আব্দুর রহিম পায়েল, গঙ্গাচড়া
গঙ্গাচড়ায় তিস্তা নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার পানি ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। তবে পানি কমলেও গোখাদ্যের সংকট তীব্র হয়ে উঠেছে। সেই সঙ্গে দেখা দিয়েছে নানা রোগবালাই। এতে করে গরু-ছাগল নিয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন তিস্তাপাড়ের সাধারণ কৃষক ও খামারিরা।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলমান বন্যায় ছয় ইউনিয়নে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে ৫ হাজার ৩৪০টি গরু, ৫২টি মহিষ, ৫ হাজার ১৫০টি ছাগল, ৩৩৫টি ভেড়া এবং ১৮ হাজার ৫০টির মতো হাঁস ও মুরগি।
পানিবন্দী বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বসতবাড়ি পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় অনেকে বাঁধের ওপর আশ্রয় নিয়েছেন। সেখানে কেউ কেউ পলিথিন আবার কেউ টিনের অস্থায়ী চালা তৈরি করে গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া রেখেছেন।
ইচলি গ্রামের রত্না রানী জানান, ঘরের মধ্যে পানি চলে আসায় গরু-ছাগল নিয়ে গত ১০ দিন ধরে বিপাকে পড়েছেন। গরুর খাবার জন্য রাখা খড় পানিতে ডুবে থাকতে থাকতে নষ্ট হয়ে গেছে। বর্তমানে ঘরে কোনো টাকা-পয়সা নেই যে গরুকে খাবার কিনে খাওয়াবেন। নদীর চরগুলা যদি পানিতে ডুবে না যেত তাহলে আর গরুর খাবারের কষ্ট হতো না বলে উল্লেখ করেন তিনি।
শংকরদহ গ্রামের মোমেনা খাতুন চারটি গরু পালছেন। ধানগাছের খড় পচে যাওয়ার পর গরুগুলোকে কয়েক দিন বাদামগাছ কেটে কেটে খাইয়েছেন। এখন সেই বাদামের গাছও নেই। পানিতে তলিয়ে যাওয়া চরগুলো থেকে ঘাসও কেটে আনতে পারছেন না। সব মিলিয়ে গরুগুলো নিয়ে খুব বিপদে আছেন বলে জানান।
একই কথা বলেন পশ্চিম ইচলি গ্রামের উদয় রায়। তিনি সাতটি গরুর মালিক। খাবারের অভাবের পাশাপাশি তাঁর গরুগুলো নানা রোগেও আক্রান্ত হচ্ছে।
উদয় বলেন, ‘গরু সাতটাক খাওয়াইতে কী কম লাগে? বন্যা না থাকলে গরুগুলাক নিয়া কষ্টোত পরাও লাগিল না হয়। প্রতিদিন গরুগুলাকে খাওয়াইতে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা লাগে। প্রতিদিন এত টাকা কই পাই? নদীত পানি না থাকলে গরুগুলা ধরি এত কষ্টও হইলো না হয়। কয়েকটা গরু পানিতে ভিজার কারণে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত। এ সময় গরুর চিকিৎসা করাই কেমন করি? গরুগুলাক খাওয়াইয়ে বা কেমন করি। সরকার যদি এই সময় খাবারের ব্যবস্থা করি দিলে খুব ভালো হতো। মানুষ না খেয়া থাকা যায়, পশুপাখিকে কি না খেয়া রাখা যায়?’
ছাগলের জন্য কলাপাতা সংগ্রহ করা শামসুল হুদা বলেন, বাবা কী আর করমো দুঃখের কথা। দুটা ছাগল আছে, তারে খাবার জোগাড় করবার পাংচোল না। কলাগাছের ভুড়াত করি কলাপাতা কাটি আনি খাওয়াইচোল।’
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে লক্ষ্মীটারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল হাদী জানান, যাদের বাড়িতে ঘোড়া আছে তাঁদের জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এক বস্তা করে ফিড দেওয়া হয়েছে। আর বন্যাকবলিত এলাকার গরু-ছাগলের সংখ্যা হিসাব করে পাঠানো হয়েছে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের উপসহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা জাহিদুল করিম বলেন, ‘আমরা বন্যাকবলিত এলাকার গরু, ছাগল, মহিষ, ভেড়ার তালিকা করে জেলা অফিসে পাঠিয়েছি। বন্যাকবলিত এলাকাগুলোতে আমাদের অফিস থেকে ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। তাঁরা সার্বক্ষণিক ফ্রি চিকিৎসা দিচ্ছেন।’
গঙ্গাচড়ায় তিস্তা নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার পানি ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। তবে পানি কমলেও গোখাদ্যের সংকট তীব্র হয়ে উঠেছে। সেই সঙ্গে দেখা দিয়েছে নানা রোগবালাই। এতে করে গরু-ছাগল নিয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন তিস্তাপাড়ের সাধারণ কৃষক ও খামারিরা।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলমান বন্যায় ছয় ইউনিয়নে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে ৫ হাজার ৩৪০টি গরু, ৫২টি মহিষ, ৫ হাজার ১৫০টি ছাগল, ৩৩৫টি ভেড়া এবং ১৮ হাজার ৫০টির মতো হাঁস ও মুরগি।
পানিবন্দী বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বসতবাড়ি পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় অনেকে বাঁধের ওপর আশ্রয় নিয়েছেন। সেখানে কেউ কেউ পলিথিন আবার কেউ টিনের অস্থায়ী চালা তৈরি করে গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া রেখেছেন।
ইচলি গ্রামের রত্না রানী জানান, ঘরের মধ্যে পানি চলে আসায় গরু-ছাগল নিয়ে গত ১০ দিন ধরে বিপাকে পড়েছেন। গরুর খাবার জন্য রাখা খড় পানিতে ডুবে থাকতে থাকতে নষ্ট হয়ে গেছে। বর্তমানে ঘরে কোনো টাকা-পয়সা নেই যে গরুকে খাবার কিনে খাওয়াবেন। নদীর চরগুলা যদি পানিতে ডুবে না যেত তাহলে আর গরুর খাবারের কষ্ট হতো না বলে উল্লেখ করেন তিনি।
শংকরদহ গ্রামের মোমেনা খাতুন চারটি গরু পালছেন। ধানগাছের খড় পচে যাওয়ার পর গরুগুলোকে কয়েক দিন বাদামগাছ কেটে কেটে খাইয়েছেন। এখন সেই বাদামের গাছও নেই। পানিতে তলিয়ে যাওয়া চরগুলো থেকে ঘাসও কেটে আনতে পারছেন না। সব মিলিয়ে গরুগুলো নিয়ে খুব বিপদে আছেন বলে জানান।
একই কথা বলেন পশ্চিম ইচলি গ্রামের উদয় রায়। তিনি সাতটি গরুর মালিক। খাবারের অভাবের পাশাপাশি তাঁর গরুগুলো নানা রোগেও আক্রান্ত হচ্ছে।
উদয় বলেন, ‘গরু সাতটাক খাওয়াইতে কী কম লাগে? বন্যা না থাকলে গরুগুলাক নিয়া কষ্টোত পরাও লাগিল না হয়। প্রতিদিন গরুগুলাকে খাওয়াইতে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা লাগে। প্রতিদিন এত টাকা কই পাই? নদীত পানি না থাকলে গরুগুলা ধরি এত কষ্টও হইলো না হয়। কয়েকটা গরু পানিতে ভিজার কারণে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত। এ সময় গরুর চিকিৎসা করাই কেমন করি? গরুগুলাক খাওয়াইয়ে বা কেমন করি। সরকার যদি এই সময় খাবারের ব্যবস্থা করি দিলে খুব ভালো হতো। মানুষ না খেয়া থাকা যায়, পশুপাখিকে কি না খেয়া রাখা যায়?’
ছাগলের জন্য কলাপাতা সংগ্রহ করা শামসুল হুদা বলেন, বাবা কী আর করমো দুঃখের কথা। দুটা ছাগল আছে, তারে খাবার জোগাড় করবার পাংচোল না। কলাগাছের ভুড়াত করি কলাপাতা কাটি আনি খাওয়াইচোল।’
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে লক্ষ্মীটারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল হাদী জানান, যাদের বাড়িতে ঘোড়া আছে তাঁদের জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এক বস্তা করে ফিড দেওয়া হয়েছে। আর বন্যাকবলিত এলাকার গরু-ছাগলের সংখ্যা হিসাব করে পাঠানো হয়েছে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের উপসহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা জাহিদুল করিম বলেন, ‘আমরা বন্যাকবলিত এলাকার গরু, ছাগল, মহিষ, ভেড়ার তালিকা করে জেলা অফিসে পাঠিয়েছি। বন্যাকবলিত এলাকাগুলোতে আমাদের অফিস থেকে ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। তাঁরা সার্বক্ষণিক ফ্রি চিকিৎসা দিচ্ছেন।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে