মীর মো. মহিব্বুল্লাহ, পটুয়াখালী
পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতে বালুভর্তি জিও টিউব ও জিও ব্যাগ দিয়ে উন্নয়ন করায় দিন দিন সৌন্দর্য হারাচ্ছে সমুদ্রসৈকত। আর এ জিও টিউব এবং জিও ব্যাগ ভর্তি করার জন্য বাইরে থেকে বালু এনে কাজ করার কথা থাকলেও প্রতি বছরই সৈকতের বালু ব্যবহার করে চলছে উন্নয়নকাজ। এতে সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে বড় বড় গর্ত হয়ে দিন দিন শ্রীহীন সৈকতে পরিণত হচ্ছে কুয়াকাটা।
এমন পরিস্থিতি দেখে স্থানীয়রা মনে করছেন, কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতের ভাঙন প্রতিরোধের অজুহাতে এ ধরনের অপরিকল্পিত উন্নয়নে প্রতি বছর সরকারের যেমন কোটি কোটি টাকা অর্থ অপচয় হচ্ছে, তেমনি কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত দিন দিন জরাজীর্ণ সৈকতে পরিণত হচ্ছে।
এদিকে কাজের তদারকির দায়িত্বে থাকা কলাপাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী শওকত ইকবাল মেহেরাজ বলেন, বিগত দিনে সৈকতের বালু দিয়েই কাজ করা হয়েছে। তবে এ বছর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত পরিমাপের বালু দিয়ে কাজ করার কথা। এ ক্ষেত্রে সৈকতের বালু ব্যবহারের কোনো সুযোগ নেই।
জানা গেছে, বর্ষা মৌসুমে উত্তাল সাগরের ঢেউ আছড়ে পড়ে সাগর পাড়ে। এ কারণে বিগত কয়েক বছর থেকে সমুদ্রসৈকতে বালুভর্তি জিও ব্যাগ এবং জিও টিউব বসাচ্ছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। তবে বাস্তবে এর সুফল মিলছে না, উল্টো দিন দিন সৈকতের সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে এ বছরও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কলাপাড়া ডিভিশন ২ কোটি ৬০ লাখ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে দুই কিলোমিটার এলাকায় আবারও জিও টিউব এবং জিও ব্যাগ স্থাপন করছে।
সরেজমিন সৈকতের জিরো পয়েন্ট এলাকায় দেখা গেছে, ভাটিতে ৪০ থেকে ৫০ মিটার দূরে বেশ কিছু জিও টিউব স্থাপন করেছে ও কিছু জিও ব্যাগ দেওয়া হয়েছে। তবে এসব টিউবে নির্দিষ্ট মানের বালু ভরার কথা থাকলেও বাস্তবে সৈকতের বালু দিয়েই টিউব এবং জিও ব্যাগ ভরাট করছেন সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার। ফলে সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্ট ছোট বড় গর্তের সৃষ্টি হচ্ছে।
চট্টগ্রামের সন্দীপ থেকে আগত পর্যটক বাদল রায় সাজিদ বলেন, ‘সৈকতের বালু দিয়ে যে বাঁধ নির্মাণ করা হচ্ছে এটা তো ক্ষণস্থায়ী, কিছুদিন পরে সমুদ্রে মিশে যাবে এ বাঁধ। এটা সরকারের শুধু শুধু অর্থ অপচয় ছাড়া কিছুই না। এতে সৈকতের সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে।’
এ বিষয়ে ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটার (টোয়াক) সভাপতি রুমান ইমতিয়াজ তুষার বলেন, ‘প্রতি বছর বর্ষা মৌসুম এলেই পানি উন্নয়ন বোর্ড বিচ রক্ষার নামে জিও টিউব ও জিও ব্যাগের অস্থায়ী প্রকল্প দেয়, যা সৈকতের কোনো কাজেই আসে না, উল্টো সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে। কুয়াকাটায় দরকার স্থায়ী কোনো প্রকল্প বিচ, এতে সৌন্দর্য বাড়বে। এখন যা করছে তা শুধু শুধু অর্থ অপচয়।’
এ ব্যাপারে কুয়াকাটা পৌরসভার মেয়র আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেন, ‘সৈকতের বালু কেটে জিও টিউব ভরে সৈকত রক্ষা করা যাবে না। সৈকত রক্ষায় যে প্রকল্প প্রতি বছর আসে এটা কোনো প্রকল্প নয়, বরং কুয়াকাটা নষ্ট হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে কুয়াকাটার ভবিষ্যৎ অন্ধকার।’
এ প্রসঙ্গে কলাপাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফ হোসেন বলেন, ‘জিও টিউব ও জিও ব্যাগে ৮০ ভাগ বালু দিতে হবে, সে ক্ষেত্রে সৈকতের বালু ব্যবহার করার কোনো সুযোগ নেই। আমরা খোঁজ নিয়ে দেখছি। যদি এ রকম হয়ে থাকে, তবে কাজ বন্ধ করে দেব।’
পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতে বালুভর্তি জিও টিউব ও জিও ব্যাগ দিয়ে উন্নয়ন করায় দিন দিন সৌন্দর্য হারাচ্ছে সমুদ্রসৈকত। আর এ জিও টিউব এবং জিও ব্যাগ ভর্তি করার জন্য বাইরে থেকে বালু এনে কাজ করার কথা থাকলেও প্রতি বছরই সৈকতের বালু ব্যবহার করে চলছে উন্নয়নকাজ। এতে সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে বড় বড় গর্ত হয়ে দিন দিন শ্রীহীন সৈকতে পরিণত হচ্ছে কুয়াকাটা।
এমন পরিস্থিতি দেখে স্থানীয়রা মনে করছেন, কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতের ভাঙন প্রতিরোধের অজুহাতে এ ধরনের অপরিকল্পিত উন্নয়নে প্রতি বছর সরকারের যেমন কোটি কোটি টাকা অর্থ অপচয় হচ্ছে, তেমনি কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত দিন দিন জরাজীর্ণ সৈকতে পরিণত হচ্ছে।
এদিকে কাজের তদারকির দায়িত্বে থাকা কলাপাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী শওকত ইকবাল মেহেরাজ বলেন, বিগত দিনে সৈকতের বালু দিয়েই কাজ করা হয়েছে। তবে এ বছর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত পরিমাপের বালু দিয়ে কাজ করার কথা। এ ক্ষেত্রে সৈকতের বালু ব্যবহারের কোনো সুযোগ নেই।
জানা গেছে, বর্ষা মৌসুমে উত্তাল সাগরের ঢেউ আছড়ে পড়ে সাগর পাড়ে। এ কারণে বিগত কয়েক বছর থেকে সমুদ্রসৈকতে বালুভর্তি জিও ব্যাগ এবং জিও টিউব বসাচ্ছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। তবে বাস্তবে এর সুফল মিলছে না, উল্টো দিন দিন সৈকতের সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে এ বছরও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কলাপাড়া ডিভিশন ২ কোটি ৬০ লাখ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে দুই কিলোমিটার এলাকায় আবারও জিও টিউব এবং জিও ব্যাগ স্থাপন করছে।
সরেজমিন সৈকতের জিরো পয়েন্ট এলাকায় দেখা গেছে, ভাটিতে ৪০ থেকে ৫০ মিটার দূরে বেশ কিছু জিও টিউব স্থাপন করেছে ও কিছু জিও ব্যাগ দেওয়া হয়েছে। তবে এসব টিউবে নির্দিষ্ট মানের বালু ভরার কথা থাকলেও বাস্তবে সৈকতের বালু দিয়েই টিউব এবং জিও ব্যাগ ভরাট করছেন সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার। ফলে সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্ট ছোট বড় গর্তের সৃষ্টি হচ্ছে।
চট্টগ্রামের সন্দীপ থেকে আগত পর্যটক বাদল রায় সাজিদ বলেন, ‘সৈকতের বালু দিয়ে যে বাঁধ নির্মাণ করা হচ্ছে এটা তো ক্ষণস্থায়ী, কিছুদিন পরে সমুদ্রে মিশে যাবে এ বাঁধ। এটা সরকারের শুধু শুধু অর্থ অপচয় ছাড়া কিছুই না। এতে সৈকতের সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে।’
এ বিষয়ে ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটার (টোয়াক) সভাপতি রুমান ইমতিয়াজ তুষার বলেন, ‘প্রতি বছর বর্ষা মৌসুম এলেই পানি উন্নয়ন বোর্ড বিচ রক্ষার নামে জিও টিউব ও জিও ব্যাগের অস্থায়ী প্রকল্প দেয়, যা সৈকতের কোনো কাজেই আসে না, উল্টো সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে। কুয়াকাটায় দরকার স্থায়ী কোনো প্রকল্প বিচ, এতে সৌন্দর্য বাড়বে। এখন যা করছে তা শুধু শুধু অর্থ অপচয়।’
এ ব্যাপারে কুয়াকাটা পৌরসভার মেয়র আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেন, ‘সৈকতের বালু কেটে জিও টিউব ভরে সৈকত রক্ষা করা যাবে না। সৈকত রক্ষায় যে প্রকল্প প্রতি বছর আসে এটা কোনো প্রকল্প নয়, বরং কুয়াকাটা নষ্ট হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে কুয়াকাটার ভবিষ্যৎ অন্ধকার।’
এ প্রসঙ্গে কলাপাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফ হোসেন বলেন, ‘জিও টিউব ও জিও ব্যাগে ৮০ ভাগ বালু দিতে হবে, সে ক্ষেত্রে সৈকতের বালু ব্যবহার করার কোনো সুযোগ নেই। আমরা খোঁজ নিয়ে দেখছি। যদি এ রকম হয়ে থাকে, তবে কাজ বন্ধ করে দেব।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে