আগৈলঝাড়া প্রতিনিধি
আজ মহান মে দিবসেও আগৈলঝাড়া উপজেলার নারী শ্রমিকেরা বঞ্চিত হচ্ছেন ন্যায্য মজুরি থেকে। উপজেলার নারী শ্রমিকেরা ঘরের কাজের গণ্ডি থেকে পেরিয়ে জমিতে ধান চাষ, হাতে হাতুড়ি, মাথায় ঝুড়ি, কাঁখে কলসি নিয়ে অভাব-অনটন, ক্ষুধা আর দারিদ্র্য থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য সকাল-সন্ধ্যা কাজ করে চলেছেন।
ইট-পাথর ভাঙা, মাটি কাটা, সিমেন্ট-বালু মিশ্রণ করা, রাস্তাঘাট নির্মাণ করার মতো কঠিন পরিশ্রম করেও ন্যায্য পারিশ্রমিক থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন এসব নারী শ্রমিক।
উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে পুরুষ শ্রমিকের পাশাপাশি নারী শ্রমিকেরা কাজ করছেন। বর্তমানে পুরুষ শ্রমিকদের চেয়ে নারী শ্রমিকের কদর অনেক বেশি হলেও বৈষম্য থেকে রেহাই পান না তাঁরা। নারী শ্রমিকেরা হাড়ভাঙা পরিশ্রমের পর ন্যায্য মজুরি থেকে বঞ্চিত হয়ে অতিকষ্টে জীবন যাপন করতে বাধ্য হচ্ছেন।
জানা গেছে, উপজেলায় কৃষিকাজের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন অনেক নারী শ্রমিক। নারী শ্রমিকেরা খেতে ধান রোপণ, নিড়ানি, এমনকি ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজেও পুরুষ শ্রমিকদের সমান অবদান রাখছেন। আর কাজে গাফিলতি না করায় নারী শ্রমিকদের কদর দিন দিন বাড়ছে।
এক যুগ আগে একজন পুরুষ শ্রমিকের মজুরি ছিল ১০০-১২০ টাকা। কিন্তু কয়েক বছরে পুরুষদের শ্রমের মজুরি বেড়েছে তিন গুণের বেশি। বর্তমানে একজন পুরুষ শ্রমিক মজুরি পাচ্ছেন ৩০০-৫০০ টাকা। আর একই কাজ করে একজন নারী শ্রমিক মজুরি পাচ্ছেন ২০০-৩০০ টাকা। কৃষিকাজে পুরুষ শ্রমিকের চেয়ে নারী শ্রমিকেরা এগিয়ে থাকলেও মজুরিবৈষম্যে তাঁরা আজও অবহেলিত।
উপজেলার নারী শ্রমিক জরিনা বেগম বলেন, ‘বাজারে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত দোকানে দোকানে পানি টানার কাজ করে ৪০-৪৫ টাকা পাই। প্রতি কলস পানিতে ২ টাকা মজুরি দেওয়া হয়। জীবন বাঁচানোর তাগিদে এবং বাচ্চাদের ক্ষুধা নিবারণের জন্য পানি টানার কাজ করছি।’
ইট-পাথর ভাঙার কাজ করেন কাকলী ঘরামী। তিনি বলেন, ‘ঠিকাদারেরা ইট-পাথর ভাঙার জন্য প্রতি ফুট হিসেবে টাকা দেন। এতে প্রতিদিন গড়ে ৯০-১০০ টাকার কাজ করা যায়। এ আয়ে কিছুই কেনা যায় না।’
স্থানীয় একাধিক এনজিওতে কর্মরত মহিলা শ্রমিকেরা জানান, তাঁরা সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত হাড়ভাঙা খাটুনি খেটে ২০০-২৫০ টাকার বেশি রোজগার করতে পারেন না। দ্রব্যমূল্য বেড়ে যাওয়ায় পারিশ্রমিকও বাড়ানো দরকার বলে মনে করেন তাঁরা।
নারীনেত্রী সুমা কর বলেন, ‘সব কাজে নারীরা এক ধাপ এগিয়ে থাকলেও পুরুষশাসিত সমাজে আজও নারীরা মজুরিবৈষম্যসহ অবহেলার শিকার। অথচ প্রতিবছর শ্রমিক দিবস, নারী দিবস পালিত হয়। সব কাজে নারী-পুরুষ সমান অধিকারের কথা বলা হয়। কিন্তু ন্যায্য মজুরি পাওয়ার বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয় না।’
আজ মহান মে দিবসেও আগৈলঝাড়া উপজেলার নারী শ্রমিকেরা বঞ্চিত হচ্ছেন ন্যায্য মজুরি থেকে। উপজেলার নারী শ্রমিকেরা ঘরের কাজের গণ্ডি থেকে পেরিয়ে জমিতে ধান চাষ, হাতে হাতুড়ি, মাথায় ঝুড়ি, কাঁখে কলসি নিয়ে অভাব-অনটন, ক্ষুধা আর দারিদ্র্য থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য সকাল-সন্ধ্যা কাজ করে চলেছেন।
ইট-পাথর ভাঙা, মাটি কাটা, সিমেন্ট-বালু মিশ্রণ করা, রাস্তাঘাট নির্মাণ করার মতো কঠিন পরিশ্রম করেও ন্যায্য পারিশ্রমিক থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন এসব নারী শ্রমিক।
উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে পুরুষ শ্রমিকের পাশাপাশি নারী শ্রমিকেরা কাজ করছেন। বর্তমানে পুরুষ শ্রমিকদের চেয়ে নারী শ্রমিকের কদর অনেক বেশি হলেও বৈষম্য থেকে রেহাই পান না তাঁরা। নারী শ্রমিকেরা হাড়ভাঙা পরিশ্রমের পর ন্যায্য মজুরি থেকে বঞ্চিত হয়ে অতিকষ্টে জীবন যাপন করতে বাধ্য হচ্ছেন।
জানা গেছে, উপজেলায় কৃষিকাজের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন অনেক নারী শ্রমিক। নারী শ্রমিকেরা খেতে ধান রোপণ, নিড়ানি, এমনকি ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজেও পুরুষ শ্রমিকদের সমান অবদান রাখছেন। আর কাজে গাফিলতি না করায় নারী শ্রমিকদের কদর দিন দিন বাড়ছে।
এক যুগ আগে একজন পুরুষ শ্রমিকের মজুরি ছিল ১০০-১২০ টাকা। কিন্তু কয়েক বছরে পুরুষদের শ্রমের মজুরি বেড়েছে তিন গুণের বেশি। বর্তমানে একজন পুরুষ শ্রমিক মজুরি পাচ্ছেন ৩০০-৫০০ টাকা। আর একই কাজ করে একজন নারী শ্রমিক মজুরি পাচ্ছেন ২০০-৩০০ টাকা। কৃষিকাজে পুরুষ শ্রমিকের চেয়ে নারী শ্রমিকেরা এগিয়ে থাকলেও মজুরিবৈষম্যে তাঁরা আজও অবহেলিত।
উপজেলার নারী শ্রমিক জরিনা বেগম বলেন, ‘বাজারে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত দোকানে দোকানে পানি টানার কাজ করে ৪০-৪৫ টাকা পাই। প্রতি কলস পানিতে ২ টাকা মজুরি দেওয়া হয়। জীবন বাঁচানোর তাগিদে এবং বাচ্চাদের ক্ষুধা নিবারণের জন্য পানি টানার কাজ করছি।’
ইট-পাথর ভাঙার কাজ করেন কাকলী ঘরামী। তিনি বলেন, ‘ঠিকাদারেরা ইট-পাথর ভাঙার জন্য প্রতি ফুট হিসেবে টাকা দেন। এতে প্রতিদিন গড়ে ৯০-১০০ টাকার কাজ করা যায়। এ আয়ে কিছুই কেনা যায় না।’
স্থানীয় একাধিক এনজিওতে কর্মরত মহিলা শ্রমিকেরা জানান, তাঁরা সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত হাড়ভাঙা খাটুনি খেটে ২০০-২৫০ টাকার বেশি রোজগার করতে পারেন না। দ্রব্যমূল্য বেড়ে যাওয়ায় পারিশ্রমিকও বাড়ানো দরকার বলে মনে করেন তাঁরা।
নারীনেত্রী সুমা কর বলেন, ‘সব কাজে নারীরা এক ধাপ এগিয়ে থাকলেও পুরুষশাসিত সমাজে আজও নারীরা মজুরিবৈষম্যসহ অবহেলার শিকার। অথচ প্রতিবছর শ্রমিক দিবস, নারী দিবস পালিত হয়। সব কাজে নারী-পুরুষ সমান অধিকারের কথা বলা হয়। কিন্তু ন্যায্য মজুরি পাওয়ার বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয় না।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে