ঝালকাঠি প্রতিনিধি
ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রশাসনের হিসাবে এখনো ৩০ যাত্রী নিখোঁজ। তবে রেড ক্রিসেন্ট ঝালকাঠি ইউনিটের হিসাবে ৩৩ জন। এদিকে উদ্ধার হওয়া ৪৫ লাশের মধ্যে ২৪টি অজ্ঞাতপরিচয়ে দাফন করা হয়েছে। এই অজ্ঞাত লাশের পরিচয় শনাক্তে অধীর অপেক্ষায় স্বজনেরা। তাঁরা চাচ্ছেন, দ্রুতই পরিচয় শনাক্ত করা হোক।
জেলা প্রশাসন বলছে, লাশের পরিচয় শনাক্তে কাজ করছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। তবে ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহে ডিএনএ প্রতিবেদন পাওয়া যাবে। তখন অজ্ঞাত লাশের পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হবে।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৪৮ জন স্বজনের ডিএনএ সংগ্রহ করা হয়েছে। ডিএনএ প্রতিবেদন পেলে নিখোঁজ যাত্রীদের সন্ধান নিশ্চিত হওয়া যাবে। গত ২৩ ডিসেম্বর রাতে আগুন লাগে। নিখোঁজ ৩০ জনের মধ্যে রিনা বেগম (৩২) ও লিনা (১৪)। আর তাঁদের সন্ধান মিলবে কি না তা নিয়ে উদ্বিগ্ন স্বজনেরা। ডিএনএ প্রতিবেদনই এখন শেষ ভরসা।
বরগুনা জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, লঞ্চে আগুনের ঘটনায় ৪৫টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ২৫ জনের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি। শনাক্তে ৪৮ জনের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এদিকে বরগুনা সদরের পোটকাখালী গ্রামের খকদোন নদীর তীরে আলাদা ২১টি কবরে দাফন করা হয় ২৩টি মরদেহ।
জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান বলেন, ‘নিয়ম অনুযায়ী পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) থেকে ডিএনএ প্রতিবেদন পেতে দুই মাস সময় লাগে। ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহে প্রতিবেদন পেলে কিছু মরদেহের পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হবে।’
রেড ক্রিসেন্টের ঝালকাঠি ইউনিটের যুবপ্রধান মশিউর রহমানের দাবি, এখনো ৫০ যাত্রী নিখোঁজ রয়েছে। তাঁদের স্বজনদের কাছ থেকে এ তথ্য সংগ্রহ করা হয়। ৩৩ জনের স্বজনেরা এখনো যোগাযোগ রাখছেন। বাকি ১৭ জনের স্বজনদের মোবাইল ফোনে কল দিয়েও সাড়া পাওয়া যায়নি।’
প্রত্যক্ষদর্শীদের ধারণা, দুর্ঘটনায় অনেক মানুষ পুড়ে গেছে। ডিএনএ পরীক্ষার প্রতিবেদন পাওয়ার পর দাফন করা অজ্ঞাতপরিচয় কিছু লাশের পরিচয় মিলবে হয়তো। আবার অনেকের মতে, আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের পানির বেগে পোড়া কঙ্কাল ও হাড় নদীতে ভেসে গেছে।
ঝালকাঠি ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন লিডার শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘উদ্ধার হওয়া লাশের বেশির ভাগই ছিল কঙ্কাল। ডিএনএ প্রতিবেদন ছাড়া তাঁদের পরিচয় শনাক্তের উপায় নেই।’ তবে অনেকের বিশ্বাস, হারিয়ে যাওয়া স্বজন ফিরে আসবে। এমনই একজন বরগুনার বেতাগী উপজেলার মোকামিয়া গ্রামের খদিজা বেগম। তিনি বলেন, ‘এখনো মনে হচ্ছে, স্বামী ও মেয়ে ঢাকায় বেড়াচ্ছে। যেকোনো সময় বাড়িতে ফিরবে।’
বাবা আরিফুরের সঙ্গে ঢাকায় ফুপুবাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল চার বছরের কুলসুম। বাড়িতে ফেরার পথে লঞ্চে আগুনের ঘটনায় নিখোঁজ হয় তারা।
পাথরঘাটা উপজেলার চরদুয়ানী গ্রামের মেয়ে ফজিলাতুন্নেছা পপি (৩৭)। ঢাকার একটি গার্মেন্টসে চাকরি করতেন তিনি। এখনো নিখোঁজ পপি। পপির মেয়ে বলছে, মা ফিরে এলে নফল নামাজ পড়ব।
এদিকে অভিযান-১০ লঞ্চ দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে তিনটি তদন্ত কমিটি করা হয়। কিন্তু এখনো দুটি কমিটি প্রতিবেদন জমা দেয়নি। অথচ সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। শুধু নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় থেকে গঠন করা কমিটি প্রতিবেদন দিয়েছে। ঝালকাঠি জেলা প্রশাসনের তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নাজমুল আলম বলেন, ‘সময় সাত দিন বাড়ানো হয়েছে।’
ফায়ার সার্ভিসের তদন্ত কমিটির সদস্য ফিরোজ কুতুবী বলেন, ‘প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সময় বাড়ানো হয়েছে।’ গত বুধবার বরিশাল শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হাসপাতালে দগ্ধ ১২ লঞ্চযাত্রী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এদিকে এ ঘটনায় মালিক হামজালাল শেখকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে বলে জানান তদন্ত কর্মকর্তা এসআই নজরুল ইসলাম।
ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রশাসনের হিসাবে এখনো ৩০ যাত্রী নিখোঁজ। তবে রেড ক্রিসেন্ট ঝালকাঠি ইউনিটের হিসাবে ৩৩ জন। এদিকে উদ্ধার হওয়া ৪৫ লাশের মধ্যে ২৪টি অজ্ঞাতপরিচয়ে দাফন করা হয়েছে। এই অজ্ঞাত লাশের পরিচয় শনাক্তে অধীর অপেক্ষায় স্বজনেরা। তাঁরা চাচ্ছেন, দ্রুতই পরিচয় শনাক্ত করা হোক।
জেলা প্রশাসন বলছে, লাশের পরিচয় শনাক্তে কাজ করছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। তবে ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহে ডিএনএ প্রতিবেদন পাওয়া যাবে। তখন অজ্ঞাত লাশের পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হবে।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৪৮ জন স্বজনের ডিএনএ সংগ্রহ করা হয়েছে। ডিএনএ প্রতিবেদন পেলে নিখোঁজ যাত্রীদের সন্ধান নিশ্চিত হওয়া যাবে। গত ২৩ ডিসেম্বর রাতে আগুন লাগে। নিখোঁজ ৩০ জনের মধ্যে রিনা বেগম (৩২) ও লিনা (১৪)। আর তাঁদের সন্ধান মিলবে কি না তা নিয়ে উদ্বিগ্ন স্বজনেরা। ডিএনএ প্রতিবেদনই এখন শেষ ভরসা।
বরগুনা জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, লঞ্চে আগুনের ঘটনায় ৪৫টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ২৫ জনের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি। শনাক্তে ৪৮ জনের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এদিকে বরগুনা সদরের পোটকাখালী গ্রামের খকদোন নদীর তীরে আলাদা ২১টি কবরে দাফন করা হয় ২৩টি মরদেহ।
জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান বলেন, ‘নিয়ম অনুযায়ী পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) থেকে ডিএনএ প্রতিবেদন পেতে দুই মাস সময় লাগে। ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহে প্রতিবেদন পেলে কিছু মরদেহের পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হবে।’
রেড ক্রিসেন্টের ঝালকাঠি ইউনিটের যুবপ্রধান মশিউর রহমানের দাবি, এখনো ৫০ যাত্রী নিখোঁজ রয়েছে। তাঁদের স্বজনদের কাছ থেকে এ তথ্য সংগ্রহ করা হয়। ৩৩ জনের স্বজনেরা এখনো যোগাযোগ রাখছেন। বাকি ১৭ জনের স্বজনদের মোবাইল ফোনে কল দিয়েও সাড়া পাওয়া যায়নি।’
প্রত্যক্ষদর্শীদের ধারণা, দুর্ঘটনায় অনেক মানুষ পুড়ে গেছে। ডিএনএ পরীক্ষার প্রতিবেদন পাওয়ার পর দাফন করা অজ্ঞাতপরিচয় কিছু লাশের পরিচয় মিলবে হয়তো। আবার অনেকের মতে, আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের পানির বেগে পোড়া কঙ্কাল ও হাড় নদীতে ভেসে গেছে।
ঝালকাঠি ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন লিডার শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘উদ্ধার হওয়া লাশের বেশির ভাগই ছিল কঙ্কাল। ডিএনএ প্রতিবেদন ছাড়া তাঁদের পরিচয় শনাক্তের উপায় নেই।’ তবে অনেকের বিশ্বাস, হারিয়ে যাওয়া স্বজন ফিরে আসবে। এমনই একজন বরগুনার বেতাগী উপজেলার মোকামিয়া গ্রামের খদিজা বেগম। তিনি বলেন, ‘এখনো মনে হচ্ছে, স্বামী ও মেয়ে ঢাকায় বেড়াচ্ছে। যেকোনো সময় বাড়িতে ফিরবে।’
বাবা আরিফুরের সঙ্গে ঢাকায় ফুপুবাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল চার বছরের কুলসুম। বাড়িতে ফেরার পথে লঞ্চে আগুনের ঘটনায় নিখোঁজ হয় তারা।
পাথরঘাটা উপজেলার চরদুয়ানী গ্রামের মেয়ে ফজিলাতুন্নেছা পপি (৩৭)। ঢাকার একটি গার্মেন্টসে চাকরি করতেন তিনি। এখনো নিখোঁজ পপি। পপির মেয়ে বলছে, মা ফিরে এলে নফল নামাজ পড়ব।
এদিকে অভিযান-১০ লঞ্চ দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে তিনটি তদন্ত কমিটি করা হয়। কিন্তু এখনো দুটি কমিটি প্রতিবেদন জমা দেয়নি। অথচ সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। শুধু নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় থেকে গঠন করা কমিটি প্রতিবেদন দিয়েছে। ঝালকাঠি জেলা প্রশাসনের তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নাজমুল আলম বলেন, ‘সময় সাত দিন বাড়ানো হয়েছে।’
ফায়ার সার্ভিসের তদন্ত কমিটির সদস্য ফিরোজ কুতুবী বলেন, ‘প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সময় বাড়ানো হয়েছে।’ গত বুধবার বরিশাল শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হাসপাতালে দগ্ধ ১২ লঞ্চযাত্রী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এদিকে এ ঘটনায় মালিক হামজালাল শেখকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে বলে জানান তদন্ত কর্মকর্তা এসআই নজরুল ইসলাম।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে