সম্পাদকীয়
প্রবল গণ-আন্দোলনের পর আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা থেকে বিনা শর্তে মুক্তি পেয়েছেন বঙ্গবন্ধু। আইয়ুব খান গোলটেবিল বৈঠক ডেকেছেন ১৯৬৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি। গোলটেবিল হবে পিন্ডিতে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান লাহোরে পৌঁছালেন ২৭ ফেব্রুয়ারি। তাঁকে অভ্যর্থনা করতে গেলেন কে আব্দুল মোমেন। লাহোরে এয়ার মার্শাল আসগর খান বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে জিজ্ঞেস করলেন, ‘ছয় দফা অনুযায়ী রাজস্ব আদায় যদি প্রদেশগুলো করে তাহলে কেন্দ্রীয় সরকারের কার্যক্রমের কীভাবে অর্থায়ন হবে?’
বঙ্গবন্ধু তখনই তাঁকে বললেন, তাঁর সহকর্মী বিশেষজ্ঞরা এই বিষয়ে তাঁকে বিস্তারিত বলতে পারবেন। এ কথা বলে তিনি আনিসুর রহমান আর ওয়াহিদুল হককে বললেন যে তাঁরা যেন আসগর খানকে বিষয়টি বুঝিয়ে দেন। সম্ভবত সেদিনই প্রথম বঙ্গবন্ধু এই অর্থনীতিবিদ দুজনকে দেখেছিলেন। যেহেতু বঙ্গবন্ধুকে অভ্যর্থনা জানাতে এই দুই অর্থনীতিবিদ ইসলামাবাদ থেকে লাহোরে গেছেন, তার অর্থ হচ্ছে তাঁরা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বিশ্বাস করেন এবং ছয় দফা সম্পর্কে তাঁরা জানেন।
সেদিন সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু পিন্ডি পৌঁছান। চাকলালা বিমানপোত থেকে বঙ্গবন্ধুকে বিশেষ গাড়িতে করে সরাসরি পূর্ব পাকিস্তান হাউসে নিয়ে যাওয়া হয়। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে ছিলেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, ড. কামাল হোসেন, খন্দকার মোশতাক আহমদ, সৈয়দ আমীর উল ইসলাম, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ প্রমুখ। ক্যাবিনেট বিভাগের মন্ত্রিসভাবিষয়ক উপসচিব আবুল মাল আবদুল মুহিত গেলেন বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে। স্বভাবসুলভ আন্তরিকতার সঙ্গে তাঁকে বুকে জড়িয়ে ধরলেন বঙ্গবন্ধু। মুহিত বললেন, ‘আমাদের মনে হয়, পশ্চিম পাকিস্তান ঐক্যবদ্ধভাবে ছয় দফার বিরোধিতা করবে। যারা সমর্থন করে, তারাও প্রকাশ্যে বিরোধিতা করবে। তাই খুব স্পষ্ট ও কঠোরভাবে নিজের অবস্থান সাবধানে জানাতে হবে আপনাকে।’
বঙ্গবন্ধু বললেন, ‘বন্দুকটা তো তাদের হাতে। গুলি তো তারাই করতে পারবে। সেই বিবেচনায় আমাকে হয়তো বিকল্প খুঁজতে হবে।’
সূত্র: আবুল মাল আবদুল মুহিত, স্মৃতিময় কর্মজীবন, পৃষ্ঠা ১২৭-১২৮
প্রবল গণ-আন্দোলনের পর আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা থেকে বিনা শর্তে মুক্তি পেয়েছেন বঙ্গবন্ধু। আইয়ুব খান গোলটেবিল বৈঠক ডেকেছেন ১৯৬৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি। গোলটেবিল হবে পিন্ডিতে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান লাহোরে পৌঁছালেন ২৭ ফেব্রুয়ারি। তাঁকে অভ্যর্থনা করতে গেলেন কে আব্দুল মোমেন। লাহোরে এয়ার মার্শাল আসগর খান বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে জিজ্ঞেস করলেন, ‘ছয় দফা অনুযায়ী রাজস্ব আদায় যদি প্রদেশগুলো করে তাহলে কেন্দ্রীয় সরকারের কার্যক্রমের কীভাবে অর্থায়ন হবে?’
বঙ্গবন্ধু তখনই তাঁকে বললেন, তাঁর সহকর্মী বিশেষজ্ঞরা এই বিষয়ে তাঁকে বিস্তারিত বলতে পারবেন। এ কথা বলে তিনি আনিসুর রহমান আর ওয়াহিদুল হককে বললেন যে তাঁরা যেন আসগর খানকে বিষয়টি বুঝিয়ে দেন। সম্ভবত সেদিনই প্রথম বঙ্গবন্ধু এই অর্থনীতিবিদ দুজনকে দেখেছিলেন। যেহেতু বঙ্গবন্ধুকে অভ্যর্থনা জানাতে এই দুই অর্থনীতিবিদ ইসলামাবাদ থেকে লাহোরে গেছেন, তার অর্থ হচ্ছে তাঁরা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বিশ্বাস করেন এবং ছয় দফা সম্পর্কে তাঁরা জানেন।
সেদিন সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু পিন্ডি পৌঁছান। চাকলালা বিমানপোত থেকে বঙ্গবন্ধুকে বিশেষ গাড়িতে করে সরাসরি পূর্ব পাকিস্তান হাউসে নিয়ে যাওয়া হয়। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে ছিলেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, ড. কামাল হোসেন, খন্দকার মোশতাক আহমদ, সৈয়দ আমীর উল ইসলাম, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ প্রমুখ। ক্যাবিনেট বিভাগের মন্ত্রিসভাবিষয়ক উপসচিব আবুল মাল আবদুল মুহিত গেলেন বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে। স্বভাবসুলভ আন্তরিকতার সঙ্গে তাঁকে বুকে জড়িয়ে ধরলেন বঙ্গবন্ধু। মুহিত বললেন, ‘আমাদের মনে হয়, পশ্চিম পাকিস্তান ঐক্যবদ্ধভাবে ছয় দফার বিরোধিতা করবে। যারা সমর্থন করে, তারাও প্রকাশ্যে বিরোধিতা করবে। তাই খুব স্পষ্ট ও কঠোরভাবে নিজের অবস্থান সাবধানে জানাতে হবে আপনাকে।’
বঙ্গবন্ধু বললেন, ‘বন্দুকটা তো তাদের হাতে। গুলি তো তারাই করতে পারবে। সেই বিবেচনায় আমাকে হয়তো বিকল্প খুঁজতে হবে।’
সূত্র: আবুল মাল আবদুল মুহিত, স্মৃতিময় কর্মজীবন, পৃষ্ঠা ১২৭-১২৮
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ ঘণ্টা আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ ঘণ্টা আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২ ঘণ্টা আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ ঘণ্টা আগে