সাইফুল আলম তুহিন, ত্রিশাল
ত্রিশালে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক ঘেঁষে অবৈধ বাজার সরেনি আজও। ঝুঁকিপূর্ণ ওই বাজার সরানোর উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা থমকে গেছে। এ নিয়ে মহাসড়কে চলাচলকারীরা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। অথচ বাজার সরাতে ত্রিশালের সাংসদ রুহুল আমীন মাদানীর নির্দেশ ছিল। এর কিছুদিন পর আংশিক উচ্ছেদ কার্যক্রম চালায় স্থানীয় প্রশাসন। পরে আবার জমজমাট মহাসড়ক ঘেঁষা বাজার।
ত্রিশাল পৌরসভার বাসিন্দা রাকিবুল হাসান সুমন বলেন, ‘অজানা কারণেই বৃহৎ জনগোষ্ঠীর কথা চিন্তা না করে নীরব ভূমিকা পালন করছে প্রশাসন। অবৈধ বাজার ও থ্রি হুইলার বন্ধে নামমাত্র অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। আমরা অবৈধ বাজার ও স্থাপনা সরাতে স্থায়ী ব্যবস্থা চাই।’
খোরশেদ আলম নামে আরেক পথযাত্রী বলেন, ‘আমাদের দুর্ভোগের কথা কেউ চিন্তা করে না। সামনে ঈদ আসছে। এ সময়টাতে বাসস্ট্যান্ডে আরও দুর্ভোগ বাড়বে।’
জানা গেছে, গত কয়েক মাসে আজকের পত্রিকাসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে ঝুঁকিপূর্ণ ওই বাজার নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হয়। বিষয়টি নজরে আসে স্থানীয় সাংসদের। তখন ইউএনও, ওসির উপস্থিতিতেই সাংসদ তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘রাস্তার মধ্যে দোকানপাট, বড় বড় দোকান, গাড়ি চলতে পারে না। মানুষও চলতে পারে না। এটা আমাদের ত্রিশালের জন্য দুর্নাম। সেদিন ইউএনও, ওসিকে পাশে বসিয়ে রেখে তিনি ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।
সাংসদের নির্দেশের দুই মাস অতিবাহিত হওয়ার পর গত বুধবার বিকেলে অস্থায়ী কাঁচাবাজার আংশিক উচ্ছেদ করা হয়েছে। কিন্তু এখনো স্থায়ীভাবে বসা বাজার সরাতে পদক্ষেপ নেয়নি স্থানীয় প্রশাসন। সম্প্রতি এ বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেখ মামুনুর রশীদ মামুন নামে একজন ক্ষোভ প্রকাশ করে লেখেন, ‘ত্রিশাল বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ফুটপাতে দোকান বসিয়ে কারা টাকা তোলেন। কে তাঁদের গডফাদার? উপজেলা প্রশাসন নীরব কেন?’
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মহাসড়ক ঘেঁষে অস্থায়ী বাজারের কোনো অনুমোদন নেই। অথচ বিকেল থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত এ বাজারের কলেবর থাকে। অনেক সময় যানবাহন তো দূরের কথা, পথচারীদের হেঁটে চলাও দুষ্কর হয়ে পড়ে। ওভারব্রিজে ওঠানামার স্থানে বাজার বসায় সেটি ব্যবহারেও ভোগান্তির শিকার হচ্ছে মানুষ।’
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আক্তারুজ্জামান বলেন, ‘অবৈধ বাজার ও স্থাপনা সরাতে জেলার আইনশৃঙ্খলা মিটিং থেকে নির্দেশনা আছে। মহাসড়ক ঘেঁষে বসা অবৈধ বাজার ও দোকানপাট সরাতে সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। শিগগির এগুলো পুরোপুরি উচ্ছেদ করা হবে।’
সহকারী কমিশনার (ভূমি) হাসান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বলেন, ‘জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে রাস্তা ও ফুটপাতের অবৈধ দখল উচ্ছেদ এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির মান ও বাজারমূল্য তদারকি করা হয়। কিছু বাস্তবতা আছে, আমরা চাইলেই অতটা কঠোর হতে পারি না। এরা সবাই প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর। আমি দুই মাস আগেই নোটিশ দিয়েছি, যেন তাঁরা সুবিধামতো জায়গায় সরে যেতে পারে।’
সহকারী কমিশনার আরও বলেন, ‘অভিযানের সময় অনেকের কাঁচামাল, সবজি, ফলমূল কেনা আছে দেখলাম। এগুলো বিক্রি করতে না পারলে ওরা নিঃস্ব হয়ে যাবে। আমি এটা চাই না। সবাই মিলে একটু সময় দিই ওদের। ব্যবস্থা নিতে চাইলে তো এখনই নেওয়া যাবে। মানবিকতার দিক বিবেচনা করে তাঁদের আরও সাত দিন সময় দেওয়া হয়েছে।’
ত্রিশালে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক ঘেঁষে অবৈধ বাজার সরেনি আজও। ঝুঁকিপূর্ণ ওই বাজার সরানোর উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা থমকে গেছে। এ নিয়ে মহাসড়কে চলাচলকারীরা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। অথচ বাজার সরাতে ত্রিশালের সাংসদ রুহুল আমীন মাদানীর নির্দেশ ছিল। এর কিছুদিন পর আংশিক উচ্ছেদ কার্যক্রম চালায় স্থানীয় প্রশাসন। পরে আবার জমজমাট মহাসড়ক ঘেঁষা বাজার।
ত্রিশাল পৌরসভার বাসিন্দা রাকিবুল হাসান সুমন বলেন, ‘অজানা কারণেই বৃহৎ জনগোষ্ঠীর কথা চিন্তা না করে নীরব ভূমিকা পালন করছে প্রশাসন। অবৈধ বাজার ও থ্রি হুইলার বন্ধে নামমাত্র অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। আমরা অবৈধ বাজার ও স্থাপনা সরাতে স্থায়ী ব্যবস্থা চাই।’
খোরশেদ আলম নামে আরেক পথযাত্রী বলেন, ‘আমাদের দুর্ভোগের কথা কেউ চিন্তা করে না। সামনে ঈদ আসছে। এ সময়টাতে বাসস্ট্যান্ডে আরও দুর্ভোগ বাড়বে।’
জানা গেছে, গত কয়েক মাসে আজকের পত্রিকাসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে ঝুঁকিপূর্ণ ওই বাজার নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হয়। বিষয়টি নজরে আসে স্থানীয় সাংসদের। তখন ইউএনও, ওসির উপস্থিতিতেই সাংসদ তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘রাস্তার মধ্যে দোকানপাট, বড় বড় দোকান, গাড়ি চলতে পারে না। মানুষও চলতে পারে না। এটা আমাদের ত্রিশালের জন্য দুর্নাম। সেদিন ইউএনও, ওসিকে পাশে বসিয়ে রেখে তিনি ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।
সাংসদের নির্দেশের দুই মাস অতিবাহিত হওয়ার পর গত বুধবার বিকেলে অস্থায়ী কাঁচাবাজার আংশিক উচ্ছেদ করা হয়েছে। কিন্তু এখনো স্থায়ীভাবে বসা বাজার সরাতে পদক্ষেপ নেয়নি স্থানীয় প্রশাসন। সম্প্রতি এ বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেখ মামুনুর রশীদ মামুন নামে একজন ক্ষোভ প্রকাশ করে লেখেন, ‘ত্রিশাল বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ফুটপাতে দোকান বসিয়ে কারা টাকা তোলেন। কে তাঁদের গডফাদার? উপজেলা প্রশাসন নীরব কেন?’
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মহাসড়ক ঘেঁষে অস্থায়ী বাজারের কোনো অনুমোদন নেই। অথচ বিকেল থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত এ বাজারের কলেবর থাকে। অনেক সময় যানবাহন তো দূরের কথা, পথচারীদের হেঁটে চলাও দুষ্কর হয়ে পড়ে। ওভারব্রিজে ওঠানামার স্থানে বাজার বসায় সেটি ব্যবহারেও ভোগান্তির শিকার হচ্ছে মানুষ।’
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আক্তারুজ্জামান বলেন, ‘অবৈধ বাজার ও স্থাপনা সরাতে জেলার আইনশৃঙ্খলা মিটিং থেকে নির্দেশনা আছে। মহাসড়ক ঘেঁষে বসা অবৈধ বাজার ও দোকানপাট সরাতে সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। শিগগির এগুলো পুরোপুরি উচ্ছেদ করা হবে।’
সহকারী কমিশনার (ভূমি) হাসান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বলেন, ‘জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে রাস্তা ও ফুটপাতের অবৈধ দখল উচ্ছেদ এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির মান ও বাজারমূল্য তদারকি করা হয়। কিছু বাস্তবতা আছে, আমরা চাইলেই অতটা কঠোর হতে পারি না। এরা সবাই প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর। আমি দুই মাস আগেই নোটিশ দিয়েছি, যেন তাঁরা সুবিধামতো জায়গায় সরে যেতে পারে।’
সহকারী কমিশনার আরও বলেন, ‘অভিযানের সময় অনেকের কাঁচামাল, সবজি, ফলমূল কেনা আছে দেখলাম। এগুলো বিক্রি করতে না পারলে ওরা নিঃস্ব হয়ে যাবে। আমি এটা চাই না। সবাই মিলে একটু সময় দিই ওদের। ব্যবস্থা নিতে চাইলে তো এখনই নেওয়া যাবে। মানবিকতার দিক বিবেচনা করে তাঁদের আরও সাত দিন সময় দেওয়া হয়েছে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে