বোদা (পঞ্চগড়) প্রতিনিধি
ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে পঞ্চগড়ের বোদার গরুর খামারিরা ব্যস্ত হয়ে পড়লেও তাঁদের মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছে। দাম বাড়ায় ঠিকমতো গোখাদ্য কিনতে পারছেন না তাঁরা। অনেকে লোকসানের আশঙ্কায় গরু বিক্রি করে দিচ্ছেন।
উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে জানা গেছে, ২০ দিন আগে যেসব খাদ্য বিক্রি হতো এক দামে এখন ওইসব খাবার বিক্রি হচ্ছে দ্বিগুণ দামে। ২০ দিন আগে চিকন ভুসির বস্তা ছিল ১ হাজার ৫০০ টাকা, এখন বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৭০০ টাকা। ১ হাজার ১০০ টাকার মোটা ভুসি বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৮০০ থেকে ২ হাজার টাকায়। খৈল ২ হাজার ৫০০ থেকে বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ৩০০ টাকায়। একই অবস্থা ভুট্টার পাউডার ও চালের খুদে। ভুট্টা পাউডার ও খুদ প্রতি কেজি বিক্রি হতো ২২ টাকায়, কিন্তু গত বৃহস্পতিবার থেকে বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা করে।
বোদা পৌরসভার নগরকুমারী গ্রামের খামারি আবুল হোসেন বলেন, ‘দিন দিন যেভাবে গরুর খাবারের দাম বাড়ছে, তাতে গরুর খামার করা যাবে না। আমি নিজে রাইস মিল চালাই, ওই কারণে কিছুটা স্বস্তিতে আছি। কিন্তু ছোট খামারিদের অবস্থা খুব খারাপ।’
চন্দনবাড়ি লাঠুয়াপাড়া এলাকার খামারি হকিকুল ইসলাম বলেন, ‘প্রতিবছর ৪ থেকে ৫টি গরু পালন করি কোরবানি ঈদে বিক্রির জন্য। কিন্তু এবার যেভাবে খাদ্যের দাম বাড়ছে, তাতে সামাল দিতে পারছি না। যে গরুটি গত ঈদে ৪৫ হাজার টাকায় পাওয়া যেত, এবার ঈদে সেটি দাম আসবে ৬০ হাজার টাকায়। ফলে মানুষ আর একাই কোরবানি দিতে চাইবে না।’
সাকোয়া ইউনিয়নের স্কুলশিক্ষক মানিক বলেন, ‘আমি প্রতিবছর কোরবানি ঈদের জন্য ৭ থেকে ৮টি গরু পালি। কিন্তু এবার গোখাদ্যের দামের কারণে তিনটি ইতিমধ্যে বিক্রি করেছি। আর যা আছে তা ঈদ আসতে আসতে কী হবে বলা মুশকিল। প্রতিদিন হু হু করে খাদ্যের দাম বাড়ছে। এই দাম না কমলে ঈদে মানুষ কম দামে গরু কিনতে পারবে না। আমরাও চাই ক্রেতাদের অল্পদামে ভালোমানের একটি গরু দিতে। কিন্তু দাম বেশি হলে আমাদের কিছু করার থাকে না।’
বোদা বাজারের গোখাদ্য ব্যবসায়ী কুরবান আলী ও দাইমুল ইসলাম জানান, হঠাৎ গরুর খাবারের দাম বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে আমরা। প্রতিদিন খাদ্যের দাম নিয়ে ক্রেতাদের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হচ্ছে। ২০ দিন আগে যারা বস্তা ভরে খাদ্য কিনত তাঁরা এখন কিনছে ৫ থেকে ১০ কেজি করে।
বোদা উপজেলা খামারি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আজাহার আলী বলেন, ‘আমরা বড় অসহায়। প্রতিদিন গরুর খাবারের দাম বাড়ছে। এতে আমরা যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি তেমনি ক্রেতারাও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। অনেকে খাবারের দাম বাড়ার কারণে খামার বন্ধ করে দিয়েছেন।’
বোদা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আব্দুস সোবহান বলেন, ‘আমরা খামারিদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছি। তাঁদের কৃত্রিম খাবার কমিয়ে দিয়ে প্রাকৃতিক ঘাসসহ অন্য সহজলভ্য খাওয়ানোর জন্য বলছি। আর দাম না কমলে সবাই আসন্ন ঈদে ক্ষতিগ্রস্ত হব।’
ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে পঞ্চগড়ের বোদার গরুর খামারিরা ব্যস্ত হয়ে পড়লেও তাঁদের মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছে। দাম বাড়ায় ঠিকমতো গোখাদ্য কিনতে পারছেন না তাঁরা। অনেকে লোকসানের আশঙ্কায় গরু বিক্রি করে দিচ্ছেন।
উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে জানা গেছে, ২০ দিন আগে যেসব খাদ্য বিক্রি হতো এক দামে এখন ওইসব খাবার বিক্রি হচ্ছে দ্বিগুণ দামে। ২০ দিন আগে চিকন ভুসির বস্তা ছিল ১ হাজার ৫০০ টাকা, এখন বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৭০০ টাকা। ১ হাজার ১০০ টাকার মোটা ভুসি বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৮০০ থেকে ২ হাজার টাকায়। খৈল ২ হাজার ৫০০ থেকে বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ৩০০ টাকায়। একই অবস্থা ভুট্টার পাউডার ও চালের খুদে। ভুট্টা পাউডার ও খুদ প্রতি কেজি বিক্রি হতো ২২ টাকায়, কিন্তু গত বৃহস্পতিবার থেকে বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা করে।
বোদা পৌরসভার নগরকুমারী গ্রামের খামারি আবুল হোসেন বলেন, ‘দিন দিন যেভাবে গরুর খাবারের দাম বাড়ছে, তাতে গরুর খামার করা যাবে না। আমি নিজে রাইস মিল চালাই, ওই কারণে কিছুটা স্বস্তিতে আছি। কিন্তু ছোট খামারিদের অবস্থা খুব খারাপ।’
চন্দনবাড়ি লাঠুয়াপাড়া এলাকার খামারি হকিকুল ইসলাম বলেন, ‘প্রতিবছর ৪ থেকে ৫টি গরু পালন করি কোরবানি ঈদে বিক্রির জন্য। কিন্তু এবার যেভাবে খাদ্যের দাম বাড়ছে, তাতে সামাল দিতে পারছি না। যে গরুটি গত ঈদে ৪৫ হাজার টাকায় পাওয়া যেত, এবার ঈদে সেটি দাম আসবে ৬০ হাজার টাকায়। ফলে মানুষ আর একাই কোরবানি দিতে চাইবে না।’
সাকোয়া ইউনিয়নের স্কুলশিক্ষক মানিক বলেন, ‘আমি প্রতিবছর কোরবানি ঈদের জন্য ৭ থেকে ৮টি গরু পালি। কিন্তু এবার গোখাদ্যের দামের কারণে তিনটি ইতিমধ্যে বিক্রি করেছি। আর যা আছে তা ঈদ আসতে আসতে কী হবে বলা মুশকিল। প্রতিদিন হু হু করে খাদ্যের দাম বাড়ছে। এই দাম না কমলে ঈদে মানুষ কম দামে গরু কিনতে পারবে না। আমরাও চাই ক্রেতাদের অল্পদামে ভালোমানের একটি গরু দিতে। কিন্তু দাম বেশি হলে আমাদের কিছু করার থাকে না।’
বোদা বাজারের গোখাদ্য ব্যবসায়ী কুরবান আলী ও দাইমুল ইসলাম জানান, হঠাৎ গরুর খাবারের দাম বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে আমরা। প্রতিদিন খাদ্যের দাম নিয়ে ক্রেতাদের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হচ্ছে। ২০ দিন আগে যারা বস্তা ভরে খাদ্য কিনত তাঁরা এখন কিনছে ৫ থেকে ১০ কেজি করে।
বোদা উপজেলা খামারি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আজাহার আলী বলেন, ‘আমরা বড় অসহায়। প্রতিদিন গরুর খাবারের দাম বাড়ছে। এতে আমরা যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি তেমনি ক্রেতারাও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। অনেকে খাবারের দাম বাড়ার কারণে খামার বন্ধ করে দিয়েছেন।’
বোদা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আব্দুস সোবহান বলেন, ‘আমরা খামারিদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছি। তাঁদের কৃত্রিম খাবার কমিয়ে দিয়ে প্রাকৃতিক ঘাসসহ অন্য সহজলভ্য খাওয়ানোর জন্য বলছি। আর দাম না কমলে সবাই আসন্ন ঈদে ক্ষতিগ্রস্ত হব।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে