রাজশাহী প্রতিনিধি
হঠাৎ করেই রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের করোনার টিকাকেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি জানতে না পেরে হাসপাতালে টিকা নিতে গিয়ে অসংখ্য মানুষ হয়রানির শিকার হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে এখানে আর টিকা দেওয়া হচ্ছে না।
দেশে করোনার টিকা আসার পর থেকেই এই কেন্দ্রে টিকাদান চলছিল। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এই কেন্দ্রটি ঠিক করে দেয়। তবে মধ্যে দুবার কেন্দ্রটি অন্যত্র স্থানান্তর করা হয়। তারপর আবার এখানে টিকা দেওয়া হচ্ছিল। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, এখানে এখন মেডিকেল শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা শুরু হবে। তাই টিকা দেওয়া যাবে না।
বৃহস্পতিবার এই কেন্দ্র বন্ধ করে দিয়ে রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) শহরের বিভিন্ন স্থানে সাতটি কেন্দ্র চালু করেছে। কেন্দ্রগুলো হলো ৭, ১১, ১৩, ১৫ ও ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্র; ৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কার্যালয় এবং ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের সিটি হাসপাতাল। টিকাপ্রত্যাশীরা আগে থেকে এসব কেন্দ্রের বিষয়ে জানতেন না।
রামেক হাসপাতাল পরিচালকের কার্যালয়সংলগ্ন একটি ভবনের নিচতলায় টিকা দেওয়া হতো। গতকাল সকালে সেখানে গিয়ে দেখা যায়, প্রচুর মানুষ টিকা নিতে এসেছেন। কেউ প্রথম ডোজ, কেউ দ্বিতীয় কিংবা কেউ বুস্টার ডোজ নিতে এসেছেন। তাঁদের টিকা কার্ডে কেন্দ্র হিসেবে রামেক হাসপাতালের নাম লেখা আছে।
তবে দায়িত্বরত আনসার সদস্যরা টিকা নিতে আসা ব্যক্তিদের বলছেন, এখানে আর টিকা দেওয়া হবে না। নতুন টিকা কেন্দ্রগুলোর নামও বলে দেওয়া হচ্ছিল। তাই সহজে কেউ বুঝছিলেন না। পরে আনসার সদস্যরা হ্যান্ড মাইকে বারবার এ ঘোষণা দিতে থাকেন। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মানুষ এই কেন্দ্রে এসে ঘুরে গেছেন।
নগরীর কাজলা থেকে টিকা নিতে গিয়েছিলেন রোজিনা খাতুন (৫০)। তিনি বলেন, ‘এত দূর থেকে হাসপাতালে এসে হয়রানির শিকার হলাম। এখানে এসে শুনছি আমাদের এলাকাতেই নাকি টিকা দেওয়া হবে। আগে জানালে এমন হয়রানি হতে হতো না।’
সিটি করপোরেশনের টিকা প্রদান কার্যক্রম মনিটরিং করছেন ডা. ফরহাদ হোসেন। তিনি বলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁদের জানিয়েছে যে এখানে পরীক্ষা শুরু হবে। আর টিকা কেন্দ্র রাখা যাবে না। তাদের কথামতো আমরা ওয়ার্ড পর্যায়ে সরিয়ে নিয়েছি।’
ফরহাদ হোসেন আরও জানান, হাসপাতালে রোজ ১১টি বুথে চার থেকে পাঁচ হাজার মানুষ টিকা নিতেন। ছাদের নিচে অনেক বড় জায়গায় এসব মানুষ দাঁড়াতে পারতেন। এখন ছোট ছোট জায়গায় কোনোমতে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ১১টি বুথ এখন ৭টি কেন্দ্র হয়েছে। টিকা নিতে মানুষকে এখন রাস্তায় রোদে লাইনে দাঁড়াতে হবে।
সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. এফ এ এম আঞ্জুমান আরা বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘খুবই স্বল্প সময়ের মধ্যে রামেক হাসপাতাল থেকে আমাদের টিকা কেন্দ্র সরিয়ে নিতে হয়েছে। আগে সেখানে একই ছাদের নিচে টিকা দেওয়া হচ্ছিল বলে জনবল কম লাগছিল। এখন অতিরিক্ত জনবল জোগাড় করতে সমস্যা হচ্ছে। তাও মানুষের হয়রানি কমাতে ওয়ার্ড কাউন্সিলররা চাইলে আরও কেন্দ্র বৃদ্ধি করব।’
হঠাৎ করেই রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের করোনার টিকাকেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি জানতে না পেরে হাসপাতালে টিকা নিতে গিয়ে অসংখ্য মানুষ হয়রানির শিকার হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে এখানে আর টিকা দেওয়া হচ্ছে না।
দেশে করোনার টিকা আসার পর থেকেই এই কেন্দ্রে টিকাদান চলছিল। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এই কেন্দ্রটি ঠিক করে দেয়। তবে মধ্যে দুবার কেন্দ্রটি অন্যত্র স্থানান্তর করা হয়। তারপর আবার এখানে টিকা দেওয়া হচ্ছিল। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, এখানে এখন মেডিকেল শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা শুরু হবে। তাই টিকা দেওয়া যাবে না।
বৃহস্পতিবার এই কেন্দ্র বন্ধ করে দিয়ে রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) শহরের বিভিন্ন স্থানে সাতটি কেন্দ্র চালু করেছে। কেন্দ্রগুলো হলো ৭, ১১, ১৩, ১৫ ও ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্র; ৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কার্যালয় এবং ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের সিটি হাসপাতাল। টিকাপ্রত্যাশীরা আগে থেকে এসব কেন্দ্রের বিষয়ে জানতেন না।
রামেক হাসপাতাল পরিচালকের কার্যালয়সংলগ্ন একটি ভবনের নিচতলায় টিকা দেওয়া হতো। গতকাল সকালে সেখানে গিয়ে দেখা যায়, প্রচুর মানুষ টিকা নিতে এসেছেন। কেউ প্রথম ডোজ, কেউ দ্বিতীয় কিংবা কেউ বুস্টার ডোজ নিতে এসেছেন। তাঁদের টিকা কার্ডে কেন্দ্র হিসেবে রামেক হাসপাতালের নাম লেখা আছে।
তবে দায়িত্বরত আনসার সদস্যরা টিকা নিতে আসা ব্যক্তিদের বলছেন, এখানে আর টিকা দেওয়া হবে না। নতুন টিকা কেন্দ্রগুলোর নামও বলে দেওয়া হচ্ছিল। তাই সহজে কেউ বুঝছিলেন না। পরে আনসার সদস্যরা হ্যান্ড মাইকে বারবার এ ঘোষণা দিতে থাকেন। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মানুষ এই কেন্দ্রে এসে ঘুরে গেছেন।
নগরীর কাজলা থেকে টিকা নিতে গিয়েছিলেন রোজিনা খাতুন (৫০)। তিনি বলেন, ‘এত দূর থেকে হাসপাতালে এসে হয়রানির শিকার হলাম। এখানে এসে শুনছি আমাদের এলাকাতেই নাকি টিকা দেওয়া হবে। আগে জানালে এমন হয়রানি হতে হতো না।’
সিটি করপোরেশনের টিকা প্রদান কার্যক্রম মনিটরিং করছেন ডা. ফরহাদ হোসেন। তিনি বলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁদের জানিয়েছে যে এখানে পরীক্ষা শুরু হবে। আর টিকা কেন্দ্র রাখা যাবে না। তাদের কথামতো আমরা ওয়ার্ড পর্যায়ে সরিয়ে নিয়েছি।’
ফরহাদ হোসেন আরও জানান, হাসপাতালে রোজ ১১টি বুথে চার থেকে পাঁচ হাজার মানুষ টিকা নিতেন। ছাদের নিচে অনেক বড় জায়গায় এসব মানুষ দাঁড়াতে পারতেন। এখন ছোট ছোট জায়গায় কোনোমতে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ১১টি বুথ এখন ৭টি কেন্দ্র হয়েছে। টিকা নিতে মানুষকে এখন রাস্তায় রোদে লাইনে দাঁড়াতে হবে।
সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. এফ এ এম আঞ্জুমান আরা বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘খুবই স্বল্প সময়ের মধ্যে রামেক হাসপাতাল থেকে আমাদের টিকা কেন্দ্র সরিয়ে নিতে হয়েছে। আগে সেখানে একই ছাদের নিচে টিকা দেওয়া হচ্ছিল বলে জনবল কম লাগছিল। এখন অতিরিক্ত জনবল জোগাড় করতে সমস্যা হচ্ছে। তাও মানুষের হয়রানি কমাতে ওয়ার্ড কাউন্সিলররা চাইলে আরও কেন্দ্র বৃদ্ধি করব।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে