সম্পাদকীয়
বেঁচে থাকার এবং ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার সবারই আছে। অপরাধীর জন্য শাস্তি নিশ্চিত করা যেমন জরুরি, তেমনি একজন নিরপরাধ মানুষও যেন শাস্তি না পায় সেটা নিশ্চিত করা যেকোনো আধুনিক ও সভ্য রাষ্ট্রের অবশ্য পালনীয় কাজ। আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে গণরোষ তৈরি হওয়ার একটি অন্যতম কারণ আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে না পারা।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে বলেছিলেন, ‘গণরোষের মুখে ফ্যাসিবাদী সরকারপ্রধান দেশ ত্যাগ করার পর আমরা এমন একটি দেশ গড়তে চাই, যেখানে প্রতিটি নাগরিকের মানবাধিকার থাকবে পুরোপুরি সুরক্ষিত। আমাদের লক্ষ্য একটিই—উদার, গণতান্ত্রিক, বৈষম্যহীন, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ। আমরা এক পরিবার। আমাদের এক লক্ষ্য। কোনো ভেদাভেদ যেন আমাদের স্বপ্নকে ব্যাহত করতে না পারে সে জন্য আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।’
বেশ উদ্দীপনা জাগানোর মতো বক্তব্য। কিন্তু আমরা কি এটা জোর দিয়ে বলতে পারি যে সরকার বদলের পর দেশে মানবাধিকার সুরক্ষিত করা সম্ভব হয়েছে? নাকি উদ্বেগ ও অস্বস্তির মাত্রা বেড়েছে? দেশে কেমন যেন একটা অরাজকতার রাজত্ব কায়েম হয়েছে। দেশে একটি সফল গণ-অভ্যুত্থানের পর স্বভাবতই মানুষের মনে নিরাপদ জীবনের আশা জোরদার হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে ঘটছে অন্য রকম ঘটনা।
মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটির মাসিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে মানবাধিকারের কিছু ক্ষেত্রে উন্নতি হলেও সামগ্রিকভাবে এই অগ্রগতি অপর্যাপ্ত। কিছু কিছু ক্ষেত্রে মানবাধিকার পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর শুধু সেপ্টেম্বর মাসেই দেশে অন্তত ২৮ জনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আর রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনায় কমপক্ষে ১৬ জন নিহত হয়েছেন। সেপ্টেম্বর মাসে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে বা হেফাজতে অন্তত ৯ জন নিহত হয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর যৌথ অভিযানের সময় নির্যাতনে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। গত মাসে অন্তত ৪৪টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। ১৮ নারী ও কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়েছে, চারজনকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে এবং একজন আত্মহত্যা করেছেন।
উদ্বেগের সঙ্গে এটাও লক্ষ করা যাচ্ছে যে আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে আদালতের বাইরেই একধরনের বিচার করে ফেলার প্রবণতা মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। আগে ক্ষমতাসীন দলের ছত্রচ্ছায়ায় চাঁদাবাজি ও দখলদারির মতো যেসব অপরাধ সংঘটিত হতো, তা এখনো ভিন্ন রাজনৈতিক ছত্রচ্ছায়ায় অব্যাহত আছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে জনগণের মৌলিক ও সাংবিধানিক অধিকার নিশ্চিত করতে না পারলে পরিস্থিতি আরও অবনতির দিকে যাবে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, ‘আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কোনোভাবেই অবনতি হতে দেওয়া যাবে না। যারা পরিস্থিতির অবনতি করার চেষ্টা করবে, তাদের কোনো অবস্থাতেই ছাড় দেওয়া হবে না।’
দেশের মানুষ এখন শুধু আশাবাদী কথা শুনতে চায় না, ভালো কাজ দেখে আশ্বস্তও হতে চায়।
বেঁচে থাকার এবং ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার সবারই আছে। অপরাধীর জন্য শাস্তি নিশ্চিত করা যেমন জরুরি, তেমনি একজন নিরপরাধ মানুষও যেন শাস্তি না পায় সেটা নিশ্চিত করা যেকোনো আধুনিক ও সভ্য রাষ্ট্রের অবশ্য পালনীয় কাজ। আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে গণরোষ তৈরি হওয়ার একটি অন্যতম কারণ আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে না পারা।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে বলেছিলেন, ‘গণরোষের মুখে ফ্যাসিবাদী সরকারপ্রধান দেশ ত্যাগ করার পর আমরা এমন একটি দেশ গড়তে চাই, যেখানে প্রতিটি নাগরিকের মানবাধিকার থাকবে পুরোপুরি সুরক্ষিত। আমাদের লক্ষ্য একটিই—উদার, গণতান্ত্রিক, বৈষম্যহীন, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ। আমরা এক পরিবার। আমাদের এক লক্ষ্য। কোনো ভেদাভেদ যেন আমাদের স্বপ্নকে ব্যাহত করতে না পারে সে জন্য আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।’
বেশ উদ্দীপনা জাগানোর মতো বক্তব্য। কিন্তু আমরা কি এটা জোর দিয়ে বলতে পারি যে সরকার বদলের পর দেশে মানবাধিকার সুরক্ষিত করা সম্ভব হয়েছে? নাকি উদ্বেগ ও অস্বস্তির মাত্রা বেড়েছে? দেশে কেমন যেন একটা অরাজকতার রাজত্ব কায়েম হয়েছে। দেশে একটি সফল গণ-অভ্যুত্থানের পর স্বভাবতই মানুষের মনে নিরাপদ জীবনের আশা জোরদার হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে ঘটছে অন্য রকম ঘটনা।
মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটির মাসিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে মানবাধিকারের কিছু ক্ষেত্রে উন্নতি হলেও সামগ্রিকভাবে এই অগ্রগতি অপর্যাপ্ত। কিছু কিছু ক্ষেত্রে মানবাধিকার পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর শুধু সেপ্টেম্বর মাসেই দেশে অন্তত ২৮ জনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আর রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনায় কমপক্ষে ১৬ জন নিহত হয়েছেন। সেপ্টেম্বর মাসে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে বা হেফাজতে অন্তত ৯ জন নিহত হয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর যৌথ অভিযানের সময় নির্যাতনে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। গত মাসে অন্তত ৪৪টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। ১৮ নারী ও কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়েছে, চারজনকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে এবং একজন আত্মহত্যা করেছেন।
উদ্বেগের সঙ্গে এটাও লক্ষ করা যাচ্ছে যে আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে আদালতের বাইরেই একধরনের বিচার করে ফেলার প্রবণতা মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। আগে ক্ষমতাসীন দলের ছত্রচ্ছায়ায় চাঁদাবাজি ও দখলদারির মতো যেসব অপরাধ সংঘটিত হতো, তা এখনো ভিন্ন রাজনৈতিক ছত্রচ্ছায়ায় অব্যাহত আছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে জনগণের মৌলিক ও সাংবিধানিক অধিকার নিশ্চিত করতে না পারলে পরিস্থিতি আরও অবনতির দিকে যাবে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, ‘আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কোনোভাবেই অবনতি হতে দেওয়া যাবে না। যারা পরিস্থিতির অবনতি করার চেষ্টা করবে, তাদের কোনো অবস্থাতেই ছাড় দেওয়া হবে না।’
দেশের মানুষ এখন শুধু আশাবাদী কথা শুনতে চায় না, ভালো কাজ দেখে আশ্বস্তও হতে চায়।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে