শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি
গাজীপুরের শ্রীপুরে প্রায় সবখানে পণ্য কেনাবেচায় ব্যবহৃত হচ্ছে নিষিদ্ধঘোষিত পলিথিন। প্রশাসনের নজরদারির অভাবে দিন দিন বাড়ছে এর ব্যবহার। এ জন্য বিভিন্ন হাটবাজারে পলিথিনের শতাধিক পাইকারি দোকান রয়েছে।
এদিকে সরকারের পক্ষ থেকে পাটজাত পণ্যের ব্যবহার বাড়ানোর তাগিদ থাকলেও তা বাস্তবায়নে দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ নেই। তবে প্রশাসন বলছে, পলিথিনের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে অর্থদণ্ডসহ ব্যবসায়ীকে সাজার আওতায় আনা হয়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, শ্রীপুর পৌর শহরের মাওনা কাঁচামালের ৪টি আড়তে পলিথিনের অন্তত ১৬টি পাইকারি দোকান রয়েছে। এসব দোকানে সারি সারি সাজিয়ে রাখা হয়েছে রংবেরঙের বিপুল পরিমাণ পলিথিন। স্থানীয় কাঁচামালের আড়তে চাল, ডাল, আলু, পেঁয়াজ থেকে শুরু করে প্রায় সব ধরনের পণ্য বিক্রিতে পলিথিনের মোড়ক ব্যবহার করছেন দোকানিরা। পাইকারি দোকানগুলোতে ২০ থেকে ৫০ কেজি পর্যন্ত পণ্য বহনে পলিথিন ব্যবহার করা হচ্ছে।
এ ছাড়া উপজেলার বরমীবাজারে পলিথিনের প্রায় অর্ধশত পাইকারি দোকান রয়েছে। এর বাইরে উপজেলার হাটবাজারেও পলিথিনের অনেক পাইকারি দোকান আছে। এসব দোকান থেকে বিভিন্ন এলাকার খুচরা দোকানিরা শত শত কেজি পলিথিন কিনে নিয়ে যান।
মাওনা আড়তের পলিথিন ব্যবসায়ী সোহরাব হোসেন বলেন, ‘নিষিদ্ধ পলিথিন তো আর আমরা তৈরি করি না। ঢাকা থেকে পাইকারি এনে বিক্রি করি। তার ওপর প্রশাসনের চাপ রয়েছে। আড়তের ভেতরের পাইকারি দোকান থেকে দিনে ২ হাজার থেকে ৩ হাজার কেজি পলিথিন বিক্রি হয়।’
বরমীবাজারের ভাই ভাই স্টোরের মালিক সুবল বর্মণ বলেন, ‘পলিথিন সব দোকানেই বিক্রি হয়। এটা ছাড়া বাজার থেকে কোনো পণ্য নেওয়া সম্ভব না। কারখানা বন্ধ হলে তো আমরা আর বিক্রি করতাম না।’
শ্রীপুর পৌরসভার গড়গড়িয়া মাস্টারবাড়ি এলাকার কৃষক লিয়াকত আলী বলেন, ‘খালবিল হয়ে পলিথিন ফসলি জমিতে মিশে উর্বরতা শক্তি নষ্ট করছে। আমাদের এলাকার শত শত বিঘা জমি এখন পলিথিনে ভরপুর। আমার জমিতে ফসল উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে দুই বছর আগে।’
পরিবেশ ও নদী নিয়ে কাজ করা সংগঠন ‘নদী পরিব্রাজক দল’ শ্রীপুর শাখার সভাপতি সাঈদ চৌধুরী বলেন, ‘ক্ষতিকারক পলিথিনের কারণে উপজেলার ফসল উৎপাদন এখন হুমকির মুখে। পাটজাত পণ্যের ব্যবহার বৃদ্ধি করে পলিথিন বন্ধে এখনো সময় আছে। এটা না করতে পারলে, শ্রীপুরের কৃষি উৎপাদন পুরোপুরি ব্যাহত হবে বলে আমরা আশঙ্কা করছি।’
বরমীবাজার বণিক সমিতির সভাপতি আবুল হাসেম বলেন, ‘যেসব দোকানি নিষিদ্ধ পলিথিন বিক্রি করেন, তাঁদের সতর্ক করা হবে। সরকারের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে কাজ করবে বণিক সমিতি।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, নিষিদ্ধ পলিথিনের বিরুদ্ধে দ্রুত অভিযান চালানো হবে। যেসব হাটবাজারে পলিথিনের ব্যাপক ব্যবহার আছে, সেখানে পর্যায়ক্রমে জনসচেতনতামূলক সেমিনার আয়োজন করা হবে।
গাজীপুরের শ্রীপুরে প্রায় সবখানে পণ্য কেনাবেচায় ব্যবহৃত হচ্ছে নিষিদ্ধঘোষিত পলিথিন। প্রশাসনের নজরদারির অভাবে দিন দিন বাড়ছে এর ব্যবহার। এ জন্য বিভিন্ন হাটবাজারে পলিথিনের শতাধিক পাইকারি দোকান রয়েছে।
এদিকে সরকারের পক্ষ থেকে পাটজাত পণ্যের ব্যবহার বাড়ানোর তাগিদ থাকলেও তা বাস্তবায়নে দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ নেই। তবে প্রশাসন বলছে, পলিথিনের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে অর্থদণ্ডসহ ব্যবসায়ীকে সাজার আওতায় আনা হয়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, শ্রীপুর পৌর শহরের মাওনা কাঁচামালের ৪টি আড়তে পলিথিনের অন্তত ১৬টি পাইকারি দোকান রয়েছে। এসব দোকানে সারি সারি সাজিয়ে রাখা হয়েছে রংবেরঙের বিপুল পরিমাণ পলিথিন। স্থানীয় কাঁচামালের আড়তে চাল, ডাল, আলু, পেঁয়াজ থেকে শুরু করে প্রায় সব ধরনের পণ্য বিক্রিতে পলিথিনের মোড়ক ব্যবহার করছেন দোকানিরা। পাইকারি দোকানগুলোতে ২০ থেকে ৫০ কেজি পর্যন্ত পণ্য বহনে পলিথিন ব্যবহার করা হচ্ছে।
এ ছাড়া উপজেলার বরমীবাজারে পলিথিনের প্রায় অর্ধশত পাইকারি দোকান রয়েছে। এর বাইরে উপজেলার হাটবাজারেও পলিথিনের অনেক পাইকারি দোকান আছে। এসব দোকান থেকে বিভিন্ন এলাকার খুচরা দোকানিরা শত শত কেজি পলিথিন কিনে নিয়ে যান।
মাওনা আড়তের পলিথিন ব্যবসায়ী সোহরাব হোসেন বলেন, ‘নিষিদ্ধ পলিথিন তো আর আমরা তৈরি করি না। ঢাকা থেকে পাইকারি এনে বিক্রি করি। তার ওপর প্রশাসনের চাপ রয়েছে। আড়তের ভেতরের পাইকারি দোকান থেকে দিনে ২ হাজার থেকে ৩ হাজার কেজি পলিথিন বিক্রি হয়।’
বরমীবাজারের ভাই ভাই স্টোরের মালিক সুবল বর্মণ বলেন, ‘পলিথিন সব দোকানেই বিক্রি হয়। এটা ছাড়া বাজার থেকে কোনো পণ্য নেওয়া সম্ভব না। কারখানা বন্ধ হলে তো আমরা আর বিক্রি করতাম না।’
শ্রীপুর পৌরসভার গড়গড়িয়া মাস্টারবাড়ি এলাকার কৃষক লিয়াকত আলী বলেন, ‘খালবিল হয়ে পলিথিন ফসলি জমিতে মিশে উর্বরতা শক্তি নষ্ট করছে। আমাদের এলাকার শত শত বিঘা জমি এখন পলিথিনে ভরপুর। আমার জমিতে ফসল উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে দুই বছর আগে।’
পরিবেশ ও নদী নিয়ে কাজ করা সংগঠন ‘নদী পরিব্রাজক দল’ শ্রীপুর শাখার সভাপতি সাঈদ চৌধুরী বলেন, ‘ক্ষতিকারক পলিথিনের কারণে উপজেলার ফসল উৎপাদন এখন হুমকির মুখে। পাটজাত পণ্যের ব্যবহার বৃদ্ধি করে পলিথিন বন্ধে এখনো সময় আছে। এটা না করতে পারলে, শ্রীপুরের কৃষি উৎপাদন পুরোপুরি ব্যাহত হবে বলে আমরা আশঙ্কা করছি।’
বরমীবাজার বণিক সমিতির সভাপতি আবুল হাসেম বলেন, ‘যেসব দোকানি নিষিদ্ধ পলিথিন বিক্রি করেন, তাঁদের সতর্ক করা হবে। সরকারের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে কাজ করবে বণিক সমিতি।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, নিষিদ্ধ পলিথিনের বিরুদ্ধে দ্রুত অভিযান চালানো হবে। যেসব হাটবাজারে পলিথিনের ব্যাপক ব্যবহার আছে, সেখানে পর্যায়ক্রমে জনসচেতনতামূলক সেমিনার আয়োজন করা হবে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে