রাজশাহী প্রতিনিধি
রাজশাহী আইনজীবী বার সমিতির নির্বাচনে ভরাডুবি হয়েছে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ প্যানেলের। এই প্যানেলের ২১ প্রার্থীর কেউই জয়ী হতে পারেননি। অন্যদিকে বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেলের সব প্রার্থী জয় পেয়েছেন। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি আইনজীবী সমিতির এই নির্বাচন হয়।
এর আগে ২০২১ সালের নির্বাচনেও বিএনপি-জামায়াতপন্থীরা বিজয়ী হন। অথচ ২০১৭, ২০১৮ ও ২০১৯ সালে নির্বাচিত হয়েছিল সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ। এবারের নির্বাচনে কী কারণে পরাজয় ঘটেছে তার কারণ বিশ্লেষণ করে দেখেনি সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ। তবে ব্যক্তিগতভাবে পরিষদের কেউ কেউ নানা কথা বলছেন।
তবে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি আইনজীবী পরিষদ মনে করছে, সর্ষের মধ্যেই ভূত ঢুকে পড়েছে। তাই পরাজয় ঘটেছে নির্বাচনে। তাঁদের বক্তব্য, রাজশাহীর বিভিন্ন আদালতে সরকারি আইন কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বিএনপি-জামায়াতপন্থী আইনজীবীরা। গত বছর নিয়োগ পাওয়া এই ১১২ জন সরকারি আইন কর্মকর্তার মধ্যে অন্তত ৩০ জন মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী নন বলেও অভিযোগ তুলেছে ওয়ার্কার্স পার্টি আইনজীবী পরিষদ। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে সংবাদ সম্মেলন করে এমন অভিযোগ তোলা হয়েছে।
রাজশাহী জেলা ও দায়রা জজ আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোজাফফর হোসেন এক সাক্ষাৎকারে দাবি করেছেন, নির্বাচনে সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে আঁতাত করেছিলেন। তাঁকে ‘হাইব্রিড’ও বলেছিলেন তিনি। মোজাফফর হোসেন রাজশাহী নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। নির্বাচনে ভরাডুবির জন্য তিনি নির্বাচন পরিচালনা কমিটির দুই সদস্যের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন।
এর প্রতিবাদেই সংবাদ সম্মেলন করে ওয়ার্কার্স পার্টি আইনজীবী পরিষদ। আইনজীবী বার সমিতির বঙ্গবন্ধু কর্নারে করা এই সংবাদ সম্মেলনে আইনজীবী মোজাফফর হোসেনের বিরুদ্ধেই অভিযোগ তোলা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য দেন আইনজীবী সুশান্ত সরকার। উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী এন্তাজুল হক বাবু, আইনজীবী মামুনুর রশীদ জন, আইনজীবী মোহাম্মদ আলী, আইনজীবী মাহবুবুর রহমান ডলার, আইনজীবী আরাফাত কবীর প্রমুখ।
সুশান্ত সরকার বলেন, ‘কেন আমরা বিজয় অর্জন করতে পারিনি তার জন্য নির্বাচন পরবর্তী সমন্বয় পরিষদভুক্ত কোনো দল, সমিতি এবং সমর্থিত সদস্যদের অংশগ্রহণে পরাজয়ের কারণ মূল্যায়ন হয়নি। সমন্বয় পরিষদের ভোট পরবর্তী মূল্যায়ন বৈঠকের আগেই সম্মিলিত আইনজীবী পরিষদের ঐক্য ও ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য চক্রান্তকারীদের পক্ষে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অসৎ উদ্দেশ্যে অন্যদের অভিযুক্ত করে নিজের পদ-পদবি রক্ষায় সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। এটা নিজ দায়িত্বে অবহেলা ও ভোটে ষড়যন্ত্র করার বহিঃপ্রকাশ এবং শাক দিয়ে মাছ ঢাকার শামিল।’
সুশান্ত সরকার বলেন, ‘এই পরাজয়ের অন্যতম কারণ সরকারি আইনজীবীদের মধ্যে অন্তত ৩০ জন আওয়ামী আইনজীবী সদস্য নন। তাঁরা ১৪ দলের কোনো রাজনৈতিক দলের সদস্য নন, এমনকি তাঁরা এবং তাঁদের পরিবার মুক্তিযুদ্ধবিরোধী পরিবার। এঁদের গোপন তৎপরতা পরিলক্ষিত হয়েছে। এই নির্বাচনে আইনজীবী মোজাফফর হোসেনের ভূমিকাও ছিল রহস্যজনক। কারণ, ১১২ জন সরকারি আইন কর্মকর্তাদের সংগঠিত করে তিনি কখনই ভোটের প্রচারে অংশ নেননি। এটি না করার বিষয়টি বার সমিতির সদস্যদের কাছে দৃশ্যমান ছিল। ১১২ জন সরকারি আইন কর্মকর্তারা সংগঠিতভাবে সম্মিলিত সমন্বয় পরিষদের পক্ষে কাজ করলে হয়তোবা আমাদের এই পরাজয়টা হতো না।’
তিনি আরও বলেন, ২০২১ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ১১২ জন সরকারি আইন কর্মকর্তার একটি তালিকা আইন মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো হয়। তালিকা প্রাপ্তির মাত্র ১০ দিন পর ওই বছর আইনজীবী সমিতির নির্বাচন হয়। আমরা আশ্বস্ত ছিলাম যে, ১১২ জন আইন কর্মকর্তারা যদি ভোটে কাজ করেন তাহলে আমরা প্যানেলের ২১টি পদে বিজয়ী হব। কিন্তু ২১ পদের মধ্যে আমরা ২০টি পদেই পরাজিত হয়েছিলাম। এবারেও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে। সেটা বিশ্লেষণের দাবি রাখে। কারণ, আওয়ামী লীগ সরকার রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকার সময় মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষের শক্তির ভরাডুবি অত্যন্ত লজ্জার এবং দুঃখজনক।’
নির্বাচনে সরকারি আইনজীবীদের সংগঠিত না করার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোজাফফর হোসেন বলেন, ‘আমি মিটিং ডেকে সরকারি আইনজীবীদের বলেছি সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ প্যানেলে ভোট দেওয়ার জন্য। কিন্তু ১০-১৫ জন সেক্রেটারি প্রার্থীর বিরুদ্ধে কাজ করেছে। তাদের নাম এসেছে। আমরা যাঁরা বঙ্গবন্ধুর সান্নিধ্য পেয়েছি তারা এক চুলও আওয়ামী লীগ থেকে সরব না। হাইব্রিডরাই আমাদের ভরাডুবির জন্য দায়ী। এখনো বলছি।’
রাজশাহী আইনজীবী বার সমিতির নির্বাচনে ভরাডুবি হয়েছে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ প্যানেলের। এই প্যানেলের ২১ প্রার্থীর কেউই জয়ী হতে পারেননি। অন্যদিকে বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেলের সব প্রার্থী জয় পেয়েছেন। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি আইনজীবী সমিতির এই নির্বাচন হয়।
এর আগে ২০২১ সালের নির্বাচনেও বিএনপি-জামায়াতপন্থীরা বিজয়ী হন। অথচ ২০১৭, ২০১৮ ও ২০১৯ সালে নির্বাচিত হয়েছিল সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ। এবারের নির্বাচনে কী কারণে পরাজয় ঘটেছে তার কারণ বিশ্লেষণ করে দেখেনি সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ। তবে ব্যক্তিগতভাবে পরিষদের কেউ কেউ নানা কথা বলছেন।
তবে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি আইনজীবী পরিষদ মনে করছে, সর্ষের মধ্যেই ভূত ঢুকে পড়েছে। তাই পরাজয় ঘটেছে নির্বাচনে। তাঁদের বক্তব্য, রাজশাহীর বিভিন্ন আদালতে সরকারি আইন কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বিএনপি-জামায়াতপন্থী আইনজীবীরা। গত বছর নিয়োগ পাওয়া এই ১১২ জন সরকারি আইন কর্মকর্তার মধ্যে অন্তত ৩০ জন মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী নন বলেও অভিযোগ তুলেছে ওয়ার্কার্স পার্টি আইনজীবী পরিষদ। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে সংবাদ সম্মেলন করে এমন অভিযোগ তোলা হয়েছে।
রাজশাহী জেলা ও দায়রা জজ আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোজাফফর হোসেন এক সাক্ষাৎকারে দাবি করেছেন, নির্বাচনে সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে আঁতাত করেছিলেন। তাঁকে ‘হাইব্রিড’ও বলেছিলেন তিনি। মোজাফফর হোসেন রাজশাহী নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। নির্বাচনে ভরাডুবির জন্য তিনি নির্বাচন পরিচালনা কমিটির দুই সদস্যের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন।
এর প্রতিবাদেই সংবাদ সম্মেলন করে ওয়ার্কার্স পার্টি আইনজীবী পরিষদ। আইনজীবী বার সমিতির বঙ্গবন্ধু কর্নারে করা এই সংবাদ সম্মেলনে আইনজীবী মোজাফফর হোসেনের বিরুদ্ধেই অভিযোগ তোলা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য দেন আইনজীবী সুশান্ত সরকার। উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী এন্তাজুল হক বাবু, আইনজীবী মামুনুর রশীদ জন, আইনজীবী মোহাম্মদ আলী, আইনজীবী মাহবুবুর রহমান ডলার, আইনজীবী আরাফাত কবীর প্রমুখ।
সুশান্ত সরকার বলেন, ‘কেন আমরা বিজয় অর্জন করতে পারিনি তার জন্য নির্বাচন পরবর্তী সমন্বয় পরিষদভুক্ত কোনো দল, সমিতি এবং সমর্থিত সদস্যদের অংশগ্রহণে পরাজয়ের কারণ মূল্যায়ন হয়নি। সমন্বয় পরিষদের ভোট পরবর্তী মূল্যায়ন বৈঠকের আগেই সম্মিলিত আইনজীবী পরিষদের ঐক্য ও ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য চক্রান্তকারীদের পক্ষে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অসৎ উদ্দেশ্যে অন্যদের অভিযুক্ত করে নিজের পদ-পদবি রক্ষায় সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। এটা নিজ দায়িত্বে অবহেলা ও ভোটে ষড়যন্ত্র করার বহিঃপ্রকাশ এবং শাক দিয়ে মাছ ঢাকার শামিল।’
সুশান্ত সরকার বলেন, ‘এই পরাজয়ের অন্যতম কারণ সরকারি আইনজীবীদের মধ্যে অন্তত ৩০ জন আওয়ামী আইনজীবী সদস্য নন। তাঁরা ১৪ দলের কোনো রাজনৈতিক দলের সদস্য নন, এমনকি তাঁরা এবং তাঁদের পরিবার মুক্তিযুদ্ধবিরোধী পরিবার। এঁদের গোপন তৎপরতা পরিলক্ষিত হয়েছে। এই নির্বাচনে আইনজীবী মোজাফফর হোসেনের ভূমিকাও ছিল রহস্যজনক। কারণ, ১১২ জন সরকারি আইন কর্মকর্তাদের সংগঠিত করে তিনি কখনই ভোটের প্রচারে অংশ নেননি। এটি না করার বিষয়টি বার সমিতির সদস্যদের কাছে দৃশ্যমান ছিল। ১১২ জন সরকারি আইন কর্মকর্তারা সংগঠিতভাবে সম্মিলিত সমন্বয় পরিষদের পক্ষে কাজ করলে হয়তোবা আমাদের এই পরাজয়টা হতো না।’
তিনি আরও বলেন, ২০২১ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ১১২ জন সরকারি আইন কর্মকর্তার একটি তালিকা আইন মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো হয়। তালিকা প্রাপ্তির মাত্র ১০ দিন পর ওই বছর আইনজীবী সমিতির নির্বাচন হয়। আমরা আশ্বস্ত ছিলাম যে, ১১২ জন আইন কর্মকর্তারা যদি ভোটে কাজ করেন তাহলে আমরা প্যানেলের ২১টি পদে বিজয়ী হব। কিন্তু ২১ পদের মধ্যে আমরা ২০টি পদেই পরাজিত হয়েছিলাম। এবারেও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে। সেটা বিশ্লেষণের দাবি রাখে। কারণ, আওয়ামী লীগ সরকার রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকার সময় মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষের শক্তির ভরাডুবি অত্যন্ত লজ্জার এবং দুঃখজনক।’
নির্বাচনে সরকারি আইনজীবীদের সংগঠিত না করার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোজাফফর হোসেন বলেন, ‘আমি মিটিং ডেকে সরকারি আইনজীবীদের বলেছি সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ প্যানেলে ভোট দেওয়ার জন্য। কিন্তু ১০-১৫ জন সেক্রেটারি প্রার্থীর বিরুদ্ধে কাজ করেছে। তাদের নাম এসেছে। আমরা যাঁরা বঙ্গবন্ধুর সান্নিধ্য পেয়েছি তারা এক চুলও আওয়ামী লীগ থেকে সরব না। হাইব্রিডরাই আমাদের ভরাডুবির জন্য দায়ী। এখনো বলছি।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে