সিলেট প্রতিনিধি
চতুর্থ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনেও সিলেটে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থীদের ভরাডুবি হয়েছে। গোলাপগঞ্জ ও বিয়ানীবাজার উপজেলার ২০ ইউপির মধ্যে মাত্র সাতটিতে জয়ী হয়েছেন নৌকার প্রার্থী। বাকি ১৩টিতেই হেরেছেন তাঁরা।
এর মধ্যে চারটিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহীদের কাছে ধরাশায়ী হতে হয়েছে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীরা। বাকিগুলোতেও বিদ্রোহীদের কারণেই মূলত অন্য বিজয়ীরা সুবিধা পেয়েছেন বলে তৃলমূল নেতা-কর্মীদের দাবি।
নির্বাচনী ফলাফলে দেখা গেছে, বিয়ানীবাজার ও গোলাপগঞ্জ উপজেলার ১০ ইউপির মধ্যে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন সাতটিতে। বাকি ১৩ ইউপির মধ্যে স্বতন্ত্রের ব্যানারে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী চারটিতে, বিএনপি তিনটিতে, চারটিতে জামায়াতের প্রার্থী, জাতীয় পার্টির একজন ও এক প্রবাসী স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন।
নির্বাচন বিশ্লেষকদের মতে, নির্বাচনে বিএনপি আনুষ্ঠানিকভাবে অংশগ্রহণ না করায় আওয়ামী লীগের সামনে সবগুলোতে জয়ের বড় সুযোগ ছিল। কিন্তু প্রায় প্রতিটি ইউপিতে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পাওয়ারা বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় বেকায়দায় পড়ে যান নৌকার প্রার্থীরা। এ ছাড়া স্বতন্ত্রের মোড়কে বিএনপি, জামায়াত ও জাপার প্রার্থীদের দাপটে নৌকার প্রার্থীদের ভরাডুবি হয়েছে।
স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা বলেন, দল থেকে প্রার্থী ঠিক করে দেওয়া হলেও স্থানীয় অনেক নেতাই তা মেনে নেননি। তাঁরা প্রকাশ্যে বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেছেন। এতে দলীয় প্রার্থীরা কোণঠাসা হয়েছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের এক নেতা বলেন, এর আগের তিন ধাপেও একই অবস্থা হয়েছে। বিদ্রোহীদের কারণেই মূলত হেরেছেন দলীয় মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থীরা। এ ধাপে জেলার চারটি ইউপিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। তাঁরা কিন্তু আওয়ামী লীগের ভোট ভাগাভাগি করেছেন। বিদ্রোহী প্রার্থী না হলে এসব ভোট দলের প্রার্থীর পক্ষেই যেত। যে সব ইউপিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা পরাজিত হয়েছেন তার সব কটিতেই হয় দলের বিদ্রোহী প্রার্থীরা জিতেছেন, নয়তো বিদ্রোহীরা ভোট টানায় জিততে পারেননি নৌকার প্রার্থী।
গোলাপগঞ্জ উপজেলার বাঘা ইউপিতে নৌকার প্রার্থী আবদুস সামাদ, গোলাপগঞ্জ সদরে নৌকার প্রার্থী তজম্মুল আলী, ফুলবাড়ীতে নৌকার প্রার্থী আবদুল হানিফ খান, লক্ষ্মীপাশায় আনারস প্রতীকে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী (স্বতন্ত্র) মাহতাব উদ্দিন জেবুল, ঢাকাদক্ষিণে ঘোড়া প্রতীকে জামায়াত নেতা (স্বতন্ত্র) এম আবদুর রহিম, লক্ষ্মণাবন্দে জাতীয় পার্টির খলকুর রহমান, ভাদেশ্বরে ঘোড়া প্রতীকে বিএনপি নেতা (স্বতন্ত্র প্রার্থী) শামীম আহমদ, আমুড়ায় আওয়ামী লীগের সৈয়দ হাছিন আহমদ মিন্টু, উত্তর বাদেপাশায় আনারস প্রতীকে জামায়াত নেতা (স্বতন্ত্র) জাহিদ আহমদ ও শরীফগঞ্জ ইউপিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী এম কবীর উদ্দিন জয়লাভ করেছেন।
বিয়ানীবাজার উপজেলার আলীনগর ইউপিতে নৌকার প্রার্থী আহবাবুর রহমান খান শিশু, চারখাই ইউপিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হোসেন মুরাদ চৌধুরী, শেওলায় নৌকার প্রার্থী জহুর উদ্দিন, দুবাগে জালাল উদ্দিন, কুড়ারবাজারে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী তুতিউর রহমান তুতা, মাথিউরায় নৌকার প্রার্থী আমান উদ্দিন, তিলপাড়া ইউপিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি নেতা মাহবুবুর রহমান, মুড়িয়ায় জামায়াতের ফরিদ আল মামুন, মুল্লাপুরে বিএনপির আব্দুল মন্নান, লাউতায় স্বতন্ত্র প্রার্থী দেলওয়ার হোসেন বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন।
সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, বিদ্রোহীরা প্রার্থী হওয়ায় ফলাফলে প্রভাব পড়েছে। তবে এসব বিদ্রোহীকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। ভবিষ্যতে কেউ দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চতুর্থ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনেও সিলেটে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থীদের ভরাডুবি হয়েছে। গোলাপগঞ্জ ও বিয়ানীবাজার উপজেলার ২০ ইউপির মধ্যে মাত্র সাতটিতে জয়ী হয়েছেন নৌকার প্রার্থী। বাকি ১৩টিতেই হেরেছেন তাঁরা।
এর মধ্যে চারটিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহীদের কাছে ধরাশায়ী হতে হয়েছে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীরা। বাকিগুলোতেও বিদ্রোহীদের কারণেই মূলত অন্য বিজয়ীরা সুবিধা পেয়েছেন বলে তৃলমূল নেতা-কর্মীদের দাবি।
নির্বাচনী ফলাফলে দেখা গেছে, বিয়ানীবাজার ও গোলাপগঞ্জ উপজেলার ১০ ইউপির মধ্যে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন সাতটিতে। বাকি ১৩ ইউপির মধ্যে স্বতন্ত্রের ব্যানারে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী চারটিতে, বিএনপি তিনটিতে, চারটিতে জামায়াতের প্রার্থী, জাতীয় পার্টির একজন ও এক প্রবাসী স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন।
নির্বাচন বিশ্লেষকদের মতে, নির্বাচনে বিএনপি আনুষ্ঠানিকভাবে অংশগ্রহণ না করায় আওয়ামী লীগের সামনে সবগুলোতে জয়ের বড় সুযোগ ছিল। কিন্তু প্রায় প্রতিটি ইউপিতে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পাওয়ারা বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় বেকায়দায় পড়ে যান নৌকার প্রার্থীরা। এ ছাড়া স্বতন্ত্রের মোড়কে বিএনপি, জামায়াত ও জাপার প্রার্থীদের দাপটে নৌকার প্রার্থীদের ভরাডুবি হয়েছে।
স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা বলেন, দল থেকে প্রার্থী ঠিক করে দেওয়া হলেও স্থানীয় অনেক নেতাই তা মেনে নেননি। তাঁরা প্রকাশ্যে বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেছেন। এতে দলীয় প্রার্থীরা কোণঠাসা হয়েছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের এক নেতা বলেন, এর আগের তিন ধাপেও একই অবস্থা হয়েছে। বিদ্রোহীদের কারণেই মূলত হেরেছেন দলীয় মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থীরা। এ ধাপে জেলার চারটি ইউপিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। তাঁরা কিন্তু আওয়ামী লীগের ভোট ভাগাভাগি করেছেন। বিদ্রোহী প্রার্থী না হলে এসব ভোট দলের প্রার্থীর পক্ষেই যেত। যে সব ইউপিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা পরাজিত হয়েছেন তার সব কটিতেই হয় দলের বিদ্রোহী প্রার্থীরা জিতেছেন, নয়তো বিদ্রোহীরা ভোট টানায় জিততে পারেননি নৌকার প্রার্থী।
গোলাপগঞ্জ উপজেলার বাঘা ইউপিতে নৌকার প্রার্থী আবদুস সামাদ, গোলাপগঞ্জ সদরে নৌকার প্রার্থী তজম্মুল আলী, ফুলবাড়ীতে নৌকার প্রার্থী আবদুল হানিফ খান, লক্ষ্মীপাশায় আনারস প্রতীকে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী (স্বতন্ত্র) মাহতাব উদ্দিন জেবুল, ঢাকাদক্ষিণে ঘোড়া প্রতীকে জামায়াত নেতা (স্বতন্ত্র) এম আবদুর রহিম, লক্ষ্মণাবন্দে জাতীয় পার্টির খলকুর রহমান, ভাদেশ্বরে ঘোড়া প্রতীকে বিএনপি নেতা (স্বতন্ত্র প্রার্থী) শামীম আহমদ, আমুড়ায় আওয়ামী লীগের সৈয়দ হাছিন আহমদ মিন্টু, উত্তর বাদেপাশায় আনারস প্রতীকে জামায়াত নেতা (স্বতন্ত্র) জাহিদ আহমদ ও শরীফগঞ্জ ইউপিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী এম কবীর উদ্দিন জয়লাভ করেছেন।
বিয়ানীবাজার উপজেলার আলীনগর ইউপিতে নৌকার প্রার্থী আহবাবুর রহমান খান শিশু, চারখাই ইউপিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হোসেন মুরাদ চৌধুরী, শেওলায় নৌকার প্রার্থী জহুর উদ্দিন, দুবাগে জালাল উদ্দিন, কুড়ারবাজারে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী তুতিউর রহমান তুতা, মাথিউরায় নৌকার প্রার্থী আমান উদ্দিন, তিলপাড়া ইউপিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি নেতা মাহবুবুর রহমান, মুড়িয়ায় জামায়াতের ফরিদ আল মামুন, মুল্লাপুরে বিএনপির আব্দুল মন্নান, লাউতায় স্বতন্ত্র প্রার্থী দেলওয়ার হোসেন বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন।
সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, বিদ্রোহীরা প্রার্থী হওয়ায় ফলাফলে প্রভাব পড়েছে। তবে এসব বিদ্রোহীকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। ভবিষ্যতে কেউ দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে