কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে বাবার জন্য ছেলে ও স্বামীর জন্য স্ত্রী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন। তিনি জানান, আগামী ২৮ নভেম্বর তৃতীয় দফার ইউপি নির্বাচনে অংশ নিতে চেয়ারম্যান পদে ভিতরবন্দ ইউনিয়নে বাবা-ছেলে ও বামনডাঙ্গা ইউনিয়নে স্বামী-স্ত্রীসহ ১৪ ইউনিয়নে ৯৭ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। ৪ নভেম্বর মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ে ভিতরবন্দ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান উপজেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি শফিউল আলম শফি ও তাঁর ছেলে ফয়সাল শামীম, বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী আমজাদ হোসেন ব্যাপারী ও তাঁর স্ত্রী মরিয়ম বেগমসহ ৯৩ জনের মনোনয়ন বৈধতা পায়।

৭ নভেম্বর স্বামীর জন্য মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন মরিয়ম বেগম। এ বিষয়ে তাঁর স্বামী আমজাদ হোসেন বলেন, ‘আমার স্ত্রী বরাবরই গৃহিণী, কোনো দিন রাজনীতি করেনি। পাশে থেকে সমর্থন ও সাহস জুগিয়েছে। মূলত এক অজানা আশঙ্কায় পারিবারিকভাবে আলোচনা করে আমরা দুজনেই মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলাম। কোনো কারণে আমার মনোনয়নে সমস্যা হলে স্ত্রী যেন নির্বাচন করতে পারে। যাচাই বাছাইয়ে বৈধতা পাওয়ায় সে আশঙ্কা কেটে গেছে। তাই আমার স্ত্রী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছে।’

মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ১১ নভেম্বর বৃহস্পতিবার বাবার জন্য নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছে ছেলে ফয়সাল শামীম। প্রায় একই রকম কথা বলেন তাঁর বাবা ভিতরবন্দ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা শফিউল আলম শফি।