সম্পাদকীয়
বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি তথা বিডিএস নামের এনজিও থেকে ৪০ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছিলেন বরিশালের আগৈলঝাড়ার গৈলা ইউনিয়নের এক গৃহবধূ। ঋণ নিয়েছিলেন এক বছর আগে। আর্থিক অনটনের কারণে ঋণের সেই অর্থ তিনি পুরো পরিশোধ করতে পারেননি। এনজিও কর্তৃপক্ষ অপরিশোধিত ১৭ হাজার টাকার জন্য মামলা ঠুকে দেয় আদালতে। সেখান থেকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হলে গৃহবধূকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে আসে পুলিশ। একজন নারী পুলিশকে সঙ্গে নেওয়ার কথাও তাদের মনে হয়নি। গৃহবধূর দুই বছর বয়সী সন্তান ও শাশুড়িকেও বিনা ওয়ারেন্টে থানায় নিয়ে আসে তারা।
ঋণের কিস্তি শোধ না করলে তো মামলা হবেই। মামলা হলে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হবে। এ আর নতুন কী? তাই গৈলা ইউনিয়নের তালতারমাঠ গ্রামের এই গৃহবধূর তো শাস্তি হতেই পারে! এ নিয়ে একটা সম্পাদকীয় লেখার কী এমন প্রয়োজন পড়ল? যদিও সেই গৃহবধূ জামিন পেয়েছেন, তবু একটি প্রবাদবাক্য মনে ঘুরছে বলে এ বিষয়ে যৎকিঞ্চিৎ কিছু বলা দরকার। ‘জোর যার মুল্লুক তার’ কথাটি সজোরে ধাক্কা দিচ্ছে আমাদের মনে।
আমাদের ব্যাংকিং সেক্টরটিকে লুটপাটের আদর্শ স্থানে পরিণত করার সময় একবারও মনে হয়নি, দেশের সাধারণ মানুষের ঠাঁই কোথায়। ১৯৯১ সালে প্রকাশিত ‘বাংলাদেশ পুনর্গঠন ও জাতীয় ঐকমত্য’ নামের বইয়ে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ আবুল মাল আবদুল মুহিত এই লুটপাটের স্বরূপ উদ্ঘাটন করেছিলেন এই বলে, ‘যে সরকার বৈধতা খুঁজে বেড়াচ্ছে, তাকে গ্রামীণ মাতব্বরদের খুশি করতে হয়, প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ীদের হাত করতে হয়, শিল্পপতিদের সুযোগ দিতে হয়, আমলাদের ক্ষমতা দিতে হয়, রাজনীতিবিদদের দলে টানতে হয় এবং নির্দিষ্ট গোষ্ঠীকে খাতির করতে হয়। এ অবস্থায় সরকারি তহবিলের যথেচ্ছ ব্যবহার ও অপচয় অবধারিত।’
পরে আওয়ামী লীগ সরকারের অর্থমন্ত্রী হয়েছেন তিনি। এই চক্র থেকে তিনিও যে দেশকে বের করতে পারেননি, পরবর্তীকালে ব্যাংক খাতে অস্থিরতা আর ধারাবাহিক ঋণখেলাপি ট্র্যাজেডি তার প্রমাণ।
এরশাদ জমানার পরও আমাদের গণতান্ত্রিক সরকারগুলো ব্যাংক খাতকে যেভাবে পঙ্গু করেছে, তা খুবই দুঃখজনক। টাকাওয়ালা ঋণখেলাপিরা সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পাচ্ছেন। একশ্রেণির উদ্যোক্তাদের পুঁজির মূল উৎসই হচ্ছে ফেরত না দেওয়া ব্যাংকঋণ। সরকারি নীতিনির্ধারকেরা তা জানেন ঠিকই, কিন্তু এই অন্যায়ের সঙ্গে সরকারগুলোর একটা মেলবন্ধন আছে বলেই প্রভাবশালীরা বহাল তবিয়তে টিকে থাকতে পারছে।
এই ধনিক গোষ্ঠীর খেলাপি ঋণের তফসিল, পুনঃ তফসিল নিয়ে আওয়ামী লীগ-বিএনপির আমলে কত যে নাটক হয়েছে, তার ইয়ত্তা নেই। আর কাছাকাছি সময়ে আর্থিক কেলেঙ্কারির জন্য হল-মার্ক, বেসিক ব্যাংক, বিসমিল্লাহ গ্রুপসহ অন্যদের আর্থিক কেলেঙ্কারির কথাও মনে করিয়ে দেওয়া অন্যায় হবে না।
সুদূর আগৈলঝাড়ার জনৈক গৃহবধূ সম্ভবত এই সব ঋণখেলাপি আর ব্যাংক ডাকাতের চেয়ে বেশি অন্যায় করে ফেলেছেন! জীবনাচরণের এই বৈপরীত্যকে আর কী আখ্যা দেওয়া যায়, ‘জোর যার মুল্লুক তার’ ছাড়া?
বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি তথা বিডিএস নামের এনজিও থেকে ৪০ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছিলেন বরিশালের আগৈলঝাড়ার গৈলা ইউনিয়নের এক গৃহবধূ। ঋণ নিয়েছিলেন এক বছর আগে। আর্থিক অনটনের কারণে ঋণের সেই অর্থ তিনি পুরো পরিশোধ করতে পারেননি। এনজিও কর্তৃপক্ষ অপরিশোধিত ১৭ হাজার টাকার জন্য মামলা ঠুকে দেয় আদালতে। সেখান থেকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হলে গৃহবধূকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে আসে পুলিশ। একজন নারী পুলিশকে সঙ্গে নেওয়ার কথাও তাদের মনে হয়নি। গৃহবধূর দুই বছর বয়সী সন্তান ও শাশুড়িকেও বিনা ওয়ারেন্টে থানায় নিয়ে আসে তারা।
ঋণের কিস্তি শোধ না করলে তো মামলা হবেই। মামলা হলে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হবে। এ আর নতুন কী? তাই গৈলা ইউনিয়নের তালতারমাঠ গ্রামের এই গৃহবধূর তো শাস্তি হতেই পারে! এ নিয়ে একটা সম্পাদকীয় লেখার কী এমন প্রয়োজন পড়ল? যদিও সেই গৃহবধূ জামিন পেয়েছেন, তবু একটি প্রবাদবাক্য মনে ঘুরছে বলে এ বিষয়ে যৎকিঞ্চিৎ কিছু বলা দরকার। ‘জোর যার মুল্লুক তার’ কথাটি সজোরে ধাক্কা দিচ্ছে আমাদের মনে।
আমাদের ব্যাংকিং সেক্টরটিকে লুটপাটের আদর্শ স্থানে পরিণত করার সময় একবারও মনে হয়নি, দেশের সাধারণ মানুষের ঠাঁই কোথায়। ১৯৯১ সালে প্রকাশিত ‘বাংলাদেশ পুনর্গঠন ও জাতীয় ঐকমত্য’ নামের বইয়ে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ আবুল মাল আবদুল মুহিত এই লুটপাটের স্বরূপ উদ্ঘাটন করেছিলেন এই বলে, ‘যে সরকার বৈধতা খুঁজে বেড়াচ্ছে, তাকে গ্রামীণ মাতব্বরদের খুশি করতে হয়, প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ীদের হাত করতে হয়, শিল্পপতিদের সুযোগ দিতে হয়, আমলাদের ক্ষমতা দিতে হয়, রাজনীতিবিদদের দলে টানতে হয় এবং নির্দিষ্ট গোষ্ঠীকে খাতির করতে হয়। এ অবস্থায় সরকারি তহবিলের যথেচ্ছ ব্যবহার ও অপচয় অবধারিত।’
পরে আওয়ামী লীগ সরকারের অর্থমন্ত্রী হয়েছেন তিনি। এই চক্র থেকে তিনিও যে দেশকে বের করতে পারেননি, পরবর্তীকালে ব্যাংক খাতে অস্থিরতা আর ধারাবাহিক ঋণখেলাপি ট্র্যাজেডি তার প্রমাণ।
এরশাদ জমানার পরও আমাদের গণতান্ত্রিক সরকারগুলো ব্যাংক খাতকে যেভাবে পঙ্গু করেছে, তা খুবই দুঃখজনক। টাকাওয়ালা ঋণখেলাপিরা সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পাচ্ছেন। একশ্রেণির উদ্যোক্তাদের পুঁজির মূল উৎসই হচ্ছে ফেরত না দেওয়া ব্যাংকঋণ। সরকারি নীতিনির্ধারকেরা তা জানেন ঠিকই, কিন্তু এই অন্যায়ের সঙ্গে সরকারগুলোর একটা মেলবন্ধন আছে বলেই প্রভাবশালীরা বহাল তবিয়তে টিকে থাকতে পারছে।
এই ধনিক গোষ্ঠীর খেলাপি ঋণের তফসিল, পুনঃ তফসিল নিয়ে আওয়ামী লীগ-বিএনপির আমলে কত যে নাটক হয়েছে, তার ইয়ত্তা নেই। আর কাছাকাছি সময়ে আর্থিক কেলেঙ্কারির জন্য হল-মার্ক, বেসিক ব্যাংক, বিসমিল্লাহ গ্রুপসহ অন্যদের আর্থিক কেলেঙ্কারির কথাও মনে করিয়ে দেওয়া অন্যায় হবে না।
সুদূর আগৈলঝাড়ার জনৈক গৃহবধূ সম্ভবত এই সব ঋণখেলাপি আর ব্যাংক ডাকাতের চেয়ে বেশি অন্যায় করে ফেলেছেন! জীবনাচরণের এই বৈপরীত্যকে আর কী আখ্যা দেওয়া যায়, ‘জোর যার মুল্লুক তার’ ছাড়া?
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে