সাবিত আল হাসান, বন্দর (নারায়ণগঞ্জ)
নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়া-পঞ্চবটি সড়কটি রেললাইন পার হওয়ার পরই সরু হয়ে গেছে। এর একমাত্র কারণ চাষাঢ়া পুলিশ ফাঁড়ি ও জেলা পরিষদের ডাকবাংলো। দুটি স্থাপনা এবং পাঁচটি সড়কের মোড় হওয়ায় চলাচলে বাধার সম্মুখীন হয় যানবাহন। ব্যস্ততম এই সড়ক প্রশস্ত করার জন্য স্থাপনা দুটি সরিয়ে নেওয়ার দাবি দীর্ঘদিনের। তবে সংশ্লিষ্টরা রয়েছেন সড়কের কাজ শুরুর অপেক্ষায়।ডাকবাংলোর সামনে মিলিত হয়েছে পাঁচটি সড়ক। সড়কগুলো হচ্ছে পঞ্চবটি থেকে চাষাঢ়া, কলেজ রোড, জামতলা থেকে ডাকবাংলো, ইসদাইর থেকে ডাকবাংলো ও চাষাঢ়া থেকে পঞ্চবটি। এই মোড়ের কাছেই রয়েছে সরকারি তোলারাম ও সরকারি মহিলা কলেজ। এ ছাড়া বেশকিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থাকায় শিক্ষার্থীদের যাতায়াত থাকে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত। পথ পারাপার হতে গিয়ে প্রায়ই ঘটে ছোটখাটো দুর্ঘটনা।
গত শুক্রবার এই মোড়ে রিকশাকে ধাক্কা দিয়ে বাবা-মেয়ের মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটায় ইটবোঝাই একটি ট্রাক। এমন মৃত্যুতে পুরো শহরই হয়ে পড়েছিল শোকাহত। এরপর আবারও দাবি ওঠে সড়কটি নিরাপদ করার। ডাকবাংলো মোড়ে গতিরোধক স্থাপন, বাড়তি ট্র্যাফিক পুলিশ মোতায়েনের পাশাপাশি পুরোনো পুলিশ ফাঁড়ি ও ডাকবাংলো সরিয়ে দেওয়ার দাবি ওঠে।
দুর্ঘটনার পর থেকে শহরজুড়ে দুটি সংগঠন মানববন্ধন করেছে। তাদের দাবিতেও ছিল ডাকবাংলো ও পুলিশ ফাঁড়ি সরিয়ে নেওয়ার। এ ছাড়া বেশ কয়েকটি সংগঠন বিবৃতিও প্রকাশ করেছে একই দাবিতে। নতুন করে আজ বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত দুটি স্থাপনা সরিয়ে নিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে নারায়ণগঞ্জ নাগরিক কমিটি।
মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পর ১১ ডিসেম্বর চাষাঢ়া শহীদ মিনারে মানববন্ধনের আয়োজন করে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট। সে সময় ছাত্রনেতারা বলেন, সারা দেশে যখন নিরাপদ সড়কের দাবি উঠছে, ঠিক তখনই ডাকবাংলোর সামনে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এই রাস্তার পাশেই তোলারাম ও সরকারি মহিলা কলেজ। সড়কের একপাশে পুলিশ ফাঁড়ি ও ডাকবাংলো থাকায় রাস্তা সরু হয়ে যানজট সৃষ্টি হয়। দীর্ঘদিন এসব স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার দাবি জানিয়ে এলেও তা আমলে নেওয়া হয়নি। অথচ এসবের কারণে প্রায়ই ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটছে। তারই সর্বশেষ শিকার বাবা ও মেয়ে।
১২ ডিসেম্বর ডাকবাংলোর পেছনে একই দাবিতে মানববন্ধনের আয়োজন করে নিরাপদ সড়ক চাই—নিসচা। এতে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শরীফ উদ্দিন সবুজ বলেন, ‘আমরা বহু আগেই দাবি তুলেছি এই পুলিশ ফাঁড়ি ও ডাকবাংলো সরিয়ে নিতে। কিন্তু তা নেওয়া হচ্ছে না। গত রোববার আইনশৃঙ্খলা বৈঠকে পুলিশ সুপার রাজি হলেও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না।’
ছাত্র ফেডারেশন জেলা কমিটি থেকে পাঠানো বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ডাকবাংলো মোড়ে প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত হাজার হাজার শিক্ষার্থীর বিচরণ। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক এই ব্যস্ততম সড়কে নিরাপত্তায় ন্যূনতম কোনো ব্যবস্থা চোখে পড়ে না। দুটি সরকারি স্থাপনার কারণে সড়ক সরু হয়ে আসায় যানজটের পাশাপাশি দুর্ঘটনাও ঘটছে।’
একই বিষয়ে সামাজিক সংগঠন ‘আমরা নারায়ণগঞ্জবাসী’র সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী নূর উদ্দিন বলেন, ‘ডাকবাংলো ও পুলিশ ফাঁড়ি ভেঙে ফেলার দাবি দীর্ঘদিনের। কেন জেলা পরিষদ এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করছে না তা বোধগম্য নয়। আমরা আবারও দাবি জানাব দ্রুত যেন স্থাপনা দুটি সরিয়ে সড়ককে নিরাপদ করে তোলা হয়।’
চাষাঢ়া পুলিশ ফাঁড়ির বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পুলিশ ফাঁড়ির নকশা সড়কের বর্তমান স্থান থেকে ৬০ ফুট ভেতরে। ফলে সড়ক ও জনপথ বিভাগ যখন জায়গা চাইবে, তখনই ছেড়ে দেওয়া হবে। আমরা রাস্তার জন্য ফাঁড়ির অংশ ছেড়ে দিতে প্রস্তুত আছি।’
ডাকবাংলো সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জেলা পরিষদের বহু জায়গা সিটি করপোরেশন রাস্তা বানিয়েছে। আমরা জনস্বার্থে আমাদের জায়গা ছেড়ে দিতে প্রস্তুত। নারায়ণগঞ্জ শহরের বহু রাস্তা সরু। শুধু ডাকবাংলো ভেঙে দিলেই কি সমাধান হয়ে যাবে? তার আগে তো রাস্তার কাজ ধরতে হবে। রাস্তার যদি কাজ শুরু হয়, আর তখন যদি ডাকবাংলোর জায়গা প্রয়োজন হয়, তবে আমরা ভেঙে দেব।’
নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়া-পঞ্চবটি সড়কটি রেললাইন পার হওয়ার পরই সরু হয়ে গেছে। এর একমাত্র কারণ চাষাঢ়া পুলিশ ফাঁড়ি ও জেলা পরিষদের ডাকবাংলো। দুটি স্থাপনা এবং পাঁচটি সড়কের মোড় হওয়ায় চলাচলে বাধার সম্মুখীন হয় যানবাহন। ব্যস্ততম এই সড়ক প্রশস্ত করার জন্য স্থাপনা দুটি সরিয়ে নেওয়ার দাবি দীর্ঘদিনের। তবে সংশ্লিষ্টরা রয়েছেন সড়কের কাজ শুরুর অপেক্ষায়।ডাকবাংলোর সামনে মিলিত হয়েছে পাঁচটি সড়ক। সড়কগুলো হচ্ছে পঞ্চবটি থেকে চাষাঢ়া, কলেজ রোড, জামতলা থেকে ডাকবাংলো, ইসদাইর থেকে ডাকবাংলো ও চাষাঢ়া থেকে পঞ্চবটি। এই মোড়ের কাছেই রয়েছে সরকারি তোলারাম ও সরকারি মহিলা কলেজ। এ ছাড়া বেশকিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থাকায় শিক্ষার্থীদের যাতায়াত থাকে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত। পথ পারাপার হতে গিয়ে প্রায়ই ঘটে ছোটখাটো দুর্ঘটনা।
গত শুক্রবার এই মোড়ে রিকশাকে ধাক্কা দিয়ে বাবা-মেয়ের মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটায় ইটবোঝাই একটি ট্রাক। এমন মৃত্যুতে পুরো শহরই হয়ে পড়েছিল শোকাহত। এরপর আবারও দাবি ওঠে সড়কটি নিরাপদ করার। ডাকবাংলো মোড়ে গতিরোধক স্থাপন, বাড়তি ট্র্যাফিক পুলিশ মোতায়েনের পাশাপাশি পুরোনো পুলিশ ফাঁড়ি ও ডাকবাংলো সরিয়ে দেওয়ার দাবি ওঠে।
দুর্ঘটনার পর থেকে শহরজুড়ে দুটি সংগঠন মানববন্ধন করেছে। তাদের দাবিতেও ছিল ডাকবাংলো ও পুলিশ ফাঁড়ি সরিয়ে নেওয়ার। এ ছাড়া বেশ কয়েকটি সংগঠন বিবৃতিও প্রকাশ করেছে একই দাবিতে। নতুন করে আজ বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত দুটি স্থাপনা সরিয়ে নিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে নারায়ণগঞ্জ নাগরিক কমিটি।
মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পর ১১ ডিসেম্বর চাষাঢ়া শহীদ মিনারে মানববন্ধনের আয়োজন করে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট। সে সময় ছাত্রনেতারা বলেন, সারা দেশে যখন নিরাপদ সড়কের দাবি উঠছে, ঠিক তখনই ডাকবাংলোর সামনে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এই রাস্তার পাশেই তোলারাম ও সরকারি মহিলা কলেজ। সড়কের একপাশে পুলিশ ফাঁড়ি ও ডাকবাংলো থাকায় রাস্তা সরু হয়ে যানজট সৃষ্টি হয়। দীর্ঘদিন এসব স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার দাবি জানিয়ে এলেও তা আমলে নেওয়া হয়নি। অথচ এসবের কারণে প্রায়ই ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটছে। তারই সর্বশেষ শিকার বাবা ও মেয়ে।
১২ ডিসেম্বর ডাকবাংলোর পেছনে একই দাবিতে মানববন্ধনের আয়োজন করে নিরাপদ সড়ক চাই—নিসচা। এতে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শরীফ উদ্দিন সবুজ বলেন, ‘আমরা বহু আগেই দাবি তুলেছি এই পুলিশ ফাঁড়ি ও ডাকবাংলো সরিয়ে নিতে। কিন্তু তা নেওয়া হচ্ছে না। গত রোববার আইনশৃঙ্খলা বৈঠকে পুলিশ সুপার রাজি হলেও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না।’
ছাত্র ফেডারেশন জেলা কমিটি থেকে পাঠানো বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ডাকবাংলো মোড়ে প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত হাজার হাজার শিক্ষার্থীর বিচরণ। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক এই ব্যস্ততম সড়কে নিরাপত্তায় ন্যূনতম কোনো ব্যবস্থা চোখে পড়ে না। দুটি সরকারি স্থাপনার কারণে সড়ক সরু হয়ে আসায় যানজটের পাশাপাশি দুর্ঘটনাও ঘটছে।’
একই বিষয়ে সামাজিক সংগঠন ‘আমরা নারায়ণগঞ্জবাসী’র সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী নূর উদ্দিন বলেন, ‘ডাকবাংলো ও পুলিশ ফাঁড়ি ভেঙে ফেলার দাবি দীর্ঘদিনের। কেন জেলা পরিষদ এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করছে না তা বোধগম্য নয়। আমরা আবারও দাবি জানাব দ্রুত যেন স্থাপনা দুটি সরিয়ে সড়ককে নিরাপদ করে তোলা হয়।’
চাষাঢ়া পুলিশ ফাঁড়ির বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পুলিশ ফাঁড়ির নকশা সড়কের বর্তমান স্থান থেকে ৬০ ফুট ভেতরে। ফলে সড়ক ও জনপথ বিভাগ যখন জায়গা চাইবে, তখনই ছেড়ে দেওয়া হবে। আমরা রাস্তার জন্য ফাঁড়ির অংশ ছেড়ে দিতে প্রস্তুত আছি।’
ডাকবাংলো সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জেলা পরিষদের বহু জায়গা সিটি করপোরেশন রাস্তা বানিয়েছে। আমরা জনস্বার্থে আমাদের জায়গা ছেড়ে দিতে প্রস্তুত। নারায়ণগঞ্জ শহরের বহু রাস্তা সরু। শুধু ডাকবাংলো ভেঙে দিলেই কি সমাধান হয়ে যাবে? তার আগে তো রাস্তার কাজ ধরতে হবে। রাস্তার যদি কাজ শুরু হয়, আর তখন যদি ডাকবাংলোর জায়গা প্রয়োজন হয়, তবে আমরা ভেঙে দেব।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে