বান্দরবান প্রতিনিধি
পার্বত্য চট্টগ্রামের একমাত্র খেতাবধারী বীর মুক্তিযোদ্ধা ইউকে চিং বীর বিক্রমকে পাহাড়ের অহংকার বলে মন্তব্য করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রী ও বান্দরবানের সংসদ সদস্য বীর বাহাদুর উশৈসিং।
বীর মুক্তিযোদ্ধা ইউকে চিংয়ের নব্বইতম জন্মবার্ষিকী উদ্যাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বীর বাহাদুর এসব কথা বলেন। গতকাল শুক্রবার বিকেলে বান্দরবান ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট (কেএসআই) মিলনায়তনে এই অনুষ্ঠান হয়।
সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ ও কেএসআই যৌথভাবে উৎসবের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে ‘গেস্ট অব অনার’ হিসেবে বক্তব্য দেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ইউকে চিং বীর বিক্রমের সহধর্মিণী ড থুই সা নু মারমা। শুরুতে তাঁকে সম্মাননা জানান পার্বত্যমন্ত্রী।
পার্বত্যমন্ত্রী বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধে সম্মুখসারিতে থেকে যুদ্ধ করেছেন, লড়াই-সংগ্রাম করে দেশকে স্বাধীন করেছেন, বিজয় এনে দিয়েছেন, তা আমাদের জন্য এক গৌরবের। পার্বত্য চট্টগ্রামের একমাত্র খেতাবধারী বীর মুক্তিযোদ্ধা ইউকে চিং বীর বিক্রম আমাদের অহংকার।’
বীর বাহাদুর বলেন, ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা ইউকে চিং শুধু পার্বত্য চট্টগ্রামের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী নয়, পুরো দেশের সব ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মধ্যে তিনিই একমাত্র বীর বিক্রম খেতাবধারী। এটা বান্দরবানবাসীর জন্য অত্যন্ত গর্ব ও গৌরবের। জীবনের মায়া ত্যাগ করে ইউকে চিং মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। আজ এই বীর মুক্তিযোদ্ধাকে মর্যাদা দিতে পেরে আমরা গর্বিত। তবে জীবদ্দশায় তাঁকে এই সম্মান জানাতে পারলে আরও ভালো হতো।’
বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ডিজিএফআই জেলা শাখার কমান্ডার কর্নেল মো. ফারুকুজ্জামান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সুরাইয়া আক্তার সুইটি, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অশোক কুমার পাল, কেএসআই পরিচালক মং নু চিং, সাংবাদিক মনিরুল ইসলাম মনু, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রাজু মং মারমা ও রাজবিলা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ক্যঅংপ্রু মারমা।
অনুষ্ঠানে ইউকে চিং বীর বিক্রমের জীবনী নিয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বান্দরবান ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজের সহকারী প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ ইয়াকুব। এতে জানা যায়, ইউকে চিংয়ের জন্ম ১৯৩২ সালের ৫ মে বান্দরবান সদরের উজানীপাড়া এলাকায়। পরে তিনি জেলা সদরের লাঙ্গিপাড়ায় বসবাস শুরু করেন। ১৯৫২ সালে তৎকালীন ইপিআরে যোগ দেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি রংপুরে কর্মরত ছিলেন। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে ইউকে চিং পাকিস্তান সরকারের চাকরি এবং নির্দেশ অমান্য করে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। এতে অসামান্য অবদানের জন্য তাঁকে বীর বিক্রম খেতাবে ভূষিত করে সরকার। ২০১৪ সালের ২৫ জুলাই বীর মুক্তিযোদ্ধা ইউকে চিং বীর বিক্রম প্রয়াত হন।
শুরুতে কেএসআই প্রাঙ্গণে ফেস্টুন ও পায়রা উড়িয়ে উৎসবের উদ্বোধন করেন পার্বত্যমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিংসহ অতিথিরা। অনুষ্ঠানে কেএসআইয়ের ৫২ শিশু জাতীয় সংগীত পরিবেশন করে। পরে ইউকে চিং বীর বিক্রমের ৯০তম জন্মবার্ষিকীর কেক কাটা হয়।
পার্বত্য চট্টগ্রামের একমাত্র খেতাবধারী বীর মুক্তিযোদ্ধা ইউকে চিং বীর বিক্রমকে পাহাড়ের অহংকার বলে মন্তব্য করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রী ও বান্দরবানের সংসদ সদস্য বীর বাহাদুর উশৈসিং।
বীর মুক্তিযোদ্ধা ইউকে চিংয়ের নব্বইতম জন্মবার্ষিকী উদ্যাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বীর বাহাদুর এসব কথা বলেন। গতকাল শুক্রবার বিকেলে বান্দরবান ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট (কেএসআই) মিলনায়তনে এই অনুষ্ঠান হয়।
সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ ও কেএসআই যৌথভাবে উৎসবের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে ‘গেস্ট অব অনার’ হিসেবে বক্তব্য দেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ইউকে চিং বীর বিক্রমের সহধর্মিণী ড থুই সা নু মারমা। শুরুতে তাঁকে সম্মাননা জানান পার্বত্যমন্ত্রী।
পার্বত্যমন্ত্রী বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধে সম্মুখসারিতে থেকে যুদ্ধ করেছেন, লড়াই-সংগ্রাম করে দেশকে স্বাধীন করেছেন, বিজয় এনে দিয়েছেন, তা আমাদের জন্য এক গৌরবের। পার্বত্য চট্টগ্রামের একমাত্র খেতাবধারী বীর মুক্তিযোদ্ধা ইউকে চিং বীর বিক্রম আমাদের অহংকার।’
বীর বাহাদুর বলেন, ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা ইউকে চিং শুধু পার্বত্য চট্টগ্রামের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী নয়, পুরো দেশের সব ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মধ্যে তিনিই একমাত্র বীর বিক্রম খেতাবধারী। এটা বান্দরবানবাসীর জন্য অত্যন্ত গর্ব ও গৌরবের। জীবনের মায়া ত্যাগ করে ইউকে চিং মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। আজ এই বীর মুক্তিযোদ্ধাকে মর্যাদা দিতে পেরে আমরা গর্বিত। তবে জীবদ্দশায় তাঁকে এই সম্মান জানাতে পারলে আরও ভালো হতো।’
বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ডিজিএফআই জেলা শাখার কমান্ডার কর্নেল মো. ফারুকুজ্জামান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সুরাইয়া আক্তার সুইটি, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অশোক কুমার পাল, কেএসআই পরিচালক মং নু চিং, সাংবাদিক মনিরুল ইসলাম মনু, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রাজু মং মারমা ও রাজবিলা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ক্যঅংপ্রু মারমা।
অনুষ্ঠানে ইউকে চিং বীর বিক্রমের জীবনী নিয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বান্দরবান ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজের সহকারী প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ ইয়াকুব। এতে জানা যায়, ইউকে চিংয়ের জন্ম ১৯৩২ সালের ৫ মে বান্দরবান সদরের উজানীপাড়া এলাকায়। পরে তিনি জেলা সদরের লাঙ্গিপাড়ায় বসবাস শুরু করেন। ১৯৫২ সালে তৎকালীন ইপিআরে যোগ দেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি রংপুরে কর্মরত ছিলেন। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে ইউকে চিং পাকিস্তান সরকারের চাকরি এবং নির্দেশ অমান্য করে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। এতে অসামান্য অবদানের জন্য তাঁকে বীর বিক্রম খেতাবে ভূষিত করে সরকার। ২০১৪ সালের ২৫ জুলাই বীর মুক্তিযোদ্ধা ইউকে চিং বীর বিক্রম প্রয়াত হন।
শুরুতে কেএসআই প্রাঙ্গণে ফেস্টুন ও পায়রা উড়িয়ে উৎসবের উদ্বোধন করেন পার্বত্যমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিংসহ অতিথিরা। অনুষ্ঠানে কেএসআইয়ের ৫২ শিশু জাতীয় সংগীত পরিবেশন করে। পরে ইউকে চিং বীর বিক্রমের ৯০তম জন্মবার্ষিকীর কেক কাটা হয়।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে