সাজন আহম্মেদ পাপন, কিশোরগঞ্জ
কিশোরগঞ্জে গ্রেপ্তার-আতঙ্কে রয়েছেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। গত পাঁচ দিনে পাঁচ থানায় পাঁচটি মামলা হয়েছে। পাঁচটি উপজেলায় গতকাল রোববার এ প্রতিবেদন লেখা (সন্ধ্যা ৭টা) পর্যন্ত করা ওই সব মামরা ৯২ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা ২৬০ জন বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়। সন্ত্রাস দমন আইন, বিস্ফোরক দ্রব্য আইন ও পেনাল কোডের বিভিন্ন ধারায় মামলাগুলো করা হয়।
মামলায় এরই মধ্যে ২০ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তবে বিএনপির দাবি, ঢাকার সমাবেশে অংশ নেওয়া প্রতিহত করতে গায়েবি মামলা দিয়ে নেতা-কর্মীদের হয়রানি করা হচ্ছে।
জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. জালাল উদ্দিন বলেন, ১০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় ঢাকার সমাবেশে লোকসমাগম ঠেকানোর জন্য কিশোরগঞ্জ মডেল থানা, হোসেনপুর, করিমগঞ্জ, বাজিতপুর ও কুলিয়ারচরে পুলিশ বাদী হয়ে এসব গায়েবি মামলা দিয়েছে। মামলায় যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে, সেই ঘটনার কোনো অস্তিত্ব নেই। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। সেই সঙ্গে বিএনপির গ্রেপ্তার নেতা-কর্মীদের দ্রুত মুক্তি ও মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।
বিএনপির নেতাদের দাবি, ঢাকার সমাবেশে যেতে বাধা সৃষ্টি করতেই সরকারের নির্দেশে এসব মামলা করেছে পুলিশ। মামলাগুলোর অভিযোগও হুবহু মিলে যায়।
সর্বশেষ গত শনিবার হোসেনপুর উপজেলায় ককটেল নিক্ষেপসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা, পুলিশের গাড়ির সামনের গ্লাস ভাঙচুর ও চার পুলিশ সদস্যকে আহত করার অভিযোগে সাতজনকে আটক করে পুলিশ। পরে ২১ জনের নামোল্লেখ এবং ৮০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা করা হয়। একই দিনে কুলিয়ারচর উপজেলায় বিএনপির ২০ নেতা-কর্মীর নামোল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ৫০ জনকে আসামি করে মামলা হয়। কুলিয়ারচর উপজেলার জাফরাবাদ গ্রামের আওয়ামী লীগের কর্মী নাজিম উদ্দিন বাদী হয়ে মামলা করেন।
এর আগে করিমগঞ্জে পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ, পুলিশ সদস্যকে আহত করা, অবিস্ফোরিত ককটেল উদ্ধারের দাবি করে ১৪ জনের নামোল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা ৭০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে পুলিশ।
বাজিতপুর উপজেলায় গত বৃহস্পতিবার সাবেক সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান মঞ্জুর ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান মামুনসহ ১০ জনকে আটক করে পুলিশ। পরে ২১ জনের নামোল্লেখ এবং ৩৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে পুলিশ মামলা দেয়।
গত বুধবার রাতে জেলা শহরের শোলাকিয়া এলাকায় পুলিশের ওপর হামলা, ককটেল নিক্ষেপের অভিযোগে ১৬ জনের নামোল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ২৫ জনকে আসামি করে মামলা করে পুলিশ।
জেলা বিএনপির সভাপতি শরীফুল আলম বলেন, ‘প্রতিটি থানায় মামলা হচ্ছে। এটি সরকারের নতুন প্রকল্প। এগুলো গায়েবি মামলা।আমাদের আন্দোলনে সরকার ভীত। নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে, মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে এবং নেত্রীর মুক্তির দাবিতে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা মাঠে আছি—এ কারণে সরকার ভীত।’
জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ বলেন, ‘যেসব ঘটনা ঘটেছে, সেই অনুযায়ী পুলিশ ব্যবস্থা নিয়েছে। পুলিশ আইনগত প্রক্রিয়ার মধ্যেই রয়েছে।’
কিশোরগঞ্জে গ্রেপ্তার-আতঙ্কে রয়েছেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। গত পাঁচ দিনে পাঁচ থানায় পাঁচটি মামলা হয়েছে। পাঁচটি উপজেলায় গতকাল রোববার এ প্রতিবেদন লেখা (সন্ধ্যা ৭টা) পর্যন্ত করা ওই সব মামরা ৯২ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা ২৬০ জন বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়। সন্ত্রাস দমন আইন, বিস্ফোরক দ্রব্য আইন ও পেনাল কোডের বিভিন্ন ধারায় মামলাগুলো করা হয়।
মামলায় এরই মধ্যে ২০ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তবে বিএনপির দাবি, ঢাকার সমাবেশে অংশ নেওয়া প্রতিহত করতে গায়েবি মামলা দিয়ে নেতা-কর্মীদের হয়রানি করা হচ্ছে।
জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. জালাল উদ্দিন বলেন, ১০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় ঢাকার সমাবেশে লোকসমাগম ঠেকানোর জন্য কিশোরগঞ্জ মডেল থানা, হোসেনপুর, করিমগঞ্জ, বাজিতপুর ও কুলিয়ারচরে পুলিশ বাদী হয়ে এসব গায়েবি মামলা দিয়েছে। মামলায় যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে, সেই ঘটনার কোনো অস্তিত্ব নেই। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। সেই সঙ্গে বিএনপির গ্রেপ্তার নেতা-কর্মীদের দ্রুত মুক্তি ও মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।
বিএনপির নেতাদের দাবি, ঢাকার সমাবেশে যেতে বাধা সৃষ্টি করতেই সরকারের নির্দেশে এসব মামলা করেছে পুলিশ। মামলাগুলোর অভিযোগও হুবহু মিলে যায়।
সর্বশেষ গত শনিবার হোসেনপুর উপজেলায় ককটেল নিক্ষেপসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা, পুলিশের গাড়ির সামনের গ্লাস ভাঙচুর ও চার পুলিশ সদস্যকে আহত করার অভিযোগে সাতজনকে আটক করে পুলিশ। পরে ২১ জনের নামোল্লেখ এবং ৮০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা করা হয়। একই দিনে কুলিয়ারচর উপজেলায় বিএনপির ২০ নেতা-কর্মীর নামোল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ৫০ জনকে আসামি করে মামলা হয়। কুলিয়ারচর উপজেলার জাফরাবাদ গ্রামের আওয়ামী লীগের কর্মী নাজিম উদ্দিন বাদী হয়ে মামলা করেন।
এর আগে করিমগঞ্জে পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ, পুলিশ সদস্যকে আহত করা, অবিস্ফোরিত ককটেল উদ্ধারের দাবি করে ১৪ জনের নামোল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা ৭০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে পুলিশ।
বাজিতপুর উপজেলায় গত বৃহস্পতিবার সাবেক সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান মঞ্জুর ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান মামুনসহ ১০ জনকে আটক করে পুলিশ। পরে ২১ জনের নামোল্লেখ এবং ৩৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে পুলিশ মামলা দেয়।
গত বুধবার রাতে জেলা শহরের শোলাকিয়া এলাকায় পুলিশের ওপর হামলা, ককটেল নিক্ষেপের অভিযোগে ১৬ জনের নামোল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ২৫ জনকে আসামি করে মামলা করে পুলিশ।
জেলা বিএনপির সভাপতি শরীফুল আলম বলেন, ‘প্রতিটি থানায় মামলা হচ্ছে। এটি সরকারের নতুন প্রকল্প। এগুলো গায়েবি মামলা।আমাদের আন্দোলনে সরকার ভীত। নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে, মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে এবং নেত্রীর মুক্তির দাবিতে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা মাঠে আছি—এ কারণে সরকার ভীত।’
জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ বলেন, ‘যেসব ঘটনা ঘটেছে, সেই অনুযায়ী পুলিশ ব্যবস্থা নিয়েছে। পুলিশ আইনগত প্রক্রিয়ার মধ্যেই রয়েছে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে