নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
পেঁয়াজ, কাঁচা মরিচের পর এবার দামের কারসাজি ভর করেছে আলুতে। রাজধানীর খুচরা বাজারে আলুর দাম কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকায়। আড়তদার ও কোল্ডস্টোরেজের মালিকেরা এ জন্য দায়ী করছেন মজুতদারদের। বলছেন, মজুতদারেরা সরবরাহ কমানোয় দাম বেড়েছে। তারা প্রতি কেজিতে মুনাফা লুটছে ১৩-১৪ টাকা।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, আলুর দাম বাড়ার কারণ খতিয়ে দেখে প্রয়োজনে আমদানির সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে। এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার খুচরা বাজারে কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে ৪০০-৫০০ টাকা কেজি। দেশি পেঁয়াজের কেজি ৭০-৮০ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ৪০–৫০ টাকা। কাঁচা মরিচ ও পেঁয়াজের দাম কমার পর আবার বেড়েছে।
রাষ্ট্রায়ত্ত বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) বাজার তদারকির প্রতিবেদন অনুযায়ী, এক সপ্তাহের ব্যবধানে আলুর দাম বেড়েছে প্রায় ৭ শতাংশ। দেশি-বিদেশি পেঁয়াজের দাম ১৯-২২ শতাংশ এবং কাঁচা মরিচের দাম বেড়েছে ১৭১ দশমিক ৪৩ শতাংশ। টিসিবির তথ্য অনুযায়ী, গতকাল প্রতি কেজি আলু বিক্রি হয়েছে ৩৮-৪০ টাকা, যা আগে ছিল ৩৫-৩৮ টাকা। প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৭০-৮০ টাকায়, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৬৫-৭০ টাকা। ভারতীয় পেঁয়াজ গতকাল ছিল ৪০-৫০ টাকা, এক সপ্তাহ আগে ছিল ৩৫-৪৫ টাকা। কাঁচা মরিচ গতকাল বিক্রি হয়েছে ১৯০-৫০০ টাকায়, এক সপ্তাহ আগে ছিল ১২০-৩০০ টাকা।
গতকাল রামপুরা বাজারে আলু বিক্রি হয় ৪৫ টাকা কেজি। ওই বাজারের খুচরা আলু বিক্রেতা আরাফাত হোসেন বলেন, আগে ৪০ টাকায় বিক্রি করেছেন। কিন্তু এখন পাইকারি দামই ৩৫-৩৭ টাকা। এর সঙ্গে পরিবহন ভাড়াসহ অন্যান্য খরচ মিলে ৪০ টাকা পড়ে। তাই বাধ্য হয়ে ৪৫ টাকা কেজি বিক্রি করছেন। প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৮০ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজ ৫০ টাকায় বিক্রি করছেন।
কারওয়ান বাজার আড়তের আলু ব্যবসায়ী দুলাল হোসেন বলেন, কোল্ডস্টোরেজে আলুর অভাব নেই। শুধু সিন্ডিকেট করে আলুর মজুতদারেরা দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। এ সময় আলুর কেজি ৩০ টাকার নিচে থাকার কথা, অথচ এখন পাইকারিতেই ৩৩-৩৫ টাকা।
কোল্ডস্টোরেজের মালিকেরা জানান, প্রতি কেজি আলুর উৎপাদন খরচ হয়েছে ১৭-১৮ টাকা। বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৩০-৩১ টাকায়। প্রতি কেজি আলুতে মজুতদারেরা ১৩-১৪ টাকা মুনাফা করছেন। ভাড়া কম পাওয়ায় কোল্ডস্টোরেজে আলু রাখার পরিমাণ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ কোল্ডস্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু বলেন, মজুতদারেরা বাজারে আলু সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছেন। সরবরাহ কম থাকায় ধাপে ধাপে দাম বাড়ছে। আলুর দাম কমাতে হলে আমদানির বিকল্প নেই। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
জানতে চাইলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ আজকের পত্রিকাকে বলেন, বাজারে আলুর দাম কেন বাড়ল, তা খতিয়ে দেখা হবে। আলুর উৎপাদন খরচ ও মজুত সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা হবে। প্রয়োজনে আলু আমদানির বিষয়ে মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত দেবে।দামের লাগাম টানতে ভারত থেকে পেঁয়াজ ও
কাঁচা মরিচ আমদানি করা হচ্ছে। কিন্তু এর সুফল ক্রেতারা তেমন পাচ্ছেন না। ৪০-৪৫ টাকার পেঁয়াজ হঠাৎ লাফিয়ে বেড়ে ১০০ টাকায় উঠে গিয়েছিল। আমদানির ঘোষণার পর ৬৫-৭০ টাকায় নেমে এখন ৭০-৮০ টাকা। কাঁচা মরিচ ১২০ থেকে প্রথমে ৩০০, ঈদুল আজহার আগের দিন হঠাৎ কোথাও ৬০০, কোথাও ৮০০, আবার কোথাও হাজার টাকায় ঠেকে। আমদানি শুরুর পর কাঁচা মরিচের কেজি একপর্যায়ে ২০০ থেকে ৩০০ টাকায় নেমে এসেছিল। পরে আবার বেড়েছে।
গত বুধবার বিকেল পর্যন্ত কৃষি মন্ত্রণালয় ৫০ হাজার ৮৮০ টন কাঁচা মরিচ ও ৯ লাখ ৪৫ হাজার ১৭৩ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দিয়েছে। কাঁচা মরিচ এসেছে ৪৩১ টন ২০৬ কেজি ও পেঁয়াজ এসেছে ১ লাখ ৫২ হাজার ৩৪৬ টন। কিন্তু নানা অজুহাতে বাড়তি দাম আদায় চলছেই।
গতকাল রামপুরা বাজারে কাঁচা মরিচ ৪০০-৫০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়। ওই বাজারের বিক্রেতা মিরাজ হোসেন বলেন, গতকাল পাইকারিতে এক পাল্লা (পাঁচ কেজি) কাঁচা মরিচ ১ হাজার ৬০০ টাকায় কিনেছেন।
পেঁয়াজ, কাঁচা মরিচের পর এবার দামের কারসাজি ভর করেছে আলুতে। রাজধানীর খুচরা বাজারে আলুর দাম কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকায়। আড়তদার ও কোল্ডস্টোরেজের মালিকেরা এ জন্য দায়ী করছেন মজুতদারদের। বলছেন, মজুতদারেরা সরবরাহ কমানোয় দাম বেড়েছে। তারা প্রতি কেজিতে মুনাফা লুটছে ১৩-১৪ টাকা।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, আলুর দাম বাড়ার কারণ খতিয়ে দেখে প্রয়োজনে আমদানির সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে। এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার খুচরা বাজারে কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে ৪০০-৫০০ টাকা কেজি। দেশি পেঁয়াজের কেজি ৭০-৮০ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ৪০–৫০ টাকা। কাঁচা মরিচ ও পেঁয়াজের দাম কমার পর আবার বেড়েছে।
রাষ্ট্রায়ত্ত বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) বাজার তদারকির প্রতিবেদন অনুযায়ী, এক সপ্তাহের ব্যবধানে আলুর দাম বেড়েছে প্রায় ৭ শতাংশ। দেশি-বিদেশি পেঁয়াজের দাম ১৯-২২ শতাংশ এবং কাঁচা মরিচের দাম বেড়েছে ১৭১ দশমিক ৪৩ শতাংশ। টিসিবির তথ্য অনুযায়ী, গতকাল প্রতি কেজি আলু বিক্রি হয়েছে ৩৮-৪০ টাকা, যা আগে ছিল ৩৫-৩৮ টাকা। প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৭০-৮০ টাকায়, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৬৫-৭০ টাকা। ভারতীয় পেঁয়াজ গতকাল ছিল ৪০-৫০ টাকা, এক সপ্তাহ আগে ছিল ৩৫-৪৫ টাকা। কাঁচা মরিচ গতকাল বিক্রি হয়েছে ১৯০-৫০০ টাকায়, এক সপ্তাহ আগে ছিল ১২০-৩০০ টাকা।
গতকাল রামপুরা বাজারে আলু বিক্রি হয় ৪৫ টাকা কেজি। ওই বাজারের খুচরা আলু বিক্রেতা আরাফাত হোসেন বলেন, আগে ৪০ টাকায় বিক্রি করেছেন। কিন্তু এখন পাইকারি দামই ৩৫-৩৭ টাকা। এর সঙ্গে পরিবহন ভাড়াসহ অন্যান্য খরচ মিলে ৪০ টাকা পড়ে। তাই বাধ্য হয়ে ৪৫ টাকা কেজি বিক্রি করছেন। প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৮০ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজ ৫০ টাকায় বিক্রি করছেন।
কারওয়ান বাজার আড়তের আলু ব্যবসায়ী দুলাল হোসেন বলেন, কোল্ডস্টোরেজে আলুর অভাব নেই। শুধু সিন্ডিকেট করে আলুর মজুতদারেরা দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। এ সময় আলুর কেজি ৩০ টাকার নিচে থাকার কথা, অথচ এখন পাইকারিতেই ৩৩-৩৫ টাকা।
কোল্ডস্টোরেজের মালিকেরা জানান, প্রতি কেজি আলুর উৎপাদন খরচ হয়েছে ১৭-১৮ টাকা। বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৩০-৩১ টাকায়। প্রতি কেজি আলুতে মজুতদারেরা ১৩-১৪ টাকা মুনাফা করছেন। ভাড়া কম পাওয়ায় কোল্ডস্টোরেজে আলু রাখার পরিমাণ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ কোল্ডস্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু বলেন, মজুতদারেরা বাজারে আলু সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছেন। সরবরাহ কম থাকায় ধাপে ধাপে দাম বাড়ছে। আলুর দাম কমাতে হলে আমদানির বিকল্প নেই। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
জানতে চাইলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ আজকের পত্রিকাকে বলেন, বাজারে আলুর দাম কেন বাড়ল, তা খতিয়ে দেখা হবে। আলুর উৎপাদন খরচ ও মজুত সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা হবে। প্রয়োজনে আলু আমদানির বিষয়ে মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত দেবে।দামের লাগাম টানতে ভারত থেকে পেঁয়াজ ও
কাঁচা মরিচ আমদানি করা হচ্ছে। কিন্তু এর সুফল ক্রেতারা তেমন পাচ্ছেন না। ৪০-৪৫ টাকার পেঁয়াজ হঠাৎ লাফিয়ে বেড়ে ১০০ টাকায় উঠে গিয়েছিল। আমদানির ঘোষণার পর ৬৫-৭০ টাকায় নেমে এখন ৭০-৮০ টাকা। কাঁচা মরিচ ১২০ থেকে প্রথমে ৩০০, ঈদুল আজহার আগের দিন হঠাৎ কোথাও ৬০০, কোথাও ৮০০, আবার কোথাও হাজার টাকায় ঠেকে। আমদানি শুরুর পর কাঁচা মরিচের কেজি একপর্যায়ে ২০০ থেকে ৩০০ টাকায় নেমে এসেছিল। পরে আবার বেড়েছে।
গত বুধবার বিকেল পর্যন্ত কৃষি মন্ত্রণালয় ৫০ হাজার ৮৮০ টন কাঁচা মরিচ ও ৯ লাখ ৪৫ হাজার ১৭৩ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দিয়েছে। কাঁচা মরিচ এসেছে ৪৩১ টন ২০৬ কেজি ও পেঁয়াজ এসেছে ১ লাখ ৫২ হাজার ৩৪৬ টন। কিন্তু নানা অজুহাতে বাড়তি দাম আদায় চলছেই।
গতকাল রামপুরা বাজারে কাঁচা মরিচ ৪০০-৫০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়। ওই বাজারের বিক্রেতা মিরাজ হোসেন বলেন, গতকাল পাইকারিতে এক পাল্লা (পাঁচ কেজি) কাঁচা মরিচ ১ হাজার ৬০০ টাকায় কিনেছেন।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে