খুলনা প্রতিনিধি
সারা দেশের মতো খুলনায়ও খুলে দেওয়া হয়েছে সব প্রাথমিক বিদ্যালয়। করোনাভাইরাসের কারণে দেড় মাস বিদ্যালয়গুলো বন্ধ ছিল। ছোট্ট শিশুদের কাছে দিনটি অনেকটা উৎসবের মতো মনে হয়েছে। ক্লাসে ফিরতে পেরে এদের চোখেমুখে ছিল আনন্দের জোয়ার। অভিভাবকেরাও ছিলেন উচ্ছ্বসিত।
শিশুদের অনেকেরই নতুন বছরের নতুন ক্লাস ছিল গতকাল বুধবার। এদিন প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ক্লাস শুরু হয়। তবে বন্ধই থাকছে প্রাক-প্রাথমিক বিদ্যালয়।
নগরীর কয়েকটি সরকারি ও বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, সকাল থেকে দলে দলে আসে খুদে শিক্ষার্থীরা। অনেকে মা-বাবার হাত ধরে আসে। আনন্দের সঙ্গে ক্লাসে অংশ নেয়। ক্লাস শেষে অনেক বিদ্যালয়ে ছোট্ট শিক্ষার্থীরা মেতে উঠে খেলায়। শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ওপর গুরুত্ব দেন শিক্ষকেরা।
খুলনায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত প্রথম থেকে দ্বিতীয় শ্রেণির ক্লাস হয়। সোয়া ১২টা থেকে সোয়া ৪টা পর্যন্ত চলে তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির ক্লাস। হাত ধোয়া ও মাস্ক বিতরণসহ শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে নেওয়া হয় ক্লাস। প্রথম দিন স্কুলগুলোতে উপস্থিতির পরিমাণ ছিল ৫০ শতাংশের বেশি।
করোনার প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় গত ২১ জানুয়ারি সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। সন্তানকে বিদ্যালয়ে পাঠানোর জন্য প্রত্যেক শিক্ষার্থীর অভিভাবকের কাছে ফোন করা হয়েছে বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে। এদিকে দীর্ঘ বন্ধের কারণে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ ছিল অনেকটা অপরিষ্কার। আগের দিন অনেক বিদ্যালয়ে পরিষ্কারের কাজ চলে।
এ ব্যাপারে খুলনা প্রভাতি রেলওয়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, দেড় মাস বন্ধের পর স্কুল খুলেছে। বন্ধ থাকায় বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ নোংরা ছিল। গত মঙ্গলবার ধুয়েমুছে তা পরিষ্কার করা হয়। বিদ্যালয়ে আসার পর শিক্ষার্থীদের হাত ধোয়াসহ স্যানেটাইজ করেন শিক্ষকেরা। প্রতিটি শিক্ষার্থীর মাস্ক নিশ্চিত করা হয়। বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে দেওয়া হয় মাস্ক। এ ছাড়া প্রতিটি বেঞ্চে একজন শিক্ষার্থীকে বসানো হয়। প্রথম দিন উপস্থিতি কিছুটা কম বলে তিনি জানান।
এদিকে দীর্ঘ বন্ধের পর বিদ্যালয় খুলে যাওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন অভিভাবকেরা। এ ব্যাপারে নগরীর নৌবাহিনী স্কুল অ্যান্ড কলেজের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র আহনাফ জামান পূর্বের মা হাবিবা সুলতানা বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় পড়াশোনা ঠিকমতো হচ্ছিল না। তাঁর সন্তান পিছিয়ে পড়ছিল। স্কুল খুলে যাওয়ায় পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি পাবে।
অপর দিকে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সিরাজুদ্দোহা জানান, খুলনায় ১ হাজার ১৫৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১ লাখ ৬৫ হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে। প্রথম দিন উপস্থিতি প্রায় ৫০ শতাংশ। আস্তে আস্তে এ সংখ্যা বাড়বে।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাতে ক্লাস নেওয়া হয়, সে বিষয়ে প্রতিটি বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলেও তিনি জানান।
সারা দেশের মতো খুলনায়ও খুলে দেওয়া হয়েছে সব প্রাথমিক বিদ্যালয়। করোনাভাইরাসের কারণে দেড় মাস বিদ্যালয়গুলো বন্ধ ছিল। ছোট্ট শিশুদের কাছে দিনটি অনেকটা উৎসবের মতো মনে হয়েছে। ক্লাসে ফিরতে পেরে এদের চোখেমুখে ছিল আনন্দের জোয়ার। অভিভাবকেরাও ছিলেন উচ্ছ্বসিত।
শিশুদের অনেকেরই নতুন বছরের নতুন ক্লাস ছিল গতকাল বুধবার। এদিন প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ক্লাস শুরু হয়। তবে বন্ধই থাকছে প্রাক-প্রাথমিক বিদ্যালয়।
নগরীর কয়েকটি সরকারি ও বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, সকাল থেকে দলে দলে আসে খুদে শিক্ষার্থীরা। অনেকে মা-বাবার হাত ধরে আসে। আনন্দের সঙ্গে ক্লাসে অংশ নেয়। ক্লাস শেষে অনেক বিদ্যালয়ে ছোট্ট শিক্ষার্থীরা মেতে উঠে খেলায়। শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ওপর গুরুত্ব দেন শিক্ষকেরা।
খুলনায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত প্রথম থেকে দ্বিতীয় শ্রেণির ক্লাস হয়। সোয়া ১২টা থেকে সোয়া ৪টা পর্যন্ত চলে তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির ক্লাস। হাত ধোয়া ও মাস্ক বিতরণসহ শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে নেওয়া হয় ক্লাস। প্রথম দিন স্কুলগুলোতে উপস্থিতির পরিমাণ ছিল ৫০ শতাংশের বেশি।
করোনার প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় গত ২১ জানুয়ারি সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। সন্তানকে বিদ্যালয়ে পাঠানোর জন্য প্রত্যেক শিক্ষার্থীর অভিভাবকের কাছে ফোন করা হয়েছে বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে। এদিকে দীর্ঘ বন্ধের কারণে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ ছিল অনেকটা অপরিষ্কার। আগের দিন অনেক বিদ্যালয়ে পরিষ্কারের কাজ চলে।
এ ব্যাপারে খুলনা প্রভাতি রেলওয়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, দেড় মাস বন্ধের পর স্কুল খুলেছে। বন্ধ থাকায় বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ নোংরা ছিল। গত মঙ্গলবার ধুয়েমুছে তা পরিষ্কার করা হয়। বিদ্যালয়ে আসার পর শিক্ষার্থীদের হাত ধোয়াসহ স্যানেটাইজ করেন শিক্ষকেরা। প্রতিটি শিক্ষার্থীর মাস্ক নিশ্চিত করা হয়। বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে দেওয়া হয় মাস্ক। এ ছাড়া প্রতিটি বেঞ্চে একজন শিক্ষার্থীকে বসানো হয়। প্রথম দিন উপস্থিতি কিছুটা কম বলে তিনি জানান।
এদিকে দীর্ঘ বন্ধের পর বিদ্যালয় খুলে যাওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন অভিভাবকেরা। এ ব্যাপারে নগরীর নৌবাহিনী স্কুল অ্যান্ড কলেজের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র আহনাফ জামান পূর্বের মা হাবিবা সুলতানা বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় পড়াশোনা ঠিকমতো হচ্ছিল না। তাঁর সন্তান পিছিয়ে পড়ছিল। স্কুল খুলে যাওয়ায় পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি পাবে।
অপর দিকে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সিরাজুদ্দোহা জানান, খুলনায় ১ হাজার ১৫৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১ লাখ ৬৫ হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে। প্রথম দিন উপস্থিতি প্রায় ৫০ শতাংশ। আস্তে আস্তে এ সংখ্যা বাড়বে।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাতে ক্লাস নেওয়া হয়, সে বিষয়ে প্রতিটি বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলেও তিনি জানান।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে