জসিম উদ্দিন, নীলফামারী
দিন ঘনিয়ে আসছে। এ কারণে এলাকায় বাড়ছে নেতাদের পদচারণ। এরই মধ্যে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে খেলাধুলা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানগুলোতে অতিথি হয়ে ভোটারদের নজরে আসার চেষ্টা করছেন তাঁরা। বিয়ে ও সামাজিক অনুষ্ঠানগুলোতে এসব নেতার সরব উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো। নেতাদের বেশির ভাগই আওয়ামী লীগের। থেমে নেই বিএনপিও। আসন ফিরে পেতে মাঠে আছেন দলটির একাধিক নেতা-কর্মী। তবে নির্বাচনে বিএনপির অংশ নেওয়া এখনো নিশ্চিত নয় বলে কিছুটা পিছিয়ে আছে। আর জামায়াতে ইসলামী এ আসনে জিততে বেশ কৌশলী, চুপি চুপি ছক কষছে। বর্তমান এমপি জাতীয় পার্টির (জাপা) মেজর (অব.) রানা মোহাম্মদ সোহেলও মাঠে বেশ তৎপর।
জলঢাকা উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন এবং ১টি পৌরসভা নিয়ে নীলফামারী-৩ আসন। সারা দেশে জামায়াতে ইসলামীর যে কয়েকটি উর্বর এলাকা রয়েছে, তার মধ্যে নীলফামারী-৩ আসন অন্যতম। তবে আগামী নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামী নীলফামারী জেলার চারটি আসনের মধ্যে তিনটিতে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করলেও এ আসনে কোনো প্রার্থীর নাম উল্লেখ করেনি। আসনটিতে দলটির নেতা-কর্মীদের ঘাপটি মেরে থাকা একটি কৌশল হিসেবে মনে করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।
বিগত ১১ নির্বাচনের বিশ্লেষণে দেখা গেছে, এককভাবে নির্বাচন করে আওয়ামী লীগের প্রার্থী প্রথম, পঞ্চম এবং দশম সংসদ নির্বাচনে জয়ী হন। মহাজোটের অংশ হিসেবে নবম ও একাদশে নির্বাচিত হন জাপার প্রার্থী। চতুর্থ সংসদ নির্বাচনে জাপা, ১৫ ফেব্রুয়ারির ষষ্ঠ সংসদ নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী নির্বাচিত হয়। জামায়াত তৃতীয়, সপ্তম ও অষ্টম সংসদ নির্বাচনে আসনটি দখল করে।
এবার আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন চাইতে পারেন ২০১৪ সালের নির্বাচনে জয়ী অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা। জলঢাকা ডিগ্রি কলেজে শিক্ষকতার পেশা এবং রাজনীতির পাশাপাশি তিনি স্থানীয় একটি পত্রিকার সম্পাদক। একই সঙ্গে জলঢাকা প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। আশির দশকে ছাত্ররাজনীতিতে তিনি রংপুর কারমাইকেল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। বর্তমানে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘আসনটি স্বাধীনতাবিরোধীদের হাত থেকে উদ্ধার করেছি, এলাকার মানুষের কল্যাণ এবং দৃশ্যমান উন্নয়নে কাজ করছি। আসনটি রক্ষায় দলনেত্রী আবারও আমাকেই মনোনয়ন দেবেন।’
মনোনয়ন চাইবেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দেওয়ান কামাল আহমেদ। ১৯৮৯ সাল থেকে তিনি নীলফামারী পৌরসভার নির্বাচিত মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। কৃষিবিদ দেওয়ান কামাল আহমেদ ১৯৭০ সালে ছাত্রলীগের মাধ্যমে রাজনীতিতে পা রাখেন। ২০০৬ সাল থেকে নীলফামারী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। দেওয়ান কামাল আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দলের নেতা-কর্মীদের বিপদে-আপদে পাশে ছিলাম। উন্নয়নের সাথে ছিলাম বলেই জনগণ আমাকে বারবার মেয়র এবং দলের সভাপতি নির্বাচিত করেছেন। তাই আগামী নির্বাচনে দল আমাকেই মনোনয়ন দেবে বলে আশাবাদী।’
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজও মনোনয়ন চাইতে পারেন। যুদ্ধাপরাধীর বিচারপ্রক্রিয়ায় মেধা খাটিয়ে দেশ-বিদেশে বেশ খ্যাতি এবং পরিচিতি অর্জন করেছেন তিনি। পেশাগত কর্মব্যস্ততার মধ্যেও প্রায়ই ছুটে আসেন নিজ উপজেলার মানুষের কাছে। নীলফামারী-৩ আসনে এবারের নির্বাচনে নৌকা নিয়ে ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ আসছেন, এমন কথা শোনা যায় এলাকায়। তাঁর সমর্থকেরাও এসব কথা বলে বেড়াচ্ছেন।
এ ছাড়া উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াহেদ বাহাদুর আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী বলে জানিয়েছেন।
বিএনপি নির্বাচনে গেলে রংপুর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক বিশিষ্ট ঠিকাদার মো. সামসুজ্জামান সামু মনোনয়ন চাইতে পারেন। তিনি বলেন, ‘এ আসনে বিএনপির সাংগঠনিক শক্তি বেশ জোরালো। দল নির্বাচনে অংশ নিলে এ আসন থেকে মনোনয়ন চাইব। দলের দুর্দিনের সময় সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় অংশগ্রহণের কারণে এ আসনে মনোনয়ন পাব বলে আশা করছি।’ এ ছাড়া আলোচনায় আছেন নীলফামারী জেলা বিএনপির সহসভাপতি আলহাজ সৈয়দ আলী এবং উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও পৌরসভার সাবেক মেয়র ফাহমিদ ফয়সাল চৌধুরী কমেট।
জাপার কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও বর্তমানে নীলফামারী জেলা শাখার সহসভাপতি এবং আসনের এমপি মেজর (অব.) রানা মোহাম্মদ সোহেল আবার মনোনয়ন চাইবেন। এ ছাড়া আলোচনায় আছেন কাজী ফারুক কাদের।
দিন ঘনিয়ে আসছে। এ কারণে এলাকায় বাড়ছে নেতাদের পদচারণ। এরই মধ্যে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে খেলাধুলা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানগুলোতে অতিথি হয়ে ভোটারদের নজরে আসার চেষ্টা করছেন তাঁরা। বিয়ে ও সামাজিক অনুষ্ঠানগুলোতে এসব নেতার সরব উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো। নেতাদের বেশির ভাগই আওয়ামী লীগের। থেমে নেই বিএনপিও। আসন ফিরে পেতে মাঠে আছেন দলটির একাধিক নেতা-কর্মী। তবে নির্বাচনে বিএনপির অংশ নেওয়া এখনো নিশ্চিত নয় বলে কিছুটা পিছিয়ে আছে। আর জামায়াতে ইসলামী এ আসনে জিততে বেশ কৌশলী, চুপি চুপি ছক কষছে। বর্তমান এমপি জাতীয় পার্টির (জাপা) মেজর (অব.) রানা মোহাম্মদ সোহেলও মাঠে বেশ তৎপর।
জলঢাকা উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন এবং ১টি পৌরসভা নিয়ে নীলফামারী-৩ আসন। সারা দেশে জামায়াতে ইসলামীর যে কয়েকটি উর্বর এলাকা রয়েছে, তার মধ্যে নীলফামারী-৩ আসন অন্যতম। তবে আগামী নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামী নীলফামারী জেলার চারটি আসনের মধ্যে তিনটিতে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করলেও এ আসনে কোনো প্রার্থীর নাম উল্লেখ করেনি। আসনটিতে দলটির নেতা-কর্মীদের ঘাপটি মেরে থাকা একটি কৌশল হিসেবে মনে করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।
বিগত ১১ নির্বাচনের বিশ্লেষণে দেখা গেছে, এককভাবে নির্বাচন করে আওয়ামী লীগের প্রার্থী প্রথম, পঞ্চম এবং দশম সংসদ নির্বাচনে জয়ী হন। মহাজোটের অংশ হিসেবে নবম ও একাদশে নির্বাচিত হন জাপার প্রার্থী। চতুর্থ সংসদ নির্বাচনে জাপা, ১৫ ফেব্রুয়ারির ষষ্ঠ সংসদ নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী নির্বাচিত হয়। জামায়াত তৃতীয়, সপ্তম ও অষ্টম সংসদ নির্বাচনে আসনটি দখল করে।
এবার আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন চাইতে পারেন ২০১৪ সালের নির্বাচনে জয়ী অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা। জলঢাকা ডিগ্রি কলেজে শিক্ষকতার পেশা এবং রাজনীতির পাশাপাশি তিনি স্থানীয় একটি পত্রিকার সম্পাদক। একই সঙ্গে জলঢাকা প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। আশির দশকে ছাত্ররাজনীতিতে তিনি রংপুর কারমাইকেল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। বর্তমানে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘আসনটি স্বাধীনতাবিরোধীদের হাত থেকে উদ্ধার করেছি, এলাকার মানুষের কল্যাণ এবং দৃশ্যমান উন্নয়নে কাজ করছি। আসনটি রক্ষায় দলনেত্রী আবারও আমাকেই মনোনয়ন দেবেন।’
মনোনয়ন চাইবেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দেওয়ান কামাল আহমেদ। ১৯৮৯ সাল থেকে তিনি নীলফামারী পৌরসভার নির্বাচিত মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। কৃষিবিদ দেওয়ান কামাল আহমেদ ১৯৭০ সালে ছাত্রলীগের মাধ্যমে রাজনীতিতে পা রাখেন। ২০০৬ সাল থেকে নীলফামারী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। দেওয়ান কামাল আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দলের নেতা-কর্মীদের বিপদে-আপদে পাশে ছিলাম। উন্নয়নের সাথে ছিলাম বলেই জনগণ আমাকে বারবার মেয়র এবং দলের সভাপতি নির্বাচিত করেছেন। তাই আগামী নির্বাচনে দল আমাকেই মনোনয়ন দেবে বলে আশাবাদী।’
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজও মনোনয়ন চাইতে পারেন। যুদ্ধাপরাধীর বিচারপ্রক্রিয়ায় মেধা খাটিয়ে দেশ-বিদেশে বেশ খ্যাতি এবং পরিচিতি অর্জন করেছেন তিনি। পেশাগত কর্মব্যস্ততার মধ্যেও প্রায়ই ছুটে আসেন নিজ উপজেলার মানুষের কাছে। নীলফামারী-৩ আসনে এবারের নির্বাচনে নৌকা নিয়ে ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ আসছেন, এমন কথা শোনা যায় এলাকায়। তাঁর সমর্থকেরাও এসব কথা বলে বেড়াচ্ছেন।
এ ছাড়া উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াহেদ বাহাদুর আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী বলে জানিয়েছেন।
বিএনপি নির্বাচনে গেলে রংপুর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক বিশিষ্ট ঠিকাদার মো. সামসুজ্জামান সামু মনোনয়ন চাইতে পারেন। তিনি বলেন, ‘এ আসনে বিএনপির সাংগঠনিক শক্তি বেশ জোরালো। দল নির্বাচনে অংশ নিলে এ আসন থেকে মনোনয়ন চাইব। দলের দুর্দিনের সময় সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় অংশগ্রহণের কারণে এ আসনে মনোনয়ন পাব বলে আশা করছি।’ এ ছাড়া আলোচনায় আছেন নীলফামারী জেলা বিএনপির সহসভাপতি আলহাজ সৈয়দ আলী এবং উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও পৌরসভার সাবেক মেয়র ফাহমিদ ফয়সাল চৌধুরী কমেট।
জাপার কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও বর্তমানে নীলফামারী জেলা শাখার সহসভাপতি এবং আসনের এমপি মেজর (অব.) রানা মোহাম্মদ সোহেল আবার মনোনয়ন চাইবেন। এ ছাড়া আলোচনায় আছেন কাজী ফারুক কাদের।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে