শিবপুর (নরসিংদী) প্রতিনিধি
নরসিংদীর শিবপুরে পঞ্চম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে বিদ্রোহীদের কাছে ধরাশায়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা। কয়েকটি ইউপিতে দলীয় প্রার্থীরা বিদ্রোহীদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায়ও আসতে পারেননি। গত বুধবার অনুষ্ঠিত সাত ইউপির নির্বাচনে তিনটিতে নৌকা ও তিনটিতে বিদ্রোহী স্বতন্ত্র ও একটিতে বিএনপি সমর্থক স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের একাংশ বলছেন, বিদ্রোহীদের কারণেই বেশির ভাগ দলীয় প্রার্থী হেরেছেন। দলীয় প্রার্থী বাছাই ও অভ্যন্তরীণ কোন্দলও এই ভরাডুবির জন্য দায়ী। উপজেলা আওয়ামী লীগ বলছে, যাঁরা দলের বিরুদ্ধে গিয়ে বিদ্রোহী হয়েছেন, বা বিদ্রোহীদের পক্ষ নিয়েছেন নির্বাচনে, তাঁদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৭ ইউপিতে ৪০ জন লড়েছেন। তাঁদের মধ্যে আওয়ামী লীগের ৭ জন, স্বতন্ত্র (বিদ্রোহী) ৬ জন, স্বতন্ত্র (বিএনপি) ৯ জন, জাতীয় পার্টির ১ জন, ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন ৭ জন, স্বতন্ত্র (জামায়াতে ইসলামী) ১ জন, জাকের পার্টির ৩ জন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ৬ জন রয়েছেন। এর মধ্যে ৩টিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। অপরদিকে দলটির বিদ্রোহী প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন ৩ জন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বিএনপির সমর্থক জয়ী হয়েছেন ১ জন। দলীয়ভাবে বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নিলেও ৭ ইউপিতে একাধিক বিএনপির সমর্থক প্রার্থী লড়েছেন। নির্বাচনে ১ জন বিএনপি সমর্থক জয়ী হলেও কয়েকটিতে ইউপিতে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে।
স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দলের প্রার্থীদের এমন পরিস্থিতির জন্য সঠিক প্রার্থীকে মনোনয়ন না দেওয়া এবং অভ্যন্তরীণ কোন্দল দায়ী। ইউপি নির্বাচনের ফল বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের পরাজয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, যাঁরা দলীয় মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচন করে পরাজিত হয়েছেন, তাঁদের জনপ্রিয়তায় ঘাটতি ছিল। পরাজয়ের কারণ হিসেবে দলীয় প্রার্থী বাছাই ও অভ্যন্তরীণ কোন্দলও দায়ী।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক আওয়ামী লীগের এক কর্মী বলেন, বেশির ভাগ ইউপিতেই দলের বিদ্রোহী একাধিক প্রার্থী ছিল। সেই সঙ্গে বিএনপি সমর্থকেরাও অংশ নিয়েছেন। এতে দলের ভোট ভাগ হয়ে গেছে। দলীয় নেতা-কর্মীরাও প্রকাশ্যে বা গোপনে বিদ্রোহীদের পক্ষ নিয়েছেন। তাই দলীয় প্রার্থীদের এমন অবস্থা হয়েছে। কোথাও কোথাও নৌকা তৃতীয়ও হয়েছে। এর জন্য দলীয় কোন্দল ও প্রার্থিতা বাছাইয়ে ভুল হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সামসুল আলম ভূঁইয়া রাখিল বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে পরাজিত করার জন্য সব সময়ই সুযোগ খোঁজে স্বাধীনতাবিরোধী বিএনপি-জামায়াত। নির্বাচন এলেই তারা আওয়ামী লীগ প্রার্থীকে হারিয়ে দিতে বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে অবস্থান নেয়। এতে বিদ্রোহী প্রার্থীরা আওয়ামী লীগের একাংশের ভোট পান, আবার বিএনপি-জামায়াতেরও ভোটও পায়। ফলে তাঁরা জয়ী হন। বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিলে এমন ফল হতো না।’
বেশির ভাগ ইউপিতে পরাজয়ের বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোহসীন নাজির বলেন, দলীয় কোন্দলই পরাজয়ের কারণ। আওয়ামী লীগ ঐতিহ্যবাহী ও বড় দল। একই ইউনিয়নে অনেক যোগ্য প্রার্থী থাকেন। তাঁরাও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। তবে যাঁরা শৃঙ্খলা ভেঙে নির্বাচন করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে দলীয় গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নরসিংদীর শিবপুরে পঞ্চম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে বিদ্রোহীদের কাছে ধরাশায়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা। কয়েকটি ইউপিতে দলীয় প্রার্থীরা বিদ্রোহীদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায়ও আসতে পারেননি। গত বুধবার অনুষ্ঠিত সাত ইউপির নির্বাচনে তিনটিতে নৌকা ও তিনটিতে বিদ্রোহী স্বতন্ত্র ও একটিতে বিএনপি সমর্থক স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের একাংশ বলছেন, বিদ্রোহীদের কারণেই বেশির ভাগ দলীয় প্রার্থী হেরেছেন। দলীয় প্রার্থী বাছাই ও অভ্যন্তরীণ কোন্দলও এই ভরাডুবির জন্য দায়ী। উপজেলা আওয়ামী লীগ বলছে, যাঁরা দলের বিরুদ্ধে গিয়ে বিদ্রোহী হয়েছেন, বা বিদ্রোহীদের পক্ষ নিয়েছেন নির্বাচনে, তাঁদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৭ ইউপিতে ৪০ জন লড়েছেন। তাঁদের মধ্যে আওয়ামী লীগের ৭ জন, স্বতন্ত্র (বিদ্রোহী) ৬ জন, স্বতন্ত্র (বিএনপি) ৯ জন, জাতীয় পার্টির ১ জন, ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন ৭ জন, স্বতন্ত্র (জামায়াতে ইসলামী) ১ জন, জাকের পার্টির ৩ জন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ৬ জন রয়েছেন। এর মধ্যে ৩টিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। অপরদিকে দলটির বিদ্রোহী প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন ৩ জন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বিএনপির সমর্থক জয়ী হয়েছেন ১ জন। দলীয়ভাবে বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নিলেও ৭ ইউপিতে একাধিক বিএনপির সমর্থক প্রার্থী লড়েছেন। নির্বাচনে ১ জন বিএনপি সমর্থক জয়ী হলেও কয়েকটিতে ইউপিতে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে।
স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দলের প্রার্থীদের এমন পরিস্থিতির জন্য সঠিক প্রার্থীকে মনোনয়ন না দেওয়া এবং অভ্যন্তরীণ কোন্দল দায়ী। ইউপি নির্বাচনের ফল বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের পরাজয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, যাঁরা দলীয় মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচন করে পরাজিত হয়েছেন, তাঁদের জনপ্রিয়তায় ঘাটতি ছিল। পরাজয়ের কারণ হিসেবে দলীয় প্রার্থী বাছাই ও অভ্যন্তরীণ কোন্দলও দায়ী।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক আওয়ামী লীগের এক কর্মী বলেন, বেশির ভাগ ইউপিতেই দলের বিদ্রোহী একাধিক প্রার্থী ছিল। সেই সঙ্গে বিএনপি সমর্থকেরাও অংশ নিয়েছেন। এতে দলের ভোট ভাগ হয়ে গেছে। দলীয় নেতা-কর্মীরাও প্রকাশ্যে বা গোপনে বিদ্রোহীদের পক্ষ নিয়েছেন। তাই দলীয় প্রার্থীদের এমন অবস্থা হয়েছে। কোথাও কোথাও নৌকা তৃতীয়ও হয়েছে। এর জন্য দলীয় কোন্দল ও প্রার্থিতা বাছাইয়ে ভুল হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সামসুল আলম ভূঁইয়া রাখিল বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে পরাজিত করার জন্য সব সময়ই সুযোগ খোঁজে স্বাধীনতাবিরোধী বিএনপি-জামায়াত। নির্বাচন এলেই তারা আওয়ামী লীগ প্রার্থীকে হারিয়ে দিতে বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে অবস্থান নেয়। এতে বিদ্রোহী প্রার্থীরা আওয়ামী লীগের একাংশের ভোট পান, আবার বিএনপি-জামায়াতেরও ভোটও পায়। ফলে তাঁরা জয়ী হন। বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিলে এমন ফল হতো না।’
বেশির ভাগ ইউপিতে পরাজয়ের বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোহসীন নাজির বলেন, দলীয় কোন্দলই পরাজয়ের কারণ। আওয়ামী লীগ ঐতিহ্যবাহী ও বড় দল। একই ইউনিয়নে অনেক যোগ্য প্রার্থী থাকেন। তাঁরাও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। তবে যাঁরা শৃঙ্খলা ভেঙে নির্বাচন করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে দলীয় গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে