আরিফুর রহমান মিঠু, শাজাহানপুর (বগুড়া)
বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলায় বগুড়া-ঢাকা মহাসড়ক এবং বগুড়া-নাটোর মহাসড়ক অবৈধ সিএনজিচালিত অটোরিকশার দখলে চলে গেছে। একদিকে বেপরোয়া গতিতে এ যানগুলো চলছে, অন্যদিকে যেখানে-সেখানে পার্কিং করা হচ্ছে।
হাইওয়ে পুলিশের দেওয়া মামলা, জরিমানা, অটোরিকশা জব্দ, সচেতনতামূলক সভা, সাইনবোর্ড কোনো কিছুই থামাতে পারছে না তাঁদের। যাত্রীরা বলছেন মহাসড়কে অটোরিকশা ওঠা নিষিদ্ধ হলেও সংশ্লিষ্ট দপ্তর তা বাস্তবায়নে ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে। তিনজনের আসনে বসছেন পাঁচজন। যেখানে-সেখানে যাত্রী ওঠা-নামা করা হচ্ছে। এতে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক বলেন, মহাসড়কে বিভিন্ন রুটের অন্তত তিন শত অটোরিকশা চলাচল করে। মহাসড়কের উভয় পাশ দিয়ে বগুড়া শহর এবং অন্য উপজেলার সঙ্গে যোগাযোগের শাখা সড়ক আছে। এতে সময় একটু বেশি লাগে, তবে দুর্ঘটনার আশঙ্কা কম থাকে। কিন্তু রিজার্ভ না নিলে সে সড়ক দিয়ে কেউ যাতায়াত করেন না।
আরেক চালক বলেন, পুলিশ বাধ্য করলে তবেই চালক এবং যাত্রীরা শাখা সড়ক দিয়ে চলাচল হতে পারেন। এতে শাখা সড়ক এলাকার বাসিন্দাদের জীবনমান উন্নত হবে।
অটোরিকশার যাত্রী মাঝিড়া মধ্যপাড়া গ্রামের ব্যবসায়ী ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘মহাসড়কে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় যাতায়াত করা মানে জীবন হাতে নিয়ে বসে থাকা। তারপরেও আমার মতো মানুষদের উঠতে হয়, কারণ আমার ব্যক্তিগত যানবাহন নাই।’
ইসমাইল হোসেন আরও বলেন, পুলিশ যখন তৎপর হয় তখনই শুধু অটোরিকশাগুলো সেদিক দিয়ে চলাচল করে। মহাসড়কে অটোরিকশার ওঠা নিষিদ্ধ হলেও সংশ্লিষ্ট দপ্তর তা বাস্তবায়নে ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে। এতে প্রায়ই দুর্ঘটনার নামে সাধারণ মানুষের মৃত্যু হচ্ছে।
আরেক যাত্রী বলেন, সকাল সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত স্ট্যান্ড এবং বাজারের মুখগুলোতে অটোরিকশায় ঠাসাঠাসি করে থাকে। তিনজনের বসার আসন থাকলেও পাঁচজন যাত্রী দিয়ে ছুটে চলে। যেখানে-সেখানে যাত্রী ওঠা-নামা করা হয়। বছরের পর বছর এই অবস্থা চলে আসছে।
জানতে চাইলে স্থানীয় ট্রাকচালক রাসেল মিয়া বলেন, সিএনজিচালিত অটোরিকশা দাপটে মহাসড়ক অস্থির থাকে। এরা যেকোনো দিক থেকে হঠাৎ করেই মহাসড়কে চলে আসে। যেখানে-সেখানেই ব্রেক করে। যেখানে-সেখানে মোড় নেয়।
এ বিষয়ে উপজেলার মাঝিড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নুরুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘চালকের কাছে যাত্রীরা অসহায়। এটা চালকদের সচেতনতার অভাব। সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে আরও বেশি ভূমিকা রাখতে হবে। এ বিষয়ে আমি উপজেলা পরিষদে মাসিক আইনশৃঙ্খলাবিষয়ক মিটিংয়ে সবার নজরে আনব।’
মো. নুরুজ্জামান আরও বলেন, মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করার কাজ চলছে। পূর্ব পাশে বড় স্ট্যান্ড করা হচ্ছে বলে জানতে পেরেছি। মহাসড়কের উভয় পাশে স্ট্যান্ড হলে এবং চার লেনের কাজ শেষ হলে এই সমস্যা থাকবে না।
জানতে চাইলে বগুড়া শেরপুর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বানিউল আনাম বলেন, ‘প্রতিটা দিন সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালকদের মামলা দেওয়া হচ্ছে। জরিমানা দিয়েই চলে যাচ্ছে তাঁরা। প্রতি মাসে এদের সচেতনতায় সভা সমাবেশ করে আসছি। এদের বোঝাতেই পারছি না যে টাকার চেয়ে জীবনের মূল্য বেশি। যাত্রীরাও জেনে বুঝেই এটাতে ওঠেন। আইন অনুযায়ী সব ধরনের চেষ্টা আমি করে যাচ্ছি। সবার সচেতনতা প্রয়োজন।’
বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলায় বগুড়া-ঢাকা মহাসড়ক এবং বগুড়া-নাটোর মহাসড়ক অবৈধ সিএনজিচালিত অটোরিকশার দখলে চলে গেছে। একদিকে বেপরোয়া গতিতে এ যানগুলো চলছে, অন্যদিকে যেখানে-সেখানে পার্কিং করা হচ্ছে।
হাইওয়ে পুলিশের দেওয়া মামলা, জরিমানা, অটোরিকশা জব্দ, সচেতনতামূলক সভা, সাইনবোর্ড কোনো কিছুই থামাতে পারছে না তাঁদের। যাত্রীরা বলছেন মহাসড়কে অটোরিকশা ওঠা নিষিদ্ধ হলেও সংশ্লিষ্ট দপ্তর তা বাস্তবায়নে ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে। তিনজনের আসনে বসছেন পাঁচজন। যেখানে-সেখানে যাত্রী ওঠা-নামা করা হচ্ছে। এতে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক বলেন, মহাসড়কে বিভিন্ন রুটের অন্তত তিন শত অটোরিকশা চলাচল করে। মহাসড়কের উভয় পাশ দিয়ে বগুড়া শহর এবং অন্য উপজেলার সঙ্গে যোগাযোগের শাখা সড়ক আছে। এতে সময় একটু বেশি লাগে, তবে দুর্ঘটনার আশঙ্কা কম থাকে। কিন্তু রিজার্ভ না নিলে সে সড়ক দিয়ে কেউ যাতায়াত করেন না।
আরেক চালক বলেন, পুলিশ বাধ্য করলে তবেই চালক এবং যাত্রীরা শাখা সড়ক দিয়ে চলাচল হতে পারেন। এতে শাখা সড়ক এলাকার বাসিন্দাদের জীবনমান উন্নত হবে।
অটোরিকশার যাত্রী মাঝিড়া মধ্যপাড়া গ্রামের ব্যবসায়ী ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘মহাসড়কে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় যাতায়াত করা মানে জীবন হাতে নিয়ে বসে থাকা। তারপরেও আমার মতো মানুষদের উঠতে হয়, কারণ আমার ব্যক্তিগত যানবাহন নাই।’
ইসমাইল হোসেন আরও বলেন, পুলিশ যখন তৎপর হয় তখনই শুধু অটোরিকশাগুলো সেদিক দিয়ে চলাচল করে। মহাসড়কে অটোরিকশার ওঠা নিষিদ্ধ হলেও সংশ্লিষ্ট দপ্তর তা বাস্তবায়নে ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে। এতে প্রায়ই দুর্ঘটনার নামে সাধারণ মানুষের মৃত্যু হচ্ছে।
আরেক যাত্রী বলেন, সকাল সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত স্ট্যান্ড এবং বাজারের মুখগুলোতে অটোরিকশায় ঠাসাঠাসি করে থাকে। তিনজনের বসার আসন থাকলেও পাঁচজন যাত্রী দিয়ে ছুটে চলে। যেখানে-সেখানে যাত্রী ওঠা-নামা করা হয়। বছরের পর বছর এই অবস্থা চলে আসছে।
জানতে চাইলে স্থানীয় ট্রাকচালক রাসেল মিয়া বলেন, সিএনজিচালিত অটোরিকশা দাপটে মহাসড়ক অস্থির থাকে। এরা যেকোনো দিক থেকে হঠাৎ করেই মহাসড়কে চলে আসে। যেখানে-সেখানেই ব্রেক করে। যেখানে-সেখানে মোড় নেয়।
এ বিষয়ে উপজেলার মাঝিড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নুরুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘চালকের কাছে যাত্রীরা অসহায়। এটা চালকদের সচেতনতার অভাব। সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে আরও বেশি ভূমিকা রাখতে হবে। এ বিষয়ে আমি উপজেলা পরিষদে মাসিক আইনশৃঙ্খলাবিষয়ক মিটিংয়ে সবার নজরে আনব।’
মো. নুরুজ্জামান আরও বলেন, মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করার কাজ চলছে। পূর্ব পাশে বড় স্ট্যান্ড করা হচ্ছে বলে জানতে পেরেছি। মহাসড়কের উভয় পাশে স্ট্যান্ড হলে এবং চার লেনের কাজ শেষ হলে এই সমস্যা থাকবে না।
জানতে চাইলে বগুড়া শেরপুর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বানিউল আনাম বলেন, ‘প্রতিটা দিন সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালকদের মামলা দেওয়া হচ্ছে। জরিমানা দিয়েই চলে যাচ্ছে তাঁরা। প্রতি মাসে এদের সচেতনতায় সভা সমাবেশ করে আসছি। এদের বোঝাতেই পারছি না যে টাকার চেয়ে জীবনের মূল্য বেশি। যাত্রীরাও জেনে বুঝেই এটাতে ওঠেন। আইন অনুযায়ী সব ধরনের চেষ্টা আমি করে যাচ্ছি। সবার সচেতনতা প্রয়োজন।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে