের রশি-টানাটানিতে ঝুলে আছে সেচ প্রকল্পটি। এতে প্রত্যক্ষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন প্রকৃত কৃষকেরাই। যাঁদের জন্য এই সেচব্যবস্থা, মূলত তাঁরাই এ থেকে কোনো উপকার পাচ্ছেন না। এর ফাঁকে সরকারি তথা জনগণের করের টাকা গচ্চা যাচ্ছে। কারণ কৃষকেরা বিদ্যুৎ ও ডিজেলচালিত শ্যালো মেশিন দিয়ে বোরো চাষ করতে বাধ্য হয়েছেন। এতে কৃষকের ধান চাষ করতে গিয়ে অতিরিক্ত টাকা খরচ করতে হচ্ছে। সেচপাম্পটি চালু থাকলে কৃষকেরা প্রতি বিঘা জমিতে এক হাজার টাকায় সেচের সুবিধা পেতেন। পাম্পটি চালু থাকলে এক ফসলি জমিতে দুই ফসল এবং দুই ফসলি জমিতে তিন ফসল করাসহ ব্যাপকভাবে রবিশস্য আবাদ করা সম্ভব হতো।
সরকার বিএডিসির তত্ত্বাবধানে কৃষকদের উপকার করার জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রকল্প গ্রহণ করে। কিন্তু স্থানীয় প্রশাসনের সঠিকভাবে তদারকি না করার কারণে কৃষকেরা অনেক ক্ষেত্রে সরকারি সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়ে থাকেন।
সোলার পাম্পটি চালু করার জন্য কৃষকদের দ্বন্দ্ব মিটিয়ে এবং বিএডিসির কর্মকর্তাদের গাফিলতির বিষয়টি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা এখন জরুরি হয়ে পড়েছে। একটি ভালো উদ্যোগ স্রেফ অবহেলায় ভেস্তে যাবে—এ কোনো কাজের কথা নয়।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে