নড়াইল প্রতিনিধি
নড়াইলে এ বছর বোরো ধানের ভালো ফলন হয়েছে, কিন্তু ধান কাটা নিয়ে কৃষকেরা পড়েছেন বিপাকে। একদিকে শ্রমিকের সংকট অন্যদিকে প্রায় প্রতিদিন থেমে থেমে বৃষ্টি পড়ছে। এতে অনেক জমির ধান মাটিতে পড়ে গেছে। তিন বেলা খাবার এবং ৮০০ টাকা দিয়েও একজন শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে জেলার ৫০ ভাগ কৃষক এখনো ধান কাটতে পারেননি।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে থেকে জানা গেছে, নড়াইলে এ বছর ৪৯ হাজার ৯৪০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ হয়েছে এবং ৩ লাখ ১৮ হাজার মেট্রিক টন ধান ও ২ লাখ ১২ হাজার ৫৩৭ হেক্টর মেট্রিক টন চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে। কৃষি বিভাগের হিসেব অনুযায়ী ১ একর জমির ধান কেটে কৃষকের ঘরে তুলতে ২৫ জন শ্রমিকের প্রয়োজন হয়। বর্তমানে জেলায় ১ লাখ ১২ হাজার ৩৫ জন বোরো চাষি রয়েছে। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সরকারি ভর্তুকিকৃত ১৬টি কম্বাইন্ড হারভেস্টর ও ৭১টি রিপার মেশিন ধান কাটায় ব্যবহৃত হলেও জেলায় ধান কাটার শ্রমিকের সংকট রয়েছে।
সদরের বাহিরডাঙ্গা গ্রামের কৃষক অমিতোষ বিশ্বাস জানান, বোরো চাষে প্রতি মণ ধানে এক হাজার টাকার বেশি খরচ পড়ে। বাজারে বর্তমানে প্রতি মণ ধান ৯৫০ টাকার বেশি বিক্রি হচ্ছে না। এবার কারেন্ট পোকায় অর্ধেক ধান চিটা হয়ে গেছে। বাহিরডাঙ্গা বিলের অর্ধেক ধান এখনো কাটা হয়নি। এর মধ্যে অনেক ধান কেটে বিলে রেখে দেওয়া হয়েছে। এখনো তা বাড়িতে আনা হয়নি।
এর মধ্যে বৃষ্টি ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ শুরু হলো। কপালে কি আছে তা ভগবানই জানেন। মুলিয়া ইউনিয়নের বনগ্রামের কৃষক কবির হোসেন বলেন, ‘আমাদের প্রায় অর্ধেক শ্রমিকই বাইরের জেলা থেকে আনতে হয়। ১ একর জমির ধান কাটতে ৩০টি শ্রমিক প্রয়োজন। তাঁদের এক বেলা খাওয়া দিতে হয়। তাও এবার শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না।’
জেলার সদর উপজেলার সিংগাশোলপুর গ্রামের কৃষক রেজাউল আলম বলেন, ‘অন্যান্যবার আমাদের এলাকায় সাতক্ষীরা ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা থেকে অনেক শ্রমিক আসেন। কিন্তু এবার তাঁরা আসেনি। তিন বেলা খাবার এবং সকাল-সন্ধ্যা ১০ ঘণ্টা ৮০০ টাকা মজুরি দেওয়ার কথা বলেছি। তবুও তাঁরা ধান কাটতে আসছেন না। তাই এবার আমরা শ্রমিক সংকটে পড়েছি।’
রেজাউল আলম আরও বলেন, ‘শুধু ধান বিক্রি করে তেমন একটা লাভের দেখা মেলে না। আর বিছালীর ভালো দামও রয়েছে। তাই বিছালী বিক্রি করে কিছুটা লাভের দেখা পাওয়া যায়। কিন্তু বিছালী সংরক্ষণের জন্য জমির ধান কাটতে একটু দেরি হয়ে যায়। ফলে আমরা অনেকটা ঝুঁকির মধ্যে পড়ে যাই।’
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক দীপক কুমার রায় বলেন, ‘এ বছর ধানের ফলন ভালো হয়েছে। এ পর্যন্ত ৬০ ভাগের বেশি ধান কাটা হয়েছে। প্রতি বছর সাতক্ষীরা, মাগুরা, চাঁপাইনবাবগঞ্জসহ উত্তরাঞ্চল থেকে শ্রমিক আসলেও ঈদের কারণে আসতে দেরি হলেও কিছু এসেছে। অশনির প্রভাবে যদি একদিন বৃষ্টি হয় তাহলে সমস্যা হবে না, যদি টানা বর্ষণ হয় তাহলে কি হবে সেটা এই মুহূর্তে বলা সম্ভব নয়’
নড়াইলে এ বছর বোরো ধানের ভালো ফলন হয়েছে, কিন্তু ধান কাটা নিয়ে কৃষকেরা পড়েছেন বিপাকে। একদিকে শ্রমিকের সংকট অন্যদিকে প্রায় প্রতিদিন থেমে থেমে বৃষ্টি পড়ছে। এতে অনেক জমির ধান মাটিতে পড়ে গেছে। তিন বেলা খাবার এবং ৮০০ টাকা দিয়েও একজন শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে জেলার ৫০ ভাগ কৃষক এখনো ধান কাটতে পারেননি।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে থেকে জানা গেছে, নড়াইলে এ বছর ৪৯ হাজার ৯৪০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ হয়েছে এবং ৩ লাখ ১৮ হাজার মেট্রিক টন ধান ও ২ লাখ ১২ হাজার ৫৩৭ হেক্টর মেট্রিক টন চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে। কৃষি বিভাগের হিসেব অনুযায়ী ১ একর জমির ধান কেটে কৃষকের ঘরে তুলতে ২৫ জন শ্রমিকের প্রয়োজন হয়। বর্তমানে জেলায় ১ লাখ ১২ হাজার ৩৫ জন বোরো চাষি রয়েছে। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সরকারি ভর্তুকিকৃত ১৬টি কম্বাইন্ড হারভেস্টর ও ৭১টি রিপার মেশিন ধান কাটায় ব্যবহৃত হলেও জেলায় ধান কাটার শ্রমিকের সংকট রয়েছে।
সদরের বাহিরডাঙ্গা গ্রামের কৃষক অমিতোষ বিশ্বাস জানান, বোরো চাষে প্রতি মণ ধানে এক হাজার টাকার বেশি খরচ পড়ে। বাজারে বর্তমানে প্রতি মণ ধান ৯৫০ টাকার বেশি বিক্রি হচ্ছে না। এবার কারেন্ট পোকায় অর্ধেক ধান চিটা হয়ে গেছে। বাহিরডাঙ্গা বিলের অর্ধেক ধান এখনো কাটা হয়নি। এর মধ্যে অনেক ধান কেটে বিলে রেখে দেওয়া হয়েছে। এখনো তা বাড়িতে আনা হয়নি।
এর মধ্যে বৃষ্টি ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ শুরু হলো। কপালে কি আছে তা ভগবানই জানেন। মুলিয়া ইউনিয়নের বনগ্রামের কৃষক কবির হোসেন বলেন, ‘আমাদের প্রায় অর্ধেক শ্রমিকই বাইরের জেলা থেকে আনতে হয়। ১ একর জমির ধান কাটতে ৩০টি শ্রমিক প্রয়োজন। তাঁদের এক বেলা খাওয়া দিতে হয়। তাও এবার শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না।’
জেলার সদর উপজেলার সিংগাশোলপুর গ্রামের কৃষক রেজাউল আলম বলেন, ‘অন্যান্যবার আমাদের এলাকায় সাতক্ষীরা ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা থেকে অনেক শ্রমিক আসেন। কিন্তু এবার তাঁরা আসেনি। তিন বেলা খাবার এবং সকাল-সন্ধ্যা ১০ ঘণ্টা ৮০০ টাকা মজুরি দেওয়ার কথা বলেছি। তবুও তাঁরা ধান কাটতে আসছেন না। তাই এবার আমরা শ্রমিক সংকটে পড়েছি।’
রেজাউল আলম আরও বলেন, ‘শুধু ধান বিক্রি করে তেমন একটা লাভের দেখা মেলে না। আর বিছালীর ভালো দামও রয়েছে। তাই বিছালী বিক্রি করে কিছুটা লাভের দেখা পাওয়া যায়। কিন্তু বিছালী সংরক্ষণের জন্য জমির ধান কাটতে একটু দেরি হয়ে যায়। ফলে আমরা অনেকটা ঝুঁকির মধ্যে পড়ে যাই।’
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক দীপক কুমার রায় বলেন, ‘এ বছর ধানের ফলন ভালো হয়েছে। এ পর্যন্ত ৬০ ভাগের বেশি ধান কাটা হয়েছে। প্রতি বছর সাতক্ষীরা, মাগুরা, চাঁপাইনবাবগঞ্জসহ উত্তরাঞ্চল থেকে শ্রমিক আসলেও ঈদের কারণে আসতে দেরি হলেও কিছু এসেছে। অশনির প্রভাবে যদি একদিন বৃষ্টি হয় তাহলে সমস্যা হবে না, যদি টানা বর্ষণ হয় তাহলে কি হবে সেটা এই মুহূর্তে বলা সম্ভব নয়’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে