বেলাল হোসেন, জাবি
দেশের একমাত্র আবাসিক উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি)। যেখানে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী সবার আবাসন ব্যবস্থা থাকার কথা। তবে শিক্ষার্থীদের আবাসনসংকট প্রকট হলেও খালি পড়ে থাকছে শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বাসা। এতে করে বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষতি হচ্ছে প্রায় আড়াই কোটি টাকা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার (টিচিং) মোহাম্মদ আলী জানিয়েছেন, বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক সংখ্যা ৭০১ জন। এর মধ্যে শিক্ষা ছুটিতে আছেন প্রায় ১০০ জন শিক্ষক। আর বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার (এস্টেট) আবদুর রহমান জানান, শিক্ষা ছুটি ছাড়া প্রায় ৬০০ জন শিক্ষক রয়েছেন। তবে এর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোয়ার্টারে মাত্র দুই শ’র মতো শিক্ষক অবস্থান করছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পট্রোলার অফিসের তথ্য মতে, শিক্ষক ও কর্মকর্তারা মোট বেতনের সঙ্গে অতিরিক্ত ৫০ শতাংশ বাড়ি ভাড়া পেয়ে থাকেন। তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীরা বেতনের সঙ্গে ৫৫ শতাংশ এবং চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা ৬৫ শতাংশ বাড়ি ভাড়া পান। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোয়ার্টার থাকলে তাঁদের বাড়ি ভাড়ার টাকা দেওয়া হয় না।
এ টাকা কেটে রাখা হয়। সে হিসেবে এতগুলো বাসা খালি থাকায় বছরে বিশাল অঙ্কের রাজস্ব হারাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও সহযোগী অধ্যাপকদের আবাসনের জন্য ‘এ’ টাইপ ২৪টি ও ‘বি’ টাইপ ৬২টি বাসা আছে। এর মধ্যে ২৩টি বাসা এখন খালি। অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক ও ডেপুটি রেজিস্ট্রার পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের জন্য ‘সি’ টাইপ বাসা রয়েছে ৭৪টি।
এর মধ্যে ২৪টি খালি পড়ে আছে। সহকারী অধ্যাপক, প্রভাষক ও প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তাদের ‘ডি’ টাইপ ১০০টি বাসার ২০টি বাসা খালি রয়েছে। এ ছাড়া তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের জন্য ‘ই’ এবং ‘এফ’ টাইপের ২১৪টি বাসার মধ্যে ৯২টি খালি। এদিকে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অভিযোগ, অধিক ভাড়া ও কোয়ার্টারের অবস্থা অনুন্নত হওয়ায় তাঁরা বাইরে থাকছেন।
জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের একটি অংশ বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী অরুণাপল্লী এলাকায় জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভার্সিটি কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি লিমিটেডে থাকেন। অপর একটি অংশ সাভারের ভাটপাড়া এলাকায় ‘জাহাঙ্গীরনগর কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি লিমিটেড’ নামের দুটি সমিতি করে থাকছেন। যেখানে স্থায়ী এবং অস্থায়ী (ভাড়া) হিসেবে প্রায় দেড় শ জনের মতো শিক্ষক থাকছেন। এ ছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের সংলগ্ন এলাকাগুলোতেও শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একটি বড় অংশ বসবাস করছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, দুই উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ, রেজিস্ট্রার, হল প্রাধ্যক্ষদের জন্য বরাদ্দকৃত কোয়ার্টার থাকে। তাঁদের সবাইকে বরাদ্দকৃত বাসায় থাকা বাধ্যতামূলক বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) তাঁর বরাদ্দকৃত (ইয়ার মার্ক) বাসায় থাকেন না। বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬টি হলের মধ্যে নয়টি হলের প্রাধ্যক্ষদের জন্য বাসা নেই। আবার বাকি সাতটি হলের কেউ কেউ তাঁদের বরাদ্দকৃত বাসায় থাকছেন না।
এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বড় একটি অংশ আবাসিক বাসায় থাকছেন না। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক এ এ মামুন বলেন, অনেক শিক্ষক বাইরে বাড়ি তৈরি করে থাকছেন। আবার বাইরে তুলনামূলক কম বাড়ি ভাড়া দিয়ে অনেকে থাকেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক আগে তৈরি এই বাসাগুলো জীবনযাত্রার মানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। বাসাগুলোর আধুনিকায়ন দরকার। কোয়ার্টারে ভাড়া থাকছেন শিক্ষার্থীরা: করোনায় বন্ধ রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল।
এই সুযোগে কর্মচারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশমাইল এলাকার কোয়ার্টারগুলো শিক্ষার্থীসহ চাকরিজীবী ও বাইরের মানুষের কাছে ভাড়া দিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সরেজমিনে কয়েকটি কোয়ার্টারে শিক্ষার্থীসহ বাইরের মানুষকে বসবাস করতে দেখা যায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকলেও টিউশনির জন্য এখানে থাকা লাগছে।
বাইরে বাসা ভাড়া না পেয়ে এক বন্ধুর মাধ্যমে জানতে পারি কর্মচারীদের ব্যাচেলর কোয়ার্টারে ভাড়া থাকা যাচ্ছে। পরে এক বন্ধুর সঙ্গে যোগাযোগ করে এখানে উঠেছি।’ কর্মচারী সমিতির সভাপতি মনির হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ‘কোনো কর্মচারী বাসা ভাড়া দিচ্ছেন বলে জানতে পারিনি। তবে খোঁজ নিয়ে দেখব।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ বলেন, ‘কোয়ার্টারগুলো যখন তৈরি হয় তখন পুরোনো মডেলে তৈরি হয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশের এলাকায় উন্নতমানের বিল্ডিং তৈরি হওয়াতে শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আশপাশের এলাকাতেই থাকেন বেশি। আবার অনেকে নিজস্ব বাসা তৈরি করেছেন। এদিক থেকে ক্ষতি তো কিছু আছেই।’ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম বলেন, আমাদের পুরোনো বাসাগুলোর অবস্থা ভালো না। নতুনগুলো ভালো।
পুরোনোগুলোর ভাড়া বেশি আর আর নতুনগুলোর কম। তাই অনেকেই থাকছেন না। আবার অনেকেই নিজেদের বাসা তৈরি করেছেন। আমরা সরকারকে জানিয়েছি। বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। আমরা এর জন্য একটি কমিটি করেছি। বাসাগুলোর সার্বিক পরিস্থিতি জেনে পরবর্তী চিন্তা করব।’
বাসা ফাঁকা সত্ত্বেও উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য নতুন কোয়ার্টার নির্মাণের বিষয়ে উপাচার্য বলেন, ‘তাঁদের জন্য অল্প কয়েকটি বাসা নির্মাণের কথা রয়েছে। এগুলো ভালো মানের বাসা হবে। তখন তাঁরা সেখানে ভাড়া দিয়ে থাকবেন।’
দেশের একমাত্র আবাসিক উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি)। যেখানে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী সবার আবাসন ব্যবস্থা থাকার কথা। তবে শিক্ষার্থীদের আবাসনসংকট প্রকট হলেও খালি পড়ে থাকছে শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বাসা। এতে করে বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষতি হচ্ছে প্রায় আড়াই কোটি টাকা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার (টিচিং) মোহাম্মদ আলী জানিয়েছেন, বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক সংখ্যা ৭০১ জন। এর মধ্যে শিক্ষা ছুটিতে আছেন প্রায় ১০০ জন শিক্ষক। আর বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার (এস্টেট) আবদুর রহমান জানান, শিক্ষা ছুটি ছাড়া প্রায় ৬০০ জন শিক্ষক রয়েছেন। তবে এর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোয়ার্টারে মাত্র দুই শ’র মতো শিক্ষক অবস্থান করছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পট্রোলার অফিসের তথ্য মতে, শিক্ষক ও কর্মকর্তারা মোট বেতনের সঙ্গে অতিরিক্ত ৫০ শতাংশ বাড়ি ভাড়া পেয়ে থাকেন। তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীরা বেতনের সঙ্গে ৫৫ শতাংশ এবং চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা ৬৫ শতাংশ বাড়ি ভাড়া পান। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোয়ার্টার থাকলে তাঁদের বাড়ি ভাড়ার টাকা দেওয়া হয় না।
এ টাকা কেটে রাখা হয়। সে হিসেবে এতগুলো বাসা খালি থাকায় বছরে বিশাল অঙ্কের রাজস্ব হারাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও সহযোগী অধ্যাপকদের আবাসনের জন্য ‘এ’ টাইপ ২৪টি ও ‘বি’ টাইপ ৬২টি বাসা আছে। এর মধ্যে ২৩টি বাসা এখন খালি। অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক ও ডেপুটি রেজিস্ট্রার পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের জন্য ‘সি’ টাইপ বাসা রয়েছে ৭৪টি।
এর মধ্যে ২৪টি খালি পড়ে আছে। সহকারী অধ্যাপক, প্রভাষক ও প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তাদের ‘ডি’ টাইপ ১০০টি বাসার ২০টি বাসা খালি রয়েছে। এ ছাড়া তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের জন্য ‘ই’ এবং ‘এফ’ টাইপের ২১৪টি বাসার মধ্যে ৯২টি খালি। এদিকে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অভিযোগ, অধিক ভাড়া ও কোয়ার্টারের অবস্থা অনুন্নত হওয়ায় তাঁরা বাইরে থাকছেন।
জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের একটি অংশ বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী অরুণাপল্লী এলাকায় জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভার্সিটি কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি লিমিটেডে থাকেন। অপর একটি অংশ সাভারের ভাটপাড়া এলাকায় ‘জাহাঙ্গীরনগর কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি লিমিটেড’ নামের দুটি সমিতি করে থাকছেন। যেখানে স্থায়ী এবং অস্থায়ী (ভাড়া) হিসেবে প্রায় দেড় শ জনের মতো শিক্ষক থাকছেন। এ ছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের সংলগ্ন এলাকাগুলোতেও শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একটি বড় অংশ বসবাস করছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, দুই উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ, রেজিস্ট্রার, হল প্রাধ্যক্ষদের জন্য বরাদ্দকৃত কোয়ার্টার থাকে। তাঁদের সবাইকে বরাদ্দকৃত বাসায় থাকা বাধ্যতামূলক বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) তাঁর বরাদ্দকৃত (ইয়ার মার্ক) বাসায় থাকেন না। বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬টি হলের মধ্যে নয়টি হলের প্রাধ্যক্ষদের জন্য বাসা নেই। আবার বাকি সাতটি হলের কেউ কেউ তাঁদের বরাদ্দকৃত বাসায় থাকছেন না।
এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বড় একটি অংশ আবাসিক বাসায় থাকছেন না। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক এ এ মামুন বলেন, অনেক শিক্ষক বাইরে বাড়ি তৈরি করে থাকছেন। আবার বাইরে তুলনামূলক কম বাড়ি ভাড়া দিয়ে অনেকে থাকেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক আগে তৈরি এই বাসাগুলো জীবনযাত্রার মানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। বাসাগুলোর আধুনিকায়ন দরকার। কোয়ার্টারে ভাড়া থাকছেন শিক্ষার্থীরা: করোনায় বন্ধ রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল।
এই সুযোগে কর্মচারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশমাইল এলাকার কোয়ার্টারগুলো শিক্ষার্থীসহ চাকরিজীবী ও বাইরের মানুষের কাছে ভাড়া দিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সরেজমিনে কয়েকটি কোয়ার্টারে শিক্ষার্থীসহ বাইরের মানুষকে বসবাস করতে দেখা যায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকলেও টিউশনির জন্য এখানে থাকা লাগছে।
বাইরে বাসা ভাড়া না পেয়ে এক বন্ধুর মাধ্যমে জানতে পারি কর্মচারীদের ব্যাচেলর কোয়ার্টারে ভাড়া থাকা যাচ্ছে। পরে এক বন্ধুর সঙ্গে যোগাযোগ করে এখানে উঠেছি।’ কর্মচারী সমিতির সভাপতি মনির হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ‘কোনো কর্মচারী বাসা ভাড়া দিচ্ছেন বলে জানতে পারিনি। তবে খোঁজ নিয়ে দেখব।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ বলেন, ‘কোয়ার্টারগুলো যখন তৈরি হয় তখন পুরোনো মডেলে তৈরি হয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশের এলাকায় উন্নতমানের বিল্ডিং তৈরি হওয়াতে শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আশপাশের এলাকাতেই থাকেন বেশি। আবার অনেকে নিজস্ব বাসা তৈরি করেছেন। এদিক থেকে ক্ষতি তো কিছু আছেই।’ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম বলেন, আমাদের পুরোনো বাসাগুলোর অবস্থা ভালো না। নতুনগুলো ভালো।
পুরোনোগুলোর ভাড়া বেশি আর আর নতুনগুলোর কম। তাই অনেকেই থাকছেন না। আবার অনেকেই নিজেদের বাসা তৈরি করেছেন। আমরা সরকারকে জানিয়েছি। বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। আমরা এর জন্য একটি কমিটি করেছি। বাসাগুলোর সার্বিক পরিস্থিতি জেনে পরবর্তী চিন্তা করব।’
বাসা ফাঁকা সত্ত্বেও উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য নতুন কোয়ার্টার নির্মাণের বিষয়ে উপাচার্য বলেন, ‘তাঁদের জন্য অল্প কয়েকটি বাসা নির্মাণের কথা রয়েছে। এগুলো ভালো মানের বাসা হবে। তখন তাঁরা সেখানে ভাড়া দিয়ে থাকবেন।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে