লক্ষ্মীপুরে বিকাশের ভুয়া মেসেজ পাঠিয়ে প্রতারণা করছে একটি চক্র। মোটা অঙ্কের টাকার প্রলোভন দিয়ে মোবাইলে মেসেজ পাঠিয়ে এসব প্রতারণা করা হচ্ছে।

সদরসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও অভিভাবকদের বিকাশে টাকা চলে যাওয়ার ভুয়া মেসেজ পাঠানো হয়। পরে ফোন করে টাকা ফেরত চাওয়া হয়। অনেকেই না বুঝে বিকাশ থেকে টাকা ফেরত পাঠান।

এ ধরনের প্রতারণার শিকার হয়েছেন লক্ষ্মীপুর বালিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী ফাতিন হাসনাতের মা আমেনা বেগম, চররুহিতা চরমন্ডল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী জান্নাতুল মাওয়ার বাবা মো. ইউসুফ হোসেনসহ শতাধিক শিক্ষার্থীর অভিভাবক। এসব শিক্ষার্থীর মোবাইলে বিকাশ অথবা নগদের মাধ্যমে উপবৃত্তির টাকা পাঠায় সরকার। আর এ উপবৃত্তির টাকা প্রতারণা করে হাতিয়ে নিয়ে যাচ্ছে একটি চক্র।

গত এক সপ্তাহ ধরে সদর উপজেলার পশ্চিম নন্দনপুর, টুমচর, দক্ষিণ টুমচর, কালীচর, দক্ষিণ বিজয়নগর ও পশ্চিম লক্ষ্মীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুব্রত বাবু, শাহে আলম শাহীন, ওসমান গনি, হেলাল উদ্দিন, লক্ষ্মণ চন্দ্র, মো. জসিম উদ্দিনসহ বেশ কয়েকজন প্রধান শিক্ষককে মোবাইলে বিকাশের ভুয়া মেসেজ পাঠানো হয়। পরে ১৫ হাজার টাকা করে দাবি করে তারা। অনেকেই বিষয়টা বুঝতে না পেরে প্রতারণা শিকার হন।

পশ্চিম লক্ষ্মীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ‘মোবাইলে বিকাশের মাধ্যমে টাকার একটি মেসেজ আসে। কিছুক্ষণ পর এ মোবাইল ০১৮৯০৯৮০৪৩৫ নম্বর থেকে ফোন আসে। ফোনে জানায়, ভুলে ১৫ হাজার টাকা চলে গেছে। মোবাইল অপশনে গিয়ে একটি নম্বর ক্লিক করতে বললেই আমার সন্দেহ হয়। পরে বিষয়টি থানায় জানানো হয়েছে।’

শিক্ষক সমিতির একাংশের সাধারণ সম্পাদক জাকের উদ্দিন ও সভাপতি মোহাম্মদ আলী হাওলাদার জানান, একটি প্রতারক চক্র প্রধান শিক্ষকদের মোবাইলে ভুলে টাকা চলে গেছে বলে ফোন দিয়ে টাকা চাচ্ছে। প্রতারক চক্রকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তাঁরা।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ইতিমধ্যে অনেকেই প্রতারণার শিকার হয়েছেন। বিষয়টি তদন্ত করে প্রতারকদের ধরতে পুলিশ তৎপর রয়েছে। কেউ ভুয়া মেসেজ পাঠিয়ে টাকা চাইলে পুলিশকে জানানোর অনুরোধ করেন তিনি। পাশাপাশি সবাইকে আরও সচেতন হতে হবে।