হিমেল চাকমা, রাঙামাটি
অনূর্ধ্ব-১৯ সাফজয়ী নারী ফুটবল দলের পাঁচজনই রাঙামাটির ঘাগড়া উচ্চবিদ্যালয়ের। আনাই, আনুচিং, মনিকা, ঋতুপুর্ণা, রুপনা–এই পাঁচজনের ফুটবলের হাতেখড়ি রাঙামাটির ঘাগড়া থেকেই। পাহাড়ের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে খুঁজে বের করে ঘাগড়ায় এনে তাঁদের দিয়ে দল গঠন করে ফুটবল প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেন কয়েকজন ফুটবলপ্রেমী। কিন্তু মনিকাদের ফুটবল ক্যাম্পটি এখন চলছে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে।
নেই কোনো সরকারি কিংবা বেসরকারি পৃষ্ঠপোষক। বর্তমানে ঘাগড়ার নারী ফুটবল ক্যাম্পে ৩০ জন নারী নিয়মিত অনুশীলন করে যাচ্ছেন। বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা নিজেদের বেতন থেকে সম্মানীর ব্যবস্থা করে একজন ফুটবল প্রশিক্ষক রেখেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মনিকাদের এ পর্যন্ত উঠে আসা এতটা সহজ ছিল না। ২০১১ সালে বঙ্গমাতা ফুটবল প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে মনিকা, আনুচিংদের ঘাগড়ায় এনে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেন বীরসেন চাকমা, শান্তিমনি চাকমা, শশীমনি চাকমা, সুভাষ চাকমা, কৌশিক চাকমা, চন্দ্রা চাকমাসহ কয়েজন ফুটবলপ্রেমী। তাঁদের নিয়ে ঘাগড়ায় গড়ে তোলা হয় দুটি নারী ফুটবল দল। এ দল থেকে মনিকারা জাতীয় দলে ডাক পান।
বর্তমানে বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা নিজেদের বেতন থেকে সম্মানীর ব্যবস্থা করে একজন ফুটবল প্রশিক্ষক রেখেছেন। বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শশীমনি চাকমা বলেন, ‘আমাদের মেয়েরা দেশের নাম উজ্জ্বল করছে, কিন্তু তাদের প্রতি কারোর নজর নেই। তাদের হোস্টেলটি খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলে। আমরা মেয়েদের সম্পূর্ণ বিনা বেতনে পড়ার সুযোগ করে দিয়েছি। এ ছাড়া তাদের হোস্টেলে বিভিন্ন খরচ তো লেগেই থাকে। এ খরচ আমাদের শিক্ষকদের বেতন থেকে কেটে রাখা হয়। কলসিন্দুর বিদ্যালয়ের ফুটবলার মেয়েদের কারণে বিদ্যালয়টি জাতীয়করণ করা হয়েছে। ঘাগড়া বিদ্যালয়টিও যদি জাতীয়করণ করা হয়, তাহলে আমরা মেয়েদের আরও সাপোর্ট দিতে পারতাম।’
শান্তিমনি চাকমা বলেন, ‘মনিকাদের মতো এ ক্যাম্প থেকে আরও কয়েকজন জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার যোগ্যতা রাখে। এই ক্যাম্পে খেলোয়াড়দের খাবারের মান বাড়ানো গেলে তারা আরও ভালো করবে। কারণ বর্তমানে মেয়েরা যেভাবে পরিশ্রম করে, সে তুলনায় খাবার কিংবা পুষ্টি পায় না। এ ঘাটতি পূরণ করা গেলে মেয়েরা আরও ভালো করবে।’
বিভিন্ন সময় জেলা প্রশাসন, উন্নয়ন বোর্ড, সেনাবাহিনী বিক্ষিপ্তভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয় কিন্তু এটি নিয়মিতকরণে কেউ ভূমিকা নেয়নি।
ঘাগড়া বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক চন্দ্র দেওয়ান বলেন, ‘মেয়েরা পৃষ্ঠপোষকতা পেলে ঘাগড়ার মেয়ে ফুটবল ক্যাম্প থেকে আরও অনেকে উঠে আসবে। আমাদের প্রতিনিয়ত সমস্যা লেগে থাকে। মেয়েদের প্রতিনিয়ত পায়ের বুট, বলসহ খেলাধুলার সামগ্রীর সংকট দেখা দেয়। আর্থিক সীমাবদ্ধতার কারণে আমরা তাদের এসব দিতে পারি না।’
অনূর্ধ্ব-১৯ সাফজয়ী নারী ফুটবল দলের পাঁচজনই রাঙামাটির ঘাগড়া উচ্চবিদ্যালয়ের। আনাই, আনুচিং, মনিকা, ঋতুপুর্ণা, রুপনা–এই পাঁচজনের ফুটবলের হাতেখড়ি রাঙামাটির ঘাগড়া থেকেই। পাহাড়ের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে খুঁজে বের করে ঘাগড়ায় এনে তাঁদের দিয়ে দল গঠন করে ফুটবল প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেন কয়েকজন ফুটবলপ্রেমী। কিন্তু মনিকাদের ফুটবল ক্যাম্পটি এখন চলছে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে।
নেই কোনো সরকারি কিংবা বেসরকারি পৃষ্ঠপোষক। বর্তমানে ঘাগড়ার নারী ফুটবল ক্যাম্পে ৩০ জন নারী নিয়মিত অনুশীলন করে যাচ্ছেন। বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা নিজেদের বেতন থেকে সম্মানীর ব্যবস্থা করে একজন ফুটবল প্রশিক্ষক রেখেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মনিকাদের এ পর্যন্ত উঠে আসা এতটা সহজ ছিল না। ২০১১ সালে বঙ্গমাতা ফুটবল প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে মনিকা, আনুচিংদের ঘাগড়ায় এনে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেন বীরসেন চাকমা, শান্তিমনি চাকমা, শশীমনি চাকমা, সুভাষ চাকমা, কৌশিক চাকমা, চন্দ্রা চাকমাসহ কয়েজন ফুটবলপ্রেমী। তাঁদের নিয়ে ঘাগড়ায় গড়ে তোলা হয় দুটি নারী ফুটবল দল। এ দল থেকে মনিকারা জাতীয় দলে ডাক পান।
বর্তমানে বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা নিজেদের বেতন থেকে সম্মানীর ব্যবস্থা করে একজন ফুটবল প্রশিক্ষক রেখেছেন। বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শশীমনি চাকমা বলেন, ‘আমাদের মেয়েরা দেশের নাম উজ্জ্বল করছে, কিন্তু তাদের প্রতি কারোর নজর নেই। তাদের হোস্টেলটি খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলে। আমরা মেয়েদের সম্পূর্ণ বিনা বেতনে পড়ার সুযোগ করে দিয়েছি। এ ছাড়া তাদের হোস্টেলে বিভিন্ন খরচ তো লেগেই থাকে। এ খরচ আমাদের শিক্ষকদের বেতন থেকে কেটে রাখা হয়। কলসিন্দুর বিদ্যালয়ের ফুটবলার মেয়েদের কারণে বিদ্যালয়টি জাতীয়করণ করা হয়েছে। ঘাগড়া বিদ্যালয়টিও যদি জাতীয়করণ করা হয়, তাহলে আমরা মেয়েদের আরও সাপোর্ট দিতে পারতাম।’
শান্তিমনি চাকমা বলেন, ‘মনিকাদের মতো এ ক্যাম্প থেকে আরও কয়েকজন জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার যোগ্যতা রাখে। এই ক্যাম্পে খেলোয়াড়দের খাবারের মান বাড়ানো গেলে তারা আরও ভালো করবে। কারণ বর্তমানে মেয়েরা যেভাবে পরিশ্রম করে, সে তুলনায় খাবার কিংবা পুষ্টি পায় না। এ ঘাটতি পূরণ করা গেলে মেয়েরা আরও ভালো করবে।’
বিভিন্ন সময় জেলা প্রশাসন, উন্নয়ন বোর্ড, সেনাবাহিনী বিক্ষিপ্তভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয় কিন্তু এটি নিয়মিতকরণে কেউ ভূমিকা নেয়নি।
ঘাগড়া বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক চন্দ্র দেওয়ান বলেন, ‘মেয়েরা পৃষ্ঠপোষকতা পেলে ঘাগড়ার মেয়ে ফুটবল ক্যাম্প থেকে আরও অনেকে উঠে আসবে। আমাদের প্রতিনিয়ত সমস্যা লেগে থাকে। মেয়েদের প্রতিনিয়ত পায়ের বুট, বলসহ খেলাধুলার সামগ্রীর সংকট দেখা দেয়। আর্থিক সীমাবদ্ধতার কারণে আমরা তাদের এসব দিতে পারি না।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে