রানা আব্বাস, দুবাই থেকে
বাংলাদেশ টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন কিংবা দলের সঙ্গে থাকা ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান জালাল ইউনুসের কথায় পরিষ্কার, তাঁরা চিন্তিত খেলোয়াড়দের মনস্তাত্ত্বিক বিষয়টা নিয়ে। প্রস্তুতির ঘাটতি নেই, সুযোগ-সুবিধার অভাব নেই। গেম প্ল্যানে খুব বেশি ত্রুটি নেই। অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন নেই। তবু বাংলাদেশের খেলোয়াড়েরা মাঠে নামলে কেন অমন গুটিয়ে যান? গতকাল দুপুরে টিম হোটেল হিলটনে জালাল ইউনুসের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা হলো। তিনি এ প্রশ্নের উত্তর দেবেন কী, উল্টো একই প্রশ্ন করলেন।
বিকেলে দলের ঐচ্ছিক অনুশীলনে আসা খালেদ মাহমুদ সুজনও বুঝতে পারছেন না, এত বুঝিয়ে দেওয়ার পরও খেলতে নেমে খেলোয়াড়দের আসলে কী হয়? তাঁর দাবি, খেলোয়াড়দের যথেষ্ট স্বাধীনতা দেওয়া হচ্ছে। সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। তবু কেন এত ভয় নিয়ে খেলা? সংবাদ সম্মেলনে রসিকতা করে সুজন একপর্যায়ে বললেন, ‘খেলোয়াড়দের মনের ভেতর ঢুকতে হবে…।’
শারজায় গত পরশু আফগানিস্তানের বিপক্ষে টস জিতে শুরুতে ব্যাটিং করতে নেমে বাংলাদেশের টপ অর্ডারের ব্যাটারা এমন রক্ষণাত্মক খেললেন, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এমন ব্যাটিং এখন অপরাধের পর্যায়ে পড়ে। ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম ৮ বলে খেলে করলেন ৬ রান আর এনামুল হক বিজয় ১৪ বলে ৫ রান। টেস্ট ক্রিকেটেও এখন এর চেয়ে ইতিবাচক শুরু করে অনেক ওপেনিং জুটি।
একটা দলের শুরুই যখন এমন ধীর গতির, সে দল ভালো স্কোর পাবে কীভাবে? রশিদ খান আর মুজিব উর রহমান দুর্দান্ত দুই স্পিনার, বিশেষ করে ২০ ওভারের ক্রিকেটে। তাই বলে মুজিব-রশিদকে এতটাই সমীহ করতে হবে যে তাঁদের বিপক্ষে দৃষ্টিকটুভাবে গুটিয়ে থাকতে হবে? প্রতিপক্ষের বোলাররা যখন ব্যাটারদের মানসিক দুর্বলতা বুঝে গেলেন, তাঁরা খুনে মেজাজে চেপে তো ধরবেই। গত পরশু সেটা তাঁরা ধরেছেও। আফগান স্পিনের বিপক্ষে হাঁসফাঁস করতে থাকা বাংলাদেশের ব্যাটারদের মেরুদণ্ড ভেঙে দিতে খুব একটা সময় লাগেনি। অথচ এই আফগান বোলারদেরই সাতে নামা মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত খেললেন কী স্বচ্ছন্দে।
মোসাদ্দেক পেরেছেন। কারণ, তাঁর ‘ইনটেন্ট’ ঠিক ছিল। হয় মরব, না হয় মারব মানসিকতায় খেলেছে। এখানেই পিছিয়ে ছিলেন বাকিরা। বিষয়টি যে বাংলাদেশ দলকে চিন্তায় ফেলে দিয়েছে, সেটিই বললেন সুজন, ‘এটা নিয়ে পুরো দল উদ্বিগ্ন। যে মানসিকতায় খেলার দরকার ছিল, সেটি খেলতে পারিনি বলে হতাশ, হারের জন্য হতাশ নই। ব্যাটারদের এত বোঝানোর পর, এত অনুশীলনের পর যদি সেই পুরোনো ধাঁচের ব্যাটিং করে, সেটা আসলে কষ্ট দেয়।’
বাংলাদেশের খেলোয়াড়েরা কেন ভালো ইনটেন্ট দেখাতে পারছে না, সেটিরও একটি ব্যাখ্যা দিলেন সুজন, ‘অনুশীলন আর ম্যাচের মধ্যে অনেক পার্থক্য আছে। অনুশীলনে অনেক স্বাভাবিক, স্বাধীনতা থাকে। আউট হলেও ব্যাটিং করা যায়। কিন্তু ম্যাচে সে সুযোগ নেই। সেখানে অনেক চাপ থাকে। দর্শক, মিডিয়ার চাপ থাকে। এই চাপটা নিতে আমার মনে হয় কোথাও অসুবিধা হচ্ছে। অনুশীলনে যা করতে পারছি, ম্যাচে সেটা পারছি না। খেলোয়াড়দের এখান থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।’
খেলোয়াড়দের এ মনস্তাত্ত্বিকবাধা থেকে বেরিয়ে আসার সব স্বাধীনতাই দিচ্ছে বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট। সুজন তাই খেলোয়াড়দের আহ্বান করছেন ভয়কে জয় করার, ‘এখান থেকে বের হতে হবে তাদেরই। মাঠে তাদেরই খেলতে হবে। কীভাবে বাউন্ডারি মারতে হবে, তাদেরই সেটা করতে হবে। নতুন যদি শট খেলতে হয়, খেলবে। চেষ্টাটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এই চেষ্টাই দেখতে পারছি না। ফাস্ট বোলিংয়ে যদি কেউ মারতে গিয়ে আউট হয়, সেটা মেনে নেবে। কিন্তু কেউ রক্ষণাত্মক ব্যাটিংয়ে আউট হয়ে যাচ্ছে ৩০-৪০-৫০ স্ট্রাইক রেটে, এটা অনেক কষ্টের।’
বাংলাদেশ টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন কিংবা দলের সঙ্গে থাকা ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান জালাল ইউনুসের কথায় পরিষ্কার, তাঁরা চিন্তিত খেলোয়াড়দের মনস্তাত্ত্বিক বিষয়টা নিয়ে। প্রস্তুতির ঘাটতি নেই, সুযোগ-সুবিধার অভাব নেই। গেম প্ল্যানে খুব বেশি ত্রুটি নেই। অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন নেই। তবু বাংলাদেশের খেলোয়াড়েরা মাঠে নামলে কেন অমন গুটিয়ে যান? গতকাল দুপুরে টিম হোটেল হিলটনে জালাল ইউনুসের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা হলো। তিনি এ প্রশ্নের উত্তর দেবেন কী, উল্টো একই প্রশ্ন করলেন।
বিকেলে দলের ঐচ্ছিক অনুশীলনে আসা খালেদ মাহমুদ সুজনও বুঝতে পারছেন না, এত বুঝিয়ে দেওয়ার পরও খেলতে নেমে খেলোয়াড়দের আসলে কী হয়? তাঁর দাবি, খেলোয়াড়দের যথেষ্ট স্বাধীনতা দেওয়া হচ্ছে। সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। তবু কেন এত ভয় নিয়ে খেলা? সংবাদ সম্মেলনে রসিকতা করে সুজন একপর্যায়ে বললেন, ‘খেলোয়াড়দের মনের ভেতর ঢুকতে হবে…।’
শারজায় গত পরশু আফগানিস্তানের বিপক্ষে টস জিতে শুরুতে ব্যাটিং করতে নেমে বাংলাদেশের টপ অর্ডারের ব্যাটারা এমন রক্ষণাত্মক খেললেন, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এমন ব্যাটিং এখন অপরাধের পর্যায়ে পড়ে। ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম ৮ বলে খেলে করলেন ৬ রান আর এনামুল হক বিজয় ১৪ বলে ৫ রান। টেস্ট ক্রিকেটেও এখন এর চেয়ে ইতিবাচক শুরু করে অনেক ওপেনিং জুটি।
একটা দলের শুরুই যখন এমন ধীর গতির, সে দল ভালো স্কোর পাবে কীভাবে? রশিদ খান আর মুজিব উর রহমান দুর্দান্ত দুই স্পিনার, বিশেষ করে ২০ ওভারের ক্রিকেটে। তাই বলে মুজিব-রশিদকে এতটাই সমীহ করতে হবে যে তাঁদের বিপক্ষে দৃষ্টিকটুভাবে গুটিয়ে থাকতে হবে? প্রতিপক্ষের বোলাররা যখন ব্যাটারদের মানসিক দুর্বলতা বুঝে গেলেন, তাঁরা খুনে মেজাজে চেপে তো ধরবেই। গত পরশু সেটা তাঁরা ধরেছেও। আফগান স্পিনের বিপক্ষে হাঁসফাঁস করতে থাকা বাংলাদেশের ব্যাটারদের মেরুদণ্ড ভেঙে দিতে খুব একটা সময় লাগেনি। অথচ এই আফগান বোলারদেরই সাতে নামা মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত খেললেন কী স্বচ্ছন্দে।
মোসাদ্দেক পেরেছেন। কারণ, তাঁর ‘ইনটেন্ট’ ঠিক ছিল। হয় মরব, না হয় মারব মানসিকতায় খেলেছে। এখানেই পিছিয়ে ছিলেন বাকিরা। বিষয়টি যে বাংলাদেশ দলকে চিন্তায় ফেলে দিয়েছে, সেটিই বললেন সুজন, ‘এটা নিয়ে পুরো দল উদ্বিগ্ন। যে মানসিকতায় খেলার দরকার ছিল, সেটি খেলতে পারিনি বলে হতাশ, হারের জন্য হতাশ নই। ব্যাটারদের এত বোঝানোর পর, এত অনুশীলনের পর যদি সেই পুরোনো ধাঁচের ব্যাটিং করে, সেটা আসলে কষ্ট দেয়।’
বাংলাদেশের খেলোয়াড়েরা কেন ভালো ইনটেন্ট দেখাতে পারছে না, সেটিরও একটি ব্যাখ্যা দিলেন সুজন, ‘অনুশীলন আর ম্যাচের মধ্যে অনেক পার্থক্য আছে। অনুশীলনে অনেক স্বাভাবিক, স্বাধীনতা থাকে। আউট হলেও ব্যাটিং করা যায়। কিন্তু ম্যাচে সে সুযোগ নেই। সেখানে অনেক চাপ থাকে। দর্শক, মিডিয়ার চাপ থাকে। এই চাপটা নিতে আমার মনে হয় কোথাও অসুবিধা হচ্ছে। অনুশীলনে যা করতে পারছি, ম্যাচে সেটা পারছি না। খেলোয়াড়দের এখান থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।’
খেলোয়াড়দের এ মনস্তাত্ত্বিকবাধা থেকে বেরিয়ে আসার সব স্বাধীনতাই দিচ্ছে বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট। সুজন তাই খেলোয়াড়দের আহ্বান করছেন ভয়কে জয় করার, ‘এখান থেকে বের হতে হবে তাদেরই। মাঠে তাদেরই খেলতে হবে। কীভাবে বাউন্ডারি মারতে হবে, তাদেরই সেটা করতে হবে। নতুন যদি শট খেলতে হয়, খেলবে। চেষ্টাটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এই চেষ্টাই দেখতে পারছি না। ফাস্ট বোলিংয়ে যদি কেউ মারতে গিয়ে আউট হয়, সেটা মেনে নেবে। কিন্তু কেউ রক্ষণাত্মক ব্যাটিংয়ে আউট হয়ে যাচ্ছে ৩০-৪০-৫০ স্ট্রাইক রেটে, এটা অনেক কষ্টের।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৪ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৪ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে