নওগাঁ প্রতিনিধি
নওগাঁয় প্রায় তিন শতাধিক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নেই। দীর্ঘদিন প্রধান শিক্ষক শূন্যতায় এসব বিদ্যালয় অনেকটাই অভিভাবকশূন্য হয়ে পড়েছে। প্রধান শিক্ষক না থাকায় সহকারী শিক্ষকেরাই এ পদের কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে দ্রুত এই সংকট সমাধান করা প্রয়োজন। এ ছাড়া মানসম্মত ও গুণগত শিক্ষা ব্যবস্থা একেবারে ভেঙে পড়বে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের তথ্য অনুযায়ী, জেলায় মোট ১ হাজার ৩৭৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে ২৯৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। নওগাঁ সদর উপজেলায় ২৭ জন, আত্রাইয়ে ৩৭ জন, ধামইরহাটে ২৮ জন, নিয়ামতপুরে ১৮ জন, পত্নীতলায় ২৮ জন, পোরশায় ৪ জন, বদলগাছীতে ৩২ জন, মহাদেবপুরে ৩৪ জন, মান্দায় ৪৪ জন, রাণীনগরে ৩৫ জন এবং সাপাহার উপজেলায় ৯টি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নেই।
এদিকে প্রধান শিক্ষক ছাড়াও জেলায় ২৯৫টি সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। তবে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের পদে চলতি দায়িত্ব থাকা শিক্ষকের হিসেব করলে জেলায় অন্তত ৫২০ জন সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে।
শিক্ষকেরা জানান, শিক্ষকসংকট প্রতি মাসেই বাড়ছে। প্রতি মাসেই কেউ না কেউ অবসরে যাচ্ছেন। আবার জ্যেষ্ঠ সহকারী শিক্ষকদের পদোন্নতি দিয়ে প্রধান শিক্ষক করাও হচ্ছে না। ফলে সংকট কাটছে না।
শালগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সাহিদা ইয়াসমিন বলেন, ‘দাপ্তরিক কাজে বিভিন্ন সময় বাইরে থাকতে হয়। আবার পাঠদানও করতে হয়। এতে অনেক সময় পাঠদান ব্যাহত হয়।’
নওগাঁ সদরের চকএনায়েত মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শামীমা নাছরিন বলেন, ‘আমাদের বিদ্যালয়ে মোট ৩৭৭ জন শিক্ষার্থী আছে। শিক্ষক রয়েছেন ৯ জন। প্রধান শিক্ষকসহ আরও ২ জন শিক্ষক প্রয়োজন।’
ওই বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক মো. বখতিয়ার ইনাম বলেন, প্রধান শিক্ষক সংকটের কারণে পাঠদান মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। মানসম্মত শিক্ষা কার্যক্রম নিশ্চিত করতে যত দ্রুত সম্ভব প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার দাবি জানান তিনি।
এ বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সিদ্দীক মোহাম্মদ ইউসুফ রেজা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকের পদগুলো শূন্য থাকার বিষয়টি আমরা শিক্ষা অধিদপ্তরকে লিখিতভাবে জানিয়েছি। চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে। আশা করছি, দ্রুত এ সমস্যার সমাধান হবে।’
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘এখন কর্তৃপক্ষ চাইলেই সংকট দূর হবে। আমরা আমাদের জানানোর কাজটা করছি। তবে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকেরা প্রশাসনিক কাজে বাইরে থাকলে শিক্ষা কার্যক্রম বিঘ্নিত হওয়ার কথা নয়, কারণ একজন শিক্ষক বাইরে গেলে ওই দায়িত্ব আরেকজন শিক্ষক পালন করে থাকেন।’
নওগাঁয় প্রায় তিন শতাধিক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নেই। দীর্ঘদিন প্রধান শিক্ষক শূন্যতায় এসব বিদ্যালয় অনেকটাই অভিভাবকশূন্য হয়ে পড়েছে। প্রধান শিক্ষক না থাকায় সহকারী শিক্ষকেরাই এ পদের কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে দ্রুত এই সংকট সমাধান করা প্রয়োজন। এ ছাড়া মানসম্মত ও গুণগত শিক্ষা ব্যবস্থা একেবারে ভেঙে পড়বে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের তথ্য অনুযায়ী, জেলায় মোট ১ হাজার ৩৭৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে ২৯৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। নওগাঁ সদর উপজেলায় ২৭ জন, আত্রাইয়ে ৩৭ জন, ধামইরহাটে ২৮ জন, নিয়ামতপুরে ১৮ জন, পত্নীতলায় ২৮ জন, পোরশায় ৪ জন, বদলগাছীতে ৩২ জন, মহাদেবপুরে ৩৪ জন, মান্দায় ৪৪ জন, রাণীনগরে ৩৫ জন এবং সাপাহার উপজেলায় ৯টি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নেই।
এদিকে প্রধান শিক্ষক ছাড়াও জেলায় ২৯৫টি সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। তবে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের পদে চলতি দায়িত্ব থাকা শিক্ষকের হিসেব করলে জেলায় অন্তত ৫২০ জন সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে।
শিক্ষকেরা জানান, শিক্ষকসংকট প্রতি মাসেই বাড়ছে। প্রতি মাসেই কেউ না কেউ অবসরে যাচ্ছেন। আবার জ্যেষ্ঠ সহকারী শিক্ষকদের পদোন্নতি দিয়ে প্রধান শিক্ষক করাও হচ্ছে না। ফলে সংকট কাটছে না।
শালগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সাহিদা ইয়াসমিন বলেন, ‘দাপ্তরিক কাজে বিভিন্ন সময় বাইরে থাকতে হয়। আবার পাঠদানও করতে হয়। এতে অনেক সময় পাঠদান ব্যাহত হয়।’
নওগাঁ সদরের চকএনায়েত মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শামীমা নাছরিন বলেন, ‘আমাদের বিদ্যালয়ে মোট ৩৭৭ জন শিক্ষার্থী আছে। শিক্ষক রয়েছেন ৯ জন। প্রধান শিক্ষকসহ আরও ২ জন শিক্ষক প্রয়োজন।’
ওই বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক মো. বখতিয়ার ইনাম বলেন, প্রধান শিক্ষক সংকটের কারণে পাঠদান মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। মানসম্মত শিক্ষা কার্যক্রম নিশ্চিত করতে যত দ্রুত সম্ভব প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার দাবি জানান তিনি।
এ বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সিদ্দীক মোহাম্মদ ইউসুফ রেজা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকের পদগুলো শূন্য থাকার বিষয়টি আমরা শিক্ষা অধিদপ্তরকে লিখিতভাবে জানিয়েছি। চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে। আশা করছি, দ্রুত এ সমস্যার সমাধান হবে।’
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘এখন কর্তৃপক্ষ চাইলেই সংকট দূর হবে। আমরা আমাদের জানানোর কাজটা করছি। তবে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকেরা প্রশাসনিক কাজে বাইরে থাকলে শিক্ষা কার্যক্রম বিঘ্নিত হওয়ার কথা নয়, কারণ একজন শিক্ষক বাইরে গেলে ওই দায়িত্ব আরেকজন শিক্ষক পালন করে থাকেন।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে