সাঁথিয়া (পাবনা) প্রতিনিধি
পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার ক্ষেতুপাড়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রের জায়গায় গৃহহীনদের জন্য ঘর নির্মাণের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী। গতকাল শনিবার সকালে ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সামনের সড়কে এ মানববন্ধন করা হয়। আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে এ ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে বলে এ সময় অভিযোগ করেন বক্তারা।
জানা যায়, সরকার গৃহহীনদের জন্য খাস জমিতে ঘর নির্মাণের নির্দেশ দেয় উপজেলা প্রশাসনকে। সাঁথিয়া উপজেলা প্রশাসন ২০টি ঘর নির্মাণের জন্য ক্ষেতুপাড়া মৌজার উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রের পরিত্যক্ত দালান ভেঙে ও গাছ কেটে নির্ধারিত স্থানে ঘর নির্মাণকাজ শেষ করে। কিন্তু গত ২৯ নভেম্বর এক চিঠিতে দালান ভাঙা ও গাছ কাটার বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে সিভিল সার্জন ও ইউএনওকে চিঠি দেন ক্ষেতুপাড়া উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের মেডিকেল কর্মকর্তা ফাতেমা তুজ জোহরা।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, এলাকার জনসাধারণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে সিএস খতিয়ানের মালিক বাছের প্রামানিক ব্রিটিশ আমলে ওই স্থানে একটি হাসপাতাল নির্মাণ করেন, যা পরবর্তীতে সরকারিকরণ হলে হাসপাতালের নামে বাছের নিজস্ব দুই একর তিন শতক জমি রেকর্ড করে দেন। আরএস জরিপকালীন সময়ে ভুলক্রমে জেলা প্রশাসক, পাবনার নামে জমিটি ১ নম্বর খতিয়ানে রেকর্ড হয়। এ সুযোগে হাসপাতালের জায়গায় গুচ্ছগ্রাম নির্মাণকাজ শুরু করা হয়। পরে পাবনা জেলা জজ কোর্টে একটি মামলা করেন বাছের প্রামানিকের নাতি বাবু প্রামানিক।
এদিকে এলাকাবাসীর পক্ষে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়সহ একাধিক স্থানে হাসপাতালের জমি রক্ষায় লিখিত অভিযোগ করেন রফিকুল ইসলাম। অভিযোগের ভিত্তিতে গতকাল শনিবার সকালে প্রকল্প এলাকা তদন্তে আসেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) আব্দুল মান্নান। এ সময় স্থানীয়রা হাসপাতালের জমি রক্ষায় বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেন।
জমি দানকারির আত্মীয় ইউনুস মুহুরী বলেন, ‘ঘর নির্মাণকাজে বাধা দিলে ইউএনও আমাকে ভয়ভীতি দেখান। ঘর নির্মাণের বিষয়ে আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও জোরপূর্বক ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে।’ স্থানীয় সাইফুল ইসলাম স্বপন ও আশরাফুল আলম জানান, জন্মের পর থেকেই ওই স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসা নিয়েছেন তাঁরা। সেখানে ঘর নির্মাণ না করে অন্য কোথাও নির্মাণের দাবি তাঁদের।
সাঁথিয়া উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জান্নাতুল ফেরদৌস বৈশাখী বলেন, ‘জমি রক্ষায় সিভিল সার্জনসহ বিভিন্ন স্থানে চিঠি দিয়েছি। যেখানে ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে সেখানে হাসপাতালের পুরোনো ভবন ও গাছ ছিল। সাঁথিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম জামাল আহমেদ বলেন, ‘আমরা সরকারের নির্দেশে খাস জমিতে গৃহহীনদের জন্য ঘর নির্মাণ করছি। আদালতের নিষেধাজ্ঞার কোনো নোটিশ আমি পাইনি।’ অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) আব্দুল মান্নান সাংবাদিকদের বলেন, ‘খাস জমির মালিক জেলা প্রশাসক। আমরা সরকারের নির্দেশে খাস জমিতে গৃহহীনদের জন্য ঘর নির্মাণ করি। সরেজমিনে দেখে দুই পক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। বিষয়টি মন্ত্রণালয়ে লিখিতভাবে জানাব।’
পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার ক্ষেতুপাড়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রের জায়গায় গৃহহীনদের জন্য ঘর নির্মাণের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী। গতকাল শনিবার সকালে ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সামনের সড়কে এ মানববন্ধন করা হয়। আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে এ ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে বলে এ সময় অভিযোগ করেন বক্তারা।
জানা যায়, সরকার গৃহহীনদের জন্য খাস জমিতে ঘর নির্মাণের নির্দেশ দেয় উপজেলা প্রশাসনকে। সাঁথিয়া উপজেলা প্রশাসন ২০টি ঘর নির্মাণের জন্য ক্ষেতুপাড়া মৌজার উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রের পরিত্যক্ত দালান ভেঙে ও গাছ কেটে নির্ধারিত স্থানে ঘর নির্মাণকাজ শেষ করে। কিন্তু গত ২৯ নভেম্বর এক চিঠিতে দালান ভাঙা ও গাছ কাটার বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে সিভিল সার্জন ও ইউএনওকে চিঠি দেন ক্ষেতুপাড়া উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের মেডিকেল কর্মকর্তা ফাতেমা তুজ জোহরা।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, এলাকার জনসাধারণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে সিএস খতিয়ানের মালিক বাছের প্রামানিক ব্রিটিশ আমলে ওই স্থানে একটি হাসপাতাল নির্মাণ করেন, যা পরবর্তীতে সরকারিকরণ হলে হাসপাতালের নামে বাছের নিজস্ব দুই একর তিন শতক জমি রেকর্ড করে দেন। আরএস জরিপকালীন সময়ে ভুলক্রমে জেলা প্রশাসক, পাবনার নামে জমিটি ১ নম্বর খতিয়ানে রেকর্ড হয়। এ সুযোগে হাসপাতালের জায়গায় গুচ্ছগ্রাম নির্মাণকাজ শুরু করা হয়। পরে পাবনা জেলা জজ কোর্টে একটি মামলা করেন বাছের প্রামানিকের নাতি বাবু প্রামানিক।
এদিকে এলাকাবাসীর পক্ষে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়সহ একাধিক স্থানে হাসপাতালের জমি রক্ষায় লিখিত অভিযোগ করেন রফিকুল ইসলাম। অভিযোগের ভিত্তিতে গতকাল শনিবার সকালে প্রকল্প এলাকা তদন্তে আসেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) আব্দুল মান্নান। এ সময় স্থানীয়রা হাসপাতালের জমি রক্ষায় বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেন।
জমি দানকারির আত্মীয় ইউনুস মুহুরী বলেন, ‘ঘর নির্মাণকাজে বাধা দিলে ইউএনও আমাকে ভয়ভীতি দেখান। ঘর নির্মাণের বিষয়ে আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও জোরপূর্বক ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে।’ স্থানীয় সাইফুল ইসলাম স্বপন ও আশরাফুল আলম জানান, জন্মের পর থেকেই ওই স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসা নিয়েছেন তাঁরা। সেখানে ঘর নির্মাণ না করে অন্য কোথাও নির্মাণের দাবি তাঁদের।
সাঁথিয়া উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জান্নাতুল ফেরদৌস বৈশাখী বলেন, ‘জমি রক্ষায় সিভিল সার্জনসহ বিভিন্ন স্থানে চিঠি দিয়েছি। যেখানে ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে সেখানে হাসপাতালের পুরোনো ভবন ও গাছ ছিল। সাঁথিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম জামাল আহমেদ বলেন, ‘আমরা সরকারের নির্দেশে খাস জমিতে গৃহহীনদের জন্য ঘর নির্মাণ করছি। আদালতের নিষেধাজ্ঞার কোনো নোটিশ আমি পাইনি।’ অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) আব্দুল মান্নান সাংবাদিকদের বলেন, ‘খাস জমির মালিক জেলা প্রশাসক। আমরা সরকারের নির্দেশে খাস জমিতে গৃহহীনদের জন্য ঘর নির্মাণ করি। সরেজমিনে দেখে দুই পক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। বিষয়টি মন্ত্রণালয়ে লিখিতভাবে জানাব।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে