রুদ্র রুহান, বরগুনা
দেশের দক্ষিণাংশের গুরুত্বপূর্ণ সংসদীয় আসন বরগুনা-১। জেলা সদর, আমতলী ও তালতলী এ তিন উপজেলার সমন্বয়ে গঠিত ১ আসনকে বলা হয় দ্বিতীয় গোপালগঞ্জ। ১৯৯০ সাল থেকে এ পর্যন্ত আওয়ামী লীগই আসনটিতে একচ্ছত্র আধিপত্য ধরে রেখেছে। প্রতিপক্ষ বিএনপি বা অন্য কোনো দল ভোটের মাঠে তেমন সুবিধা করতে পারেনি এ আসনে। দলছুট বিদ্রোহী প্রার্থী একবার আসনে জয়লাভ করলেও নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল আওয়ামী লীগেরই প্রার্থী। বর্তমানে এ আসনের সংসদ সদস্য হিসেবে রয়েছেন ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু। তবে এবার দলটির ভেতরের দ্বন্দ্বটা আরও প্রকট এবং দৃশ্যমান। অনেকেই এ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য তদবির ও দৌড়াদৌড়ি করছেন। তাই শেষ পর্যন্ত কে মনোনয়ন পাবেন, তা নিয়ে কিছুটা সন্দিহান ভোটাররা।
এবার এ আসন থেকে ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু ছাড়াও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবীর, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোতালেব মৃধা, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম সরোয়ার টুকু, সাবেক সদস্য ও ব্যবসায়ী এস এম মশিউর রহমান শিহাব, আমতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম সরোয়ার ফোরকান মনোনয়ন চাইবেন বলে জানা গেছে।
আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন চাইবেন এমন কয়েকজন নেতার সঙ্গে কথা হয় আজকের পত্রিকার। ওই নেতারা জানান, শম্ভুর কিছু কর্মকাণ্ড নিয়ে দলের লোকেরা অতিষ্ঠ। জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম সরোয়ার টুকু বলেন, ‘অনেক বছর ক্ষমতায় থেকে তিনি ফুলে-ফেঁপে একাকার।’
দলীয় নেতাদের এসব অভিযোগ প্রসঙ্গে বর্তমান এমপি ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু বলেন, ‘পাঁচবারের সংসদ সদস্য হিসেবে বাস্তবে আমি কী করেছি, এটা দলীয় সভাপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অবগত আছেন। আমি যদি বিতর্কিতই হতাম, তবে সবশেষ সম্মেলনেও আমাকে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করা হতো না। আমি মনোনয়ন চাইব, দল যদি আমার চেয়ে অন্য কাউকে যোগ্য মনে করে মনোনয়ন দেয়, আমি তাঁর পক্ষেই কাজ করব।’
এদিকে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল কাজে লাগিয়ে এ আসনে ঘুরে দাঁড়াতে মাঠে রয়েছে বিএনপির নেতারাও। আওয়ামী লীগ আধিপত্যের এ আসনটিতে বিএনপি নেতৃত্বের সংকটে ভুগেছে বিএনপি। ফলে পঞ্চম ও সপ্তম দুটি সংসদ নির্বাচনে জোটের প্রার্থী হিসেবে ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থীকে মনোনয়ন দিয়েছিল বিএনপি। ২০০৮ সালে আমতলীর মতিয়ার রহমান তালুকদারকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হলে শেষমেশ তিনিও মাঠ ছেড়ে নিরুদ্দেশ হন। পরবর্তী সময়ে বরগুনা-২ আসনের সাংসদ নুরুল ইসলাম মনি ও সুপ্রিম কোর্টের প্রয়াত আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেনকে কেন্দ্র করেই বরগুনা জেলা বিএনপির নেতাদের রাজনীতি করতে হয়েছে। এবার জেলা বিএনপির বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-শ্রমবিষয়ক সম্পাদক ও জেলা বিএনপির নেতা ফিরোজ উজ জামান মামুন মোল্লার নেতৃত্বে সংগঠিত হয়েছে দলটি। মামুন মোল্লা ছাড়াও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম মোল্লা, বর্তমান আহ্বায়ক মাহবুবুল আলম ফারুক মোল্লা ও জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুল হালিম বিএনপি থেকে এ আসনে মনোনয়ন চাইবেন।
বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-শ্রমবিষয়ক সম্পাদক ও জেলা বিএনপির নেতা ফিরোজ উজ জামান মামুন মোল্লা বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া দলীয় মনোনয়নে তরুণদের অগ্রাধিকার দেওয়ার প্রতিশ্রতি দিয়েছেন। তিনি মনোনয়ন দিলে বিজয়ী হয়ে বিএনপিকে আসনটি উপহার দিতে পারব।’
জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম মোল্লা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ দীর্ঘদিন এ আসনে বিজয়ী হয়ে আসছে। তবে এবার দল নির্বাচনে এলে আওয়ামী লীগের একচ্ছত্র আধিপত্য ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে মানুষ বিএনপিকে ভোট দেবে। আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি ভোটের মাঠে এবার আমাদের হারানোর সুযোগ নেই।’
দেশের দক্ষিণাংশের গুরুত্বপূর্ণ সংসদীয় আসন বরগুনা-১। জেলা সদর, আমতলী ও তালতলী এ তিন উপজেলার সমন্বয়ে গঠিত ১ আসনকে বলা হয় দ্বিতীয় গোপালগঞ্জ। ১৯৯০ সাল থেকে এ পর্যন্ত আওয়ামী লীগই আসনটিতে একচ্ছত্র আধিপত্য ধরে রেখেছে। প্রতিপক্ষ বিএনপি বা অন্য কোনো দল ভোটের মাঠে তেমন সুবিধা করতে পারেনি এ আসনে। দলছুট বিদ্রোহী প্রার্থী একবার আসনে জয়লাভ করলেও নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল আওয়ামী লীগেরই প্রার্থী। বর্তমানে এ আসনের সংসদ সদস্য হিসেবে রয়েছেন ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু। তবে এবার দলটির ভেতরের দ্বন্দ্বটা আরও প্রকট এবং দৃশ্যমান। অনেকেই এ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য তদবির ও দৌড়াদৌড়ি করছেন। তাই শেষ পর্যন্ত কে মনোনয়ন পাবেন, তা নিয়ে কিছুটা সন্দিহান ভোটাররা।
এবার এ আসন থেকে ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু ছাড়াও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবীর, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোতালেব মৃধা, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম সরোয়ার টুকু, সাবেক সদস্য ও ব্যবসায়ী এস এম মশিউর রহমান শিহাব, আমতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম সরোয়ার ফোরকান মনোনয়ন চাইবেন বলে জানা গেছে।
আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন চাইবেন এমন কয়েকজন নেতার সঙ্গে কথা হয় আজকের পত্রিকার। ওই নেতারা জানান, শম্ভুর কিছু কর্মকাণ্ড নিয়ে দলের লোকেরা অতিষ্ঠ। জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম সরোয়ার টুকু বলেন, ‘অনেক বছর ক্ষমতায় থেকে তিনি ফুলে-ফেঁপে একাকার।’
দলীয় নেতাদের এসব অভিযোগ প্রসঙ্গে বর্তমান এমপি ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু বলেন, ‘পাঁচবারের সংসদ সদস্য হিসেবে বাস্তবে আমি কী করেছি, এটা দলীয় সভাপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অবগত আছেন। আমি যদি বিতর্কিতই হতাম, তবে সবশেষ সম্মেলনেও আমাকে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করা হতো না। আমি মনোনয়ন চাইব, দল যদি আমার চেয়ে অন্য কাউকে যোগ্য মনে করে মনোনয়ন দেয়, আমি তাঁর পক্ষেই কাজ করব।’
এদিকে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল কাজে লাগিয়ে এ আসনে ঘুরে দাঁড়াতে মাঠে রয়েছে বিএনপির নেতারাও। আওয়ামী লীগ আধিপত্যের এ আসনটিতে বিএনপি নেতৃত্বের সংকটে ভুগেছে বিএনপি। ফলে পঞ্চম ও সপ্তম দুটি সংসদ নির্বাচনে জোটের প্রার্থী হিসেবে ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থীকে মনোনয়ন দিয়েছিল বিএনপি। ২০০৮ সালে আমতলীর মতিয়ার রহমান তালুকদারকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হলে শেষমেশ তিনিও মাঠ ছেড়ে নিরুদ্দেশ হন। পরবর্তী সময়ে বরগুনা-২ আসনের সাংসদ নুরুল ইসলাম মনি ও সুপ্রিম কোর্টের প্রয়াত আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেনকে কেন্দ্র করেই বরগুনা জেলা বিএনপির নেতাদের রাজনীতি করতে হয়েছে। এবার জেলা বিএনপির বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-শ্রমবিষয়ক সম্পাদক ও জেলা বিএনপির নেতা ফিরোজ উজ জামান মামুন মোল্লার নেতৃত্বে সংগঠিত হয়েছে দলটি। মামুন মোল্লা ছাড়াও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম মোল্লা, বর্তমান আহ্বায়ক মাহবুবুল আলম ফারুক মোল্লা ও জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুল হালিম বিএনপি থেকে এ আসনে মনোনয়ন চাইবেন।
বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-শ্রমবিষয়ক সম্পাদক ও জেলা বিএনপির নেতা ফিরোজ উজ জামান মামুন মোল্লা বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া দলীয় মনোনয়নে তরুণদের অগ্রাধিকার দেওয়ার প্রতিশ্রতি দিয়েছেন। তিনি মনোনয়ন দিলে বিজয়ী হয়ে বিএনপিকে আসনটি উপহার দিতে পারব।’
জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম মোল্লা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ দীর্ঘদিন এ আসনে বিজয়ী হয়ে আসছে। তবে এবার দল নির্বাচনে এলে আওয়ামী লীগের একচ্ছত্র আধিপত্য ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে মানুষ বিএনপিকে ভোট দেবে। আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি ভোটের মাঠে এবার আমাদের হারানোর সুযোগ নেই।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে