মধুপুর প্রতিনিধি
নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়ার এক রকম প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে গেছে। ফলে নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষের নাভিশ্বাস দেখা দিয়েছে। তেল থেকে শুরু করে সবজির দাম নিম্ন আয়ের মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। এতে ক্ষোভ দেখা গেছে তাঁদের মাঝে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমিয়ে সাধারণ মানুষের জীবনধারণ স্বাভাবিক করার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
গতকাল শুক্রবার মধুপুর হাট ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি ঢ্যাঁড়স ১০০ থেকে ১০৫ টাকা, করলা ১১০, এক কেজির বেশি মধ্যম আকারের মিষ্টি কুমড়ার দাম ১০০ থেকে ১২০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। সয়াবিন তেলের দাম ২০০ টাকা। শজনে বিক্রি হচ্ছে দোকানভেদে ২০০ থেকে ২০৫ টাকায়। ডিমের হালি ৩০ টাকা থেকে বেড়ে ৩৪ টাকা হয়েছে। হাটে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকা কেজি দরে। সোনালি মুরগি ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। দেশি মুরগির কেজি ৪৩০ টাকা।
মধুপুর হাটের সবজি ব্যবসায়ী আব্দুল হালিম বলেন, ‘পাইকারি বাজারে দাম বেড়ে যাওয়ায় আমাদের বিক্রি ও লাভ দুটোই কমে গেছে। ১৯০ টাকা কেজি দরে শজনে কিনে বিক্রি করছি ২০০ টাকায়। ঢ্যাঁড়স ও করলা কিনেছি ৯০ টাকা কেজি। আপনিই বলুন বিক্রি করব কত টাকায়? আমাদের শ্রমমূল্য আছে। ভিটি (দোকানের স্থান) ভাড়া আছে। বাজারের খাজনা আছে। বিদ্যুৎ বিল, জেনারেটরের বিল আছে। এসব খরচ অন্তর্ভুক্ত করেই আমাদের দাম নির্ধারণ করতে হয়।’
টেকিপাড়া গ্রামের মোনসের আলী একজন ইটভাটাশ্রমিক। তিনি বলেন, ‘গরিবের অইছে মরণ। গত মঙ্গলবার হাটে পেঁয়াজ কিনছি ৩০ টাকা কেজি। আর আজ (শুক্রবার) ৫৫ টাকা দরে কিনতে হচ্ছে। সয়াবিন তেল মাত্র ২৫০ গ্রাম কিনলাম ৫০ টাকায়। চিনি ৮৫ টাকা কেজি। মোটা মসুরের ডাইল তাও ১০০ টাকার ওপরে। আমার রোজগারই কত? সংসারের খরচই মিটামু কিবায়?’
ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন বলেন, বাজারে দেশি মাছ পাওয়াই দুষ্কর। চাষের মাছের দামও অন্য সময়ের চেয়ে অনেক বেশি। ইলিশের নাম নিলেই ১ হাজার ৪০০ টাকা কেজি। বড় সাইজের কিনলে ২ হাজার ২০০ থেকে ২ হাজার ৩০০ টাকা।
পুরুষের পাশাপাশি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের চড়া দামে উৎকণ্ঠা প্রকাশ করেছেন নারীরাও। গৃহবধূ রুবিনা হাতে থাকা লাউ দেখিয়ে বলেন, ‘হাফ সেঞ্চুরি অতিক্রম করেছে। অনেক দামদর করে ৬৫ টাকা দিয়ে লাউটি কিনতে পারলাম। মাছের বাজারে পাঙাশ বা তেলাপিয়া কেনা ছাড়া আমাদের কোনো গতি নাই। তাও ১৬০ টাকা কেজি।’
এ সময় আক্ষেপ করে রুবিনা আরও বলেন, ‘মাংসের দাম হইছে কেজিতে ৬৫০ টাকা। যামু কই? খামু কী? চারটা ডাঙ্গা (ডাঁটা) ৩০ টাকা। ৩০ টাকার নিচে কোনো শাক নাই।’
বেসরকারি চাকরিজীবী ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘আমরা সামান্য বেতনে চাকরি করি। আমাদের আয়ের সঙ্গে ব্যয়, সাধের সঙ্গে সাধ্য কোনোটারই সমন্বয় নেই। এ অবস্থা উত্তরণে কারও কোনো নজর নেই। বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম ক্রেতাসাধারণের সাধ্যের মধ্যে আনতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পদক্ষেপ নেওয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি।’
মধুপুর শিল্প ও বণিক সমিতির প্রধান ও সাবেক সাংসদ খন্দকার আনোয়ারুল হক বলেন, ‘নিয়ন্ত্রণ না থাকায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যগুলো জনগণের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। সরকার এ ব্যাপারে সম্পূর্ণ উদাসীন। এই সুযোগে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে জনগণের কষ্টার্জিত অর্থ তাদের পকেটে নিয়ে নিচ্ছে।’
নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়ার এক রকম প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে গেছে। ফলে নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষের নাভিশ্বাস দেখা দিয়েছে। তেল থেকে শুরু করে সবজির দাম নিম্ন আয়ের মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। এতে ক্ষোভ দেখা গেছে তাঁদের মাঝে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমিয়ে সাধারণ মানুষের জীবনধারণ স্বাভাবিক করার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
গতকাল শুক্রবার মধুপুর হাট ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি ঢ্যাঁড়স ১০০ থেকে ১০৫ টাকা, করলা ১১০, এক কেজির বেশি মধ্যম আকারের মিষ্টি কুমড়ার দাম ১০০ থেকে ১২০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। সয়াবিন তেলের দাম ২০০ টাকা। শজনে বিক্রি হচ্ছে দোকানভেদে ২০০ থেকে ২০৫ টাকায়। ডিমের হালি ৩০ টাকা থেকে বেড়ে ৩৪ টাকা হয়েছে। হাটে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকা কেজি দরে। সোনালি মুরগি ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। দেশি মুরগির কেজি ৪৩০ টাকা।
মধুপুর হাটের সবজি ব্যবসায়ী আব্দুল হালিম বলেন, ‘পাইকারি বাজারে দাম বেড়ে যাওয়ায় আমাদের বিক্রি ও লাভ দুটোই কমে গেছে। ১৯০ টাকা কেজি দরে শজনে কিনে বিক্রি করছি ২০০ টাকায়। ঢ্যাঁড়স ও করলা কিনেছি ৯০ টাকা কেজি। আপনিই বলুন বিক্রি করব কত টাকায়? আমাদের শ্রমমূল্য আছে। ভিটি (দোকানের স্থান) ভাড়া আছে। বাজারের খাজনা আছে। বিদ্যুৎ বিল, জেনারেটরের বিল আছে। এসব খরচ অন্তর্ভুক্ত করেই আমাদের দাম নির্ধারণ করতে হয়।’
টেকিপাড়া গ্রামের মোনসের আলী একজন ইটভাটাশ্রমিক। তিনি বলেন, ‘গরিবের অইছে মরণ। গত মঙ্গলবার হাটে পেঁয়াজ কিনছি ৩০ টাকা কেজি। আর আজ (শুক্রবার) ৫৫ টাকা দরে কিনতে হচ্ছে। সয়াবিন তেল মাত্র ২৫০ গ্রাম কিনলাম ৫০ টাকায়। চিনি ৮৫ টাকা কেজি। মোটা মসুরের ডাইল তাও ১০০ টাকার ওপরে। আমার রোজগারই কত? সংসারের খরচই মিটামু কিবায়?’
ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন বলেন, বাজারে দেশি মাছ পাওয়াই দুষ্কর। চাষের মাছের দামও অন্য সময়ের চেয়ে অনেক বেশি। ইলিশের নাম নিলেই ১ হাজার ৪০০ টাকা কেজি। বড় সাইজের কিনলে ২ হাজার ২০০ থেকে ২ হাজার ৩০০ টাকা।
পুরুষের পাশাপাশি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের চড়া দামে উৎকণ্ঠা প্রকাশ করেছেন নারীরাও। গৃহবধূ রুবিনা হাতে থাকা লাউ দেখিয়ে বলেন, ‘হাফ সেঞ্চুরি অতিক্রম করেছে। অনেক দামদর করে ৬৫ টাকা দিয়ে লাউটি কিনতে পারলাম। মাছের বাজারে পাঙাশ বা তেলাপিয়া কেনা ছাড়া আমাদের কোনো গতি নাই। তাও ১৬০ টাকা কেজি।’
এ সময় আক্ষেপ করে রুবিনা আরও বলেন, ‘মাংসের দাম হইছে কেজিতে ৬৫০ টাকা। যামু কই? খামু কী? চারটা ডাঙ্গা (ডাঁটা) ৩০ টাকা। ৩০ টাকার নিচে কোনো শাক নাই।’
বেসরকারি চাকরিজীবী ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘আমরা সামান্য বেতনে চাকরি করি। আমাদের আয়ের সঙ্গে ব্যয়, সাধের সঙ্গে সাধ্য কোনোটারই সমন্বয় নেই। এ অবস্থা উত্তরণে কারও কোনো নজর নেই। বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম ক্রেতাসাধারণের সাধ্যের মধ্যে আনতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পদক্ষেপ নেওয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি।’
মধুপুর শিল্প ও বণিক সমিতির প্রধান ও সাবেক সাংসদ খন্দকার আনোয়ারুল হক বলেন, ‘নিয়ন্ত্রণ না থাকায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যগুলো জনগণের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। সরকার এ ব্যাপারে সম্পূর্ণ উদাসীন। এই সুযোগে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে জনগণের কষ্টার্জিত অর্থ তাদের পকেটে নিয়ে নিচ্ছে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে