তৌফিকুল ইসলাম, ঢাকা
স্বল্প সময়ে মানসম্মতভাবে ট্রেন পরিষ্কারের জন্য প্রতিটি ১৮ কোটি টাকা ব্যয়ে দুটি অটোমেটিক ট্রেন ওয়াশিং প্ল্যান্ট কিনেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। যার একটি রাখা হয়েছে রাজশাহী স্টেশনে, অন্যটি ঢাকার কমলাপুরে। গত ৮ নভেম্বর ঢাকঢোল পিটিয়ে উদ্বোধন করা হয় মেশিন দুটি। কিন্তু বাস্তবতা হলো, এখনো বেশির ভাগ ট্রেন পরিষ্কার করা হয় ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে। ট্রেন পরিষ্কারের সময়ও লাগছে আগের মতোই। ভোগান্তি বেড়েছে শ্রমিকদের। ফলে খুব একটা কাজে দিচ্ছে না বিপুল অর্থ ব্যয়ে কেনা স্বয়ংক্রিয় ট্রেন ওয়াশিং প্ল্যান্ট।
কমলাপুর রেলস্টেশনের কাছে রয়েছে ঢাকা ওয়াশপিট। ঢাকার বাইরে থেকে কোনো ট্রেন কমলাপুর আসার পর এই ওয়াশপিটে তা পরিষ্কার করে যাত্রী পরিবহনের জন্য প্রস্তুত করা হয়। ট্রেন চেকিং, টয়লেটসহ ট্রেনের ভেতর-বাহির পরিষ্কার এবং ট্যাংকে পানি ভরার মতো কাজগুলো ওয়াশপিটেই করা হয়। গতকাল শনিবার কমলাপুরের ওয়াশপিটে সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, ট্রেন পরিষ্কারের কাজগুলো আগের মতোই ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে করা হচ্ছে। তবে কিছু ট্রেনের শুধু বাইরের অংশ অটোমেটিক ওয়াশিং প্ল্যান্টে পরিষ্কার করা হচ্ছে। তা-ও ভালোভাবে হচ্ছে না।
ওয়াশপিটের একাধিক শ্রমিক জানান, প্রথমে ট্রেনের ভেতর পরিষ্কার করেন শ্রমিকেরা। এরপর বাইরের অংশ পরিষ্কারের জন্য ঢোকানো হয় ওয়াশ প্ল্যান্টে। তাঁদের দাবি, সেটিও করতে পারে না নতুন এই প্রযুক্তি। ফলে তাঁদের কাজ বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে।
ট্রেন পরিষ্কারের কাজ করা সকালের শিফটে সুপারভাইজারের দায়িত্বে থাকা মো. মোস্তফা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্ল্যাটফর্ম থেকে তিনবার ইঞ্জিন পরিবর্তন আর তিন স্থানে কোচ থামিয়ে নেওয়া হয় ওয়াশ প্ল্যান্টে, ফলে বেড়েছে ভোগান্তি। তা ছাড়া, ওয়াশিং প্ল্যান্টে ট্রেনের বাইরের অংশে লেগে থাকা পানের পিক, বমির দাগ পরিষ্কার হয় না। তখন হাত দিয়ে সেগুলো পরিষ্কার করে দিতে হয় আমাদের। আমাদের দ্বিগুণ খাটতে হয় ওয়াশিং প্ল্যান্টের কারণে। সময়ও কমেনি বরং বেড়েছে।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কমলাপুর ওয়াশপিটে প্রতিদিন ২২-২৫টি যাত্রীবাহী মিটারগেজ ট্রেন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার জন্য আসে। এর মধ্যে সাত থেকে আটটি ট্রেন অটোমেটিক ওয়াশিং প্ল্যান্টের মাধ্যমে ট্রেনের বাইরের অংশ পরিষ্কার করা হয়। বাকিগুলো সম্পূর্ণভাবে আগের মতো ম্যানুয়ালি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয়। আগে এসব কাজ করত ৯০ জন। এখনো সেই একই সংখ্যার শ্রমিক কাজ করছেন। প্রতি শিফটে ৩০ জন করে শ্রমিক ট্রেন পরিষ্কারের কাজ করেন।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে অটোমেটিক ট্রেন ওয়াশিং প্ল্যান্ট প্রকল্প পরিচালক ফকির মো. মহিউদ্দীন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্ল্যান্টের কোনো সমস্যা নেই। যারা ব্যবহার করে তাদের ওপর নির্ভর করে দিনে কতটা ট্রেন পরিষ্কার করতে পারবে। আমার কাজ ছিল প্ল্যান্টটা নিয়ে এসে ব্যবহারযোগ্য করা, সেটা করেছি। এটা ভালো কাজ করলে ভবিষ্যতে, ট্রেনের ভেতরে পরিষ্কার করা যায় এমন ফিচারযুক্ত মেশিন কিনব।’
ট্রেন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য অটোমেটিক ওয়াশিং প্ল্যান্ট অবশ্যই প্রয়োজন আছে বলে মনে করেন বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মোয়াজ্জেম হোসেন। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘অটোমেটিক ওয়াশিং প্ল্যান্ট ট্রেনের বাইরে এবং ভেতরে দুই জায়গায়ই পরিষ্কার হওয়ার কথা। কিন্তু সেটা যদি না হয়, তাহলে যথাযথ মেশিন কেনা হয়নি—এমন হতে পারে।’
প্রসঙ্গত ২০১৭ সালের ৪ অক্টোবর এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) অর্থায়নে ‘বাংলাদেশ রেলওয়ের জন্য মিটারগেজ ও ব্রডগেজ প্যাসেঞ্জার ক্যারেজ সংগ্রহ’ শীর্ষক একটি প্রকল্প অনুমোদন করে একনেক। প্রকল্পের আওতায় যুক্তরাষ্ট্রের এনএস করপোরেশন নামে একটি প্রতিষ্ঠান থেকে দুটি অটোমেটিক ট্রেন ওয়াশিং প্ল্যান্ট কেনা হয়। প্রতিটি প্ল্যান্টে ১৮ কোটি করে মোট ৩৬ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। বাংলাদেশে এর সহযোগী ঠিকাদার নেক্সট জেনারেশন গ্রাফিকস লিমিটেড।
স্বল্প সময়ে মানসম্মতভাবে ট্রেন পরিষ্কারের জন্য প্রতিটি ১৮ কোটি টাকা ব্যয়ে দুটি অটোমেটিক ট্রেন ওয়াশিং প্ল্যান্ট কিনেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। যার একটি রাখা হয়েছে রাজশাহী স্টেশনে, অন্যটি ঢাকার কমলাপুরে। গত ৮ নভেম্বর ঢাকঢোল পিটিয়ে উদ্বোধন করা হয় মেশিন দুটি। কিন্তু বাস্তবতা হলো, এখনো বেশির ভাগ ট্রেন পরিষ্কার করা হয় ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে। ট্রেন পরিষ্কারের সময়ও লাগছে আগের মতোই। ভোগান্তি বেড়েছে শ্রমিকদের। ফলে খুব একটা কাজে দিচ্ছে না বিপুল অর্থ ব্যয়ে কেনা স্বয়ংক্রিয় ট্রেন ওয়াশিং প্ল্যান্ট।
কমলাপুর রেলস্টেশনের কাছে রয়েছে ঢাকা ওয়াশপিট। ঢাকার বাইরে থেকে কোনো ট্রেন কমলাপুর আসার পর এই ওয়াশপিটে তা পরিষ্কার করে যাত্রী পরিবহনের জন্য প্রস্তুত করা হয়। ট্রেন চেকিং, টয়লেটসহ ট্রেনের ভেতর-বাহির পরিষ্কার এবং ট্যাংকে পানি ভরার মতো কাজগুলো ওয়াশপিটেই করা হয়। গতকাল শনিবার কমলাপুরের ওয়াশপিটে সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, ট্রেন পরিষ্কারের কাজগুলো আগের মতোই ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে করা হচ্ছে। তবে কিছু ট্রেনের শুধু বাইরের অংশ অটোমেটিক ওয়াশিং প্ল্যান্টে পরিষ্কার করা হচ্ছে। তা-ও ভালোভাবে হচ্ছে না।
ওয়াশপিটের একাধিক শ্রমিক জানান, প্রথমে ট্রেনের ভেতর পরিষ্কার করেন শ্রমিকেরা। এরপর বাইরের অংশ পরিষ্কারের জন্য ঢোকানো হয় ওয়াশ প্ল্যান্টে। তাঁদের দাবি, সেটিও করতে পারে না নতুন এই প্রযুক্তি। ফলে তাঁদের কাজ বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে।
ট্রেন পরিষ্কারের কাজ করা সকালের শিফটে সুপারভাইজারের দায়িত্বে থাকা মো. মোস্তফা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্ল্যাটফর্ম থেকে তিনবার ইঞ্জিন পরিবর্তন আর তিন স্থানে কোচ থামিয়ে নেওয়া হয় ওয়াশ প্ল্যান্টে, ফলে বেড়েছে ভোগান্তি। তা ছাড়া, ওয়াশিং প্ল্যান্টে ট্রেনের বাইরের অংশে লেগে থাকা পানের পিক, বমির দাগ পরিষ্কার হয় না। তখন হাত দিয়ে সেগুলো পরিষ্কার করে দিতে হয় আমাদের। আমাদের দ্বিগুণ খাটতে হয় ওয়াশিং প্ল্যান্টের কারণে। সময়ও কমেনি বরং বেড়েছে।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কমলাপুর ওয়াশপিটে প্রতিদিন ২২-২৫টি যাত্রীবাহী মিটারগেজ ট্রেন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার জন্য আসে। এর মধ্যে সাত থেকে আটটি ট্রেন অটোমেটিক ওয়াশিং প্ল্যান্টের মাধ্যমে ট্রেনের বাইরের অংশ পরিষ্কার করা হয়। বাকিগুলো সম্পূর্ণভাবে আগের মতো ম্যানুয়ালি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয়। আগে এসব কাজ করত ৯০ জন। এখনো সেই একই সংখ্যার শ্রমিক কাজ করছেন। প্রতি শিফটে ৩০ জন করে শ্রমিক ট্রেন পরিষ্কারের কাজ করেন।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে অটোমেটিক ট্রেন ওয়াশিং প্ল্যান্ট প্রকল্প পরিচালক ফকির মো. মহিউদ্দীন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্ল্যান্টের কোনো সমস্যা নেই। যারা ব্যবহার করে তাদের ওপর নির্ভর করে দিনে কতটা ট্রেন পরিষ্কার করতে পারবে। আমার কাজ ছিল প্ল্যান্টটা নিয়ে এসে ব্যবহারযোগ্য করা, সেটা করেছি। এটা ভালো কাজ করলে ভবিষ্যতে, ট্রেনের ভেতরে পরিষ্কার করা যায় এমন ফিচারযুক্ত মেশিন কিনব।’
ট্রেন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য অটোমেটিক ওয়াশিং প্ল্যান্ট অবশ্যই প্রয়োজন আছে বলে মনে করেন বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মোয়াজ্জেম হোসেন। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘অটোমেটিক ওয়াশিং প্ল্যান্ট ট্রেনের বাইরে এবং ভেতরে দুই জায়গায়ই পরিষ্কার হওয়ার কথা। কিন্তু সেটা যদি না হয়, তাহলে যথাযথ মেশিন কেনা হয়নি—এমন হতে পারে।’
প্রসঙ্গত ২০১৭ সালের ৪ অক্টোবর এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) অর্থায়নে ‘বাংলাদেশ রেলওয়ের জন্য মিটারগেজ ও ব্রডগেজ প্যাসেঞ্জার ক্যারেজ সংগ্রহ’ শীর্ষক একটি প্রকল্প অনুমোদন করে একনেক। প্রকল্পের আওতায় যুক্তরাষ্ট্রের এনএস করপোরেশন নামে একটি প্রতিষ্ঠান থেকে দুটি অটোমেটিক ট্রেন ওয়াশিং প্ল্যান্ট কেনা হয়। প্রতিটি প্ল্যান্টে ১৮ কোটি করে মোট ৩৬ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। বাংলাদেশে এর সহযোগী ঠিকাদার নেক্সট জেনারেশন গ্রাফিকস লিমিটেড।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে