শিপুল ইসলাম, তারাগঞ্জ ও আব্দুর রহিম পায়েল, গঙ্গাচড়া
রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার তিস্তা চরে কর্মব্যস্ত সময় কাটছে নারী শ্রমিকদের। আলু, মিষ্টি কুমড়া, সরিষা, তামাকসহ বিভিন্ন উঠতি ফসল ঘরে তুলছেন কৃষকেরা। আর এসব খেতে কাজ করা এক-তৃতীয়াংশ শ্রমিকই নারী। মাঠে কাজ করার ক্ষেত্রে কদর থাকলেও তাঁরা ন্যায্য মজুরি পাচ্ছেন না।
পূর্ব মহিপুর চরে গিয়ে দেখা যায়, কৃষক একাব্বার আলী আলু খেতে একাই লাঙলের ফালি দিয়ে কান্দি (সারি) চাষ করে দিচ্ছেন। সেসব কান্দি থেকে আলু সংগ্রহ করছেন একদল নারী। একাব্বার আলী একা কেন? জানতে চাইলে বলেন, ‘ভাই পুরুষ মাইনষের দাম খুব। আলু তোলা কামোত পুরুষ মানুষোক দিয়া পোষায় না। একটা পুরুষের টাকা দিয়া দুইটা মহিলা কৃষাণ পাওয়া যায়। ওই জন্যে মুই একলায় কান্দি চাষ করে দেওচু। ওমরা (নারী) তাক তোলোছে। উৎপাদন খরচ কমার নাগবে তো, নাইলে লস হইবে। এমনি বাজারোত আলুর দাম কম।’
একাব্বারের আলুখেতের পাশে বোরো খেত পরিচর্যা করছিলেন আরেক দল নারী। ওই নারী দলের শ্রমিক কাজলী বেগম। তাঁর বাড়ি মহিপুর গ্রামে। তিনি বলেন, ‘বাবা, চিরদিনই নারীরা অবহেলায় থাকিল। হামার ঘরোত থাকির কথা কিন্তু সংসারোত অভাব ওই জন্যে মাঠোত কাজ করির আলছি। কিন্তু এটে আসিও হামরা সঠিক দাম পাই না। পুরুষের থাকি বেশি কাম করিয়াও অর্ধেক টাকা পাই। পুরুষ কৃষাণোক একবেলা ভাতও খিলায়। হামরা তাকও পাই না।’
উপজেলার সাতটি চরের অন্তত ২০ জন কৃষকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শুধু পূর্ব মহিপুর চরেই নয় উপজেলার চর ছালাপাক মহিষাশুর, কালির চর, রমাকান্ত, মটুকপুর, উত্তর চিলাখাল, মধ্য চিলাখাল, বিনবিনা, খলাইর চর, শখের বাজার, আবুলিয়া, সাউদপাড়া, আলেকিশামত, পাইকান হাজীপাড়া, ব্যাঙপাড়া, চর নোহালী, বাগডহরা, আলালের চর, নীলারপাড়, তালপট্টির চর, হাজীরপাড়া নরসিংহ, ছালাপাক, কালির চর, চব্বিশ সাল, চর মহিপুর, মধ্য ইচলী, পশ্চিম ইচলী, বিনবিন চরে ফসল রোপণ ও উৎপাদনের একমাত্র ভরসা নারী শ্রমিকেরাই।
চব্বিশ সাল চরে কথা হয় নারী শ্রমিক নার্গিস বেগমের সঙ্গে। দুই ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে তাঁর আয়ে সংসার চলে। নার্গিস বেগম বলেন, ‘এই যে চরখান দ্যাখোছেন। আইজ খেতোতে সবুজ হইছে। তাক হামারগুলোর জন্যে। হামরা না হইলে এই চরোত ফসল নাগা কাম কায় করিল হয়। কষ্ট করি কৃষাণী করি। কিন্তু তাঁর উপযুক্ত মজুরি পাই না।’
নার্গিসের পাশে থাকা আলেজা খাতুন নামের আরেক নারী শ্রমিক বলেন, ‘তোমরায় কন ২০০ টাকাত কি অ্যালা সংসার চলে। হাট-বাজারোত সউগ জিনিসের দাম চড়া। সকাল আটটায় আসি বিকেল পাঁচটায় যাই। সারা দিনটায় মাঠোত কাজ করতে যায়। একজন পুরুষ কাজ করলে দেওছে ৪০০ টাকা। আর হামাক দেয় ২০০ টাকা। নারী দেখিয়া হামার দাম কম। কামতো কম করি না।’
ওই চরে কথা হয় চর চব্বিশ সাল গ্রামের কৃষক আবু হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘ভাই নারী শ্রমিক না হলে চরে আবাদ করা খুব কষ্টকর হতো। নারী শ্রমিকেরাই একমাত্র ভরসা। শুধু আমাদের চরেই নয়, সব চরের নারী শ্রমিককে ২০০ টাকা করে মজুরি দেওয়া হয়। তাই আমিও দেই। তাঁদের কাজ অনুযায়ী মজুরি সত্যি কম। এখন আবাদেও খরচ বেড়েছে। ফসল বিক্রির পর তেমন লাভ থাকে না। আমরাও নিরুপায়।’
উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মৌসুমি আক্তার বলেন, ‘সরকারি কাজ যেমন টিআর, কাবিখা, কর্মসৃজন প্রকল্পের কাজে নারী-পুরুষ সবাইকে সমান মজুরি দেওয়া হয়। সরকার চেষ্টা করছে বেসরকারি কাজগুলোতেও নারী-পুরুষের যে মজুরি বৈষম্য আছে তা দূর করতে।’
রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার তিস্তা চরে কর্মব্যস্ত সময় কাটছে নারী শ্রমিকদের। আলু, মিষ্টি কুমড়া, সরিষা, তামাকসহ বিভিন্ন উঠতি ফসল ঘরে তুলছেন কৃষকেরা। আর এসব খেতে কাজ করা এক-তৃতীয়াংশ শ্রমিকই নারী। মাঠে কাজ করার ক্ষেত্রে কদর থাকলেও তাঁরা ন্যায্য মজুরি পাচ্ছেন না।
পূর্ব মহিপুর চরে গিয়ে দেখা যায়, কৃষক একাব্বার আলী আলু খেতে একাই লাঙলের ফালি দিয়ে কান্দি (সারি) চাষ করে দিচ্ছেন। সেসব কান্দি থেকে আলু সংগ্রহ করছেন একদল নারী। একাব্বার আলী একা কেন? জানতে চাইলে বলেন, ‘ভাই পুরুষ মাইনষের দাম খুব। আলু তোলা কামোত পুরুষ মানুষোক দিয়া পোষায় না। একটা পুরুষের টাকা দিয়া দুইটা মহিলা কৃষাণ পাওয়া যায়। ওই জন্যে মুই একলায় কান্দি চাষ করে দেওচু। ওমরা (নারী) তাক তোলোছে। উৎপাদন খরচ কমার নাগবে তো, নাইলে লস হইবে। এমনি বাজারোত আলুর দাম কম।’
একাব্বারের আলুখেতের পাশে বোরো খেত পরিচর্যা করছিলেন আরেক দল নারী। ওই নারী দলের শ্রমিক কাজলী বেগম। তাঁর বাড়ি মহিপুর গ্রামে। তিনি বলেন, ‘বাবা, চিরদিনই নারীরা অবহেলায় থাকিল। হামার ঘরোত থাকির কথা কিন্তু সংসারোত অভাব ওই জন্যে মাঠোত কাজ করির আলছি। কিন্তু এটে আসিও হামরা সঠিক দাম পাই না। পুরুষের থাকি বেশি কাম করিয়াও অর্ধেক টাকা পাই। পুরুষ কৃষাণোক একবেলা ভাতও খিলায়। হামরা তাকও পাই না।’
উপজেলার সাতটি চরের অন্তত ২০ জন কৃষকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শুধু পূর্ব মহিপুর চরেই নয় উপজেলার চর ছালাপাক মহিষাশুর, কালির চর, রমাকান্ত, মটুকপুর, উত্তর চিলাখাল, মধ্য চিলাখাল, বিনবিনা, খলাইর চর, শখের বাজার, আবুলিয়া, সাউদপাড়া, আলেকিশামত, পাইকান হাজীপাড়া, ব্যাঙপাড়া, চর নোহালী, বাগডহরা, আলালের চর, নীলারপাড়, তালপট্টির চর, হাজীরপাড়া নরসিংহ, ছালাপাক, কালির চর, চব্বিশ সাল, চর মহিপুর, মধ্য ইচলী, পশ্চিম ইচলী, বিনবিন চরে ফসল রোপণ ও উৎপাদনের একমাত্র ভরসা নারী শ্রমিকেরাই।
চব্বিশ সাল চরে কথা হয় নারী শ্রমিক নার্গিস বেগমের সঙ্গে। দুই ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে তাঁর আয়ে সংসার চলে। নার্গিস বেগম বলেন, ‘এই যে চরখান দ্যাখোছেন। আইজ খেতোতে সবুজ হইছে। তাক হামারগুলোর জন্যে। হামরা না হইলে এই চরোত ফসল নাগা কাম কায় করিল হয়। কষ্ট করি কৃষাণী করি। কিন্তু তাঁর উপযুক্ত মজুরি পাই না।’
নার্গিসের পাশে থাকা আলেজা খাতুন নামের আরেক নারী শ্রমিক বলেন, ‘তোমরায় কন ২০০ টাকাত কি অ্যালা সংসার চলে। হাট-বাজারোত সউগ জিনিসের দাম চড়া। সকাল আটটায় আসি বিকেল পাঁচটায় যাই। সারা দিনটায় মাঠোত কাজ করতে যায়। একজন পুরুষ কাজ করলে দেওছে ৪০০ টাকা। আর হামাক দেয় ২০০ টাকা। নারী দেখিয়া হামার দাম কম। কামতো কম করি না।’
ওই চরে কথা হয় চর চব্বিশ সাল গ্রামের কৃষক আবু হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘ভাই নারী শ্রমিক না হলে চরে আবাদ করা খুব কষ্টকর হতো। নারী শ্রমিকেরাই একমাত্র ভরসা। শুধু আমাদের চরেই নয়, সব চরের নারী শ্রমিককে ২০০ টাকা করে মজুরি দেওয়া হয়। তাই আমিও দেই। তাঁদের কাজ অনুযায়ী মজুরি সত্যি কম। এখন আবাদেও খরচ বেড়েছে। ফসল বিক্রির পর তেমন লাভ থাকে না। আমরাও নিরুপায়।’
উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মৌসুমি আক্তার বলেন, ‘সরকারি কাজ যেমন টিআর, কাবিখা, কর্মসৃজন প্রকল্পের কাজে নারী-পুরুষ সবাইকে সমান মজুরি দেওয়া হয়। সরকার চেষ্টা করছে বেসরকারি কাজগুলোতেও নারী-পুরুষের যে মজুরি বৈষম্য আছে তা দূর করতে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে