সনি আজাদ, চারঘাট
বর্ষার ভরা মৌসুমেও বৃষ্টি না থাকায় পানিশূন্য ছিল রাজশাহীর নদ-নদীগুলো। কিন্তু কয়েক দিনের বৃষ্টি ও উজানের ঢলে যৌবন পেয়েছে পদ্মার শাখা নদ বড়াল। নতুন পানি ঢুকে নদের পাড়, কোল ও কিনার অপরূপ রূপ নিয়েছে। নেমেছে জেলের দল। নৌকা নিয়ে ঘুরে ঘুরে মাছ ধরছেন তাঁরা। দুই কূলে সারি সারি চাঁই, খোপ ও জাল দেখে বোঝা যাচ্ছে—এখন কতটা জীবন্ত এই নদ।
বড়াল নদের উৎপত্তিস্থল রাজশাহীর চারঘাটে। ঐতিহ্যবাহী এ নদ পদ্মা ও যমুনার সংযোগ রক্ষাকারী নদ হিসেবে পরিচিত। শুষ্ক মৌসুমে নদের বুকে ফসলের চাষ হলেও এখন নদটি যৌবন ফিরে পেয়েছে।
বড়াল নদ রাজশাহীর চারঘাট থেকে নাটোর, পাবনা ও সিরাজগঞ্জ জেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে যমুনায় মিশেছে পাবনার বেড়া উপজেলার কাছে। বড়াল চলন বিলের প্রধান নদ। বড় থেকে বড়াল শব্দটির উৎপত্তি। বড়ালকে ‘বড়হর’ অর্থাৎ পদ্মার বড় হাওরও বলা হয়ে থাকে। এর দৈর্ঘ্য প্রায় ১৪৭ কিলোমিটার এবং প্রস্থ প্রায় ১২৫ মিটার। নদটির ধরন প্রকৃতি সর্পিলাকার। বড়াল খনন না হওয়ায় শুষ্ক মৌসুমে যৌবন হারালেও বর্ষা মৌসুমে নদটির সৌন্দর্য ফিরে এসেছে।
জানা যায়, বড়াল ও পদ্মার মোহনা, চারঘাট স্লুইসগেট ও বাঘার আড়ানী অংশের বেশির ভাগ স্থান এখন ভ্রমণপিপাসুদের আনন্দ দেয়। নীল আকাশের নিচে নদটি সেজেছে বর্ণিল সাজে। বড়াল এখন পানিতে টইটম্বুর। এ সময় নদের সৌন্দর্য দেখতে ছুটে আসেন শহুরে মানুষও। তাঁরা মনের আনন্দে ছুটে যান বড়ালের পানে। দল বেঁধে অনেকে নৌকায় দূর-দূরান্ত ছুটে যান। অনেকে নদের বুকেই করেন বনভোজনের আয়োজন। রাতের বেলায় শীতল বাতাস বড়ালের গর্জন পথচারীদের উদ্বেলিত করে।
সম্পদ, সম্ভাবনা আর অপরূপ নৈসর্গিক সৌন্দর্যের হাতছানি বড়াল বর্ষা মৌসুমে রূপ ছড়িয়ে দিলেও পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে এর সৌন্দর্য হারাতে থাকে। দখলদারেরা নদের পাড় দখল ও মাটি কেটে নেওয়ার প্রতিযোগিতায় নেমে পড়ে। এ ছাড়া বিভিন্ন স্থানে দূষিত বর্জ্য ও আবর্জনা ফেলে নদ বিষাক্ত করে তোলা হয়। দীর্ঘ কয়েক বছর খনন না করায় ফসলের মাঠে পরিণত হয় এ নদ। তখন এর সুফল থেকে বঞ্চিত হন স্থানীয় কৃষক, ব্যবসায়ীসহ ভ্রমণপিপাসুরা।
অপার সম্ভাবনার বড়াল নদকে দখলমুক্ত করতে বছরজুড়ে স্থানীয়রা দাবি জানিয়ে এলেও এ বিষয়ে কার্যকর উদ্যোগ পরিলক্ষিত হয়নি। এ অবস্থায় শুষ্ক মৌসুমে পানিশূন্য থাকে বড়াল। তবে স্থানীয় প্রশাসনের চেষ্টায় বড়ালের অবৈধ বাঁধগুলো অপসারণ করায় এবার যৌবনের কিছুটা ফিরে পেয়েছে বড়াল।
চারঘাট বড়াল নদ রক্ষা কমিটির সভাপতি সাইফুল ইসলাম বাদশা বলেন, ‘আমাদের দীর্ঘদিনের আন্দোলনের ফলে বড়ালের প্রবেশমুখ খনন করা হয়। কিন্তু এখন পরিস্থিতি আবার আগের মতো। নদের বালু নদেই নেমে গেছে। ওই কাজে দুর্নীতি হয়েছে। বর্তমান সময়ের মতো সারা বছর বড়ালে পানি থাকলে তবেই এ নদকে বাঁচানো সম্ভব।’
বড়াল রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা নাটোর পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপবিভাগীয় প্রকৌশলী খালেদ বিন অলীদ বলেন, বড়াল নদকে নিয়ে একটি উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা (ডিপিপি) প্রস্তুত করা হয়েছে। সেটি ইতিমধ্যে মন্ত্রণালয়ে জমাও দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পটি যদি অনুমোদন পায়, তাহলে বড়াল আবারও খনন করা যাবে। স্লুইসগেটগুলো সংস্কার করা হবে। তখন বড়ালে সারা বছরই এ রকম পানি থাকবে।
বর্ষার ভরা মৌসুমেও বৃষ্টি না থাকায় পানিশূন্য ছিল রাজশাহীর নদ-নদীগুলো। কিন্তু কয়েক দিনের বৃষ্টি ও উজানের ঢলে যৌবন পেয়েছে পদ্মার শাখা নদ বড়াল। নতুন পানি ঢুকে নদের পাড়, কোল ও কিনার অপরূপ রূপ নিয়েছে। নেমেছে জেলের দল। নৌকা নিয়ে ঘুরে ঘুরে মাছ ধরছেন তাঁরা। দুই কূলে সারি সারি চাঁই, খোপ ও জাল দেখে বোঝা যাচ্ছে—এখন কতটা জীবন্ত এই নদ।
বড়াল নদের উৎপত্তিস্থল রাজশাহীর চারঘাটে। ঐতিহ্যবাহী এ নদ পদ্মা ও যমুনার সংযোগ রক্ষাকারী নদ হিসেবে পরিচিত। শুষ্ক মৌসুমে নদের বুকে ফসলের চাষ হলেও এখন নদটি যৌবন ফিরে পেয়েছে।
বড়াল নদ রাজশাহীর চারঘাট থেকে নাটোর, পাবনা ও সিরাজগঞ্জ জেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে যমুনায় মিশেছে পাবনার বেড়া উপজেলার কাছে। বড়াল চলন বিলের প্রধান নদ। বড় থেকে বড়াল শব্দটির উৎপত্তি। বড়ালকে ‘বড়হর’ অর্থাৎ পদ্মার বড় হাওরও বলা হয়ে থাকে। এর দৈর্ঘ্য প্রায় ১৪৭ কিলোমিটার এবং প্রস্থ প্রায় ১২৫ মিটার। নদটির ধরন প্রকৃতি সর্পিলাকার। বড়াল খনন না হওয়ায় শুষ্ক মৌসুমে যৌবন হারালেও বর্ষা মৌসুমে নদটির সৌন্দর্য ফিরে এসেছে।
জানা যায়, বড়াল ও পদ্মার মোহনা, চারঘাট স্লুইসগেট ও বাঘার আড়ানী অংশের বেশির ভাগ স্থান এখন ভ্রমণপিপাসুদের আনন্দ দেয়। নীল আকাশের নিচে নদটি সেজেছে বর্ণিল সাজে। বড়াল এখন পানিতে টইটম্বুর। এ সময় নদের সৌন্দর্য দেখতে ছুটে আসেন শহুরে মানুষও। তাঁরা মনের আনন্দে ছুটে যান বড়ালের পানে। দল বেঁধে অনেকে নৌকায় দূর-দূরান্ত ছুটে যান। অনেকে নদের বুকেই করেন বনভোজনের আয়োজন। রাতের বেলায় শীতল বাতাস বড়ালের গর্জন পথচারীদের উদ্বেলিত করে।
সম্পদ, সম্ভাবনা আর অপরূপ নৈসর্গিক সৌন্দর্যের হাতছানি বড়াল বর্ষা মৌসুমে রূপ ছড়িয়ে দিলেও পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে এর সৌন্দর্য হারাতে থাকে। দখলদারেরা নদের পাড় দখল ও মাটি কেটে নেওয়ার প্রতিযোগিতায় নেমে পড়ে। এ ছাড়া বিভিন্ন স্থানে দূষিত বর্জ্য ও আবর্জনা ফেলে নদ বিষাক্ত করে তোলা হয়। দীর্ঘ কয়েক বছর খনন না করায় ফসলের মাঠে পরিণত হয় এ নদ। তখন এর সুফল থেকে বঞ্চিত হন স্থানীয় কৃষক, ব্যবসায়ীসহ ভ্রমণপিপাসুরা।
অপার সম্ভাবনার বড়াল নদকে দখলমুক্ত করতে বছরজুড়ে স্থানীয়রা দাবি জানিয়ে এলেও এ বিষয়ে কার্যকর উদ্যোগ পরিলক্ষিত হয়নি। এ অবস্থায় শুষ্ক মৌসুমে পানিশূন্য থাকে বড়াল। তবে স্থানীয় প্রশাসনের চেষ্টায় বড়ালের অবৈধ বাঁধগুলো অপসারণ করায় এবার যৌবনের কিছুটা ফিরে পেয়েছে বড়াল।
চারঘাট বড়াল নদ রক্ষা কমিটির সভাপতি সাইফুল ইসলাম বাদশা বলেন, ‘আমাদের দীর্ঘদিনের আন্দোলনের ফলে বড়ালের প্রবেশমুখ খনন করা হয়। কিন্তু এখন পরিস্থিতি আবার আগের মতো। নদের বালু নদেই নেমে গেছে। ওই কাজে দুর্নীতি হয়েছে। বর্তমান সময়ের মতো সারা বছর বড়ালে পানি থাকলে তবেই এ নদকে বাঁচানো সম্ভব।’
বড়াল রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা নাটোর পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপবিভাগীয় প্রকৌশলী খালেদ বিন অলীদ বলেন, বড়াল নদকে নিয়ে একটি উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা (ডিপিপি) প্রস্তুত করা হয়েছে। সেটি ইতিমধ্যে মন্ত্রণালয়ে জমাও দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পটি যদি অনুমোদন পায়, তাহলে বড়াল আবারও খনন করা যাবে। স্লুইসগেটগুলো সংস্কার করা হবে। তখন বড়ালে সারা বছরই এ রকম পানি থাকবে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে