ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির পর বাসের বর্ধিত ভাড়াও ঘোষণা করেছে সরকার। দূরপাল্লায় প্রতি কিলোমিটারে ৪০ পয়সা বাড়িয়ে ২ টাকা ২০ পয়সা করা হয়েছে। আর নগরীতে প্রতি কিলোমিটারে ভাড়া বেড়েছে ৩৫ পয়সা। নগরীতে আগে প্রতি কিলোমিটার ভাড়া ছিল ২ টাকা ১৫ পয়সা। বর্তমানে করা হয়েছে ২ টাকা ৫০ পয়সা। কিন্তু সরকার ঘোষিত ভাড়ার চেয়ে বেশি টাকা আদায় করছে পরিবহনগুলো।
সাধারণ মানুষ বলছেন, পরিবহন মালিকেরা সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে অতিরিক্ত টাকা আদায় করছে। তবে পরিবহন মালিকেরা তা অস্বীকার করছেন। জেলা প্রশাসন থেকে বলা হয়েছে, সরকার নির্ধারিত মূল্যের অতিরিক্ত ভাড়া কেউ নিতে পারবে না। যদি কেউ অতিরিক্ত ভাড়া নেয়, তাহলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নগরীর পাটগুদাম ব্রিজ বাসস্ট্যান্ড এবং মাসকান্দা বাস টার্মিনালে গিয়ে গতকাল জানা গেছে, ঢাকাগামী যাত্রীদের কাছ থেকে বাসে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। যাত্রীরা বলছেন, সরকার নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে অভ্যন্তরীণ ও আঞ্চলিক রুটে বাসের চালকেরা ৫০ থেকে ১০০ টাকা বেশি ভাড়া নিচ্ছে। এ নিয়ে তাদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডাও হচ্ছে। আরও জানা গেছে, ময়মনসিংহ থেকে ঢাকার দূরত্ব ১১৬ কিলোমিটার (ময়মনসিংহের মাসকান্দা থেকে মহাখালী বাস টার্মিনাল)। এ পথে একমাত্র উন্নতমানের বাস সার্ভিস হচ্ছে এনা পরিবহন। সরকার নির্ধারিত রেটে ভাড়া হওয়ার কথা ২৬০ টাকার মতো। কিন্তু নেওয়া হচ্ছে ৩৩০ টাকা।
নেত্রকোনা থেকে আসা সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘নেত্রকোনা থেকে ময়মনসিংহ আগে বাস ভাড়া ছিল ৫০ থেকে ৬০ টাকার মতো। আজকে ভাড়া দিতে হয়েছে ১০০ টাকা। ভাড়া এত অস্বাভাবিক যে, এখন দেয়ালে পিঠ টেকে গেছে। আমাদের সাধারণ মানুষের বলার এবং যাওয়ার কোনো জায়গা নেই।’
মাসকান্দায় এনা বাস কাউন্টারের ম্যানেজার রতন কুমার পণ্ডিত বলেন, ‘ময়মনসিংহ থেকে ঢাকাগামী একমাত্র উন্নতমানের সার্ভিস হচ্ছে এনা পরিবহন। আমরা সরকার নির্ধারিত রেটে ভাড়া নিচ্ছি। আমাদের বাসের সিট মূলত ৫২টি। একটু আরামদায়ক করার ৫২টি ভেঙে ৪০টি সিট করা হয়েছে। আমরা ৫২ সিট হিসাব করেই ভাড়া নিচ্ছি ৩৩০ টাকা।’
চাঁদ পরিবহনে ময়মনসিংহ থেকে ঢাকাগামী যাত্রী রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আগে ময়মনসিংহ থেকে ঢাকায় ২০০ টাকা ভাড়া দিয়ে চলাচল করতাম। এখন ৩০০ টাকা নিচ্ছে। সরকার ভাড়া বাড়ালেও এত টাকা হওয়ার কথা নয়। একেক বাস একেক রকম ভাড়া নিচ্ছে। জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির অজুহাতে তারা সাধারণ মানুষের সঙ্গে অন্যায় করছে। প্রশাসনের কোনো নজরদারিও আমরা দেখছি না।’ চালকের সহকারী রহমত আলী বলেন, ‘সরকার তেলের পর ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছে। এতে আমাদের দোষের কী? আমরা যাত্রীদের কাছে বাড়তি ভাড়া চাইলেই তারা ক্ষেপে যায়। এমনিতেই বাস চালিয়ে দিন শেষে খুব একটা লাভ থাকে না। ভাড়াটা সাধারণ যাত্রীদের সঙ্গে সমন্বয় করতে খুব কষ্ট হচ্ছে।’
ঢাকাগামী এনা পরিবহনের চালক আমিন মিয়া বলেন, ‘আমরা সরকার নির্ধারিত হারে ভাড়া বাড়িয়েছি। আগে ঢাকা যেতে ২৬০ টাকা ভাড়া লাগত। এখন তা বেড়ে হয়েছে ৩২০ টাকা। কারণ আমাদের জ্বালানিও কিনতে হচ্ছে বেশি দামে।’
চাঁদ পরিবহনের চালক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ময়মনসিংহ থেকে আগে ঢাকায় ২০০ থেকে ২৫০ টাকায় যাত্রী নিয়েছি। এখন জ্বালানি তেলের দাম অস্বাভাবিক ভাড়ায় ৩০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে।’
ময়মনসিংহ জেলা পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির পর নতুন ভাড়ায় গাড়ি চলছে। সরকার নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বেশি ভাড়া নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আমরা সবকিছু মনিটরিং করছি।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামূল হক বলেন, সরকার নির্ধারিত মূল্যের বাইরে কেউ অতিরিক্ত ভাড়া নিতে পারবে না। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিষয়টি দেখভালের জন্য। কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির পর বাসের বর্ধিত ভাড়াও ঘোষণা করেছে সরকার। দূরপাল্লায় প্রতি কিলোমিটারে ৪০ পয়সা বাড়িয়ে ২ টাকা ২০ পয়সা করা হয়েছে। আর নগরীতে প্রতি কিলোমিটারে ভাড়া বেড়েছে ৩৫ পয়সা। নগরীতে আগে প্রতি কিলোমিটার ভাড়া ছিল ২ টাকা ১৫ পয়সা। বর্তমানে করা হয়েছে ২ টাকা ৫০ পয়সা। কিন্তু সরকার ঘোষিত ভাড়ার চেয়ে বেশি টাকা আদায় করছে পরিবহনগুলো।
সাধারণ মানুষ বলছেন, পরিবহন মালিকেরা সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে অতিরিক্ত টাকা আদায় করছে। তবে পরিবহন মালিকেরা তা অস্বীকার করছেন। জেলা প্রশাসন থেকে বলা হয়েছে, সরকার নির্ধারিত মূল্যের অতিরিক্ত ভাড়া কেউ নিতে পারবে না। যদি কেউ অতিরিক্ত ভাড়া নেয়, তাহলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নগরীর পাটগুদাম ব্রিজ বাসস্ট্যান্ড এবং মাসকান্দা বাস টার্মিনালে গিয়ে গতকাল জানা গেছে, ঢাকাগামী যাত্রীদের কাছ থেকে বাসে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। যাত্রীরা বলছেন, সরকার নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে অভ্যন্তরীণ ও আঞ্চলিক রুটে বাসের চালকেরা ৫০ থেকে ১০০ টাকা বেশি ভাড়া নিচ্ছে। এ নিয়ে তাদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডাও হচ্ছে। আরও জানা গেছে, ময়মনসিংহ থেকে ঢাকার দূরত্ব ১১৬ কিলোমিটার (ময়মনসিংহের মাসকান্দা থেকে মহাখালী বাস টার্মিনাল)। এ পথে একমাত্র উন্নতমানের বাস সার্ভিস হচ্ছে এনা পরিবহন। সরকার নির্ধারিত রেটে ভাড়া হওয়ার কথা ২৬০ টাকার মতো। কিন্তু নেওয়া হচ্ছে ৩৩০ টাকা।
নেত্রকোনা থেকে আসা সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘নেত্রকোনা থেকে ময়মনসিংহ আগে বাস ভাড়া ছিল ৫০ থেকে ৬০ টাকার মতো। আজকে ভাড়া দিতে হয়েছে ১০০ টাকা। ভাড়া এত অস্বাভাবিক যে, এখন দেয়ালে পিঠ টেকে গেছে। আমাদের সাধারণ মানুষের বলার এবং যাওয়ার কোনো জায়গা নেই।’
মাসকান্দায় এনা বাস কাউন্টারের ম্যানেজার রতন কুমার পণ্ডিত বলেন, ‘ময়মনসিংহ থেকে ঢাকাগামী একমাত্র উন্নতমানের সার্ভিস হচ্ছে এনা পরিবহন। আমরা সরকার নির্ধারিত রেটে ভাড়া নিচ্ছি। আমাদের বাসের সিট মূলত ৫২টি। একটু আরামদায়ক করার ৫২টি ভেঙে ৪০টি সিট করা হয়েছে। আমরা ৫২ সিট হিসাব করেই ভাড়া নিচ্ছি ৩৩০ টাকা।’
চাঁদ পরিবহনে ময়মনসিংহ থেকে ঢাকাগামী যাত্রী রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আগে ময়মনসিংহ থেকে ঢাকায় ২০০ টাকা ভাড়া দিয়ে চলাচল করতাম। এখন ৩০০ টাকা নিচ্ছে। সরকার ভাড়া বাড়ালেও এত টাকা হওয়ার কথা নয়। একেক বাস একেক রকম ভাড়া নিচ্ছে। জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির অজুহাতে তারা সাধারণ মানুষের সঙ্গে অন্যায় করছে। প্রশাসনের কোনো নজরদারিও আমরা দেখছি না।’ চালকের সহকারী রহমত আলী বলেন, ‘সরকার তেলের পর ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছে। এতে আমাদের দোষের কী? আমরা যাত্রীদের কাছে বাড়তি ভাড়া চাইলেই তারা ক্ষেপে যায়। এমনিতেই বাস চালিয়ে দিন শেষে খুব একটা লাভ থাকে না। ভাড়াটা সাধারণ যাত্রীদের সঙ্গে সমন্বয় করতে খুব কষ্ট হচ্ছে।’
ঢাকাগামী এনা পরিবহনের চালক আমিন মিয়া বলেন, ‘আমরা সরকার নির্ধারিত হারে ভাড়া বাড়িয়েছি। আগে ঢাকা যেতে ২৬০ টাকা ভাড়া লাগত। এখন তা বেড়ে হয়েছে ৩২০ টাকা। কারণ আমাদের জ্বালানিও কিনতে হচ্ছে বেশি দামে।’
চাঁদ পরিবহনের চালক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ময়মনসিংহ থেকে আগে ঢাকায় ২০০ থেকে ২৫০ টাকায় যাত্রী নিয়েছি। এখন জ্বালানি তেলের দাম অস্বাভাবিক ভাড়ায় ৩০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে।’
ময়মনসিংহ জেলা পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির পর নতুন ভাড়ায় গাড়ি চলছে। সরকার নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বেশি ভাড়া নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আমরা সবকিছু মনিটরিং করছি।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামূল হক বলেন, সরকার নির্ধারিত মূল্যের বাইরে কেউ অতিরিক্ত ভাড়া নিতে পারবে না। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিষয়টি দেখভালের জন্য। কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে