মাইনউদ্দিন শাহেদ, কক্সবাজার
দেশের প্রধান পর্যটনকেন্দ্র কক্সবাজার ঘিরে চলছে নানা উন্নয়ন কর্মকাণ্ড। শহর ও আশপাশে গড়ে উঠছে আন্তর্জাতিক মানের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। এসবের পাশাপাশি কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের তীরে এবার তৈরি হচ্ছে দেশের প্রথম শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রীড়া কমপ্লেক্স।
তিনটি সাম্পানের আদলেই নির্মিত হবে আন্তর্জাতিক মানের ক্রিকেট, ফুটবল ও হকি স্টেডিয়াম। এতে থাকছে নানান সুযোগ-সুবিধাসংবলিত একটি পূর্ণাঙ্গ ক্রিকেট অনুশীলন মাঠ। শহরের শেখ কামাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামেই এই ক্রীড়া কমপ্লেক্স গড়ে তোলা হবে।
দূর থেকে দেখে মনে হবে, সমুদ্রতীরে ভাসছে বিশালাকৃতির সাম্পান। ঘিরে আছে সবুজ ঝাউবন। সমুদ্রের ঢেউয়ের গর্জন। প্রকৃতির অপরূপ ছোঁয়ায় আড়াআড়ি দাঁড়িয়ে আছে তিনটি দৃষ্টিনন্দন সাম্পান। আদতে এসব ইট-সুরকির সাম্পান স্থায়ীভাবেই নোঙর করবে কক্সবাজার শহরের সৈকতপাড়ে।
গত রোববার দুপুরে কক্সবাজারে ‘শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রীড়া কমপ্লেক্স’ প্রকল্পের ডিপিপি প্রণয়নের লক্ষ্যে অংশীজনদের সঙ্গে মতবিনিময়ে এসব তথ্যচিত্র উপস্থাপন করা হয়। এতে বিভিন্ন দপ্তর ও সংশ্লিষ্টদের মতামত গ্রহণ করা হয়।
জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল। বিশেষ অতিথি ছিলেন ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মেজবাহ উদ্দিন।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রীড়া কমপ্লেক্সটি নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে আড়াই হাজার কোটি টাকা।
এই কমপ্লেক্সে থাকছে ক্রিকেটে ১৫ হাজার, ফুটবলে ১৫ হাজার এবং হকিতে ৮ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতার স্টেডিয়াম। নির্মিতব্য আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ৩ হাজার ৫০০ ফুট দূরে এই কমপ্লেক্সে থাকছে তারকা মানের ভবন, ওয়াচ টাওয়ার, উন্মুক্ত খাদ্য জোনসহ আন্তর্জাতিক সব সুযোগ-সুবিধা।
এ ছাড়া জিমনেসিয়াম ও ইনডোর অনুশীলনে—প্রধান ইনডোর নেটব্লক, সেবাকক্ষ এবং একাডেমিতে—ডাইনিং, হলরুম, প্রশাসনিক ভবন, কনফারেন্স ভবন, অডিও-ভিজ্যুয়াল কক্ষ ও দৃষ্টিনন্দন পার্কিংয়ের জায়গা।
এই কমপ্লেক্সের স্থাপত্য প্রতিষ্ঠান প্রফেশনাল অ্যাসোসিয়েটস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনজুর কাদের হেমায়েত উদ্দিন বলেন, ‘ক্রীড়া কমপ্লেক্সটি প্রাকৃতিক স্থাপনার সঙ্গে মিলিয়ে সাম্পান বা নৌকার আদলে তৈরি করা হচ্ছে। এটির নকশা এমনভাবে করা হয়েছে, যা দেখলে মনে হবে—সাগরে ৩টি সাম্পান ভাসছে।’
কক্সবাজার প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মুজিবুল ইসলাম বলেন, শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রীড়া কমপ্লেক্স নির্মাণের খবরটি জেলাবাসীর জন্য খুবই আনন্দের। এসবের পাশাপাশি শহরের যানজট নিরসন ও পর্যটকদের থাকার আরও সুযোগ-সুবিধা গড়ে ওঠা জরুরি। যানজট বিবেচনায় ক্রীড়া কমপ্লেক্সের আশপাশে এক হাজার যানবাহন রাখার একটি পার্কিং তৈরির ওপর জোর দেন তিনি।
জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ বলেন, ‘কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের তীরে দেশের একমাত্র দৃষ্টিনন্দন ক্রীড়া কমপ্লেক্সটি তৈরির পরিকল্পনা পর্যটন শহরের জন্য খুবই ইতিবাচক ও আনন্দের। এটি বাস্তবায়িত হলে ক্রীড়াঙ্গন যেমন এগিয়ে যাবে, তেমনি পর্যটনের সৌন্দর্য আরও বাড়িয়ে তুলবে।’
খুব শিগগির শেখ কামাল ক্রীড়া কমপ্লেক্সের কাজ শুরুর কথা জানিয়ে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, ‘কক্সবাজারের মতো এত সুন্দর এবং গুরুত্বপূর্ণ একটি জায়গায় আমরা এ ধরনের স্থাপনা করতে যাচ্ছি। এটি পুরোটাই প্রধানমন্ত্রীর একান্ত ব্যক্তিগত ইচ্ছা ও আগ্রহের কারণে সম্ভব হয়েছে। এ ছাড়া কক্সবাজারে আধুনিকভাবে ফুটবল স্টেডিয়াম, ইনডোর স্টেডিয়াম হচ্ছে। এ জেলার প্রতিটি উপজেলায় মিনি স্টেডিয়াম করার পরিকল্পনাও আমরা হাতে নিয়েছি। ইতিমধ্যে রামুতে বিকেএসপিও করা হয়েছে।’
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রীড়া কমপ্লেক্সটি বিদেশের কাছেও পরিচিতি লাভ করবে। আশা করছি বিদেশের খেলাও এই ভেন্যুতে হবে। পরিবেশের যাতে ক্ষতি না হয়, সেভাবেই সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে এই ক্রীড়া কমপ্লেক্স হবে।’
দেশের প্রধান পর্যটনকেন্দ্র কক্সবাজার ঘিরে চলছে নানা উন্নয়ন কর্মকাণ্ড। শহর ও আশপাশে গড়ে উঠছে আন্তর্জাতিক মানের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। এসবের পাশাপাশি কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের তীরে এবার তৈরি হচ্ছে দেশের প্রথম শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রীড়া কমপ্লেক্স।
তিনটি সাম্পানের আদলেই নির্মিত হবে আন্তর্জাতিক মানের ক্রিকেট, ফুটবল ও হকি স্টেডিয়াম। এতে থাকছে নানান সুযোগ-সুবিধাসংবলিত একটি পূর্ণাঙ্গ ক্রিকেট অনুশীলন মাঠ। শহরের শেখ কামাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামেই এই ক্রীড়া কমপ্লেক্স গড়ে তোলা হবে।
দূর থেকে দেখে মনে হবে, সমুদ্রতীরে ভাসছে বিশালাকৃতির সাম্পান। ঘিরে আছে সবুজ ঝাউবন। সমুদ্রের ঢেউয়ের গর্জন। প্রকৃতির অপরূপ ছোঁয়ায় আড়াআড়ি দাঁড়িয়ে আছে তিনটি দৃষ্টিনন্দন সাম্পান। আদতে এসব ইট-সুরকির সাম্পান স্থায়ীভাবেই নোঙর করবে কক্সবাজার শহরের সৈকতপাড়ে।
গত রোববার দুপুরে কক্সবাজারে ‘শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রীড়া কমপ্লেক্স’ প্রকল্পের ডিপিপি প্রণয়নের লক্ষ্যে অংশীজনদের সঙ্গে মতবিনিময়ে এসব তথ্যচিত্র উপস্থাপন করা হয়। এতে বিভিন্ন দপ্তর ও সংশ্লিষ্টদের মতামত গ্রহণ করা হয়।
জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল। বিশেষ অতিথি ছিলেন ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মেজবাহ উদ্দিন।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রীড়া কমপ্লেক্সটি নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে আড়াই হাজার কোটি টাকা।
এই কমপ্লেক্সে থাকছে ক্রিকেটে ১৫ হাজার, ফুটবলে ১৫ হাজার এবং হকিতে ৮ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতার স্টেডিয়াম। নির্মিতব্য আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ৩ হাজার ৫০০ ফুট দূরে এই কমপ্লেক্সে থাকছে তারকা মানের ভবন, ওয়াচ টাওয়ার, উন্মুক্ত খাদ্য জোনসহ আন্তর্জাতিক সব সুযোগ-সুবিধা।
এ ছাড়া জিমনেসিয়াম ও ইনডোর অনুশীলনে—প্রধান ইনডোর নেটব্লক, সেবাকক্ষ এবং একাডেমিতে—ডাইনিং, হলরুম, প্রশাসনিক ভবন, কনফারেন্স ভবন, অডিও-ভিজ্যুয়াল কক্ষ ও দৃষ্টিনন্দন পার্কিংয়ের জায়গা।
এই কমপ্লেক্সের স্থাপত্য প্রতিষ্ঠান প্রফেশনাল অ্যাসোসিয়েটস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনজুর কাদের হেমায়েত উদ্দিন বলেন, ‘ক্রীড়া কমপ্লেক্সটি প্রাকৃতিক স্থাপনার সঙ্গে মিলিয়ে সাম্পান বা নৌকার আদলে তৈরি করা হচ্ছে। এটির নকশা এমনভাবে করা হয়েছে, যা দেখলে মনে হবে—সাগরে ৩টি সাম্পান ভাসছে।’
কক্সবাজার প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মুজিবুল ইসলাম বলেন, শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রীড়া কমপ্লেক্স নির্মাণের খবরটি জেলাবাসীর জন্য খুবই আনন্দের। এসবের পাশাপাশি শহরের যানজট নিরসন ও পর্যটকদের থাকার আরও সুযোগ-সুবিধা গড়ে ওঠা জরুরি। যানজট বিবেচনায় ক্রীড়া কমপ্লেক্সের আশপাশে এক হাজার যানবাহন রাখার একটি পার্কিং তৈরির ওপর জোর দেন তিনি।
জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ বলেন, ‘কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের তীরে দেশের একমাত্র দৃষ্টিনন্দন ক্রীড়া কমপ্লেক্সটি তৈরির পরিকল্পনা পর্যটন শহরের জন্য খুবই ইতিবাচক ও আনন্দের। এটি বাস্তবায়িত হলে ক্রীড়াঙ্গন যেমন এগিয়ে যাবে, তেমনি পর্যটনের সৌন্দর্য আরও বাড়িয়ে তুলবে।’
খুব শিগগির শেখ কামাল ক্রীড়া কমপ্লেক্সের কাজ শুরুর কথা জানিয়ে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, ‘কক্সবাজারের মতো এত সুন্দর এবং গুরুত্বপূর্ণ একটি জায়গায় আমরা এ ধরনের স্থাপনা করতে যাচ্ছি। এটি পুরোটাই প্রধানমন্ত্রীর একান্ত ব্যক্তিগত ইচ্ছা ও আগ্রহের কারণে সম্ভব হয়েছে। এ ছাড়া কক্সবাজারে আধুনিকভাবে ফুটবল স্টেডিয়াম, ইনডোর স্টেডিয়াম হচ্ছে। এ জেলার প্রতিটি উপজেলায় মিনি স্টেডিয়াম করার পরিকল্পনাও আমরা হাতে নিয়েছি। ইতিমধ্যে রামুতে বিকেএসপিও করা হয়েছে।’
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রীড়া কমপ্লেক্সটি বিদেশের কাছেও পরিচিতি লাভ করবে। আশা করছি বিদেশের খেলাও এই ভেন্যুতে হবে। পরিবেশের যাতে ক্ষতি না হয়, সেভাবেই সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে এই ক্রীড়া কমপ্লেক্স হবে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে