অনিক সিকদার, বালিয়াকান্দি (রাজবাড়ী)
পদ্মাকন্যাখ্যাত রাজবাড়ী জেলার পাংশা, বালিয়াকান্দি ও কালুখালী উপজেলা নিয়ে গঠিত রাজবাড়ী-২ আসন। বর্তমানে এ আসনের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট কিছুটা ভিন্ন। দীর্ঘদিন ক্ষমতায় না থাকায় মাঠে কমই দেখা যাচ্ছে বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীদের। আসনটি এখন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের দখলে। বর্তমান সংসদ সদস্য জিল্লুল হাকিমের হাত ধরে আবারও জয় চায় দলটি। তবে দলে একাধিক মনোনয়নপ্রত্যাশী রয়েছেন। বিএনপি ভরসা করছে সাবেক সংসদ সদস্য নাসিরুল হক সাবুর ওপর। তবে দ্বন্দ্ব আছে দলটিতে।
এ আসনে চারবার আওয়ামী লীগ, দুবার বিএনপি, একবার জামায়াতে ইসলামী, দুবার জাতীয় পার্টি ও দুবার জাসদ মনোনীত প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। ২০০৮ সাল থেকে এ আসনের সংসদ সদস্য জিল্লুল হাকিম। আগামী নির্বাচনেও তিনিই দলীয় মনোনয়ন চাইবেন। তবে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ সোহেল রানা টিপু, কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নূরে আলম সিদ্দিকী হকসহ বেশ কয়েকজন মনোনয়ন দৌড়ে রয়েছেন।
দলীয় কোন্দল ও গ্রুপিংয়ের কারণে বিএনপির রাজনীতি এখন অস্তিত্ব-সংকটে। কেন্দ্রীয় কোনো কর্মসূচি দিলেও তা বাস্তবায়নে হিমশিম খেতে হচ্ছে দলটির নেতা-কর্মীদের। জানা যায়, বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য নাসিরুল হক সাবু ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ হারুনের মধ্যে চলছে বিরোধ। নেতা-কর্মীরা এই দুই নেতার অনুসারী হয়ে মাঝেমধ্যে আলাদাভাবে কর্মসূচি পালন করে থাকেন। নির্বাচনে গেলে এ দুজনের মধ্যে যে কেউ বিএনপির মনোনয়ন পাবেন।
জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে জিল্লুল হাকিমের নেতৃত্বে এরই মধ্যে ইউনিয়ন পর্যায়ের বেশ কয়েকটি নির্বাচনী জনসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। যেখানে হাজার হাজার নেতা-কর্মীর স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ লক্ষ করা গেছে। এবারও তিনি মনোনয়নের দৌড়ে এগিয়ে আছেন। বালিয়াকান্দি উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি ও বালিয়াকান্দি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘এ আসনে জিল্লুল হাকিমের কোনো বিকল্প নেই। বর্তমান সরকারের সব উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের সুফল তৃণমূলে পৌঁছে দিতে নিরলসভাবে কাজ করছেন তিনি।
একশ্রেণির তথাকথিত রাজনৈতিক বসন্তের কোকিলদের আমরা দেখতে পাই। সাধারণ মানুষের সঙ্গে তাঁদের সম্পৃক্ততা নেই।’
নির্বাচন নিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জিল্লুল হাকিম বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে এ আসনের মানুষ শেখ হাসিনার বিকল্প কাউকে দেখছে না। বিএনপির রাজনীতি শুধু চায়ের দোকানেই। বিএনপির আমলের অন্যায়-অত্যাচার-লুটপাট ও দুর্নীতির কথা এখনো মানুষ ভোলেনি।’
বয়সে তরুণ ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সব কর্মসূচি জেলা পর্যায়ে বাস্তবায়ন করায় দলীয় মনোনয়নের দৌড়ে এগিয়ে থাকবেন হারুন আর রশিদ হারুন। তবে কেউ কেউ মনে করছেন এবারও বিএনপির দলীয় মনোনয়ন পাবেন সাবু।
বালিয়াকান্দি উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খোন্দকার মশিউল আজম চুন্নু বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না বিএনপি। দলীয় কোন্দল ও গ্রুপিংয়ের বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘নাসিরুল হক সাবুর কোনো বিকল্প নেই। যাঁরা আওয়ামী লীগের ছত্রছায়ায় থেকে বিএনপির পদে রয়েছেন, তাঁদের তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা দাঁতভাঙা জবাব দেবেন।’
নাসিরুল হক সাবু বলেন, ‘এই মুহূর্তে তত্ত্বাবধায়ক বা নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া আমরা কোনো কিছু ভাবছি না। অবশ্যই বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্দেশনা মেনে মাঠপর্যায়ে কাজ করব।’ দলের বিভক্তির বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, বিএনপি একটি বড় দল। এখানে গ্রুপিং থাকতেই পারে। তবে রাজবাড়ীতে যাঁরা গ্রুপিং সৃষ্টি করছেন, খোঁজ নিয়ে দেখুন তাঁরা আওয়ামী লীগের ছত্রছায়ায় রয়েছেন। দল ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন করবে।’
আবুল হোসেন ও লোকমান হোসেন মাস্টার মৃত্যুবরণ করায় নেতৃত্বের সংকটে রয়েছে জাতীয় পার্টি। নির্বাচন সম্পর্কে প্রশ্ন করলে রাজবাড়ী জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি হাবিবুর রহমান বাচ্চু বলেন, ‘দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কাজ করা হবে। এখনো কোনো সিদ্ধান্ত কেন্দ্র আমাদের জানায়নি। আমরা এখনো এ আসন থেকে কোনো যোগ্য প্রার্থী খুঁজে পাইনি।’
তবে ১৯৮৬ সালে নির্বাচিত রাজবাড়ী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নিলু চৌধুরীর বিদেশ ফেরত ছেলে রিতু চৌধুরী জাতীয় পার্টিতে যোগদানের ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।
পদ্মাকন্যাখ্যাত রাজবাড়ী জেলার পাংশা, বালিয়াকান্দি ও কালুখালী উপজেলা নিয়ে গঠিত রাজবাড়ী-২ আসন। বর্তমানে এ আসনের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট কিছুটা ভিন্ন। দীর্ঘদিন ক্ষমতায় না থাকায় মাঠে কমই দেখা যাচ্ছে বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীদের। আসনটি এখন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের দখলে। বর্তমান সংসদ সদস্য জিল্লুল হাকিমের হাত ধরে আবারও জয় চায় দলটি। তবে দলে একাধিক মনোনয়নপ্রত্যাশী রয়েছেন। বিএনপি ভরসা করছে সাবেক সংসদ সদস্য নাসিরুল হক সাবুর ওপর। তবে দ্বন্দ্ব আছে দলটিতে।
এ আসনে চারবার আওয়ামী লীগ, দুবার বিএনপি, একবার জামায়াতে ইসলামী, দুবার জাতীয় পার্টি ও দুবার জাসদ মনোনীত প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। ২০০৮ সাল থেকে এ আসনের সংসদ সদস্য জিল্লুল হাকিম। আগামী নির্বাচনেও তিনিই দলীয় মনোনয়ন চাইবেন। তবে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ সোহেল রানা টিপু, কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নূরে আলম সিদ্দিকী হকসহ বেশ কয়েকজন মনোনয়ন দৌড়ে রয়েছেন।
দলীয় কোন্দল ও গ্রুপিংয়ের কারণে বিএনপির রাজনীতি এখন অস্তিত্ব-সংকটে। কেন্দ্রীয় কোনো কর্মসূচি দিলেও তা বাস্তবায়নে হিমশিম খেতে হচ্ছে দলটির নেতা-কর্মীদের। জানা যায়, বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য নাসিরুল হক সাবু ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ হারুনের মধ্যে চলছে বিরোধ। নেতা-কর্মীরা এই দুই নেতার অনুসারী হয়ে মাঝেমধ্যে আলাদাভাবে কর্মসূচি পালন করে থাকেন। নির্বাচনে গেলে এ দুজনের মধ্যে যে কেউ বিএনপির মনোনয়ন পাবেন।
জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে জিল্লুল হাকিমের নেতৃত্বে এরই মধ্যে ইউনিয়ন পর্যায়ের বেশ কয়েকটি নির্বাচনী জনসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। যেখানে হাজার হাজার নেতা-কর্মীর স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ লক্ষ করা গেছে। এবারও তিনি মনোনয়নের দৌড়ে এগিয়ে আছেন। বালিয়াকান্দি উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি ও বালিয়াকান্দি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘এ আসনে জিল্লুল হাকিমের কোনো বিকল্প নেই। বর্তমান সরকারের সব উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের সুফল তৃণমূলে পৌঁছে দিতে নিরলসভাবে কাজ করছেন তিনি।
একশ্রেণির তথাকথিত রাজনৈতিক বসন্তের কোকিলদের আমরা দেখতে পাই। সাধারণ মানুষের সঙ্গে তাঁদের সম্পৃক্ততা নেই।’
নির্বাচন নিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জিল্লুল হাকিম বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে এ আসনের মানুষ শেখ হাসিনার বিকল্প কাউকে দেখছে না। বিএনপির রাজনীতি শুধু চায়ের দোকানেই। বিএনপির আমলের অন্যায়-অত্যাচার-লুটপাট ও দুর্নীতির কথা এখনো মানুষ ভোলেনি।’
বয়সে তরুণ ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সব কর্মসূচি জেলা পর্যায়ে বাস্তবায়ন করায় দলীয় মনোনয়নের দৌড়ে এগিয়ে থাকবেন হারুন আর রশিদ হারুন। তবে কেউ কেউ মনে করছেন এবারও বিএনপির দলীয় মনোনয়ন পাবেন সাবু।
বালিয়াকান্দি উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খোন্দকার মশিউল আজম চুন্নু বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না বিএনপি। দলীয় কোন্দল ও গ্রুপিংয়ের বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘নাসিরুল হক সাবুর কোনো বিকল্প নেই। যাঁরা আওয়ামী লীগের ছত্রছায়ায় থেকে বিএনপির পদে রয়েছেন, তাঁদের তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা দাঁতভাঙা জবাব দেবেন।’
নাসিরুল হক সাবু বলেন, ‘এই মুহূর্তে তত্ত্বাবধায়ক বা নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া আমরা কোনো কিছু ভাবছি না। অবশ্যই বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্দেশনা মেনে মাঠপর্যায়ে কাজ করব।’ দলের বিভক্তির বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, বিএনপি একটি বড় দল। এখানে গ্রুপিং থাকতেই পারে। তবে রাজবাড়ীতে যাঁরা গ্রুপিং সৃষ্টি করছেন, খোঁজ নিয়ে দেখুন তাঁরা আওয়ামী লীগের ছত্রছায়ায় রয়েছেন। দল ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন করবে।’
আবুল হোসেন ও লোকমান হোসেন মাস্টার মৃত্যুবরণ করায় নেতৃত্বের সংকটে রয়েছে জাতীয় পার্টি। নির্বাচন সম্পর্কে প্রশ্ন করলে রাজবাড়ী জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি হাবিবুর রহমান বাচ্চু বলেন, ‘দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কাজ করা হবে। এখনো কোনো সিদ্ধান্ত কেন্দ্র আমাদের জানায়নি। আমরা এখনো এ আসন থেকে কোনো যোগ্য প্রার্থী খুঁজে পাইনি।’
তবে ১৯৮৬ সালে নির্বাচিত রাজবাড়ী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নিলু চৌধুরীর বিদেশ ফেরত ছেলে রিতু চৌধুরী জাতীয় পার্টিতে যোগদানের ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে