ভূঞাপুর প্রতিনিধি
ভূঞাপুরের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে ভুল চিকিৎসায় লাইলী বেগম (৩০) নামে এক প্রসূতি ও নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার পর প্রতিষ্ঠান খোলা রেখেই চিকিৎসক, নার্সসহ কর্তৃপক্ষ পালিয়ে যায়। গত বুধবার রাতে উপজেলার মা ক্লিনিক অ্যান্ড হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। লাইলী বেগম উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের খানুরবাড়ী গ্রামের মো. আকতার হোসেনের স্ত্রী।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সন্তানসম্ভবা লাইলী বেগমের প্রসব যন্ত্রণা শুরু হলে তাঁকে বুধবার রাতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানোর জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্মরত চিকিৎসক তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য টাঙ্গাইল নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু মা ক্লিনিক অ্যান্ড হাসপাতালের এক কর্মচারী তাঁদের এই ক্লিনিকে নিয়ে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দেন।
পরে ওই রাতেই তাড়াহুড়ো করে একটা আলট্রাসনোগ্রাম করে লাইলী বেগমকে ক্লিনিকের অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় সার্জারি চিকিৎসক ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার এনামুল হক সোহেল ও অবেদনবিদ আল মামুন অস্ত্রোপচার শুরু করেন। একপর্যায়ে ওই প্রসূতি অপারেশন টেবিলেই মারা যান। প্রায় দেড় ঘণ্টা পরে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ স্বজনদের না জানিয়ে অ্যাম্বুলেন্সে করে টাঙ্গাইলে পাঠানোর চেষ্টা করে।
নিহতের স্বজনেরা জিজ্ঞাসা করলে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ জানায়, রোগীর অবস্থা ভালো না, দ্রুত টাঙ্গাইল নিতে হবে। কিন্তু নিহতের স্বজন ও স্থানীয়রা বাধা দিলে তাঁরা পালিয়ে যান। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।
লাইলী বেগমের স্বামী আকতার হোসেন বলেন, ‘আমার স্ত্রীর প্রসব যন্ত্রণা শুরু হলে ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখান থেকে টাঙ্গাইলে নিয়ে যেতে বলেন। আমি গাড়ি আনতে গেলে ক্লিনিকের দালালেরা এসে আমার স্ত্রীকে মা ক্লিনিক অ্যান্ড হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে অপারেশন থিয়েটারে রাখা হয়। পরে রোগী মারা গেলে তাকে টাঙ্গাইল নিয়ে যাওয়ার কথা বলে ডাক্তার, নার্স ও ক্লিনিকের মালিকপক্ষ পালিয়ে যায়।’
লাইলী বেগমের মামাতো বোন শিরিনা বেগম বলেন, ‘হাসপাতালে নেওয়ার সময় আমার বোন সুস্থ ছিলেন। আমার বোনের সুচিকিৎসা না হওয়ায় নবজাতকসহ তাঁর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত ডাক্তার ও সহযোগীদের শাস্তি দাবি করছি।’
এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে ভূঞাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার আল মামুন জানান, মা ক্লিনিকে আনার পর তাঁর উচ্চ রক্তচাপ (প্রেশার) দেখা দেয়। অপারেশনের আগেই রোগী বমি শুরু করেন এবং মারা যান।
এ বিষয়ে ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে ক্লিনিকে পুলিশ পাঠানো হয়। তবে পুলিশ পৌঁছানোর আগেই ক্লিনিকের চিকিৎসক, নার্স ও মালিকপক্ষ পালিয়ে যায়। পরে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।
ভূঞাপুরের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে ভুল চিকিৎসায় লাইলী বেগম (৩০) নামে এক প্রসূতি ও নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার পর প্রতিষ্ঠান খোলা রেখেই চিকিৎসক, নার্সসহ কর্তৃপক্ষ পালিয়ে যায়। গত বুধবার রাতে উপজেলার মা ক্লিনিক অ্যান্ড হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। লাইলী বেগম উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের খানুরবাড়ী গ্রামের মো. আকতার হোসেনের স্ত্রী।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সন্তানসম্ভবা লাইলী বেগমের প্রসব যন্ত্রণা শুরু হলে তাঁকে বুধবার রাতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানোর জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্মরত চিকিৎসক তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য টাঙ্গাইল নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু মা ক্লিনিক অ্যান্ড হাসপাতালের এক কর্মচারী তাঁদের এই ক্লিনিকে নিয়ে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দেন।
পরে ওই রাতেই তাড়াহুড়ো করে একটা আলট্রাসনোগ্রাম করে লাইলী বেগমকে ক্লিনিকের অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় সার্জারি চিকিৎসক ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার এনামুল হক সোহেল ও অবেদনবিদ আল মামুন অস্ত্রোপচার শুরু করেন। একপর্যায়ে ওই প্রসূতি অপারেশন টেবিলেই মারা যান। প্রায় দেড় ঘণ্টা পরে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ স্বজনদের না জানিয়ে অ্যাম্বুলেন্সে করে টাঙ্গাইলে পাঠানোর চেষ্টা করে।
নিহতের স্বজনেরা জিজ্ঞাসা করলে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ জানায়, রোগীর অবস্থা ভালো না, দ্রুত টাঙ্গাইল নিতে হবে। কিন্তু নিহতের স্বজন ও স্থানীয়রা বাধা দিলে তাঁরা পালিয়ে যান। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।
লাইলী বেগমের স্বামী আকতার হোসেন বলেন, ‘আমার স্ত্রীর প্রসব যন্ত্রণা শুরু হলে ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখান থেকে টাঙ্গাইলে নিয়ে যেতে বলেন। আমি গাড়ি আনতে গেলে ক্লিনিকের দালালেরা এসে আমার স্ত্রীকে মা ক্লিনিক অ্যান্ড হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে অপারেশন থিয়েটারে রাখা হয়। পরে রোগী মারা গেলে তাকে টাঙ্গাইল নিয়ে যাওয়ার কথা বলে ডাক্তার, নার্স ও ক্লিনিকের মালিকপক্ষ পালিয়ে যায়।’
লাইলী বেগমের মামাতো বোন শিরিনা বেগম বলেন, ‘হাসপাতালে নেওয়ার সময় আমার বোন সুস্থ ছিলেন। আমার বোনের সুচিকিৎসা না হওয়ায় নবজাতকসহ তাঁর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত ডাক্তার ও সহযোগীদের শাস্তি দাবি করছি।’
এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে ভূঞাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার আল মামুন জানান, মা ক্লিনিকে আনার পর তাঁর উচ্চ রক্তচাপ (প্রেশার) দেখা দেয়। অপারেশনের আগেই রোগী বমি শুরু করেন এবং মারা যান।
এ বিষয়ে ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে ক্লিনিকে পুলিশ পাঠানো হয়। তবে পুলিশ পৌঁছানোর আগেই ক্লিনিকের চিকিৎসক, নার্স ও মালিকপক্ষ পালিয়ে যায়। পরে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে