অর্চি হক, ঢাকা
ইডেন মহিলা কলেজের স্নাতকোত্তর (মাস্টার্স) শেষ পর্বের শিক্ষার্থী নাদিয়া আখতার থাকেন জেবুন্নেছা ছাত্রীনিবাসে। গত নভেম্বরে চূড়ান্ত পরীক্ষা (লিখিত) শেষ হয়েছে তাঁর। মৌখিক পরীক্ষা বাকি। নিয়মানুযায়ী এ বছরই ছাত্রীনিবাস ছাড়তে হবে তাঁকে। নিরাপত্তা ব্যবস্থাসহ নানা সুবিধার কারণে নাদিয়ার ইচ্ছা ছিল শিক্ষাজীবন শেষ হওয়ার পরও কোনো নেত্রীর রুমে মাসিক দুই-আড়াই হাজার টাকার বিনিময়ে সিট নেবেন। দু-তিনজন নেত্রীর সঙ্গে কথাও বলে রেখেছিলেন। কিন্তু কর্তৃপক্ষের কড়াকড়ির কারণে সেই পরিকল্পনা বদলাতে হয়েছে তাঁকে।
নাদিয়া বলেন, ‘হলে প্রবেশের ক্ষেত্রে এখন অনেক কড়াকড়ি। যাঁদের ছাত্রত্ব শেষ, তাঁদের হল ছাড়ার ব্যাপারে কয়েক দফায় নোটিশ দেওয়া হয়েছে। মাসিক ভাড়ায় কোনো নেত্রীর রুমে যদি উঠেও যাই, দেখা যাবে কয়েক দিন পরেই সেখান থেকে নেমে যেতে হবে। তাই সবদিক চিন্তা করে বাইরে কয়েক বান্ধবী মিলে মেস ঠিক করেছি।’
নাদিয়ার মতোই ইডেন মহিলা কলেজের যেসব ছাত্রীর শিক্ষাজীবন শেষ হচ্ছে, তাঁরা ছাত্রীনিবাস ছেড়ে যাচ্ছেন। বেশ কয়েকজন ছাত্রী জানান, প্রতিবছরই মাস্টার্স চূড়ান্ত পরীক্ষা শেষে নেত্রীদের রমরমা সিট-বাণিজ্য শুরু হয়। এ সময় শিক্ষাজীবন শেষ হওয়া ছাত্রীরা মাসিক দুই-আড়াই হাজার টাকার বিনিময়ে নেত্রীদের রুমে সিট নেন। কিন্তু এ বছর ভাড়ায় সিট নেওয়ার আগ্রহে ভাটা পড়েছে। নবীন ছাত্রীরাও নেত্রীদের রুমে থাকতে আগ্রহী নন। ফলে সিট-বাণিজ্য থেকে নেত্রীদের আয় এবং দাপট দুটোই কমেছে।
একাধিক ছাত্রী জানান, সিট-বাণিজ্যের রমরমা অবস্থা না থাকায় নেত্রীদের প্রভাব এমনিতেই কমে গেছে। তার ওপর কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নেতৃত্বে পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে।
তাই ইডেন নেত্রীরা এখন নিজেদের পদ ধরে রাখতেই বেশি ব্যস্ত।
রাজিয়া বেগম ছাত্রীনিবাসে থাকা ছাত্রলীগের এক কর্মী বলেন, গত দুই-তিন মাসে নেত্রীদের বিরুদ্ধে এত অভিযোগ উঠেছে যে, তাঁরা এখন নিজেদের পদ ধরে রাখা নিয়েই ব্যস্ত। দাপট দেখাতে গিয়ে নতুন কোনো বিতর্কে জড়াতে চান না তাঁরা।
ছাত্রত্ব না থাকলে হোস্টেল নয়
এ বিষয়ে জেবুন্নেছা ছাত্রীনিবাসের সহকারী হোস্টেল সুপার আকলিমা বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ছাত্রত্ব শেষ—এমন কাউকেই আমাদের হোস্টেলে থাকতে দিচ্ছি না। কেউ যেন নেত্রীদের রুমে ভাড়ার বিনিময়ে না থাকেন, সে বিষয়ে ছাত্রীদের নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। নেত্রীরাও আমাদের কাছে কমিটমেন্ট (ওয়াদা) করেছেন যে তাঁরা টাকার বিনিময়ে কাউকে রুমে থাকতে দেবেন না। হোস্টেলের গার্ডদেরও সেভাবেই বলা হয়েছে যেন বৈধ বাসিন্দা ছাড়া কাউকে হোস্টেলে ঢুকতে না দেয়।’
পরিবার থেকেও নিরুৎসাহ
কয়েকজন ছাত্রী জানান, গত সেপ্টেম্বরে ইডেন মহিলা কলেজে হল বা ছাত্রীনিবাস নিয়ে নানা ধরনের অভিযোগ ওঠার পর কলেজ প্রশাসন হোস্টেলে প্রবেশে কড়াকড়ি আরোপ করে। তা ছাড়া, ছাত্রীদের পরিবার থেকেও হোস্টেলে থাকার ব্যাপারে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। ফলে সাধারণ ছাত্রীদের মধ্যে টাকার বিনিময়ে নেত্রীদের রুমে থাকার প্রবণতা কমেছে।
ইডেন কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি তামান্না জেসমিন রিভা থাকেন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব ছাত্রীনিবাসে। তাঁর রুমে থাকা এক ছাত্রী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘গত জুন-জুলাইয়েও আমরা এক রুমে ১২-১৪ জন করে থাকতাম। হোস্টেলে থাকতে অনেক ছাত্রীর পরিবার থেকেও নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। ফলে এখন এক রুমে ৮ জনও থাকছেন না।’
তামান্না জেসমিন রিভা অবশ্য বলেন, যাঁরাই হলে আছেন, প্রত্যেকে কলেজের অনুকূলে টাকা জমা দিয়ে সিট নিয়ে লিগ্যালভাবে থাকছেন। এর বাইরে কেউ নেই।’
৯০ কক্ষ নিয়ে দ্বন্দ্বের অবসান
গত সেপ্টেম্বরে পাল্টাপাল্টি হামলা-মামলা এবং অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ তুলতে শুরু করেন ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের দুই পক্ষের নেত্রীরা। সে সময় জানা যায়, ছাত্রীনিবাসে নেত্রীদের নিয়ন্ত্রণে থাকা ৯০টি কক্ষের ভাগাভাগি নিয়েই দুই পক্ষে দ্বন্দ্বের শুরু।
গত মঙ্গলবার ইডেন কলেজের কয়েকটি ছাত্রীনিবাস ঘুরে এবং বেশ কয়েকজন সাধারণ ছাত্রী ও ছাত্রলীগ নেত্রীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ৯০টি কক্ষ এখনো নেত্রীদের নিয়ন্ত্রণেই। তবে কক্ষগুলোর ভাগাভাগি নিয়ে দ্বন্দ্বের অবসান ঘটেছে। আগের নিয়মেই সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নিয়ন্ত্রণে আছে ১৫-২০টি করে কক্ষ। কলেজের যাঁরা কেন্দ্রীয় সদস্য এবং কলেজ কমিটির বাকি সদস্যদের নিয়ন্ত্রণে দু-একটি করে কক্ষ।
এ বিষয়ে ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের সহসভাপতি ফেরদৌসী আশরাফ লুবনা বলেন, ‘নেত্রীদের মধ্যে এখন রুম নিয়ে কোনো ঝামেলা নেই। আগে যার যে রুম ছিল এখনো সেভাবেই আছে। নেত্রীরা রুমের নিয়ন্ত্রণে আছেন, এটা বলাটাও ভুল। ম্যাডামরাই সিট বরাদ্দ দিচ্ছেন। আমরা বড়জোর ম্যাডামদের রিকোয়েস্ট করতে পারি যে, এই মেয়েটার সিট দরকার, তাঁকে একটা সিট করে দিন।’
দ্বন্দ্ব মিটলেও মামলা ওঠেনি
গত সেপ্টেম্বরে দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি হামলা এবং ছাত্রীদের অনৈতিক কাজে বাধ্য করার অভিযোগ ওঠার পর ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের কমিটির কার্যক্রম স্থগিত করা হয়।
গত ৯ নভেম্বর সেই স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। নেত্রীরা জানান, ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের মধ্যে এখন আর কোনো দ্বন্দ্ব নেই। তবে পাল্টাপাল্টি করা মামলা এখনো প্রত্যাহার করা হয়নি। এ বিষয়ে তামান্না জেসমিন রিভা বলেন, সিনিয়র নেতাদের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করছি। আমাদের মধ্যে কোনো বিভেদ নেই। সিনিয়র নেতারা বললে মামলাগুলোও তুলে নেওয়া হবে।’
বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে ব্যবস্থা
গত সেপ্টেম্বরে তামান্না জেসমিন রিভার বিরুদ্ধে ছাত্রীদের অনৈতিক কাজে বাধ্য করার অভিযোগ তোলেন তখনকার সাংগঠনিক সম্পাদক সামিয়া আক্তার বৈশাখী। কলেজ প্রশাসনের দাবি, তদন্তে অনৈতিক কাজে বাধ্য করার অভিযোগের সত্যতা মেলেনি। আর বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপরাধে ছাত্রীনিবাসে সামিয়া আক্তার বৈশাখীর সিট বাতিল করা হয়েছে। এ বিষয়ে কলেজ অধ্যক্ষ সুপ্রিয়া ভট্টাচার্য বলেন, ‘আমরা তদন্ত করেছি। তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আমরা দোষীদের ব্যাপারে ব্যবস্থা নিয়েছি।’
ইডেন মহিলা কলেজের স্নাতকোত্তর (মাস্টার্স) শেষ পর্বের শিক্ষার্থী নাদিয়া আখতার থাকেন জেবুন্নেছা ছাত্রীনিবাসে। গত নভেম্বরে চূড়ান্ত পরীক্ষা (লিখিত) শেষ হয়েছে তাঁর। মৌখিক পরীক্ষা বাকি। নিয়মানুযায়ী এ বছরই ছাত্রীনিবাস ছাড়তে হবে তাঁকে। নিরাপত্তা ব্যবস্থাসহ নানা সুবিধার কারণে নাদিয়ার ইচ্ছা ছিল শিক্ষাজীবন শেষ হওয়ার পরও কোনো নেত্রীর রুমে মাসিক দুই-আড়াই হাজার টাকার বিনিময়ে সিট নেবেন। দু-তিনজন নেত্রীর সঙ্গে কথাও বলে রেখেছিলেন। কিন্তু কর্তৃপক্ষের কড়াকড়ির কারণে সেই পরিকল্পনা বদলাতে হয়েছে তাঁকে।
নাদিয়া বলেন, ‘হলে প্রবেশের ক্ষেত্রে এখন অনেক কড়াকড়ি। যাঁদের ছাত্রত্ব শেষ, তাঁদের হল ছাড়ার ব্যাপারে কয়েক দফায় নোটিশ দেওয়া হয়েছে। মাসিক ভাড়ায় কোনো নেত্রীর রুমে যদি উঠেও যাই, দেখা যাবে কয়েক দিন পরেই সেখান থেকে নেমে যেতে হবে। তাই সবদিক চিন্তা করে বাইরে কয়েক বান্ধবী মিলে মেস ঠিক করেছি।’
নাদিয়ার মতোই ইডেন মহিলা কলেজের যেসব ছাত্রীর শিক্ষাজীবন শেষ হচ্ছে, তাঁরা ছাত্রীনিবাস ছেড়ে যাচ্ছেন। বেশ কয়েকজন ছাত্রী জানান, প্রতিবছরই মাস্টার্স চূড়ান্ত পরীক্ষা শেষে নেত্রীদের রমরমা সিট-বাণিজ্য শুরু হয়। এ সময় শিক্ষাজীবন শেষ হওয়া ছাত্রীরা মাসিক দুই-আড়াই হাজার টাকার বিনিময়ে নেত্রীদের রুমে সিট নেন। কিন্তু এ বছর ভাড়ায় সিট নেওয়ার আগ্রহে ভাটা পড়েছে। নবীন ছাত্রীরাও নেত্রীদের রুমে থাকতে আগ্রহী নন। ফলে সিট-বাণিজ্য থেকে নেত্রীদের আয় এবং দাপট দুটোই কমেছে।
একাধিক ছাত্রী জানান, সিট-বাণিজ্যের রমরমা অবস্থা না থাকায় নেত্রীদের প্রভাব এমনিতেই কমে গেছে। তার ওপর কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নেতৃত্বে পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে।
তাই ইডেন নেত্রীরা এখন নিজেদের পদ ধরে রাখতেই বেশি ব্যস্ত।
রাজিয়া বেগম ছাত্রীনিবাসে থাকা ছাত্রলীগের এক কর্মী বলেন, গত দুই-তিন মাসে নেত্রীদের বিরুদ্ধে এত অভিযোগ উঠেছে যে, তাঁরা এখন নিজেদের পদ ধরে রাখা নিয়েই ব্যস্ত। দাপট দেখাতে গিয়ে নতুন কোনো বিতর্কে জড়াতে চান না তাঁরা।
ছাত্রত্ব না থাকলে হোস্টেল নয়
এ বিষয়ে জেবুন্নেছা ছাত্রীনিবাসের সহকারী হোস্টেল সুপার আকলিমা বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ছাত্রত্ব শেষ—এমন কাউকেই আমাদের হোস্টেলে থাকতে দিচ্ছি না। কেউ যেন নেত্রীদের রুমে ভাড়ার বিনিময়ে না থাকেন, সে বিষয়ে ছাত্রীদের নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। নেত্রীরাও আমাদের কাছে কমিটমেন্ট (ওয়াদা) করেছেন যে তাঁরা টাকার বিনিময়ে কাউকে রুমে থাকতে দেবেন না। হোস্টেলের গার্ডদেরও সেভাবেই বলা হয়েছে যেন বৈধ বাসিন্দা ছাড়া কাউকে হোস্টেলে ঢুকতে না দেয়।’
পরিবার থেকেও নিরুৎসাহ
কয়েকজন ছাত্রী জানান, গত সেপ্টেম্বরে ইডেন মহিলা কলেজে হল বা ছাত্রীনিবাস নিয়ে নানা ধরনের অভিযোগ ওঠার পর কলেজ প্রশাসন হোস্টেলে প্রবেশে কড়াকড়ি আরোপ করে। তা ছাড়া, ছাত্রীদের পরিবার থেকেও হোস্টেলে থাকার ব্যাপারে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। ফলে সাধারণ ছাত্রীদের মধ্যে টাকার বিনিময়ে নেত্রীদের রুমে থাকার প্রবণতা কমেছে।
ইডেন কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি তামান্না জেসমিন রিভা থাকেন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব ছাত্রীনিবাসে। তাঁর রুমে থাকা এক ছাত্রী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘গত জুন-জুলাইয়েও আমরা এক রুমে ১২-১৪ জন করে থাকতাম। হোস্টেলে থাকতে অনেক ছাত্রীর পরিবার থেকেও নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। ফলে এখন এক রুমে ৮ জনও থাকছেন না।’
তামান্না জেসমিন রিভা অবশ্য বলেন, যাঁরাই হলে আছেন, প্রত্যেকে কলেজের অনুকূলে টাকা জমা দিয়ে সিট নিয়ে লিগ্যালভাবে থাকছেন। এর বাইরে কেউ নেই।’
৯০ কক্ষ নিয়ে দ্বন্দ্বের অবসান
গত সেপ্টেম্বরে পাল্টাপাল্টি হামলা-মামলা এবং অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ তুলতে শুরু করেন ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের দুই পক্ষের নেত্রীরা। সে সময় জানা যায়, ছাত্রীনিবাসে নেত্রীদের নিয়ন্ত্রণে থাকা ৯০টি কক্ষের ভাগাভাগি নিয়েই দুই পক্ষে দ্বন্দ্বের শুরু।
গত মঙ্গলবার ইডেন কলেজের কয়েকটি ছাত্রীনিবাস ঘুরে এবং বেশ কয়েকজন সাধারণ ছাত্রী ও ছাত্রলীগ নেত্রীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ৯০টি কক্ষ এখনো নেত্রীদের নিয়ন্ত্রণেই। তবে কক্ষগুলোর ভাগাভাগি নিয়ে দ্বন্দ্বের অবসান ঘটেছে। আগের নিয়মেই সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নিয়ন্ত্রণে আছে ১৫-২০টি করে কক্ষ। কলেজের যাঁরা কেন্দ্রীয় সদস্য এবং কলেজ কমিটির বাকি সদস্যদের নিয়ন্ত্রণে দু-একটি করে কক্ষ।
এ বিষয়ে ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের সহসভাপতি ফেরদৌসী আশরাফ লুবনা বলেন, ‘নেত্রীদের মধ্যে এখন রুম নিয়ে কোনো ঝামেলা নেই। আগে যার যে রুম ছিল এখনো সেভাবেই আছে। নেত্রীরা রুমের নিয়ন্ত্রণে আছেন, এটা বলাটাও ভুল। ম্যাডামরাই সিট বরাদ্দ দিচ্ছেন। আমরা বড়জোর ম্যাডামদের রিকোয়েস্ট করতে পারি যে, এই মেয়েটার সিট দরকার, তাঁকে একটা সিট করে দিন।’
দ্বন্দ্ব মিটলেও মামলা ওঠেনি
গত সেপ্টেম্বরে দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি হামলা এবং ছাত্রীদের অনৈতিক কাজে বাধ্য করার অভিযোগ ওঠার পর ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের কমিটির কার্যক্রম স্থগিত করা হয়।
গত ৯ নভেম্বর সেই স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। নেত্রীরা জানান, ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের মধ্যে এখন আর কোনো দ্বন্দ্ব নেই। তবে পাল্টাপাল্টি করা মামলা এখনো প্রত্যাহার করা হয়নি। এ বিষয়ে তামান্না জেসমিন রিভা বলেন, সিনিয়র নেতাদের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করছি। আমাদের মধ্যে কোনো বিভেদ নেই। সিনিয়র নেতারা বললে মামলাগুলোও তুলে নেওয়া হবে।’
বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে ব্যবস্থা
গত সেপ্টেম্বরে তামান্না জেসমিন রিভার বিরুদ্ধে ছাত্রীদের অনৈতিক কাজে বাধ্য করার অভিযোগ তোলেন তখনকার সাংগঠনিক সম্পাদক সামিয়া আক্তার বৈশাখী। কলেজ প্রশাসনের দাবি, তদন্তে অনৈতিক কাজে বাধ্য করার অভিযোগের সত্যতা মেলেনি। আর বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপরাধে ছাত্রীনিবাসে সামিয়া আক্তার বৈশাখীর সিট বাতিল করা হয়েছে। এ বিষয়ে কলেজ অধ্যক্ষ সুপ্রিয়া ভট্টাচার্য বলেন, ‘আমরা তদন্ত করেছি। তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আমরা দোষীদের ব্যাপারে ব্যবস্থা নিয়েছি।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে