সম্পাদকীয়
শিক্ষাঙ্গনে শিক্ষকদের বলপ্রয়োগে পদত্যাগে বাধ্য করানোর ঘটনা কিন্তু কমছে না। নওগাঁর ধামইরহাটে সে রকম একটি ঘটনা ঘটল। আমাদের মনে পড়ছে, এ ধরনের অন্যায় রোধ করার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে একটা অফিস অর্ডার দেওয়া হয়েছিল। আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার ব্যাপারে সেখানে ছিল সতর্কবার্তা। কিন্তু সুযোগসন্ধানীরা মাঝেমধ্যেই নিজেদের মতো করে লঙ্ঘন করে চলেছে সেই নির্দেশ।
রেড়িতলা একাডেমির প্রধান শিক্ষক ও তাঁর স্বামীকে একটি ক্লাসরুমে বেঁধে রেখে একজন সহকারী শিক্ষকের নেতৃত্বে কতিপয় শিক্ষার্থী ও অভিভাবক দিনভর নির্যাতন করে। নির্যাতনের কারণে তাঁদের দুজনের শরীরের বিভিন্ন জায়গা জখম হয়েছে। খবর পেয়ে সন্ধ্যার দিকে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে সঙ্গে নিয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর একটি দল স্বামীসহ প্রধান শিক্ষককে উদ্ধার করে।
প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে তা দেখবে তদন্ত কমিটি। সে রকম একটি কমিটি গঠনও করা হয়েছে। খোদ ইউএনও বিষয়টি জানিয়েছেন। তদন্ত কমিটি তাদের কাজও করছে। তাহলে হঠাৎ করে প্রধান শিক্ষককে অপদস্থ করার কারণ কী? যারা নিজের হাতে আইন তুলে নিল, তাদের ব্যাপারে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, তা-ও এখন জানা দরকার। শিক্ষা উপদেষ্টার কাছে খবরটি পৌঁছে দেওয়া দরকার। যে সহকারী শিক্ষকের নেতৃত্বে এই অরাজকতা চলল, তিনি যদি আইনের কাঠগড়ায় না দাঁড়ান, তাহলে সবকিছুই তো মেকি বলে মনে হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ অমান্য করে যিনি নিজ হাতে শাস্তির ভার তুলে নিয়েছেন, তিনি যদি শাস্তি না পান, তাহলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এ ধরনের অফিস অর্ডার দেওয়ার কোনো অর্থ থাকে কি?
সংস্কারের মাধ্যমে একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। গত বুধবার জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য ছয়টি কমিশন গঠন করেছেন তিনি। বলেছেন, ১ অক্টোবর থেকে কমিশনগুলো কাজ শুরু করবে। ঘুষ, দুর্নীতি, পেশিশক্তির অবসান ঘটবে—এ রকম একটি স্বপ্ন আছে তাতে। কিন্তু গোড়ায় বা তৃণমূলে গলদ থাকলে সত্যিই একটি জবাবদিহিমূলক শাসনব্যবস্থা গড়ে তোলা যাবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ আছে। যে পদ্ধতিতে সরকার পরিচালনায় ঘুষ, দুর্নীতিনির্ভর আমলাতন্ত্র গড়ে উঠেছে, তা থেকে বেরিয়ে আসা খুব কঠিন। বহুদিনের অভ্যাস পাল্টানো মুখের কথা নয়। কিন্তু দেশের জনগণ চায় শান্তিতে, নিরাপদে এ দেশে বসবাস করতে।
এ রকম একটি আশাজাগানিয়া স্বপ্ন নিয়ে কাজ করার সময় যদি বিভিন্নভাবে অরাজকতা চলতে থাকে, তাহলে তা আশাহত করে। বস্ত্রশ্রমিকদের সঙ্গে সমঝোতা হচ্ছে না। এখনো জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে কারখানা। কোটি কোটি টাকার কারখানা কেন পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে, সেটাও খতিয়ে দেখা দরকার। এখনো যদি মব জাস্টিস চলতে থাকে, তাহলে সামনের দিনগুলোয় নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখা কঠিন হয়ে পড়বে।
ধামইরহাটের ওই সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারে সরকার। বলতে পারে, আমরা ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করলাম।
শিক্ষাঙ্গনে শিক্ষকদের বলপ্রয়োগে পদত্যাগে বাধ্য করানোর ঘটনা কিন্তু কমছে না। নওগাঁর ধামইরহাটে সে রকম একটি ঘটনা ঘটল। আমাদের মনে পড়ছে, এ ধরনের অন্যায় রোধ করার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে একটা অফিস অর্ডার দেওয়া হয়েছিল। আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার ব্যাপারে সেখানে ছিল সতর্কবার্তা। কিন্তু সুযোগসন্ধানীরা মাঝেমধ্যেই নিজেদের মতো করে লঙ্ঘন করে চলেছে সেই নির্দেশ।
রেড়িতলা একাডেমির প্রধান শিক্ষক ও তাঁর স্বামীকে একটি ক্লাসরুমে বেঁধে রেখে একজন সহকারী শিক্ষকের নেতৃত্বে কতিপয় শিক্ষার্থী ও অভিভাবক দিনভর নির্যাতন করে। নির্যাতনের কারণে তাঁদের দুজনের শরীরের বিভিন্ন জায়গা জখম হয়েছে। খবর পেয়ে সন্ধ্যার দিকে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে সঙ্গে নিয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর একটি দল স্বামীসহ প্রধান শিক্ষককে উদ্ধার করে।
প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে তা দেখবে তদন্ত কমিটি। সে রকম একটি কমিটি গঠনও করা হয়েছে। খোদ ইউএনও বিষয়টি জানিয়েছেন। তদন্ত কমিটি তাদের কাজও করছে। তাহলে হঠাৎ করে প্রধান শিক্ষককে অপদস্থ করার কারণ কী? যারা নিজের হাতে আইন তুলে নিল, তাদের ব্যাপারে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, তা-ও এখন জানা দরকার। শিক্ষা উপদেষ্টার কাছে খবরটি পৌঁছে দেওয়া দরকার। যে সহকারী শিক্ষকের নেতৃত্বে এই অরাজকতা চলল, তিনি যদি আইনের কাঠগড়ায় না দাঁড়ান, তাহলে সবকিছুই তো মেকি বলে মনে হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ অমান্য করে যিনি নিজ হাতে শাস্তির ভার তুলে নিয়েছেন, তিনি যদি শাস্তি না পান, তাহলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এ ধরনের অফিস অর্ডার দেওয়ার কোনো অর্থ থাকে কি?
সংস্কারের মাধ্যমে একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। গত বুধবার জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য ছয়টি কমিশন গঠন করেছেন তিনি। বলেছেন, ১ অক্টোবর থেকে কমিশনগুলো কাজ শুরু করবে। ঘুষ, দুর্নীতি, পেশিশক্তির অবসান ঘটবে—এ রকম একটি স্বপ্ন আছে তাতে। কিন্তু গোড়ায় বা তৃণমূলে গলদ থাকলে সত্যিই একটি জবাবদিহিমূলক শাসনব্যবস্থা গড়ে তোলা যাবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ আছে। যে পদ্ধতিতে সরকার পরিচালনায় ঘুষ, দুর্নীতিনির্ভর আমলাতন্ত্র গড়ে উঠেছে, তা থেকে বেরিয়ে আসা খুব কঠিন। বহুদিনের অভ্যাস পাল্টানো মুখের কথা নয়। কিন্তু দেশের জনগণ চায় শান্তিতে, নিরাপদে এ দেশে বসবাস করতে।
এ রকম একটি আশাজাগানিয়া স্বপ্ন নিয়ে কাজ করার সময় যদি বিভিন্নভাবে অরাজকতা চলতে থাকে, তাহলে তা আশাহত করে। বস্ত্রশ্রমিকদের সঙ্গে সমঝোতা হচ্ছে না। এখনো জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে কারখানা। কোটি কোটি টাকার কারখানা কেন পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে, সেটাও খতিয়ে দেখা দরকার। এখনো যদি মব জাস্টিস চলতে থাকে, তাহলে সামনের দিনগুলোয় নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখা কঠিন হয়ে পড়বে।
ধামইরহাটের ওই সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারে সরকার। বলতে পারে, আমরা ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করলাম।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে