হিমেল চাকমা, রাঙামাটি
পার্বত্য চুক্তির পর রাঙামাটির দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় বহু সড়ক ও সেতু নির্মাণ করেছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। এতে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। আয় বেড়েছে মানুষের।
রাঙামাটির ভেদভেদী-রাঙাপানি ভায়া তবলছড়ি সড়ক, আসামবস্তি-কাপ্তাই সড়ক, ঘাগড়া-জুনুমাছড়া ভায়া কাউখালী সড়ক, কাপ্তাই উপজেলা কারিগর পাড়া-রাজস্থলী সড়ক, ঘিলাছড়ি সমাজকল্যাণ-রামহরি পাড়া ভায়া বুড়িঘাট সড়কগুলো জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনে বড় ভূমি রাখছে।
রাঙামাটি-আসামবস্তি-কাপ্তাই সড়কটি এখন রীতিমতো পর্যটনকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। আঁকাবাঁকা, উঁচু-নিচু পাহাড় বেয়ে গেছে সড়ক। পথে একদিকে পাহাড়, অন্যদিকে কাপ্তাই হ্রদের নীল পানি পর্যটকদের মুগ্ধ করে। সড়কটি ঘিরে গড়ে উঠেছে অনেক রিসোর্ট।
বড়াদাম গ্রামের পলাশ চাকমা (৪৫) বলেন, ‘সড়কটি হওয়ার আগে আমাদের উৎপাদিত মালামাল বাজারে নিতে কষ্ট হতো। বাজারে গিয়ে যে দামে বিক্রি হতো, তার চেয়ে পরিশ্রম করতে হতো বেশি। সড়কটি হওয়ায় আমাদের মালামাল রাঙামাটির ব্যবসায়ীরা এসে নিয়ে যাচ্ছেন। বিকেলে রাঙামাটি শহর থেকে অনেক মানুষ আসছেন। আমাদের বাড়ির আঙিনায় উৎপাদিত ফল ও সবজি রাস্তায় আনলে তা বিক্রি হচ্ছে। এতে আমাদের আয় বেড়েছে।’
এলজিইডির তথ্যমতে, পাঁচটি পল্লি অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ৩৫৯ দশমিক ৭২ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৫৮ কিলোমিটার কাজ শেষ হয়েছে। এর মধ্যে সেতু রয়েছে ২ হাজার ৩৪৮ মিটার। আরও ১ হাজার ৫৪০ মিটার সেতুর কাজ চলমান।
রাঙামাটি সদর উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী রনি সাহা বলেন, কাপ্তাইয়ে ২ দশমিক ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে কাপ্তাই উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হচ্ছে। ২ দশমিক ২০ কোটি টাকা ব্যয়ে কাউখালী, বাঘাইছড়ি, জুরাছড়ি ও বরকল উপজেলায় ভূমিহীন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আবাসন নির্মাণ করে দেওয়া হচ্ছে।
৮ কোটি টাকা ব্যয়ে লংগদুর কালাপাগুজ্যা, মাহিল্যা, রাজস্থলী বাজার, ঘিলাছড়ি বাজারে হাটবাজার উন্নয়নে কাজ করা হচ্ছে। ৫ দশমিক ২৬ কোটি টাকা ব্যয়ে মসজিদ, মন্দির কিয়াং, শ্মশান, কবরস্থান উন্নয়নের কাজ করা হয়েছে। ৪ দশমিক ২৯ কোটি টাকা ব্যয়ে কাপ্তাই উপজেলা কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হয়েছে। ১৮ কোটি টাকা ব্যয়ে বরকল, বিলাইছড়ি, রাঙামাটি সদর উপজেলা কমপ্লেক্সের কাজ চলছে। নন-পৌরসভা শহর উন্নয়ন করতে ৭ দশমিক ২০ কোটি টাকা ব্যয়ে কাপ্তাই ও লংগদু উপজেলায় কাজ চলছে।
প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ১৬৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ২৮২ ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। প্রায় ১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ২২টি ইউপি কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণকাজ শেষের দিকে। রাঙামাটির কাপ্তাই-কারিগরপাড়া-রাজস্থলী উপজেলা সদর পর্যন্ত ৩৩৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪৪ কিলোমিটার সড়ক, কালভার্ট, সেতু নির্মাণের কাজ শিগগির শুরু হবে বলে জানান রনি সাহা।
রাঙামাটি সাংসদ দীপংকর তালুকদার বলেন, ১৯৯৭ সালে পার্বত্য চুক্তির পর পাহাড়ে সরকার ব্যাপক উন্নয়ন করেছে। এর সুফল এখন পাহাড়ের মানুষ পাচ্ছে।
পার্বত্য চুক্তির পর রাঙামাটির দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় বহু সড়ক ও সেতু নির্মাণ করেছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। এতে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। আয় বেড়েছে মানুষের।
রাঙামাটির ভেদভেদী-রাঙাপানি ভায়া তবলছড়ি সড়ক, আসামবস্তি-কাপ্তাই সড়ক, ঘাগড়া-জুনুমাছড়া ভায়া কাউখালী সড়ক, কাপ্তাই উপজেলা কারিগর পাড়া-রাজস্থলী সড়ক, ঘিলাছড়ি সমাজকল্যাণ-রামহরি পাড়া ভায়া বুড়িঘাট সড়কগুলো জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনে বড় ভূমি রাখছে।
রাঙামাটি-আসামবস্তি-কাপ্তাই সড়কটি এখন রীতিমতো পর্যটনকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। আঁকাবাঁকা, উঁচু-নিচু পাহাড় বেয়ে গেছে সড়ক। পথে একদিকে পাহাড়, অন্যদিকে কাপ্তাই হ্রদের নীল পানি পর্যটকদের মুগ্ধ করে। সড়কটি ঘিরে গড়ে উঠেছে অনেক রিসোর্ট।
বড়াদাম গ্রামের পলাশ চাকমা (৪৫) বলেন, ‘সড়কটি হওয়ার আগে আমাদের উৎপাদিত মালামাল বাজারে নিতে কষ্ট হতো। বাজারে গিয়ে যে দামে বিক্রি হতো, তার চেয়ে পরিশ্রম করতে হতো বেশি। সড়কটি হওয়ায় আমাদের মালামাল রাঙামাটির ব্যবসায়ীরা এসে নিয়ে যাচ্ছেন। বিকেলে রাঙামাটি শহর থেকে অনেক মানুষ আসছেন। আমাদের বাড়ির আঙিনায় উৎপাদিত ফল ও সবজি রাস্তায় আনলে তা বিক্রি হচ্ছে। এতে আমাদের আয় বেড়েছে।’
এলজিইডির তথ্যমতে, পাঁচটি পল্লি অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ৩৫৯ দশমিক ৭২ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৫৮ কিলোমিটার কাজ শেষ হয়েছে। এর মধ্যে সেতু রয়েছে ২ হাজার ৩৪৮ মিটার। আরও ১ হাজার ৫৪০ মিটার সেতুর কাজ চলমান।
রাঙামাটি সদর উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী রনি সাহা বলেন, কাপ্তাইয়ে ২ দশমিক ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে কাপ্তাই উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হচ্ছে। ২ দশমিক ২০ কোটি টাকা ব্যয়ে কাউখালী, বাঘাইছড়ি, জুরাছড়ি ও বরকল উপজেলায় ভূমিহীন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আবাসন নির্মাণ করে দেওয়া হচ্ছে।
৮ কোটি টাকা ব্যয়ে লংগদুর কালাপাগুজ্যা, মাহিল্যা, রাজস্থলী বাজার, ঘিলাছড়ি বাজারে হাটবাজার উন্নয়নে কাজ করা হচ্ছে। ৫ দশমিক ২৬ কোটি টাকা ব্যয়ে মসজিদ, মন্দির কিয়াং, শ্মশান, কবরস্থান উন্নয়নের কাজ করা হয়েছে। ৪ দশমিক ২৯ কোটি টাকা ব্যয়ে কাপ্তাই উপজেলা কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হয়েছে। ১৮ কোটি টাকা ব্যয়ে বরকল, বিলাইছড়ি, রাঙামাটি সদর উপজেলা কমপ্লেক্সের কাজ চলছে। নন-পৌরসভা শহর উন্নয়ন করতে ৭ দশমিক ২০ কোটি টাকা ব্যয়ে কাপ্তাই ও লংগদু উপজেলায় কাজ চলছে।
প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ১৬৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ২৮২ ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। প্রায় ১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ২২টি ইউপি কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণকাজ শেষের দিকে। রাঙামাটির কাপ্তাই-কারিগরপাড়া-রাজস্থলী উপজেলা সদর পর্যন্ত ৩৩৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪৪ কিলোমিটার সড়ক, কালভার্ট, সেতু নির্মাণের কাজ শিগগির শুরু হবে বলে জানান রনি সাহা।
রাঙামাটি সাংসদ দীপংকর তালুকদার বলেন, ১৯৯৭ সালে পার্বত্য চুক্তির পর পাহাড়ে সরকার ব্যাপক উন্নয়ন করেছে। এর সুফল এখন পাহাড়ের মানুষ পাচ্ছে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে