তোফাজ্জল হোসেন রুবেল, ঢাকা
বেশির ভাগ পৌরসভা তাদের আওতাধীন এলাকা থেকে বর্জ্য সংগ্রহ করে নির্ধারিত ডাম্পিং স্টেশনে না রেখে অন্য জায়গায় ফেলে। সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর এমন ১৪টি পৌরসভা চিহ্নিত করেছে, যারা বিভিন্ন মহাসড়কের ৬২টি স্থানে বর্জ্য ফেলছে। এতে জনস্বাস্থ্য মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। দ্রুত বর্জ্য ফেলা বন্ধ করতে এবং ফেলে রাখা বর্জ্য সরিয়ে নিতে স্থানীয় সরকার বিভাগকে চিঠি দিয়েছে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর। এর পরিপ্রেক্ষিতে ৪ এপ্রিল স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব ১৪ পৌরসভার মেয়রকে এ বিষয়ে জরুরি ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দিয়েছেন।
চিহ্নিত ১৪টি পৌরসভা হলো তারাব, পাবনা, ঈশ্বরদী, সাভার, ধামরাই, মানিকগঞ্জ, রাজৈর, মাদারীপুর, কালকিনি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, বাঞ্ছারামপুর, শাহজাদপুর, উল্লাপাড়া ও কুলাউড়া।
স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব (পৌর-১) মো. আব্দুর রহমানের সই করা চিঠিতে বলা হয়েছে, সওজ অধিদপ্তরের আওতাধীন মহাসড়কের ওপরে ও পাশে পৌরসভা বর্জ্য ফেলছে। উন্মুক্তভাবে এসব বর্জ্য ফেলা জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন, ২০০৯ অনুযায়ী পৌরসভার অধিক্ষেত্রে জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশসম্মত আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠা করা প্রতিটি পৌরসভার আইনগত দায়িত্ব। এই অবস্থায় মহাসড়কের পাশে উন্মুক্তভাবে বর্জ্য ফেলা থেকে বিরত থাকতে, বর্জ্য ফেলা হয়ে থাকলে জরুরি ভিত্তিতে সরাতে এবং পরিবেশসম্মতভাবে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় সরকার বিভাগের যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ নূরে আলম সিদ্দিকী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট পৌরসভাকে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে চিঠি দিয়েছি। আশা করছি, মেয়রগণ এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেবেন।’
এ বিষয়ে কথা বলতে নারায়ণগঞ্জের তারাব পৌরসভার মেয়র হাছিনা গাজীকে ফোন করা হলে তিনি ধরেননি। পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা মহাসড়কে বর্জ্য ফেলি না। আগে ফেলা হতো। বর্তমানে নিজস্ব জমি কিনে সেখানে পৌর বর্জ্য ফেলছি। স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে চিঠি দেওয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই।’
মানিকগঞ্জের ধামরাই, নবীনগর ও কাশিনাথপুরে সড়কের পাশে বর্জ্য ফেলে সংশ্লিষ্ট পৌরসভা। এভাবে বর্জ্য ফেলা বন্ধ করতে এবং আগের বর্জ্য দ্রুততম সময়ে সরাতে স্থানীয় সরকার বিভাগের দেওয়া চিঠির বিষয়ে জানতে চাইলে গত রোববার দুপুরে মানিকগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মো. রমজান আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, এ ধরনের কোনো চিঠি তিনি পাননি। চিঠি পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ধামরাই পৌরসভার মেয়র গোলাম কবির মোল্লা বলেন, ‘রাস্তার পাশে যে বর্জ্য ফেলা হয়েছিল, সেগুলো নিচু করে বালু দিয়ে ঢেকে দেওয়া হচ্ছে। বর্জ্য ফেলার জন্য আমরা দুটি জায়গা চেয়ে ডিসি অফিসে আবেদন করেছি। বর্জ্য ডাম্পিং স্টেশন করার জন্য বাইরের দেশের একটি সংস্থার সাথে কথা হচ্ছে। জায়গা বরাদ্দ পেলেই সেখানে কাজ শুরু করে দেব।’
জানা যায়, টাঙ্গাইল পৌরসভার বর্জ্য ফেলার জন্য নির্ধারিত স্থান নেই। পৌর কর্তৃপক্ষ সব কটি সড়কের প্রবেশমুখে এভাবে বর্জ্য ফেলছে। এ বিষয়ে টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র এস এম সিরাজুল হক আলমগীর বলেন, ১৫০ বছরের পুরোনো এই পৌরসভায় এখনো বর্জ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে ওঠেনি। আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে। ডাম্পিং স্টেশন করার জন্য প্রয়োজনীয় জায়গা পৌরসভার নেই। জেলা প্রশাসকের কাছে তিন একর জায়গা চাওয়া হবে। জায়গা পেলে পৌরসভার বর্জ্য সম্পদে পরিণত করা হবে।
পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের (পবা) চেয়ারম্যান আবু নাছের খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রথমত আমরা জাতিগতভাবে ময়লা ফেলার ব্যাপারে উদার। যেকোনো স্থানে ময়লা ফেলতে একটুও চিন্তা করি না। আগে শহরের বাইরে ময়লা ফেললে তা পচে যেত। এখন তা পচনশীল বর্জ্য নয়। পৌরসভাগুলো বর্জ্য ব্যবস্থাপনা না করে এক জায়গা থেকে সংগ্রহ করে অন্য জায়গায় ফেলে দিচ্ছে। উন্মুক্ত স্থান বা মহাসড়কের পাশে যেন ময়লা ফেলতে না পারে, সে বিষয়ে পৌরসভাকে বাধ্য করতে হবে।’
[প্রতিবেদনে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেছেন আমাদের নারায়ণগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, ধামরাই ও টাঙ্গাইল প্রতিনিধি।]
বেশির ভাগ পৌরসভা তাদের আওতাধীন এলাকা থেকে বর্জ্য সংগ্রহ করে নির্ধারিত ডাম্পিং স্টেশনে না রেখে অন্য জায়গায় ফেলে। সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর এমন ১৪টি পৌরসভা চিহ্নিত করেছে, যারা বিভিন্ন মহাসড়কের ৬২টি স্থানে বর্জ্য ফেলছে। এতে জনস্বাস্থ্য মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। দ্রুত বর্জ্য ফেলা বন্ধ করতে এবং ফেলে রাখা বর্জ্য সরিয়ে নিতে স্থানীয় সরকার বিভাগকে চিঠি দিয়েছে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর। এর পরিপ্রেক্ষিতে ৪ এপ্রিল স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব ১৪ পৌরসভার মেয়রকে এ বিষয়ে জরুরি ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দিয়েছেন।
চিহ্নিত ১৪টি পৌরসভা হলো তারাব, পাবনা, ঈশ্বরদী, সাভার, ধামরাই, মানিকগঞ্জ, রাজৈর, মাদারীপুর, কালকিনি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, বাঞ্ছারামপুর, শাহজাদপুর, উল্লাপাড়া ও কুলাউড়া।
স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব (পৌর-১) মো. আব্দুর রহমানের সই করা চিঠিতে বলা হয়েছে, সওজ অধিদপ্তরের আওতাধীন মহাসড়কের ওপরে ও পাশে পৌরসভা বর্জ্য ফেলছে। উন্মুক্তভাবে এসব বর্জ্য ফেলা জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন, ২০০৯ অনুযায়ী পৌরসভার অধিক্ষেত্রে জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশসম্মত আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠা করা প্রতিটি পৌরসভার আইনগত দায়িত্ব। এই অবস্থায় মহাসড়কের পাশে উন্মুক্তভাবে বর্জ্য ফেলা থেকে বিরত থাকতে, বর্জ্য ফেলা হয়ে থাকলে জরুরি ভিত্তিতে সরাতে এবং পরিবেশসম্মতভাবে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় সরকার বিভাগের যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ নূরে আলম সিদ্দিকী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট পৌরসভাকে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে চিঠি দিয়েছি। আশা করছি, মেয়রগণ এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেবেন।’
এ বিষয়ে কথা বলতে নারায়ণগঞ্জের তারাব পৌরসভার মেয়র হাছিনা গাজীকে ফোন করা হলে তিনি ধরেননি। পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা মহাসড়কে বর্জ্য ফেলি না। আগে ফেলা হতো। বর্তমানে নিজস্ব জমি কিনে সেখানে পৌর বর্জ্য ফেলছি। স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে চিঠি দেওয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই।’
মানিকগঞ্জের ধামরাই, নবীনগর ও কাশিনাথপুরে সড়কের পাশে বর্জ্য ফেলে সংশ্লিষ্ট পৌরসভা। এভাবে বর্জ্য ফেলা বন্ধ করতে এবং আগের বর্জ্য দ্রুততম সময়ে সরাতে স্থানীয় সরকার বিভাগের দেওয়া চিঠির বিষয়ে জানতে চাইলে গত রোববার দুপুরে মানিকগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মো. রমজান আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, এ ধরনের কোনো চিঠি তিনি পাননি। চিঠি পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ধামরাই পৌরসভার মেয়র গোলাম কবির মোল্লা বলেন, ‘রাস্তার পাশে যে বর্জ্য ফেলা হয়েছিল, সেগুলো নিচু করে বালু দিয়ে ঢেকে দেওয়া হচ্ছে। বর্জ্য ফেলার জন্য আমরা দুটি জায়গা চেয়ে ডিসি অফিসে আবেদন করেছি। বর্জ্য ডাম্পিং স্টেশন করার জন্য বাইরের দেশের একটি সংস্থার সাথে কথা হচ্ছে। জায়গা বরাদ্দ পেলেই সেখানে কাজ শুরু করে দেব।’
জানা যায়, টাঙ্গাইল পৌরসভার বর্জ্য ফেলার জন্য নির্ধারিত স্থান নেই। পৌর কর্তৃপক্ষ সব কটি সড়কের প্রবেশমুখে এভাবে বর্জ্য ফেলছে। এ বিষয়ে টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র এস এম সিরাজুল হক আলমগীর বলেন, ১৫০ বছরের পুরোনো এই পৌরসভায় এখনো বর্জ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে ওঠেনি। আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে। ডাম্পিং স্টেশন করার জন্য প্রয়োজনীয় জায়গা পৌরসভার নেই। জেলা প্রশাসকের কাছে তিন একর জায়গা চাওয়া হবে। জায়গা পেলে পৌরসভার বর্জ্য সম্পদে পরিণত করা হবে।
পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের (পবা) চেয়ারম্যান আবু নাছের খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রথমত আমরা জাতিগতভাবে ময়লা ফেলার ব্যাপারে উদার। যেকোনো স্থানে ময়লা ফেলতে একটুও চিন্তা করি না। আগে শহরের বাইরে ময়লা ফেললে তা পচে যেত। এখন তা পচনশীল বর্জ্য নয়। পৌরসভাগুলো বর্জ্য ব্যবস্থাপনা না করে এক জায়গা থেকে সংগ্রহ করে অন্য জায়গায় ফেলে দিচ্ছে। উন্মুক্ত স্থান বা মহাসড়কের পাশে যেন ময়লা ফেলতে না পারে, সে বিষয়ে পৌরসভাকে বাধ্য করতে হবে।’
[প্রতিবেদনে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেছেন আমাদের নারায়ণগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, ধামরাই ও টাঙ্গাইল প্রতিনিধি।]
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে