দোয়ারাবাজার ও শান্তিগঞ্জ প্রতিনিধি (সুনামগঞ্জ)
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার ও শান্তিগঞ্জে কমতে শুরু করেছে বন্যার পানি। তবে অনেক এলাকায় রাস্তায় পানি থাকায় যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। কাজে ফিরতে না পারায় কর্মহীন মানুষ অর্ধাহারে-অনাহারে দিন পার করছে। ঠিকমতো ত্রাণ পাচ্ছে না এমনটাই অভিযোগ বানভাসিদের।
দোয়ারাবাজার: গতকাল রোববার উপজেলা সদরে কমতে শুরু করেছে বন্যার পানি। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, অফিসার্স কোয়ার্টার এলাকায় আগে হাঁটুপানি থাকলেও এখন পানি কমেছে।
দোয়ারাবাজারের স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, উপজেলার অভ্যন্তরীণ সড়কে পানি রয়েছে। এসব সড়কে পানি থাকায় নৌকায় করে যাতায়াত করতে হচ্ছে। অনেক এলাকায় এখনো ত্রাণসামগ্রী পাওয়া যায়নি। উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ভুজনা গ্রামের ফরিদা বেগম বলেন, ‘আমি কোনো ত্রাণসামগ্রী পাইনি। পানিবন্দী অবস্থায় ছিলাম। কেউ খোঁজ পর্যন্ত নেয়নি।’কালিকাপুর গ্রামের হারিছা বেগম বলেন, ‘আমার স্বামী নাই। আয়-উপার্জন করার মতো উপযুক্ত সন্তানও নাই। পানির মধ্যে অসহায় অবস্থায় ঘরবন্দী আছি। ত্রাণসামগ্রী পাইনি।’
একই গ্রামের দিনমজুর আজিজুর রহমান বলেন, ‘বন্যার পানির কারণে কাজ বন্ধ। বাড়িতে পানিবন্দী অবস্থায় বেকার পড়ে আছি। শুনছি আমাদের এলাকায় ত্রাণ দিছে। কিন্তু আমরা কোনো ত্রাণ পাইনি। পরিবার নিয়ে অনেক কষ্টে আছি।’ সুরমা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. মনির উদ্দিন বলেন, ‘চাহিদা অনুপাতে পর্যাপ্ত ত্রাণসামগ্রী না আসায় সবাইকে একসঙ্গে দেওয়া যাচ্ছে না। যারা বাদ পড়েছে, ত্রাণ এলে আগে তাদের দেওয়া হবে।’
সদর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হামিদ বলেন, ‘এই ইউপির অনেকে ত্রাণসামগ্রী পায়নি। পর্যাপ্ত ত্রাণসামগ্রী নেই।’ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আম্বিয়া আহমদ জানান, এখন পর্যন্ত উপজেলার সাতটি আশ্রয়কেন্দ্রে ৬০টি পরিবার অবস্থান করছে। এসব পরিবারের মাঝে ত্রাণসামগ্রী ও শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে।
দোয়ারাবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবু সালেহীন খান বলেন, ‘বন্যাদুর্গত এলাকায় চিকিৎসাসেবাসহ বিনা মূল্যে ওষুধ বিতরণ করেছি। হাসপাতালের স্টাফদের নিজস্ব অর্থায়নে বন্যাদুর্গত এলাকায় ত্রাণসামগ্রী ও শুকনো খাবার বিতরণ করছি।’ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দেবাংশু কুমার সিংহ বলেন, বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। পানি নিচে নামতে শুরু করেছে। উপজেলায় পর্যাপ্ত ত্রাণসামগ্রী রয়েছে। রোববার পর্যন্ত উপজেলার সব কটি ইউনিয়নে প্রায় ৭ হাজার পরিবারের মধ্যে সরকারি ত্রাণসামগ্রী ও শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে।
শান্তিগঞ্জ: বন্যার পানি কমতে শুরু করলেও চরম দুর্ভোগে আছে বন্যাকবলিত এলাকার নিম্ন আয়ের মানুষ। রাস্তাঘাট ডুবে যাওয়া ও কর্মহীন থাকায় অনেকটা অর্ধাহারে-অনাহারে কাটাতে হচ্ছে তাদের। রোববার বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রাত থেকেই কমতে শুরু করেছে পানি। তবে ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট এখনো ডুবে রয়েছে। বন্যাকবলিত মানুষ জানান, সকাল থেকে ধীরগতিতে পানি কমছে। তবে এখনো অধিকাংশ বাড়িতে পানি। খাদ্যসংকটে রয়েছে তারা। বন্যায় সবকিছু ডুবে যাওয়ায় রান্না করতে পারছে না। শুকনো খাবার খেয়ে বেঁচে আছে তারা।
এদিকে উপজেলায় প্রায় ৬৫টি পুকুরের ৫০ থেকে ৬০ লাখ টাকার মাছ ভেসে গেছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, পুকুরগুলো দেখে ক্ষয়ক্ষতির তথ্য জেলায় পাঠানো হয়েছে। সহায়তা এলে ক্ষতিগ্রস্তদের দেওয়া হবে। বন্যায় ধান নিয়ে বিপাকে পড়েছেন শান্তিগঞ্জের কৃষকেরা। সোনার ফসল ঘরে তুললেও তা রক্ষায় দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। কয়েক দিন পর রোদের দেখা মেলায় আঞ্চলিক মহাসড়ক, বাড়ির ছাদ ও উঁচু জায়গায় ধান শুকানোর হিড়িক পড়েছে। তবে দীর্ঘদিন ধান ভেজা থাকায় পচে যাওয়ার পাশাপাশি অঙ্কুর দেখা দিয়েছে। কেউ কেউ বস্তাবন্দী করে রাখা ধান শুকানোতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। যদি বৃষ্টি না হয়, ধান শুকিয়ে ঘরে তুলতে পারবেন এমন আশা কৃষকদের।
বন্যা পরিস্থিতিতে সুপেয় পানির সংকট দেখা দেওয়ায় উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে বন্যাকবলিত এলাকায় পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, খাওয়ার স্যালাইন বিতরণ ও বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আনোয়ার উজ জামান বলেন, বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যে উপজেলার কিছু জায়গায় পানিবন্দীদের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। আজ সোমবার সবার মধ্যে শুকনো খাবার পৌঁছে দেওয়া হবে।
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার ও শান্তিগঞ্জে কমতে শুরু করেছে বন্যার পানি। তবে অনেক এলাকায় রাস্তায় পানি থাকায় যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। কাজে ফিরতে না পারায় কর্মহীন মানুষ অর্ধাহারে-অনাহারে দিন পার করছে। ঠিকমতো ত্রাণ পাচ্ছে না এমনটাই অভিযোগ বানভাসিদের।
দোয়ারাবাজার: গতকাল রোববার উপজেলা সদরে কমতে শুরু করেছে বন্যার পানি। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, অফিসার্স কোয়ার্টার এলাকায় আগে হাঁটুপানি থাকলেও এখন পানি কমেছে।
দোয়ারাবাজারের স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, উপজেলার অভ্যন্তরীণ সড়কে পানি রয়েছে। এসব সড়কে পানি থাকায় নৌকায় করে যাতায়াত করতে হচ্ছে। অনেক এলাকায় এখনো ত্রাণসামগ্রী পাওয়া যায়নি। উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ভুজনা গ্রামের ফরিদা বেগম বলেন, ‘আমি কোনো ত্রাণসামগ্রী পাইনি। পানিবন্দী অবস্থায় ছিলাম। কেউ খোঁজ পর্যন্ত নেয়নি।’কালিকাপুর গ্রামের হারিছা বেগম বলেন, ‘আমার স্বামী নাই। আয়-উপার্জন করার মতো উপযুক্ত সন্তানও নাই। পানির মধ্যে অসহায় অবস্থায় ঘরবন্দী আছি। ত্রাণসামগ্রী পাইনি।’
একই গ্রামের দিনমজুর আজিজুর রহমান বলেন, ‘বন্যার পানির কারণে কাজ বন্ধ। বাড়িতে পানিবন্দী অবস্থায় বেকার পড়ে আছি। শুনছি আমাদের এলাকায় ত্রাণ দিছে। কিন্তু আমরা কোনো ত্রাণ পাইনি। পরিবার নিয়ে অনেক কষ্টে আছি।’ সুরমা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. মনির উদ্দিন বলেন, ‘চাহিদা অনুপাতে পর্যাপ্ত ত্রাণসামগ্রী না আসায় সবাইকে একসঙ্গে দেওয়া যাচ্ছে না। যারা বাদ পড়েছে, ত্রাণ এলে আগে তাদের দেওয়া হবে।’
সদর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হামিদ বলেন, ‘এই ইউপির অনেকে ত্রাণসামগ্রী পায়নি। পর্যাপ্ত ত্রাণসামগ্রী নেই।’ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আম্বিয়া আহমদ জানান, এখন পর্যন্ত উপজেলার সাতটি আশ্রয়কেন্দ্রে ৬০টি পরিবার অবস্থান করছে। এসব পরিবারের মাঝে ত্রাণসামগ্রী ও শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে।
দোয়ারাবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবু সালেহীন খান বলেন, ‘বন্যাদুর্গত এলাকায় চিকিৎসাসেবাসহ বিনা মূল্যে ওষুধ বিতরণ করেছি। হাসপাতালের স্টাফদের নিজস্ব অর্থায়নে বন্যাদুর্গত এলাকায় ত্রাণসামগ্রী ও শুকনো খাবার বিতরণ করছি।’ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দেবাংশু কুমার সিংহ বলেন, বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। পানি নিচে নামতে শুরু করেছে। উপজেলায় পর্যাপ্ত ত্রাণসামগ্রী রয়েছে। রোববার পর্যন্ত উপজেলার সব কটি ইউনিয়নে প্রায় ৭ হাজার পরিবারের মধ্যে সরকারি ত্রাণসামগ্রী ও শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে।
শান্তিগঞ্জ: বন্যার পানি কমতে শুরু করলেও চরম দুর্ভোগে আছে বন্যাকবলিত এলাকার নিম্ন আয়ের মানুষ। রাস্তাঘাট ডুবে যাওয়া ও কর্মহীন থাকায় অনেকটা অর্ধাহারে-অনাহারে কাটাতে হচ্ছে তাদের। রোববার বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রাত থেকেই কমতে শুরু করেছে পানি। তবে ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট এখনো ডুবে রয়েছে। বন্যাকবলিত মানুষ জানান, সকাল থেকে ধীরগতিতে পানি কমছে। তবে এখনো অধিকাংশ বাড়িতে পানি। খাদ্যসংকটে রয়েছে তারা। বন্যায় সবকিছু ডুবে যাওয়ায় রান্না করতে পারছে না। শুকনো খাবার খেয়ে বেঁচে আছে তারা।
এদিকে উপজেলায় প্রায় ৬৫টি পুকুরের ৫০ থেকে ৬০ লাখ টাকার মাছ ভেসে গেছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, পুকুরগুলো দেখে ক্ষয়ক্ষতির তথ্য জেলায় পাঠানো হয়েছে। সহায়তা এলে ক্ষতিগ্রস্তদের দেওয়া হবে। বন্যায় ধান নিয়ে বিপাকে পড়েছেন শান্তিগঞ্জের কৃষকেরা। সোনার ফসল ঘরে তুললেও তা রক্ষায় দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। কয়েক দিন পর রোদের দেখা মেলায় আঞ্চলিক মহাসড়ক, বাড়ির ছাদ ও উঁচু জায়গায় ধান শুকানোর হিড়িক পড়েছে। তবে দীর্ঘদিন ধান ভেজা থাকায় পচে যাওয়ার পাশাপাশি অঙ্কুর দেখা দিয়েছে। কেউ কেউ বস্তাবন্দী করে রাখা ধান শুকানোতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। যদি বৃষ্টি না হয়, ধান শুকিয়ে ঘরে তুলতে পারবেন এমন আশা কৃষকদের।
বন্যা পরিস্থিতিতে সুপেয় পানির সংকট দেখা দেওয়ায় উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে বন্যাকবলিত এলাকায় পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, খাওয়ার স্যালাইন বিতরণ ও বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আনোয়ার উজ জামান বলেন, বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যে উপজেলার কিছু জায়গায় পানিবন্দীদের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। আজ সোমবার সবার মধ্যে শুকনো খাবার পৌঁছে দেওয়া হবে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে