ফিরোজ আহম্মেদ, গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী)
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে পদ্মা নদী থেকে ড্রেজার বসিয়ে অবৈধভাবে বালু তুলছে প্রভাবশালী একটি চক্র। বসতবাড়ি ও কৃষিজমির আশপাশ থেকে বালু তোলা হচ্ছে অবাধে। এতে ঘর, মসজিদ, রাস্তাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে। এদিকে অবৈধভাবে তোলা বালু বিক্রি করে চক্রটি মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিলেও প্রশাসন নির্বিকার।
স্থানীয় বাসিন্দাদের বাধার মুখেও বন্ধ হচ্ছে অবৈধভাবে পদ্মা নদী থেকে বালু তোলা।
উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়নের পদ্মা নদীর চর কর্ণেশন কলা বাগান এবং মরা পদ্মা নদীর ক্যানাল ঘাট, উজানচর নতুন ব্রিজ এলাকায় এ ড্রেজার বসিয়ে তোলা হচ্ছে বালু। এতে করে নদীর দুপাশের দুটি গ্রামের কয়েক শ পরিবার ও রাস্তাঘাট–মসজিদসহ ফসলি জমি ধসে যাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।
অবৈধভাবে বালু তোলায় ক্ষতিগ্রস্ত রওশন আরা বেগম, রবিউল শেখ, তোফাজ্জল হোসেনসহ কয়েকজন বলেন, নদী থেকে যেভাবে বালি ও মাটি উত্তোলন করা হচ্ছে, তাতে যে কোনো সময় কয়েকটি রাস্তা, বাড়ি-ঘর, দোকানপাট ও গাছপালা নদী গর্ভে বিলীন যেতে পারে। বারবার নিষেধ করলেও শুনছে না বালু ব্যবসায়ীরা। উল্টে ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। সেই সঙ্গে ব্যবসায়ীরা সরকারি কাজের জন্য বালু তোলা হচ্ছে বলেও মিথ্যা কথা প্রচার করছেন। মূলত তারা বালু-মাটি তুলে ব্যবসা করেন। বিভিন্ন নিচু জায়গা বালি দিয়ে ভরাট করে ভিটা বাঁধছে।
উজানচর ইউনিয়নের নতুন ব্রিজ এলাকার কামরুল ইসলাম জানান, যেখানে ড্রেজার বসানো হয়েছে, তার সামান্য দূরে বসত বাড়ি। যখন পানি বৃদ্ধি পায়, তখন বালু ব্যবসায়ীরা রাস্তার কাজের কথা বলে মাটি কাটছেন। রাস্তার কাজ শেষ হলেও শেষ হয় না বালু তোলা ও মাটি কাটা। পরে তাঁরা আশপাশের নিচু জায়গা ভরাট করেন নদী থেকে তোলা বালুতে। তাঁরা মূলত একটা কাজের অজুহাতে বিভিন্ন জায়গায় বালু ভরাট করে পকেট ভরছেন।
দৌলতদিয়া ক্যানাল ঘাট এলাকার মজিবর রহমান বলেন, ‘ড্রেজার থেকে এলাকার যাতায়াতের রাস্তা ৪০-৫০ মিটার দূরে। তাঁরা যেভাবে দিনের পর দিন বালু তুলছেন, তাতে যেকোনো সময় রাস্তাটি ধসে যেতে পারে। রাস্তা ভেঙে গেলেই আমাদের বাড়িঘর কিছুই থাকবে না। আমরা নিষেধ করলেও শোনে না। বলে আমরা সবাইকে ম্যানেজ করেই ড্রেজার চালাচ্ছি।’
জানা গেছে, চর কর্ণেশন কলা বাগান এলাকায় ইসমাইল হোসেন, দৌলতদিয়া ক্যানাল ঘাট ওমর আলী মোল্লার পাড়া ও ইদ্রিস পাড়া এলাকায় কাদের ফকির, গফুর মন্ডল পাড়ায় লোকমান ও আবজাল, সৈদাল পাড়ায় মুজা শেখ ও আলামিন, উজানচর নতুন ব্রিজ এলাকায় ইসমাইল হোসেন ও মনা, দেবগ্রাম আতর চেয়ারম্যান বাজার এলাকায় মিনু মেম্বার নামের প্রভাবশালী বালু ব্যবসায়ীরা দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে ড্রেজার বসিয়ে বালু ও মাটি তুলছেন। সেই বালি ও মাটি তাঁরা বিক্রি করে মোটা টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন নদী পাড়ের সাধারণ মানুষ।
বালু ব্যবসায়ী কাদের ফকির ও মুজা শেখ স্বীকার করে বলেন, তাঁরা অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন চালাচ্ছেন। প্রশাসনের কোনো অনুমতি নেই। বসতবাড়ি থেকে তাঁদের ড্রেজার অনেক দূরে বলে দাবি তাঁদের। এ ছাড়া জমির মালিকদের সঙ্গে আলোচনা করে তারা মাটি কাটেন বলে দাবি।
গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জাকির হোসেন বলেন, নদীতে ড্রেজার মেশিন চালানোর জন্য কাউকে কোনো অনুমতি দেওয়া হয়নি। সরকারি কাজে বালুর প্রয়োজনের কথা বলে থাকলে সেটা অন্যায় ও মিথ্যা। এ সব অবৈধ ড্রেজিংয়ের বিরুদ্ধে শিগগিরই সাঁড়াশি অভিযান চালনা হবে।
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে পদ্মা নদী থেকে ড্রেজার বসিয়ে অবৈধভাবে বালু তুলছে প্রভাবশালী একটি চক্র। বসতবাড়ি ও কৃষিজমির আশপাশ থেকে বালু তোলা হচ্ছে অবাধে। এতে ঘর, মসজিদ, রাস্তাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে। এদিকে অবৈধভাবে তোলা বালু বিক্রি করে চক্রটি মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিলেও প্রশাসন নির্বিকার।
স্থানীয় বাসিন্দাদের বাধার মুখেও বন্ধ হচ্ছে অবৈধভাবে পদ্মা নদী থেকে বালু তোলা।
উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়নের পদ্মা নদীর চর কর্ণেশন কলা বাগান এবং মরা পদ্মা নদীর ক্যানাল ঘাট, উজানচর নতুন ব্রিজ এলাকায় এ ড্রেজার বসিয়ে তোলা হচ্ছে বালু। এতে করে নদীর দুপাশের দুটি গ্রামের কয়েক শ পরিবার ও রাস্তাঘাট–মসজিদসহ ফসলি জমি ধসে যাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।
অবৈধভাবে বালু তোলায় ক্ষতিগ্রস্ত রওশন আরা বেগম, রবিউল শেখ, তোফাজ্জল হোসেনসহ কয়েকজন বলেন, নদী থেকে যেভাবে বালি ও মাটি উত্তোলন করা হচ্ছে, তাতে যে কোনো সময় কয়েকটি রাস্তা, বাড়ি-ঘর, দোকানপাট ও গাছপালা নদী গর্ভে বিলীন যেতে পারে। বারবার নিষেধ করলেও শুনছে না বালু ব্যবসায়ীরা। উল্টে ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। সেই সঙ্গে ব্যবসায়ীরা সরকারি কাজের জন্য বালু তোলা হচ্ছে বলেও মিথ্যা কথা প্রচার করছেন। মূলত তারা বালু-মাটি তুলে ব্যবসা করেন। বিভিন্ন নিচু জায়গা বালি দিয়ে ভরাট করে ভিটা বাঁধছে।
উজানচর ইউনিয়নের নতুন ব্রিজ এলাকার কামরুল ইসলাম জানান, যেখানে ড্রেজার বসানো হয়েছে, তার সামান্য দূরে বসত বাড়ি। যখন পানি বৃদ্ধি পায়, তখন বালু ব্যবসায়ীরা রাস্তার কাজের কথা বলে মাটি কাটছেন। রাস্তার কাজ শেষ হলেও শেষ হয় না বালু তোলা ও মাটি কাটা। পরে তাঁরা আশপাশের নিচু জায়গা ভরাট করেন নদী থেকে তোলা বালুতে। তাঁরা মূলত একটা কাজের অজুহাতে বিভিন্ন জায়গায় বালু ভরাট করে পকেট ভরছেন।
দৌলতদিয়া ক্যানাল ঘাট এলাকার মজিবর রহমান বলেন, ‘ড্রেজার থেকে এলাকার যাতায়াতের রাস্তা ৪০-৫০ মিটার দূরে। তাঁরা যেভাবে দিনের পর দিন বালু তুলছেন, তাতে যেকোনো সময় রাস্তাটি ধসে যেতে পারে। রাস্তা ভেঙে গেলেই আমাদের বাড়িঘর কিছুই থাকবে না। আমরা নিষেধ করলেও শোনে না। বলে আমরা সবাইকে ম্যানেজ করেই ড্রেজার চালাচ্ছি।’
জানা গেছে, চর কর্ণেশন কলা বাগান এলাকায় ইসমাইল হোসেন, দৌলতদিয়া ক্যানাল ঘাট ওমর আলী মোল্লার পাড়া ও ইদ্রিস পাড়া এলাকায় কাদের ফকির, গফুর মন্ডল পাড়ায় লোকমান ও আবজাল, সৈদাল পাড়ায় মুজা শেখ ও আলামিন, উজানচর নতুন ব্রিজ এলাকায় ইসমাইল হোসেন ও মনা, দেবগ্রাম আতর চেয়ারম্যান বাজার এলাকায় মিনু মেম্বার নামের প্রভাবশালী বালু ব্যবসায়ীরা দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে ড্রেজার বসিয়ে বালু ও মাটি তুলছেন। সেই বালি ও মাটি তাঁরা বিক্রি করে মোটা টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন নদী পাড়ের সাধারণ মানুষ।
বালু ব্যবসায়ী কাদের ফকির ও মুজা শেখ স্বীকার করে বলেন, তাঁরা অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন চালাচ্ছেন। প্রশাসনের কোনো অনুমতি নেই। বসতবাড়ি থেকে তাঁদের ড্রেজার অনেক দূরে বলে দাবি তাঁদের। এ ছাড়া জমির মালিকদের সঙ্গে আলোচনা করে তারা মাটি কাটেন বলে দাবি।
গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জাকির হোসেন বলেন, নদীতে ড্রেজার মেশিন চালানোর জন্য কাউকে কোনো অনুমতি দেওয়া হয়নি। সরকারি কাজে বালুর প্রয়োজনের কথা বলে থাকলে সেটা অন্যায় ও মিথ্যা। এ সব অবৈধ ড্রেজিংয়ের বিরুদ্ধে শিগগিরই সাঁড়াশি অভিযান চালনা হবে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে