নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
দেশের প্রতিটি উপজেলায় মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তার পদ রয়েছে একটি। কিন্তু রাজশাহীর পবা উপজেলায় মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা হিসেবে কর্মস্থল চান তিনজন। সবশেষ যে কর্মকর্তাকে এখানে পদায়ন করা হয়েছে, তিনি অফিসে ঢুকতে পারছেন না। যে কর্মকর্তার স্থলে তাঁকে পদায়ন করা হয়েছে, ওই কর্মকর্তা তাঁকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিচ্ছেন না। তিনি অফিসে তালা দিয়ে রেখেছেন।
প্রায় ছয় বছর ধরে পবায় মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা হিসেবে ছিলেন শিমুল বিল্লাহ সুলতানা। গত ২৮ মার্চ শিমুল বিল্লাহকে নাটোরের বড়াইগ্রামে বদলি করা হয়। একই প্রজ্ঞাপনে বড়াইগ্রামের মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা হাবিবা খাতুনকে পবায় বদলি করা হয়। পরে ৩ এপ্রিল আরেক প্রজ্ঞাপনে শিমুল বিল্লাহ সুলতানাকে বড়াইগ্রামে রেখেই হাবিবা খাতুনকে রাজশাহীর দুর্গাপুরে পদায়ন করা হয়। আর পবায় বদলি করা হয় দুর্গাপুরের মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা ফাতেমা খাতুনকে। এখন এই তিন কর্মকর্তাই পবা উপজেলায় থাকতে চাচ্ছেন।
গত বুধবার দুপুরে পবা উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, কর্মচারীদের দপ্তর খোলা থাকলেও মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তার কক্ষটি তালাবদ্ধ। বাইরে বসে দাপ্তরিক কাজকর্ম করছেন সবশেষ বদলি হয়ে আসা কর্মকর্তা ফাতেমা খাতুন। তিনি জানান, সবশেষ ৩ এপ্রিল তাঁকেই পবা উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা হিসেবে বদলি করা হয়েছে। এরপর ৮ এপ্রিল তিনি জেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে যোগদান করেছেন। কিন্তু পবায় এসে দেখেন অফিস তালাবদ্ধ। বদলি হওয়া কর্মকর্তা হাবিবা খাতুন তাঁকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিচ্ছেন না। তাই গেজেটেড কর্মকর্তা হিসেবে তিনি নিজেই দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। অফিস তালাবদ্ধ থাকায় বাইরে বেঞ্চে বসে কাজকর্ম শুরু করেছেন।
যোগাযোগ করা হলে হাবিবা সুলতানা বলেন, ‘পবায় বদলি হয়ে আসার এক সপ্তাহের মধ্যে আমাকে দুর্গাপুরে বদলি করা হয়েছে। দুর্গাপুরে আমার বাবার বাড়ি, শ্বশুরবাড়িও সেখানে। তাই ওইখানে আমি কাজ করতে চাই না। এ জন্যই পবার দায়িত্ব ছাড়িনি। ফাতেমা খাতুনকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিইনি। আমি পবাতেই থাকতে চাই। দুর্গাপুরে যাব না।’
পবায় থাকার আগ্রহের কথা জানিয়েছেন বদলি হওয়া কর্মকর্তা শিমুল বিল্লাহও। ২৮ মার্চ তাঁর বড়াইগ্রামে বদলির আদেশ হলেও তিনি বুধবার পর্যন্ত সেখানে যোগদান করেননি। শিমুল বিল্লাহ বলেন, ‘আমার বাড়ি রাজশাহী শহরে। বড়াইগ্রামে যাতায়াত আমার জন্য কষ্টকর। আমার স্বামী ঢাকায় থাকেন। সেখানে বদলি করা হলেও হতো। আমি মন্ত্রণালয়ে যাব। কান্নাকাটি করে বোঝাব।’ তিনি বলেন, ‘সবশেষ পবায় ফাতেমাকে বদলি করা হয়েছে। আইনত তিনিই এখন পবা উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা। সুন্দরভাবে তিনি দায়িত্ব বুঝে নিতে পারতেন। তা না করে নিজে নিজেই দায়িত্ব গ্রহণ করে তিনি ঠিক করেননি।’
জানতে চাইলে ফাতেমা খাতুন বলেন, ২০২২ সালের ৪ জুলাই তাঁকে দুর্গাপুর থেকে পবায় বদলি করা হয়েছিল। তখন শিমুল বিল্লাহ সুলতানা তাঁকে পবায় যোগদান করতে দেননি। তিনি দেড় মাস ধরে ঘুরেও যোগদান করতে পারেননি। ওই সময় শিমুল বিল্লাহও দায়িত্ব বুঝিয়ে না দিয়ে অফিসে তালা দিয়ে রাখতেন। রাজশাহী মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ের উপপরিচালক শবনম শিরিনও তাঁকে সহযোগিতা করেননি। পরে ২১ আগস্ট ওই বদলির আদেশ স্থগিত করা হয়। শিমুল বিল্লাহ তদবির করে ওই আদেশ স্থগিত করান।
ফাতেমা বলেন, তাঁর স্বামী শারীরিকভাবে অসুস্থ। বছরে কয়েকবার ভারতে নিয়ে চিকিৎসা করাতে হয়। তিনি অফিসে গেলে রাজশাহী শহরের বাসায় স্বামী একাই থাকেন। শহরের কাছাকাছি পবার যোগাযোগব্যবস্থা ভালো হওয়ায় তিনি এখানে থাকতে চান। তাহলে অল্প সময়ে বাড়ি থেকে অফিসে যাওয়া-আসা করতে পারবেন। স্বামীর সেবা করতে পারবেন।
বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে রাজশাহী মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ের উপপরিচালক শবনম শিরিনকে কয়েক দফা ফোন করা হলেও ধরেননি। তালাবদ্ধ অফিসে ফাতেমা খাতুনের বাইরে কাজকর্ম করার ব্যাপারে জানতে চাইলে পবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু সালেহ্ মোহাম্মদ হাসনাত বলেন, ‘বিষয়টা শুনেছি, কিন্তু আমি মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তার নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ নই বলে এই জটিলতার সমাধান আমি করতে পারি না। মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের মাধ্যমেই বিষয়টির সমাধান করে নিতে বলেছি।’
দেশের প্রতিটি উপজেলায় মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তার পদ রয়েছে একটি। কিন্তু রাজশাহীর পবা উপজেলায় মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা হিসেবে কর্মস্থল চান তিনজন। সবশেষ যে কর্মকর্তাকে এখানে পদায়ন করা হয়েছে, তিনি অফিসে ঢুকতে পারছেন না। যে কর্মকর্তার স্থলে তাঁকে পদায়ন করা হয়েছে, ওই কর্মকর্তা তাঁকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিচ্ছেন না। তিনি অফিসে তালা দিয়ে রেখেছেন।
প্রায় ছয় বছর ধরে পবায় মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা হিসেবে ছিলেন শিমুল বিল্লাহ সুলতানা। গত ২৮ মার্চ শিমুল বিল্লাহকে নাটোরের বড়াইগ্রামে বদলি করা হয়। একই প্রজ্ঞাপনে বড়াইগ্রামের মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা হাবিবা খাতুনকে পবায় বদলি করা হয়। পরে ৩ এপ্রিল আরেক প্রজ্ঞাপনে শিমুল বিল্লাহ সুলতানাকে বড়াইগ্রামে রেখেই হাবিবা খাতুনকে রাজশাহীর দুর্গাপুরে পদায়ন করা হয়। আর পবায় বদলি করা হয় দুর্গাপুরের মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা ফাতেমা খাতুনকে। এখন এই তিন কর্মকর্তাই পবা উপজেলায় থাকতে চাচ্ছেন।
গত বুধবার দুপুরে পবা উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, কর্মচারীদের দপ্তর খোলা থাকলেও মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তার কক্ষটি তালাবদ্ধ। বাইরে বসে দাপ্তরিক কাজকর্ম করছেন সবশেষ বদলি হয়ে আসা কর্মকর্তা ফাতেমা খাতুন। তিনি জানান, সবশেষ ৩ এপ্রিল তাঁকেই পবা উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা হিসেবে বদলি করা হয়েছে। এরপর ৮ এপ্রিল তিনি জেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে যোগদান করেছেন। কিন্তু পবায় এসে দেখেন অফিস তালাবদ্ধ। বদলি হওয়া কর্মকর্তা হাবিবা খাতুন তাঁকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিচ্ছেন না। তাই গেজেটেড কর্মকর্তা হিসেবে তিনি নিজেই দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। অফিস তালাবদ্ধ থাকায় বাইরে বেঞ্চে বসে কাজকর্ম শুরু করেছেন।
যোগাযোগ করা হলে হাবিবা সুলতানা বলেন, ‘পবায় বদলি হয়ে আসার এক সপ্তাহের মধ্যে আমাকে দুর্গাপুরে বদলি করা হয়েছে। দুর্গাপুরে আমার বাবার বাড়ি, শ্বশুরবাড়িও সেখানে। তাই ওইখানে আমি কাজ করতে চাই না। এ জন্যই পবার দায়িত্ব ছাড়িনি। ফাতেমা খাতুনকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিইনি। আমি পবাতেই থাকতে চাই। দুর্গাপুরে যাব না।’
পবায় থাকার আগ্রহের কথা জানিয়েছেন বদলি হওয়া কর্মকর্তা শিমুল বিল্লাহও। ২৮ মার্চ তাঁর বড়াইগ্রামে বদলির আদেশ হলেও তিনি বুধবার পর্যন্ত সেখানে যোগদান করেননি। শিমুল বিল্লাহ বলেন, ‘আমার বাড়ি রাজশাহী শহরে। বড়াইগ্রামে যাতায়াত আমার জন্য কষ্টকর। আমার স্বামী ঢাকায় থাকেন। সেখানে বদলি করা হলেও হতো। আমি মন্ত্রণালয়ে যাব। কান্নাকাটি করে বোঝাব।’ তিনি বলেন, ‘সবশেষ পবায় ফাতেমাকে বদলি করা হয়েছে। আইনত তিনিই এখন পবা উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা। সুন্দরভাবে তিনি দায়িত্ব বুঝে নিতে পারতেন। তা না করে নিজে নিজেই দায়িত্ব গ্রহণ করে তিনি ঠিক করেননি।’
জানতে চাইলে ফাতেমা খাতুন বলেন, ২০২২ সালের ৪ জুলাই তাঁকে দুর্গাপুর থেকে পবায় বদলি করা হয়েছিল। তখন শিমুল বিল্লাহ সুলতানা তাঁকে পবায় যোগদান করতে দেননি। তিনি দেড় মাস ধরে ঘুরেও যোগদান করতে পারেননি। ওই সময় শিমুল বিল্লাহও দায়িত্ব বুঝিয়ে না দিয়ে অফিসে তালা দিয়ে রাখতেন। রাজশাহী মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ের উপপরিচালক শবনম শিরিনও তাঁকে সহযোগিতা করেননি। পরে ২১ আগস্ট ওই বদলির আদেশ স্থগিত করা হয়। শিমুল বিল্লাহ তদবির করে ওই আদেশ স্থগিত করান।
ফাতেমা বলেন, তাঁর স্বামী শারীরিকভাবে অসুস্থ। বছরে কয়েকবার ভারতে নিয়ে চিকিৎসা করাতে হয়। তিনি অফিসে গেলে রাজশাহী শহরের বাসায় স্বামী একাই থাকেন। শহরের কাছাকাছি পবার যোগাযোগব্যবস্থা ভালো হওয়ায় তিনি এখানে থাকতে চান। তাহলে অল্প সময়ে বাড়ি থেকে অফিসে যাওয়া-আসা করতে পারবেন। স্বামীর সেবা করতে পারবেন।
বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে রাজশাহী মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ের উপপরিচালক শবনম শিরিনকে কয়েক দফা ফোন করা হলেও ধরেননি। তালাবদ্ধ অফিসে ফাতেমা খাতুনের বাইরে কাজকর্ম করার ব্যাপারে জানতে চাইলে পবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু সালেহ্ মোহাম্মদ হাসনাত বলেন, ‘বিষয়টা শুনেছি, কিন্তু আমি মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তার নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ নই বলে এই জটিলতার সমাধান আমি করতে পারি না। মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের মাধ্যমেই বিষয়টির সমাধান করে নিতে বলেছি।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে