রাশেদ নিজাম ও খান রফিক
বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বসিক) ২০০৩ এবং ২০০৮ সালের নির্বাচন মিলে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মোট ভোট ছিল ৭৯ হাজার ৬১। এবার মেয়র পদে দলটির প্রার্থী আবুল খায়ের আবদুল্লাহ (খোকন সেরনিয়াবাত) ৮৭ হাজার ৮০৮ ভোট পেয়ে জিতেছেন। ২০১৮ সালের বিতর্কিত নির্বাচনে সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর পাওয়া ভোটের কথা বাদ দিলে নগরে এবারই সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী।
গতকাল মঙ্গলবার বিভিন্ন স্তরের মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ২০১৩ সালের নির্বাচনের পর বিএনপির আহসান হাবিব কামালের সময়ে বরিশালে কিছু কাজ হলেও সাদিক আবদুল্লার মেয়াদে কোনো উন্নয়ন হয়নি। সাদিক-বিরোধী হিসেবে পরিচিত খোকন বিজয়ী হলে উন্নয়ন করার প্রতিশ্রুতিও ছিল ক্ষমতাসীনদের। নগরবাসী এবার আর বঞ্চিত থাকতে চাননি। তবে বেশি আলোচনা এবার হাতপাখায় ৩৩ হাজার ৮২৮ ভোট যাওয়া নিয়ে।
সবুজ আন্দোলন বরিশালের সংগঠক মিজানুর রহমান ফিরোজ বলেন, ফল অপ্রত্যাশিত নয়। বিএনপি সরাসরি ভোটে ছিল না, নগরে উন্নয়ন হয়নি—এসব কারণে নৌকা এত ভোট পেয়েছে। বরিশাল নগরটা আওয়ামী লীগের নয়। তাই তাঁরা খুব গুরুত্ব দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, হাতপাখা প্রতীকে এত ভোট অপ্রত্যাশিত। সবশেষ জাতীয় নির্বাচনে সদর আসনে প্রায় সাড়ে ৩ লাখের মধ্যে ২৭ হাজার ভোট পেয়েছিল তারা।
বরিশাল মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মীর জাহিদুল কবির অবশ্য বলেন, ‘এটা ইভিএমের (ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন) চোরা ভোট। আমাদের কাছে তথ্য আছে, কেন্দ্রে লোক যায়নি। বরিশাল বিএনপির ঘাঁটি, তারা ভোটে না গেলে ভোটার কেন্দ্রে যাবে কেন?’ তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের এত ভোট কীভাবে এল, তা যাচাই করা দরকার।
বিপুল ভোট পাওয়াকে আওয়ামী লীগ বিপ্লব হিসেবে উল্লেখ করলেও বিশ্লেষকেরা দেখছেন সন্দেহজনক হিসেবে। কারও কারও মতে, বিএনপির অনুপস্থিতিতে অনেকটা ফাঁকা মাঠে নৌকার কর্মী-সমর্থকেরা কেন্দ্রে কেন্দ্রে প্রভাব খাটিয়েছেন।
নৌকার প্রার্থীর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য মীর আমিন উদ্দিন মোহন বলেন, ‘এই ভোট-বিপ্লব মেয়র সাদিকের অনিয়মের বিরুদ্ধে। তবে দলের যাঁরা বিরোধিতা করেছেন, তাঁদের ভোট আমরা পাইনি। এর প্রমাণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তালুকদার মো. ইউনুস এবং মহানগর সভাপতি এ কে এম জাহাঙ্গীর পুরো ভোটে নির্বাক ছিলেন। আর মেয়র সাদিক তো ভোট দিতেই আসেননি।’
মহানগর বিএনপির সাবেক সহসাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক তারিন বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ৮৭ হাজার কেন, ৪৭ হাজার ভোটও পায় না। কিন্তু এবার খোকনেরই ভাতিজা মেয়র সাদিকের ওপর ক্ষিপ্ত ছিল নগরবাসী। অত্যাচার যখন সীমাহীন হয়ে যায়, তখন মানুষ সুযোগ খোঁজে। তা ছাড়া বিএনপির একাংশ নৌকাকে যে ভোট দিয়েছে, তা অস্বীকার করার সুযোগ নেই।’ হাতপাখা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘মার খেয়ে এখন চরমোনাই বুঝছে যে আওয়ামী লীগ কী জিনিস!’
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় মিডিয়া উপকমিটির সহকারী সমন্বয়ক শহিদুল ইসলাম কবির বলেন, ‘ভোট তো বাড়বেই। আমরা তো আরও ভোট পেতাম। দেশের দুঃশাসনের জন্য মানুষ হতাশ। এ কারণে মানুষ হাতপাখার দিকে ঝুঁকেছে। ভোট অবাধ হলে আমাদের প্রার্থীর বিজয় হতো।’
গতকাল দুপুর ১২টার দিকে সার্কিট হাউস রোডে নিজের নির্বাচনী কার্যালয়ে যান নবনির্বাচিত মেয়র খোকন সেরনিয়াবাত। সেখানে নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের শুভেচ্ছায় সিক্ত হন তিনি। সাদিকের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত কয়েকজনকেও দেখা গেছে।
স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল আহসান রুপন বলেন, ‘ভোট গণনার সময় কোনো মেয়র প্রার্থীর এজেন্ট ছিল না। কেন্দ্রগুলোতে অনেক অনিয়ম হয়েছে। যেখানেই চাপ দিয়েছে, ভোট নৌকায় গেছে।’
জাপার প্রার্থী ইকবাল হোসেন তাপস নির্বাচন কমিশন ও সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে ফল প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি এক সংবাদ সম্মেলনে রাজশাহী ও সিলেটের নির্বাচন বর্জন করতে কেন্দ্রীয় নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান।
সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) বরিশাল নগর সভাপতি রফিকুল আলম বলেন, ‘ইভিএমের কারণে ধীরগতিতে ভোট হয়েছে। হাতপাখার প্রার্থীর ওপর হামলার পর ভোটার কমে গেছে। বিএনপি নির্বাচনে না আসায় নৌকায় বেশি ভোট পড়েছে। ভাসমান ভোটও গেছে নৌকায়। সাধারণ মানুষ মনে করেছেন, উন্নয়ন হবে; সাদিক এত দিন নগরবাসীকে নানা কষ্ট দিয়েছেন। এ থেকে বেরিয়ে আসতে চেয়েছেন নগরবাসী।’ তিনি আরও বলেন, ভোটে বড় কারসাজি না হলেও বিক্ষিপ্তভাবে প্রভাব বিস্তার করা হয়েছে কেন্দ্রে।
বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বসিক) ২০০৩ এবং ২০০৮ সালের নির্বাচন মিলে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মোট ভোট ছিল ৭৯ হাজার ৬১। এবার মেয়র পদে দলটির প্রার্থী আবুল খায়ের আবদুল্লাহ (খোকন সেরনিয়াবাত) ৮৭ হাজার ৮০৮ ভোট পেয়ে জিতেছেন। ২০১৮ সালের বিতর্কিত নির্বাচনে সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর পাওয়া ভোটের কথা বাদ দিলে নগরে এবারই সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী।
গতকাল মঙ্গলবার বিভিন্ন স্তরের মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ২০১৩ সালের নির্বাচনের পর বিএনপির আহসান হাবিব কামালের সময়ে বরিশালে কিছু কাজ হলেও সাদিক আবদুল্লার মেয়াদে কোনো উন্নয়ন হয়নি। সাদিক-বিরোধী হিসেবে পরিচিত খোকন বিজয়ী হলে উন্নয়ন করার প্রতিশ্রুতিও ছিল ক্ষমতাসীনদের। নগরবাসী এবার আর বঞ্চিত থাকতে চাননি। তবে বেশি আলোচনা এবার হাতপাখায় ৩৩ হাজার ৮২৮ ভোট যাওয়া নিয়ে।
সবুজ আন্দোলন বরিশালের সংগঠক মিজানুর রহমান ফিরোজ বলেন, ফল অপ্রত্যাশিত নয়। বিএনপি সরাসরি ভোটে ছিল না, নগরে উন্নয়ন হয়নি—এসব কারণে নৌকা এত ভোট পেয়েছে। বরিশাল নগরটা আওয়ামী লীগের নয়। তাই তাঁরা খুব গুরুত্ব দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, হাতপাখা প্রতীকে এত ভোট অপ্রত্যাশিত। সবশেষ জাতীয় নির্বাচনে সদর আসনে প্রায় সাড়ে ৩ লাখের মধ্যে ২৭ হাজার ভোট পেয়েছিল তারা।
বরিশাল মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মীর জাহিদুল কবির অবশ্য বলেন, ‘এটা ইভিএমের (ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন) চোরা ভোট। আমাদের কাছে তথ্য আছে, কেন্দ্রে লোক যায়নি। বরিশাল বিএনপির ঘাঁটি, তারা ভোটে না গেলে ভোটার কেন্দ্রে যাবে কেন?’ তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের এত ভোট কীভাবে এল, তা যাচাই করা দরকার।
বিপুল ভোট পাওয়াকে আওয়ামী লীগ বিপ্লব হিসেবে উল্লেখ করলেও বিশ্লেষকেরা দেখছেন সন্দেহজনক হিসেবে। কারও কারও মতে, বিএনপির অনুপস্থিতিতে অনেকটা ফাঁকা মাঠে নৌকার কর্মী-সমর্থকেরা কেন্দ্রে কেন্দ্রে প্রভাব খাটিয়েছেন।
নৌকার প্রার্থীর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য মীর আমিন উদ্দিন মোহন বলেন, ‘এই ভোট-বিপ্লব মেয়র সাদিকের অনিয়মের বিরুদ্ধে। তবে দলের যাঁরা বিরোধিতা করেছেন, তাঁদের ভোট আমরা পাইনি। এর প্রমাণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তালুকদার মো. ইউনুস এবং মহানগর সভাপতি এ কে এম জাহাঙ্গীর পুরো ভোটে নির্বাক ছিলেন। আর মেয়র সাদিক তো ভোট দিতেই আসেননি।’
মহানগর বিএনপির সাবেক সহসাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক তারিন বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ৮৭ হাজার কেন, ৪৭ হাজার ভোটও পায় না। কিন্তু এবার খোকনেরই ভাতিজা মেয়র সাদিকের ওপর ক্ষিপ্ত ছিল নগরবাসী। অত্যাচার যখন সীমাহীন হয়ে যায়, তখন মানুষ সুযোগ খোঁজে। তা ছাড়া বিএনপির একাংশ নৌকাকে যে ভোট দিয়েছে, তা অস্বীকার করার সুযোগ নেই।’ হাতপাখা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘মার খেয়ে এখন চরমোনাই বুঝছে যে আওয়ামী লীগ কী জিনিস!’
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় মিডিয়া উপকমিটির সহকারী সমন্বয়ক শহিদুল ইসলাম কবির বলেন, ‘ভোট তো বাড়বেই। আমরা তো আরও ভোট পেতাম। দেশের দুঃশাসনের জন্য মানুষ হতাশ। এ কারণে মানুষ হাতপাখার দিকে ঝুঁকেছে। ভোট অবাধ হলে আমাদের প্রার্থীর বিজয় হতো।’
গতকাল দুপুর ১২টার দিকে সার্কিট হাউস রোডে নিজের নির্বাচনী কার্যালয়ে যান নবনির্বাচিত মেয়র খোকন সেরনিয়াবাত। সেখানে নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের শুভেচ্ছায় সিক্ত হন তিনি। সাদিকের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত কয়েকজনকেও দেখা গেছে।
স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল আহসান রুপন বলেন, ‘ভোট গণনার সময় কোনো মেয়র প্রার্থীর এজেন্ট ছিল না। কেন্দ্রগুলোতে অনেক অনিয়ম হয়েছে। যেখানেই চাপ দিয়েছে, ভোট নৌকায় গেছে।’
জাপার প্রার্থী ইকবাল হোসেন তাপস নির্বাচন কমিশন ও সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে ফল প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি এক সংবাদ সম্মেলনে রাজশাহী ও সিলেটের নির্বাচন বর্জন করতে কেন্দ্রীয় নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান।
সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) বরিশাল নগর সভাপতি রফিকুল আলম বলেন, ‘ইভিএমের কারণে ধীরগতিতে ভোট হয়েছে। হাতপাখার প্রার্থীর ওপর হামলার পর ভোটার কমে গেছে। বিএনপি নির্বাচনে না আসায় নৌকায় বেশি ভোট পড়েছে। ভাসমান ভোটও গেছে নৌকায়। সাধারণ মানুষ মনে করেছেন, উন্নয়ন হবে; সাদিক এত দিন নগরবাসীকে নানা কষ্ট দিয়েছেন। এ থেকে বেরিয়ে আসতে চেয়েছেন নগরবাসী।’ তিনি আরও বলেন, ভোটে বড় কারসাজি না হলেও বিক্ষিপ্তভাবে প্রভাব বিস্তার করা হয়েছে কেন্দ্রে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে