বেতাগী (বরগুনা) প্রতিনিধি
বরগুনার বেতাগী উপজেলার মোকামিয়া ইউনিয়নের নিবন্ধিত ইলিশ শিকারি মো. ফারুক শরিফ। ৭ অক্টোবর থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশ শিকারে নিষেধাজ্ঞার ১৪ দিন পার হলেও এখনো সরকারের বরাদ্দের চাল পাননি তিনি। ফলে পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
একই ইউনিয়নের ছোট মোকামিয়া গ্রামের আরেক জেলে মো. ফিরোজ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘গতবারের নিষেধাজ্ঞার চালই এখনো পাই নাই। এবারের চাল কবে পামু জানি না। মোরা ধার-দেনায় জর্জরিত। মাছ ধরতে না পারলে দেনা পরিশোধ করমু কী দিয়া। ঘরে সয়সদয় যা আছেলে হ্যা শেষ, এহন খামু কী। দুই হপ্তা গেলেও মোরা কিছু পাই নাই।’
গত বুধবার উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়ন ঘুরে এমনি অভিযোগ শোনা গেছে জেলেদের মুখে। সবার অভিযোগ, নিষেধাজ্ঞার ১৪ দিন শেষেও এখনো কেন তাঁদের ঘরে চাল পৌঁছায়নি। ফলে অনেকে নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে জীবিকার তাগিদে বাধ্য হয়েই জাল নিয়ে নদীতে নামছেন।
একদিকে প্রশাসনের অভিযান চলছে, অন্যদিকে জেলেরা ক্ষুধার তাড়নায় নদীতে জাল ফেলছেন। এতে গত ১৪ দিনে পেটের দায়ে নদীতে মাছ ধরতে নেমে এ উপজেলার বহু জেলে কারাদণ্ড ও জরিমানার শিকার হয়েছেন।
বেতাগী উপজেলা মৎস্য অফিসের তথ্যমতে, উপকূলীয় বরগুনা জেলার বেতাগী উপজেলায় নিবন্ধিত ইলিশ শিকারি জেলে রয়েছেন ৩ হাজার ১০০ জন। নিষেধাজ্ঞার সময় জেলেরা যেন নদীতে ইলিশ শিকারে না যান সে জন্য প্রতিটি জেলে পরিবারকে ২৫ কেজি করে ত্রাণ ও ৩ হাজার ১০০ জন জেলেকে ৭৭.৫ টন চাল দেওয়ার কথা। ইতিমধ্যে ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয় থেকে এসব বরাদ্দের চাল এসেছে। তবে নিষেধাজ্ঞার ১৪ দিন পার হলেও এখনো উপজেলার জেলেদের মাঝে সেই চাল বিতরণ শুরু করতে পারেনি মৎস্য অধিদপ্তর।
জেলেদের চাল দেওয়ার ব্যাপারে উপজেলার মোকামিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গাজী জালাল আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জেলেদের জন্য বরাদ্দের চালের চিঠি আমাদের হাতে এসে পৌঁছেছে। তবে জেলা পরিষদ নির্বাচনের জন্য চাল বিতরণ শুরু করতে পারিনি। আমরা জেলেদের তালিকা প্রস্তুত করেছি। আশা করি আগামী সপ্তাহের মধ্যেই চাল বিতরণ শুরু করতে পারব।’
বেতাগী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আবদুল গফফার বলেন, ‘ইউপি চেয়ারম্যানদের নামে চালের ডিও দেওয়া হয়েছে। আমি তাঁদের চাল দেওয়ার জন্য বারবার বলেছি। তাঁরা চাল বিতরণ কবে শুরু করবেন আমাকে এখনো জানাননি।’
বেতাগী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সুহৃদ সালেহীন বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার এই সময়ে জেলেরা যেন পরিবার-পরিজন নিয়ে না খেয়ে না থাকে সে জন্য প্রতিটি জেলে পরিবারকে ২৫ কেজি করে চাল খাদ্য সহায়তা হিসেবে দেওয়া হবে। আজ শুক্রবার থেকে আমরা এই চাল বিতরণ শুরু করব।’
বরগুনার বেতাগী উপজেলার মোকামিয়া ইউনিয়নের নিবন্ধিত ইলিশ শিকারি মো. ফারুক শরিফ। ৭ অক্টোবর থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশ শিকারে নিষেধাজ্ঞার ১৪ দিন পার হলেও এখনো সরকারের বরাদ্দের চাল পাননি তিনি। ফলে পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
একই ইউনিয়নের ছোট মোকামিয়া গ্রামের আরেক জেলে মো. ফিরোজ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘গতবারের নিষেধাজ্ঞার চালই এখনো পাই নাই। এবারের চাল কবে পামু জানি না। মোরা ধার-দেনায় জর্জরিত। মাছ ধরতে না পারলে দেনা পরিশোধ করমু কী দিয়া। ঘরে সয়সদয় যা আছেলে হ্যা শেষ, এহন খামু কী। দুই হপ্তা গেলেও মোরা কিছু পাই নাই।’
গত বুধবার উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়ন ঘুরে এমনি অভিযোগ শোনা গেছে জেলেদের মুখে। সবার অভিযোগ, নিষেধাজ্ঞার ১৪ দিন শেষেও এখনো কেন তাঁদের ঘরে চাল পৌঁছায়নি। ফলে অনেকে নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে জীবিকার তাগিদে বাধ্য হয়েই জাল নিয়ে নদীতে নামছেন।
একদিকে প্রশাসনের অভিযান চলছে, অন্যদিকে জেলেরা ক্ষুধার তাড়নায় নদীতে জাল ফেলছেন। এতে গত ১৪ দিনে পেটের দায়ে নদীতে মাছ ধরতে নেমে এ উপজেলার বহু জেলে কারাদণ্ড ও জরিমানার শিকার হয়েছেন।
বেতাগী উপজেলা মৎস্য অফিসের তথ্যমতে, উপকূলীয় বরগুনা জেলার বেতাগী উপজেলায় নিবন্ধিত ইলিশ শিকারি জেলে রয়েছেন ৩ হাজার ১০০ জন। নিষেধাজ্ঞার সময় জেলেরা যেন নদীতে ইলিশ শিকারে না যান সে জন্য প্রতিটি জেলে পরিবারকে ২৫ কেজি করে ত্রাণ ও ৩ হাজার ১০০ জন জেলেকে ৭৭.৫ টন চাল দেওয়ার কথা। ইতিমধ্যে ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয় থেকে এসব বরাদ্দের চাল এসেছে। তবে নিষেধাজ্ঞার ১৪ দিন পার হলেও এখনো উপজেলার জেলেদের মাঝে সেই চাল বিতরণ শুরু করতে পারেনি মৎস্য অধিদপ্তর।
জেলেদের চাল দেওয়ার ব্যাপারে উপজেলার মোকামিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গাজী জালাল আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জেলেদের জন্য বরাদ্দের চালের চিঠি আমাদের হাতে এসে পৌঁছেছে। তবে জেলা পরিষদ নির্বাচনের জন্য চাল বিতরণ শুরু করতে পারিনি। আমরা জেলেদের তালিকা প্রস্তুত করেছি। আশা করি আগামী সপ্তাহের মধ্যেই চাল বিতরণ শুরু করতে পারব।’
বেতাগী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আবদুল গফফার বলেন, ‘ইউপি চেয়ারম্যানদের নামে চালের ডিও দেওয়া হয়েছে। আমি তাঁদের চাল দেওয়ার জন্য বারবার বলেছি। তাঁরা চাল বিতরণ কবে শুরু করবেন আমাকে এখনো জানাননি।’
বেতাগী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সুহৃদ সালেহীন বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার এই সময়ে জেলেরা যেন পরিবার-পরিজন নিয়ে না খেয়ে না থাকে সে জন্য প্রতিটি জেলে পরিবারকে ২৫ কেজি করে চাল খাদ্য সহায়তা হিসেবে দেওয়া হবে। আজ শুক্রবার থেকে আমরা এই চাল বিতরণ শুরু করব।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে