রকিব হাসান নয়ন মেলান্দহ (জামালপুর)
জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার নয়ানগর ইউনিয়নের চর উত্তর উস্তম আলী মাস্টার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ৭২ জন। শিক্ষক আছেন একজন। একমাত্র ওই প্রধান শিক্ষক ছয় শ্রেণির ২০টি ক্লাস নেন। কেবল ক্লাস নয়, সকালে বিদ্যালয় ভবন ও ক্লাসের তালা খোলা থেকে শুরু করে ছুটির পর দরজা বন্ধও করতে হয় তাঁকে।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এক বছর ধরে চারজন সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে প্রতিষ্ঠানটিতে। কিন্তু চরাঞ্চল হওয়ায় কোনো শিক্ষক আসতে চান না। এতে শিক্ষার্থীদের পাঠদান যেমন ব্যাহত হচ্ছে, তেমনি প্রধান শিক্ষকও হিমশিম খাচ্ছেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০১৭ সালে বিদ্যালয়টি সরকারি করা হয়।
শুরু থেকেই প্রধান শিক্ষক শাহ জামাল ও আরেকজন সহকারী শিক্ষক ছিলেন। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে সহকারী শিক্ষক বদলি হয়ে চলে যান। এরপর বিদ্যালয়টিতে আর কোনো সহকারী শিক্ষক আসেননি।
প্রধান শিক্ষক জানান, ৭২ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে প্রাক্-প্রাথমিকে ১০, প্রথম শ্রেণিতে ১০, দ্বিতীয় শ্রেণিতে ১২, তৃতীয় শ্রেণিতে ১২, চতুর্থ শ্রেণিতে ১৩ এবং পঞ্চম শ্রেণিতে ১২ জন শিক্ষার্থী রয়েছে।
সম্প্রতি সএজমিনে দেখা গেছে, বিদ্যালয়ের অফিসকক্ষ ও দুটি শ্রেণিকক্ষ তালাবদ্ধ। একটি শ্রেণিকক্ষ খোলা। ওই শ্রেণিকক্ষে ১০ জন শিক্ষার্থীকে পড়াচ্ছিলেন প্রধান শিক্ষক। ওই ১০ শিক্ষার্থীর মধ্যে চারজন তৃতীয় শ্রেণির, দুজন চতুর্থ শ্রেণির এবং চারজন পঞ্চম শ্রেণির। সবাইকে একসঙ্গেই পাঠদান করতে হচ্ছে প্রধান শিক্ষককে।
ক্লাস শেষে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী শাপলা আক্তার বলে, ‘আমাদের স্যার একজন আছেন, আর কোনো স্যার নাই। একাই আমাদের সব ক্লাস নেন। আগে ছাত্রছাত্রী বেশি ছিল, স্যার নাই দেইখা অন্য স্কুলে চলে গেছে।’
চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী মো. বোরহান বলে, ‘আমাদের ক্লাসে আমরা দুজন ছাত্রছাত্রী আজ স্কুলে আইছি, ক্লাস থ্রি, ফোর ফাইভ সবার একসঙ্গে ক্লাস নেন স্যারে।’
বিদ্যালয়টি সম্পর্কে স্থানীয়রা জানান, এক বছর ধরে প্রধান শিক্ষক শাহ জামাল ছাড়া কেউ নেই। প্রধান শিক্ষক একাই স্কুলের সব কাজ করেন। এই স্কুলটি চর এলাকায়। স্কুলে আসার রাস্তাঘাট একদমই খারাপ। কোনো শিক্ষক স্কুলে আসতে চান না কাঁচা রাস্তা দেখে। বর্ষার সময় হেঁটেও চলাচল করা যায় না। তাই কোনো শিক্ষকও এই স্কুলে চাকরি করতে চান না।
বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য আনোয়ার হোসেন বলেন, নিয়োগ দেওয়ার আগে শিক্ষকেরা আগেই এসে স্কুল দেখে যান। স্কুলটি চরাঞ্চলে হওয়ায় এবং চলাচলের রাস্তাঘাট ভালো না হওয়ায় কোনো কেউ এই স্কুলে আসতে চান না।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শাহ জামাল বলেন, ‘খুব কষ্টে আছি, বিদ্যালয়ে আমি ছাড়া আর কেউ নেই। একা আমাকেই সব কাজ করতে হয়। ২০১৭ সালে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়। তখন থেকে দুজন শিক্ষক ছিলাম। ২০২২ সালের শেষের দিকে একজন বদলি হয়ে অন্য জায়গায় চলে যান। তারপর থেকে আমি একাই আছি। প্রতিদিন আমার একাই ক্লাস নিতে হয়। শিক্ষক না থাকায় বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কমে গেছে।’
শাহ জামাল আরও বলেন, শিক্ষকেরা আসতে না চাওয়ার মূল কারণ হচ্ছে, বিদ্যালয়ে আসার রাস্তাঘাট খুবই খারাপ, এ বিদ্যালয়টি চরাঞ্চল এলাকায়। বর্ষার সময় ২ কিলোমিটার হেঁটে স্কুলে আসতে হয়। এ সময় মোটরসাইকেল দিয়ে কোনোরকমে আসা যায়। এ ছাড়া কোনো গাড়ি-ঘোড়া চলে না। বর্তমানে রাস্তার দুই পাশেই ভুট্টাখেত। রাস্তা দিয়ে একা আসাও ভীতিকর।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী চকদার বলেন, ‘আমি নতুন এসেছি। পরে বিষয়টি জেনেছি, দু-এক দিনের মধ্যেই আমরা ডেপুটেশনে ওই বিদ্যালয়ে শিক্ষক দিয়ে দেব।’
জামালপুরের জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এম এম মিজানুর রহমান বলেন, ‘এ বিষয় নিয়ে আমি না জেনে কিছু বলতে পারব না। এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছ থেকে জানতে হবে।’
জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার নয়ানগর ইউনিয়নের চর উত্তর উস্তম আলী মাস্টার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ৭২ জন। শিক্ষক আছেন একজন। একমাত্র ওই প্রধান শিক্ষক ছয় শ্রেণির ২০টি ক্লাস নেন। কেবল ক্লাস নয়, সকালে বিদ্যালয় ভবন ও ক্লাসের তালা খোলা থেকে শুরু করে ছুটির পর দরজা বন্ধও করতে হয় তাঁকে।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এক বছর ধরে চারজন সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে প্রতিষ্ঠানটিতে। কিন্তু চরাঞ্চল হওয়ায় কোনো শিক্ষক আসতে চান না। এতে শিক্ষার্থীদের পাঠদান যেমন ব্যাহত হচ্ছে, তেমনি প্রধান শিক্ষকও হিমশিম খাচ্ছেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০১৭ সালে বিদ্যালয়টি সরকারি করা হয়।
শুরু থেকেই প্রধান শিক্ষক শাহ জামাল ও আরেকজন সহকারী শিক্ষক ছিলেন। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে সহকারী শিক্ষক বদলি হয়ে চলে যান। এরপর বিদ্যালয়টিতে আর কোনো সহকারী শিক্ষক আসেননি।
প্রধান শিক্ষক জানান, ৭২ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে প্রাক্-প্রাথমিকে ১০, প্রথম শ্রেণিতে ১০, দ্বিতীয় শ্রেণিতে ১২, তৃতীয় শ্রেণিতে ১২, চতুর্থ শ্রেণিতে ১৩ এবং পঞ্চম শ্রেণিতে ১২ জন শিক্ষার্থী রয়েছে।
সম্প্রতি সএজমিনে দেখা গেছে, বিদ্যালয়ের অফিসকক্ষ ও দুটি শ্রেণিকক্ষ তালাবদ্ধ। একটি শ্রেণিকক্ষ খোলা। ওই শ্রেণিকক্ষে ১০ জন শিক্ষার্থীকে পড়াচ্ছিলেন প্রধান শিক্ষক। ওই ১০ শিক্ষার্থীর মধ্যে চারজন তৃতীয় শ্রেণির, দুজন চতুর্থ শ্রেণির এবং চারজন পঞ্চম শ্রেণির। সবাইকে একসঙ্গেই পাঠদান করতে হচ্ছে প্রধান শিক্ষককে।
ক্লাস শেষে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী শাপলা আক্তার বলে, ‘আমাদের স্যার একজন আছেন, আর কোনো স্যার নাই। একাই আমাদের সব ক্লাস নেন। আগে ছাত্রছাত্রী বেশি ছিল, স্যার নাই দেইখা অন্য স্কুলে চলে গেছে।’
চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী মো. বোরহান বলে, ‘আমাদের ক্লাসে আমরা দুজন ছাত্রছাত্রী আজ স্কুলে আইছি, ক্লাস থ্রি, ফোর ফাইভ সবার একসঙ্গে ক্লাস নেন স্যারে।’
বিদ্যালয়টি সম্পর্কে স্থানীয়রা জানান, এক বছর ধরে প্রধান শিক্ষক শাহ জামাল ছাড়া কেউ নেই। প্রধান শিক্ষক একাই স্কুলের সব কাজ করেন। এই স্কুলটি চর এলাকায়। স্কুলে আসার রাস্তাঘাট একদমই খারাপ। কোনো শিক্ষক স্কুলে আসতে চান না কাঁচা রাস্তা দেখে। বর্ষার সময় হেঁটেও চলাচল করা যায় না। তাই কোনো শিক্ষকও এই স্কুলে চাকরি করতে চান না।
বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য আনোয়ার হোসেন বলেন, নিয়োগ দেওয়ার আগে শিক্ষকেরা আগেই এসে স্কুল দেখে যান। স্কুলটি চরাঞ্চলে হওয়ায় এবং চলাচলের রাস্তাঘাট ভালো না হওয়ায় কোনো কেউ এই স্কুলে আসতে চান না।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শাহ জামাল বলেন, ‘খুব কষ্টে আছি, বিদ্যালয়ে আমি ছাড়া আর কেউ নেই। একা আমাকেই সব কাজ করতে হয়। ২০১৭ সালে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়। তখন থেকে দুজন শিক্ষক ছিলাম। ২০২২ সালের শেষের দিকে একজন বদলি হয়ে অন্য জায়গায় চলে যান। তারপর থেকে আমি একাই আছি। প্রতিদিন আমার একাই ক্লাস নিতে হয়। শিক্ষক না থাকায় বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কমে গেছে।’
শাহ জামাল আরও বলেন, শিক্ষকেরা আসতে না চাওয়ার মূল কারণ হচ্ছে, বিদ্যালয়ে আসার রাস্তাঘাট খুবই খারাপ, এ বিদ্যালয়টি চরাঞ্চল এলাকায়। বর্ষার সময় ২ কিলোমিটার হেঁটে স্কুলে আসতে হয়। এ সময় মোটরসাইকেল দিয়ে কোনোরকমে আসা যায়। এ ছাড়া কোনো গাড়ি-ঘোড়া চলে না। বর্তমানে রাস্তার দুই পাশেই ভুট্টাখেত। রাস্তা দিয়ে একা আসাও ভীতিকর।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী চকদার বলেন, ‘আমি নতুন এসেছি। পরে বিষয়টি জেনেছি, দু-এক দিনের মধ্যেই আমরা ডেপুটেশনে ওই বিদ্যালয়ে শিক্ষক দিয়ে দেব।’
জামালপুরের জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এম এম মিজানুর রহমান বলেন, ‘এ বিষয় নিয়ে আমি না জেনে কিছু বলতে পারব না। এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছ থেকে জানতে হবে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে