আকাশ যোশী
আরিয়ান মিশ্রের মৃত্যু—হরিয়ানার পালওয়ালে অনিল কৌশিক (লাইভ ফর নেশনের প্রতিষ্ঠাতা, হিন্দুত্বের কুটিরশিল্পের অনেকগুলো উপাদানের মধ্যে একটি) এবং অন্য চারজনের দ্বারা সংঘটিত এক মর্মান্তিক ও নির্বোধ হত্যাকাণ্ড। দুর্ভাগ্যজনক হলো, এটি এই কারণে নয় যে একদল ‘গো-রক্ষক’ তাঁকে ও তাঁর বন্ধুদের মহাসড়কে তাড়া করেছিল অথবা তারা তাঁকে হত্যা করেছিল। মোহাম্মদ আখলাক, জুনায়েদ খান এবং আরও অনেকেই এই ধরনের গোষ্ঠীর লোকজনের হাতে খুন হয়েছেন। এসব সহিংসতা ‘নতুন ভারত’-এর উপেক্ষিত ফলাফলের নিয়মিত ঘটনা। এই ঘটনার মর্মপীড়ার কারণ হচ্ছে, আরিয়ান মিশ্রের মৃত্যুর সঙ্গে অবশেষে প্রশ্ন উঠল। কারণ, প্রশ্ন না করাটাই নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছিল। একটি মৃত আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থার বিষয়টিকে সবাই কেমন যেন গ্রহণ করে ফেলেছে।
এসবের প্রথম সমস্যা হলো বিভ্রান্তিকর ভাষা। অনিল কৌশিক ও তাঁর সাগরেদদের (মনে করেন মনু মানেসার) রক্ষক বা ত্রাণকর্তা বলা হচ্ছে। বেশির ভাগ ইংরেজি সংবাদমাধ্যমে তাঁদের ‘গরু রক্ষাকারী’ হিসেবে উল্লেখ করা হচ্ছে। তাঁরা আসলে কোনো রক্ষকই নন। কারণ, এই রক্ষকের সংজ্ঞার কোনো সরকারি অনুমোদন নেই। কিন্তু না থাকলে কী হবে, একের পর এক রাজ্যে কৌশিকের পছন্দের বিষয়টি ঘটে চলেছে। বিজেপি শাসনাধীন মধ্যপ্রদেশ, হরিয়ানা, গুজরাট এবং অন্য অনেক রাজ্যে ‘গো-রক্ষক’ পরিচয়পত্র দেওয়া হয়েছে। সংবাদপত্রের প্রতিবেদন অনুযায়ী, কৌশিক ফরিদাবাদ থানার পুলিশের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। একই সঙ্গে তিনি ও তাঁর সাগরেদরা সাক্ষী ও অভিযোগকারী হিসেবে কাজ করছেন। এমনকি তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় গবাদিপশু পাচারের অভিযোগ তুলে লোকজনকে তাড়া করা এবং তাদের আক্রমণ করার ভিডিও পোস্ট করেছেন। ফলে, এটা বোঝা গুরুত্বপূর্ণ যে গো-রক্ষকের সতর্ক প্রহরা বলে আদপে কিছু নেই। বরং তিনি মনেপ্রাণে পুলিশ বিভাগের একজন সাব-কন্ট্রাক্টর।
প্রথমটির সঙ্গে দ্বিতীয়টিও যুক্ত। এক মুহূর্তের জন্য অনুমান করুন যে ‘গবাদিপশু চোরাচালান’-এর আখ্যান তৈরি হলো একটি নিষ্ঠুর, পুনর্গঠনবাদী রাজনীতির জন্য নির্দিষ্ট জাতি এবং সম্প্রদায়গুলোকে দানব হিসেবে উত্থাপন করা। সর্বোপরি এই যুক্তির বৈধতা দেওয়া যেতে পারে যে গো-হত্যাবিরোধী আইন যথাযথ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে পাস করা হয়েছে। তা সত্ত্বেও এ-সংক্রান্ত আইন পরিপালনে রাষ্ট্রীয় কার্যকলাপের জন্য একটি পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) মডেল প্রয়োজন আছে কি না?
পুলিশের অনেক দোষ, সারা দেশে তারা বাড়াবাড়ি করে। তারপরেও তারা নিয়ম, পদ্ধতি ও নৈতিক আচরণবিধির কাছে দায়বদ্ধ। গো-রক্ষক বিষয়টি সবকিছু উল্টে-পাল্টে দিয়েছে। কেন বেসামরিক ব্যক্তিরা, প্রশিক্ষণ বা বাধা ছাড়াই, গো-হত্যা আইন প্রয়োগ করছেন? হরিয়ানা পুলিশসহ আরও অনেকে বলছে যে তারা পুরোপুরি আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা সামাল দিতে পারে না। যদি তাই হয়, সম্ভবত ন্যায়বিচার-পরবর্তী খাত হচ্ছে নবপ্রতিষ্ঠিত স্টার্ট-আপগুলো। আর প্রতিটি আইনের প্রয়োগের জন্য একটি মিলিশিয়া বাহিনীর সঙ্গে সরকারি সংস্থা চুক্তিবদ্ধ রয়েছে।
তৃতীয়ত, আরিয়ান মিশ্রের মৃত্যুতে ক্ষোভ ও অনুতাপ প্রকাশের পন্থা প্রমাণ করে হত্যার প্রতি আমাদের উদাসীনতা কতটা। ১৯ বছর বয়সী কোনো যুবক যদি ‘গবাদিপশু চোরাচালান’-এর অপরাধে দোষী হয়, তবে কি তাঁকে মেরে ফেলতে হবে? এমনকি মৌখিকভাবে হলেও যথাযথ প্রক্রিয়ায় পরিষেবা দিতে অনেক দেরি হয়েছে। ২০১৭ সাল থেকে শুধু উত্তর প্রদেশেই প্রায় ১৩ হাজার ‘অপরাধী’ ‘এনকাউন্টারে’ নিহত হয়েছে। ধরে নিচ্ছি যে তাদের সবাই দোষী। যদিও সংখ্যাগত হিসাবে তা অসম্ভব, তারপরেও তাদের কি আদালতে যাওয়ার সুযোগ প্রাপ্য ছিল না? ওপরে উদ্ধৃত পরিসংখ্যান উত্তর প্রদেশ পুলিশ গর্বের সঙ্গে প্রচার করে। অন্যান্য রাজ্যেও বিনা বিচারে অভিযুক্তকে হত্যা করাকে তাৎক্ষণিক ন্যায়বিচারের একটি রূপ হিসেবে দেখা হয়। এটি আসলে জীবনহানির একটি বেপরোয়া চেষ্টা। ভারতীয় আইনে (আসলে যেকোনো আধুনিক আইনি ব্যবস্থার অধীনে) এমনকি মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে হত্যা করাও একটি হত্যাকাণ্ড। প্রকৃতপক্ষে যাই হোক, এই ধরনের সহিংসতা এখন এ দেশে গৃহীত এবং এমনকি পালিত হয়।
সবশেষে তিনটি উদ্ধৃতির উল্লেখ করব। যাতে অনেক কিছু বর্ণিত হয়েছে। আরিয়ান মিশ্রের বাবা সিয়ানন্দ মিশ্র ফরিদাবাদ কারাগারে গিয়েছিলেন। সেখানে ঘাতক কৌশিক কথিত ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছিলেন: ‘তিনি বলেছিলেন যে তাঁর ছেলে মুসলমান। এখন তিনি একজন ব্রাহ্মণকে হত্যার জন্য অনুতপ্ত।’
নিহত আরিয়ান মিশ্রের মা উমা কৌশিককে দুঃখের সঙ্গে জিজ্ঞাসা করেছিলেন: ‘মুসলমানরা কি মানুষ না? তারা কি আমাদের ভাই না? তুমি কেন একজন মুসলমানকে হত্যা করবে?’
১৬ বছর বয়সী জুনায়েদ খানকে পালওয়ালের আসাওতি স্টেশনে পিটিয়ে মারার পাঁচ বছর পর ২০২২ সালে তার মা বলেছিলেন, ‘জুনায়েদ যদি মুসলমান না হতো তবে বেঁচে থাকত।’
ভিন্ন সময়ে ও ভিন্ন জায়গায়, দুই মায়ের কথায়, ব্যথায় এবং সম্ভবত আশাহীনতা সেইসব বিবেককে আসলেই যদি নাড়া দিতে পারত, তাহলে এই সময়ে ও এই জায়গায়, সম্ভবত তারা অন্তত একটি প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করতে বাধ্য করতে পারতেন: গো-রক্ষকরা যে আদর্শ রক্ষা করছে তা কি আদৌ মূল্যবান?
(দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস পত্রিকার অনলাইন সংস্করণে প্রকাশিত লেখাটি ইংরেজি থেকে অনূদিত)
লেখক: উপসহযোগী সম্পাদক, দি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
আরিয়ান মিশ্রের মৃত্যু—হরিয়ানার পালওয়ালে অনিল কৌশিক (লাইভ ফর নেশনের প্রতিষ্ঠাতা, হিন্দুত্বের কুটিরশিল্পের অনেকগুলো উপাদানের মধ্যে একটি) এবং অন্য চারজনের দ্বারা সংঘটিত এক মর্মান্তিক ও নির্বোধ হত্যাকাণ্ড। দুর্ভাগ্যজনক হলো, এটি এই কারণে নয় যে একদল ‘গো-রক্ষক’ তাঁকে ও তাঁর বন্ধুদের মহাসড়কে তাড়া করেছিল অথবা তারা তাঁকে হত্যা করেছিল। মোহাম্মদ আখলাক, জুনায়েদ খান এবং আরও অনেকেই এই ধরনের গোষ্ঠীর লোকজনের হাতে খুন হয়েছেন। এসব সহিংসতা ‘নতুন ভারত’-এর উপেক্ষিত ফলাফলের নিয়মিত ঘটনা। এই ঘটনার মর্মপীড়ার কারণ হচ্ছে, আরিয়ান মিশ্রের মৃত্যুর সঙ্গে অবশেষে প্রশ্ন উঠল। কারণ, প্রশ্ন না করাটাই নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছিল। একটি মৃত আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থার বিষয়টিকে সবাই কেমন যেন গ্রহণ করে ফেলেছে।
এসবের প্রথম সমস্যা হলো বিভ্রান্তিকর ভাষা। অনিল কৌশিক ও তাঁর সাগরেদদের (মনে করেন মনু মানেসার) রক্ষক বা ত্রাণকর্তা বলা হচ্ছে। বেশির ভাগ ইংরেজি সংবাদমাধ্যমে তাঁদের ‘গরু রক্ষাকারী’ হিসেবে উল্লেখ করা হচ্ছে। তাঁরা আসলে কোনো রক্ষকই নন। কারণ, এই রক্ষকের সংজ্ঞার কোনো সরকারি অনুমোদন নেই। কিন্তু না থাকলে কী হবে, একের পর এক রাজ্যে কৌশিকের পছন্দের বিষয়টি ঘটে চলেছে। বিজেপি শাসনাধীন মধ্যপ্রদেশ, হরিয়ানা, গুজরাট এবং অন্য অনেক রাজ্যে ‘গো-রক্ষক’ পরিচয়পত্র দেওয়া হয়েছে। সংবাদপত্রের প্রতিবেদন অনুযায়ী, কৌশিক ফরিদাবাদ থানার পুলিশের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। একই সঙ্গে তিনি ও তাঁর সাগরেদরা সাক্ষী ও অভিযোগকারী হিসেবে কাজ করছেন। এমনকি তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় গবাদিপশু পাচারের অভিযোগ তুলে লোকজনকে তাড়া করা এবং তাদের আক্রমণ করার ভিডিও পোস্ট করেছেন। ফলে, এটা বোঝা গুরুত্বপূর্ণ যে গো-রক্ষকের সতর্ক প্রহরা বলে আদপে কিছু নেই। বরং তিনি মনেপ্রাণে পুলিশ বিভাগের একজন সাব-কন্ট্রাক্টর।
প্রথমটির সঙ্গে দ্বিতীয়টিও যুক্ত। এক মুহূর্তের জন্য অনুমান করুন যে ‘গবাদিপশু চোরাচালান’-এর আখ্যান তৈরি হলো একটি নিষ্ঠুর, পুনর্গঠনবাদী রাজনীতির জন্য নির্দিষ্ট জাতি এবং সম্প্রদায়গুলোকে দানব হিসেবে উত্থাপন করা। সর্বোপরি এই যুক্তির বৈধতা দেওয়া যেতে পারে যে গো-হত্যাবিরোধী আইন যথাযথ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে পাস করা হয়েছে। তা সত্ত্বেও এ-সংক্রান্ত আইন পরিপালনে রাষ্ট্রীয় কার্যকলাপের জন্য একটি পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) মডেল প্রয়োজন আছে কি না?
পুলিশের অনেক দোষ, সারা দেশে তারা বাড়াবাড়ি করে। তারপরেও তারা নিয়ম, পদ্ধতি ও নৈতিক আচরণবিধির কাছে দায়বদ্ধ। গো-রক্ষক বিষয়টি সবকিছু উল্টে-পাল্টে দিয়েছে। কেন বেসামরিক ব্যক্তিরা, প্রশিক্ষণ বা বাধা ছাড়াই, গো-হত্যা আইন প্রয়োগ করছেন? হরিয়ানা পুলিশসহ আরও অনেকে বলছে যে তারা পুরোপুরি আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা সামাল দিতে পারে না। যদি তাই হয়, সম্ভবত ন্যায়বিচার-পরবর্তী খাত হচ্ছে নবপ্রতিষ্ঠিত স্টার্ট-আপগুলো। আর প্রতিটি আইনের প্রয়োগের জন্য একটি মিলিশিয়া বাহিনীর সঙ্গে সরকারি সংস্থা চুক্তিবদ্ধ রয়েছে।
তৃতীয়ত, আরিয়ান মিশ্রের মৃত্যুতে ক্ষোভ ও অনুতাপ প্রকাশের পন্থা প্রমাণ করে হত্যার প্রতি আমাদের উদাসীনতা কতটা। ১৯ বছর বয়সী কোনো যুবক যদি ‘গবাদিপশু চোরাচালান’-এর অপরাধে দোষী হয়, তবে কি তাঁকে মেরে ফেলতে হবে? এমনকি মৌখিকভাবে হলেও যথাযথ প্রক্রিয়ায় পরিষেবা দিতে অনেক দেরি হয়েছে। ২০১৭ সাল থেকে শুধু উত্তর প্রদেশেই প্রায় ১৩ হাজার ‘অপরাধী’ ‘এনকাউন্টারে’ নিহত হয়েছে। ধরে নিচ্ছি যে তাদের সবাই দোষী। যদিও সংখ্যাগত হিসাবে তা অসম্ভব, তারপরেও তাদের কি আদালতে যাওয়ার সুযোগ প্রাপ্য ছিল না? ওপরে উদ্ধৃত পরিসংখ্যান উত্তর প্রদেশ পুলিশ গর্বের সঙ্গে প্রচার করে। অন্যান্য রাজ্যেও বিনা বিচারে অভিযুক্তকে হত্যা করাকে তাৎক্ষণিক ন্যায়বিচারের একটি রূপ হিসেবে দেখা হয়। এটি আসলে জীবনহানির একটি বেপরোয়া চেষ্টা। ভারতীয় আইনে (আসলে যেকোনো আধুনিক আইনি ব্যবস্থার অধীনে) এমনকি মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে হত্যা করাও একটি হত্যাকাণ্ড। প্রকৃতপক্ষে যাই হোক, এই ধরনের সহিংসতা এখন এ দেশে গৃহীত এবং এমনকি পালিত হয়।
সবশেষে তিনটি উদ্ধৃতির উল্লেখ করব। যাতে অনেক কিছু বর্ণিত হয়েছে। আরিয়ান মিশ্রের বাবা সিয়ানন্দ মিশ্র ফরিদাবাদ কারাগারে গিয়েছিলেন। সেখানে ঘাতক কৌশিক কথিত ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছিলেন: ‘তিনি বলেছিলেন যে তাঁর ছেলে মুসলমান। এখন তিনি একজন ব্রাহ্মণকে হত্যার জন্য অনুতপ্ত।’
নিহত আরিয়ান মিশ্রের মা উমা কৌশিককে দুঃখের সঙ্গে জিজ্ঞাসা করেছিলেন: ‘মুসলমানরা কি মানুষ না? তারা কি আমাদের ভাই না? তুমি কেন একজন মুসলমানকে হত্যা করবে?’
১৬ বছর বয়সী জুনায়েদ খানকে পালওয়ালের আসাওতি স্টেশনে পিটিয়ে মারার পাঁচ বছর পর ২০২২ সালে তার মা বলেছিলেন, ‘জুনায়েদ যদি মুসলমান না হতো তবে বেঁচে থাকত।’
ভিন্ন সময়ে ও ভিন্ন জায়গায়, দুই মায়ের কথায়, ব্যথায় এবং সম্ভবত আশাহীনতা সেইসব বিবেককে আসলেই যদি নাড়া দিতে পারত, তাহলে এই সময়ে ও এই জায়গায়, সম্ভবত তারা অন্তত একটি প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করতে বাধ্য করতে পারতেন: গো-রক্ষকরা যে আদর্শ রক্ষা করছে তা কি আদৌ মূল্যবান?
(দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস পত্রিকার অনলাইন সংস্করণে প্রকাশিত লেখাটি ইংরেজি থেকে অনূদিত)
লেখক: উপসহযোগী সম্পাদক, দি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে